Ajker Patrika

ভারতের লখিমপুরে কৃষক হত্যা ছিল ‘পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র’

আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬: ৪২
ভারতের লখিমপুরে কৃষক হত্যা ছিল ‘পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র’

ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের লখিমপুর খেরিতে কৃষক হত্যা একটি ‘পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র’ ছিল। এ ঘটনায় সুপ্রিম কোর্ট গঠিত বিশেষ তদন্ত দল এ কথাই বলছে। এ মামলায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রের কারাবন্দী ছেলে আশিস মিশ্র প্রধান অভিযুক্ত। 

মামলার তদন্তকারী দলের একজন পুলিশ কর্মকর্তা বিচারককে লিখিতভাবে জানিয়েছেন, আশিস মিশ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো সংশোধন করা উচিত। 

আশিস মিশ্র এবং অন্যদের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে। বিশেষ তদন্ত দল এখন ‘হত্যা চেষ্টা’ এবং আরও কয়েকটি অভিযোগ সেই সঙ্গে যুক্ত করতে চায়। 

এদিকে ক্ষমতাসীন বিজেপি উত্তর প্রদেশে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ নিয়ে সরকারের মধ্যে যে নতুন পরিবর্তনের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, তাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের পদে থাকা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। ঘটনার পর থেকে অজয় মিশ্রের পদত্যাগের দাবি উঠলেও তিনি এখনো নরেন্দ্র মোদি সরকারে বহালতবিয়তে আছেন। 

লখিমপুর খেরিতে হত্যাকাণ্ড কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। সামনের নির্বাচনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভোটব্যাংকের মধ্যে এ ইস্যু বড় প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করা হয়। 

গত ৩ অক্টোবর লখিমপুর খেরিতে কৃষকদের বিক্ষোভে গাড়ি তুলে দেওয়ার ঘটনায় আটজন নিহত হন। আশিস মিশ্রের মালিকানাধীন একটি বিলাসবহুল গাড়ি চারজন কৃষকের ওপর তুলে দিলে তাঁরা ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। এরপর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে একজন সাংবাদিকসহ আরও চারজনের প্রাণ যায়। 

কৃষকদের গাড়ির ধাক্কা এবং পরবর্তী সময়ে বিক্ষোভের ভিডিওগুলোতে দেখা যাচ্ছে, একটি এসইউভি দ্রুতগতিতে কৃষকদের মাড়িয়ে চলে যাচ্ছে। 

এ ঘটনায় দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। নিহত কৃষকের পরিবারের পক্ষ থেকে দায়ের করা একটিতে আশিস মিশ্রকে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে। অন্য এফআইআরটি লখিমপুরের বিজেপি কর্মী সুমিত জয়সওয়াল দায়ের করেন। তাঁর এফআইআরে সহিংসতা উসকে দেওয়ার জন্য অজ্ঞাতনামা কৃষকদের দায়ী করা হয়েছে। 

ভাইরাল হওয়া ভিডিওগুলোতে জয়সওয়ালকে কৃষকদের আঘাতকারী একটি এসইউভি থেকে দৌড়ে পালাতে দেখা যায়। পরে তাঁকে আশিস মিশ্রের বিরুদ্ধে করা এফআইআরে সহ-অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়। 

গত মাসে সুপ্রিম কোর্ট বিশেষ তদন্ত দলকে দ্রুত তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেন। এই দলে তিনজন আইপিএস অফিসারকে রাখা হয়েছে, যারা উত্তর প্রদেশের নন। স্থানীয় পুলিশ সদস্যরা তদন্তে হেরফের করবে এই আশঙ্কা থেকে এটি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত