Ajker Patrika

নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফকে মারধর: হাজী সেলিমের ছেলে ইরফানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৪: ০৯
নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফকে মারধর: হাজী সেলিমের ছেলে ইরফানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজি সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর এ আদেশ দেন। এ সময় ইরফান সেলিম আদালতে উপস্থিত না থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আদালত আদেশে উল্লেখ করেছেন তাঁর অনুপস্থিতিতে বিচার চলবে। আদালত আগামী ৬ মার্চ সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন।

ইরফান সেলিমের আইনজীবী শ্রী প্রাণনাথ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইরফান সেলিমের জন্য সময়ের আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু আদালত সেটা না মঞ্জুর করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন এবং ইরফান সেলিমসহ অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এই মামলার বিচার শুরু হলো বলে তিনি জানান।

জামিন প্রাপ্ত অন্য দুজন ইরফানের দেহরক্ষী এ বি সিদ্দিক দিপু ও গাড়িচালক মিজানুর রহমান আদালতে হাজির ছিলেন। অপর দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লা কারাগারে রয়েছেন। তাঁকেও আদালতে হাজির করা হয়। আরেক আসামি রিপন কাদির পলাতক রয়েছেন। গত বছর ১১ ফেব্রুয়ারি ইরফান সেলিমসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করা হয়।

মামলার নথি–পত্র থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর নৌ–বাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের গাড়ি তাঁর মোটরসাইকেলে ধাক্কা মারে। এরপর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেল থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান ও নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে ইরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা একসঙ্গে তাঁকে মারধর করে মেরে ফেলার হুমকি দেন। তাঁর স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।

ওই ঘটনায় ২৬ অক্টোবর সকালে ইরফান সেলিম, তাঁর দুই দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লা, এ বি সিদ্দিক দিপু, গাড়িচালক মিজানুর রহমান ও রিপন কাদিরসহ অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন।

ওই দিনই দুপুরে র‌্যাব পুরান ঢাকার চকবাজারে হাজি সেলিমের বাসায় অভিযান চালায়। সেখান থেকে ইরফান সেলিম ও তাঁর দেহরক্ষী জাহিদকে হেফাজতে নেয়। বাসায় অবৈধভাবে মদ ও ওয়াকিটকি রাখার দায়ে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁদের দু’জনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন। পরের দিন (২৭ অক্টোবর) র‌্যাব-৩–এর ডিএডি কাইয়ুম ইসলাম চকবাজার থানায় ইরফান সেলিম ও দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে আদালত চকবাজার থানায় দায়ের করা অস্ত্র ও মাদক মামলা থেকে ইরফান ও জাহিদুলকে অব্যাহতি দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিলেটে পাথর লুটে জড়িত দুই দলের ৩৫ নেতা

৬৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ: ডেলটা গ্রুপের চেয়ারম্যান ফারুকসহ ১৫ জনের নামে মামলা

১ লাখ ৮২২ শিক্ষক নিয়োগ: যোগ্য প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা চলতি সপ্তাহে

‘মুসলিম ফ্রন্টগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করুন, ইন্টেরিম ভেঙে দিন’

‘বউ আমাকে মিথ্যা ভালোবাসত, টাকা না থাকলে ছেড়ে যাবে, তাই মরে গেলাম’

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত