দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া বাসে টাঙ্গাইলে ধর্ষণ ও ডাকাতির ঘটনায় কয়েকজন নারী যাত্রীকেও নিয়ে যেতে চেয়েছিল ডাকাতেরা। এমন লোমহর্ষক অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেন ভুক্তভোগী এক নারী।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের তারাগুনিয়া বাজার থেকে সপরিবারে রওনা দেন তিনি। ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, এর আগে ‘ঈগল এক্সপ্রেস পরিবহন’ নামের ওই বাসে তিনজন যাত্রী ছিলেন। কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় বাসটিতে মালামাল ও আরও কিছু যাত্রী ওঠানো হয়। রাত ৯টার দিকে ভেড়ামারা থেকে ছেড়ে যাওয়া বাসটি যাত্রাবিরতি দেয় সিরাজগঞ্জের একটি হোটেলে। বিরতি শেষে আবারও শুরু হয় যাত্রা। বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকা থেকে কয়েক দফায় বাসটির চালক ও সহযোগী ৪-৫ জন করে ১০-১২ জন যাত্রী তোলেন। বাসে ওঠার পর থেকেই ওই সব যাত্রীদের আচরণ অন্যান্যদের কাছে সন্দেহজনক মনে হয়। গভীর রাত হওয়ায় তখন অনেকে যাত্রীই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন।
অন্তত ২৫ জন সাধারণ যাত্রীসহ বাসটিকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাত দল, যারা খানিক আগেই তাঁরা উঠেছিলেন যাত্রী সেজে। প্রথমে চালক ও সহযোগী পরে পুরুষ যাত্রীদের নিয়ন্ত্রণে নেয় ডাকাতেরা। কাউকে শুয়ে বা কাউকে রাখা হয় সিটে বসিয়ে বেঁধে, কাউকে আবার ঢোকানো হয় সিটের নিচে। শুরু হয় লুটপাট। মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান সবকিছুই কেড়ে নেওয়া হয় যাত্রীদের থেকে। কেউ কেউ কথা বলার চেষ্টা করলেও থামিয়ে দেওয়া হয়। বাস জুড়ে তখন এক ভয়ংকর পরিস্থিতি।
এরই মধ্যে প্রতিবাদী এক নারীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে ডাকাতেরা। পাশবিক নির্যাতন চালানো হয় আরও কয়েক নারীর ওপর। বাসে থাকা তরুণীদের মুখ ঢাকা থাকলে তা খুলে দেখে ডাকাতেরা। ডাকাতি ও ধর্ষণ শেষে বাসটিকে রাস্তার পাশে খাদে দাঁড় করিয়ে সরে পড়ে তারা।
আজকের পত্রিকাকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনার এসব বর্ণনা জানিয়েছেন গাড়িটির যাত্রী উপজেলার তারাগুনিয়া শালিমপুর কাচারি পাড়ার শিল্পী খাতুন। কাঁদো-কাঁদো গলায় তিনি বলেন, ‘বাসে যারা ছিল অধিকাংশই গরিব মানুষ। আমিও আমার মেয়ের চিকিৎসার টাকা হারিয়েছি, গয়না হারিয়েছি। ভয়াবহ এই ঘটনা কখনোই ভুলতে পারব না। আমার চার বছরের শিশু, নাতিও ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। ডাকাতেরা এক সময় কয়েকজন মেয়েকে বাস থেকে নামিয়ে সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়ার আলাপ করতে থাকে। আমার সাথেও আমার মেয়ে ছিল। আমরা ভীষণ ভয় পেয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত কিছু জিনিসপত্র আর টাকা হারানোর মধ্য দিয়ে বেঁচে যাই।’
জানা গেছে, ওই বাসটি বাস কর্তৃপক্ষের প্রাগপুর-ঢাকা রুটের একমাত্র পরিবহন, যেটি অনিয়মিতভাবে কুষ্টিয়া জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা প্রাগপুর থেকে ঢাকার পথে চলাচল করে। সেদিন নিয়মিত চালকও বাসে ছিলেন না। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বাসটি ডাকাতির কবলে পড়ে।
কুষ্টিয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া বাসে টাঙ্গাইলে ধর্ষণ ও ডাকাতির ঘটনায় কয়েকজন নারী যাত্রীকেও নিয়ে যেতে চেয়েছিল ডাকাতেরা। এমন লোমহর্ষক অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেন ভুক্তভোগী এক নারী।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের তারাগুনিয়া বাজার থেকে সপরিবারে রওনা দেন তিনি। ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, এর আগে ‘ঈগল এক্সপ্রেস পরিবহন’ নামের ওই বাসে তিনজন যাত্রী ছিলেন। কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় বাসটিতে মালামাল ও আরও কিছু যাত্রী ওঠানো হয়। রাত ৯টার দিকে ভেড়ামারা থেকে ছেড়ে যাওয়া বাসটি যাত্রাবিরতি দেয় সিরাজগঞ্জের একটি হোটেলে। বিরতি শেষে আবারও শুরু হয় যাত্রা। বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকা থেকে কয়েক দফায় বাসটির চালক ও সহযোগী ৪-৫ জন করে ১০-১২ জন যাত্রী তোলেন। বাসে ওঠার পর থেকেই ওই সব যাত্রীদের আচরণ অন্যান্যদের কাছে সন্দেহজনক মনে হয়। গভীর রাত হওয়ায় তখন অনেকে যাত্রীই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন।
অন্তত ২৫ জন সাধারণ যাত্রীসহ বাসটিকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাত দল, যারা খানিক আগেই তাঁরা উঠেছিলেন যাত্রী সেজে। প্রথমে চালক ও সহযোগী পরে পুরুষ যাত্রীদের নিয়ন্ত্রণে নেয় ডাকাতেরা। কাউকে শুয়ে বা কাউকে রাখা হয় সিটে বসিয়ে বেঁধে, কাউকে আবার ঢোকানো হয় সিটের নিচে। শুরু হয় লুটপাট। মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান সবকিছুই কেড়ে নেওয়া হয় যাত্রীদের থেকে। কেউ কেউ কথা বলার চেষ্টা করলেও থামিয়ে দেওয়া হয়। বাস জুড়ে তখন এক ভয়ংকর পরিস্থিতি।
এরই মধ্যে প্রতিবাদী এক নারীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে ডাকাতেরা। পাশবিক নির্যাতন চালানো হয় আরও কয়েক নারীর ওপর। বাসে থাকা তরুণীদের মুখ ঢাকা থাকলে তা খুলে দেখে ডাকাতেরা। ডাকাতি ও ধর্ষণ শেষে বাসটিকে রাস্তার পাশে খাদে দাঁড় করিয়ে সরে পড়ে তারা।
আজকের পত্রিকাকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনার এসব বর্ণনা জানিয়েছেন গাড়িটির যাত্রী উপজেলার তারাগুনিয়া শালিমপুর কাচারি পাড়ার শিল্পী খাতুন। কাঁদো-কাঁদো গলায় তিনি বলেন, ‘বাসে যারা ছিল অধিকাংশই গরিব মানুষ। আমিও আমার মেয়ের চিকিৎসার টাকা হারিয়েছি, গয়না হারিয়েছি। ভয়াবহ এই ঘটনা কখনোই ভুলতে পারব না। আমার চার বছরের শিশু, নাতিও ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। ডাকাতেরা এক সময় কয়েকজন মেয়েকে বাস থেকে নামিয়ে সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়ার আলাপ করতে থাকে। আমার সাথেও আমার মেয়ে ছিল। আমরা ভীষণ ভয় পেয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত কিছু জিনিসপত্র আর টাকা হারানোর মধ্য দিয়ে বেঁচে যাই।’
জানা গেছে, ওই বাসটি বাস কর্তৃপক্ষের প্রাগপুর-ঢাকা রুটের একমাত্র পরিবহন, যেটি অনিয়মিতভাবে কুষ্টিয়া জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা প্রাগপুর থেকে ঢাকার পথে চলাচল করে। সেদিন নিয়মিত চালকও বাসে ছিলেন না। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বাসটি ডাকাতির কবলে পড়ে।
ফোনে ওই ব্যক্তি নিজেকে সেনাবাহিনীর মেজর সোহেল পরিচয় দিয়ে জানায়, কিছু শারীরিক সমস্যার কারণে তার ভাই বাদ পড়েছে, তবে চাইলে টাকা দিলে চাকরি নিশ্চিত করে দিতে পারবে। এর পর ঢাকার শাহ আলী থানার একটি হোটেলে ভুক্তভোগীর সঙ্গে দেখা করে ওই ভুয়া মেজর সোহেল রানা। সঙ্গে ছিল আরেক প্রতারক তৈয়বুর রহমান, যাকে ভুক্তভোগী
৬ দিন আগেচাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলের অভিযোগে সাম্প্রতিক সময়ে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৫৭ শতাংশের বেশি নতুন মুখ। অর্থাৎ পুলিশের হাতে ধরা পড়া ব্যক্তিদের অর্ধেকের কিছু বেশির বিরুদ্ধে অতীতে এ ধরনের অপরাধের কোনো অভিযোগ ছিল না। পুলিশ কর্তৃপক্ষের দেওয়া হিসাবে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
৯ দিন আগেআন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের হোতা আমিনুল ইসলাম (৪৬) ও তার চার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-২। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ ও হাজারীবাগ থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার ১১ নম্বর সেক্টর থেকে তাদের
২১ দিন আগেমেয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাকে ঘুম থেকে তুলে ধর্ষণ করেন বাবা। ৮ বছর আগের ওই ঘটনায় মামলা হয়েছিল। ওই ঘটনার আগেও আসামি একাধিকবার মেয়েকে ধর্ষণ করেন। ফলে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে যায়। ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছিল।
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫