নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
স্কুলের গণ্ডিও পার হতে পারেননি আবদুল কাদের। পরিচয় দিতেন অতিরিক্ত সচিব বলে। আলোচিত ধনকুবের মুসা বিন শমসের ও ক্যাসিনো কাণ্ডে জড়িত জি কে শামিমের আইন উপদেষ্টা হিসেবেও পরিচয় দিতেন তিনি। এমন সব পরিচয় দিয়ে ব্যাংক থেকে বড় অঙ্কের ঋণ এনে দেওয়া, বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ পাইয়ে দেওয়া, চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
আজ শনিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার।
হাফিজ আক্তার বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে গুলশান ১-এ জব্বার টাওয়ারে অভিযান চালিয়ে সততা প্রোপার্টিজ লিমিটেডের এমডি আব্দুল কাদের, চেয়ারম্যান শারমিন আক্তার ছোঁয়াসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এনএসআইয়ের সহযোগিতায় ডিবি পুলিশের গুলশান বিভাগ তাঁদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার হওয়া অন্য দুজন-শহিদুল আলম ও আনিসুর রহমান। তাঁদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ওয়াকিটকি, অতিরিক্ত সচিবের আইডি কার্ড, ভিজিটিং কার্ড ও ওয়ার্ক অর্ডারের কাগজপত্রসহ প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় অস্ত্র মামলা ও তেজগাঁও থানায় প্রতারণার মামলা করেছে পুলিশ।
অতিরিক্ত সচিব পরিচয় দেওয়া আবদুল কাদের চৌধুরী দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সুবর্ণচর। বাবা ছিলেন মাঝি। কাদেরের সব অর্থ উপার্জনই প্রতারণার মাধ্যমে। আবদুল কাদেরের সম্পদের বর্ণনা দিতে গিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা হাফিজ আক্তার বলেন, প্রায় ১৪ বছর ধরে তিনি প্রতারণার মাধ্যমে অঢেল সম্পত্তি বানিয়েছেন। কোটি টাকার প্রাডো গাড়ি এবং গাড়িতে সরকারি স্টিকার থাকায় সচিবালয়ে তাঁকে কেউ সন্দেহের নজরে দেখেনি। তিনি নিজের মিথ্যা পদবি ব্যবহার করে সচিবালয়ে তদবির করতেন। গুলশান ১ নম্বরের জব্বার টাওয়ারে মাসিক ৫ লাখ টাকা ভাড়ায় অফিস রয়েছে তাঁর। কারওয়ান বাজারেও আরেকটি বিলাসবহুল অফিস আছে। তাঁর বসবাস গুলশানের দামি ফ্ল্যাটে।
আবদুল কাদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে তিনি জানান, আব্দুল কাদের ঢাকা ট্রেড করপোরেশন, জমিদার ট্রেডিং, সামীন এন্টারপ্রাইজ, চৌধুরী গ্রুপ, হিউম্যান ইমপ্রুভমেন্ট ফাউন্ডেশন, সততা প্রোপার্টিজ, ডানা লজিস্টিকস, ডানা মটর্সসহ নাম সর্বস্ব কয়েকটি কোম্পানি বানিয়ে প্রতারণা করছিলেন। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের মাধ্যমেও তিনি প্রতারণা করেন। ২০০৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত শত শত মানুষের কাছ থেকে সরকারি অনুদানে বাড়ি এবং খামার তৈরি করার নামে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।
আব্দুল কাদের তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য ফি নিতেন ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা! ব্যাংক থেকে ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকার ঋণ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে প্রসেসিং ফির নামে ৫ থেকে ১০ শতাংশ টাকা অগ্রিম নিতেন বলে পুলিশকে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।
জয়নাল আবেদিন নামে এক ভুক্তভোগী বলেন, আবদুল কাদেরর সঙ্গে দেখা করতে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে আমি একটি ফরম পূরণ করেছিলেন। এরপর ঋণ নেওয়ার জন্য ‘প্রোফাইল মেকিং চার্জ’ নামে আরও ৫ লাখ টাকা চাইলে তিনি ২ লাখ টাকা দেন। ২০ কোটি টাকা লোন পাইয়ে দেওয়ার জন্য লোনের ১ শতাংশ টাকা অগ্রিম চায়। তিনি অনুরোধ করে ১০ লাখ টাকা দেন। টাকার দেওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, মিরপুর ডিওএইচএস এলাকায় সাপ্লাইয়ের সাব কন্ট্রাক্টের একটা ওয়ার্ক অর্ডার পেয়েছিলেন। এর জন্য টাকার প্রয়োজন ছিল। আবদুল কাদেরের মার্কেটিংয়ের লোকের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ হয়। এরপর ঋণ তো পাননি, আবদুল কাদেরকে দেওয়া টাকাও ফেরত পাননি।
স্কুলের গণ্ডিও পার হতে পারেননি আবদুল কাদের। পরিচয় দিতেন অতিরিক্ত সচিব বলে। আলোচিত ধনকুবের মুসা বিন শমসের ও ক্যাসিনো কাণ্ডে জড়িত জি কে শামিমের আইন উপদেষ্টা হিসেবেও পরিচয় দিতেন তিনি। এমন সব পরিচয় দিয়ে ব্যাংক থেকে বড় অঙ্কের ঋণ এনে দেওয়া, বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ পাইয়ে দেওয়া, চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
আজ শনিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার।
হাফিজ আক্তার বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে গুলশান ১-এ জব্বার টাওয়ারে অভিযান চালিয়ে সততা প্রোপার্টিজ লিমিটেডের এমডি আব্দুল কাদের, চেয়ারম্যান শারমিন আক্তার ছোঁয়াসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এনএসআইয়ের সহযোগিতায় ডিবি পুলিশের গুলশান বিভাগ তাঁদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার হওয়া অন্য দুজন-শহিদুল আলম ও আনিসুর রহমান। তাঁদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ওয়াকিটকি, অতিরিক্ত সচিবের আইডি কার্ড, ভিজিটিং কার্ড ও ওয়ার্ক অর্ডারের কাগজপত্রসহ প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় অস্ত্র মামলা ও তেজগাঁও থানায় প্রতারণার মামলা করেছে পুলিশ।
অতিরিক্ত সচিব পরিচয় দেওয়া আবদুল কাদের চৌধুরী দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সুবর্ণচর। বাবা ছিলেন মাঝি। কাদেরের সব অর্থ উপার্জনই প্রতারণার মাধ্যমে। আবদুল কাদেরের সম্পদের বর্ণনা দিতে গিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা হাফিজ আক্তার বলেন, প্রায় ১৪ বছর ধরে তিনি প্রতারণার মাধ্যমে অঢেল সম্পত্তি বানিয়েছেন। কোটি টাকার প্রাডো গাড়ি এবং গাড়িতে সরকারি স্টিকার থাকায় সচিবালয়ে তাঁকে কেউ সন্দেহের নজরে দেখেনি। তিনি নিজের মিথ্যা পদবি ব্যবহার করে সচিবালয়ে তদবির করতেন। গুলশান ১ নম্বরের জব্বার টাওয়ারে মাসিক ৫ লাখ টাকা ভাড়ায় অফিস রয়েছে তাঁর। কারওয়ান বাজারেও আরেকটি বিলাসবহুল অফিস আছে। তাঁর বসবাস গুলশানের দামি ফ্ল্যাটে।
আবদুল কাদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে তিনি জানান, আব্দুল কাদের ঢাকা ট্রেড করপোরেশন, জমিদার ট্রেডিং, সামীন এন্টারপ্রাইজ, চৌধুরী গ্রুপ, হিউম্যান ইমপ্রুভমেন্ট ফাউন্ডেশন, সততা প্রোপার্টিজ, ডানা লজিস্টিকস, ডানা মটর্সসহ নাম সর্বস্ব কয়েকটি কোম্পানি বানিয়ে প্রতারণা করছিলেন। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের মাধ্যমেও তিনি প্রতারণা করেন। ২০০৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত শত শত মানুষের কাছ থেকে সরকারি অনুদানে বাড়ি এবং খামার তৈরি করার নামে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।
আব্দুল কাদের তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য ফি নিতেন ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা! ব্যাংক থেকে ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকার ঋণ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে প্রসেসিং ফির নামে ৫ থেকে ১০ শতাংশ টাকা অগ্রিম নিতেন বলে পুলিশকে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।
জয়নাল আবেদিন নামে এক ভুক্তভোগী বলেন, আবদুল কাদেরর সঙ্গে দেখা করতে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে আমি একটি ফরম পূরণ করেছিলেন। এরপর ঋণ নেওয়ার জন্য ‘প্রোফাইল মেকিং চার্জ’ নামে আরও ৫ লাখ টাকা চাইলে তিনি ২ লাখ টাকা দেন। ২০ কোটি টাকা লোন পাইয়ে দেওয়ার জন্য লোনের ১ শতাংশ টাকা অগ্রিম চায়। তিনি অনুরোধ করে ১০ লাখ টাকা দেন। টাকার দেওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, মিরপুর ডিওএইচএস এলাকায় সাপ্লাইয়ের সাব কন্ট্রাক্টের একটা ওয়ার্ক অর্ডার পেয়েছিলেন। এর জন্য টাকার প্রয়োজন ছিল। আবদুল কাদেরের মার্কেটিংয়ের লোকের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ হয়। এরপর ঋণ তো পাননি, আবদুল কাদেরকে দেওয়া টাকাও ফেরত পাননি।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
২৪ জুলাই ২০২৫সবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৪ জুলাই ২০২৫এবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১২ জুলাই ২০২৫মোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
০৫ জুলাই ২০২৫