Ajker Patrika

বিমানবন্দরে ৫৫ কেজি সোনা চুরি: কাস্টমস কর্মকর্তাসহ ৮ জন রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৮: ৫১
বিমানবন্দরে ৫৫ কেজি সোনা চুরি: কাস্টমস কর্মকর্তাসহ ৮ জন রিমান্ডে

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুল্ক বিভাগের গুদামের লকার থেকে ৫৫ কেজি সোনা চুরির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার ৮ জনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডে নেওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হলেন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম (৩২), মো. সাইদুল ইসলাম সাহেদ (৩৩), আকরাম শেখ (৩৬), মো. মাসুম রানা (৩৩), সিপাহী মো. মোজাম্মেল হক (৩৫), নিয়ামত হাওলাদার (২৭), মো. রেজাউল করিম (৩৬) ও মো. আফজাল হোসেন (২৯)। আদালতের বিমানবন্দর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাফফর আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

বিকেলে আসামিদের আদালতে হাজির করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উত্তরা জোনাল টিমের পরিদর্শক রাশেদুল ইসলাম আসামিদের প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। দুই আসামির পক্ষে রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করা হয়। অন্য ৬ আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসানের আদালত প্রত্যেকের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আজ সকালে ডিবি পুলিশ এই আটজনকে গ্রেপ্তার দেখায় এই মামলায়। সোনা চুরির ঘটনার পর তাদেরকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। 

গত ২ সেপ্টেম্বর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টমস হাউসের সোনা চুরির ঘটনা ঢাকা শুল্ক বিভাগের নজরে আসে। পরদিন ৩ সেপ্টেম্বর রাতে বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর ঢাকা শুল্ক বিভাগের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালে উদ্ধার হওয়া ৪৮টি ডিএম বার, যার মোট ওজন ৮.০২ কেজি ও ২০২০ থেকে ২০২৩ সালে বিভিন্ন সময়ে আটক ৩৮৯টি ডিএম বার, যার মোট ওজন ৪৭.৪৯ কেজি স্বর্ণ আলমারির লকার ভেঙে চুরি হয়। গত ২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১২টা ১৫ থেকে সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের মধ্যে কে বা কারা বর্ণিত স্বর্ণবার ও স্বর্ণালংকার গোডাউন থেকে স্টিলের আলমারির লকার ভেঙে চুরি করে।

চুরি হওয়া এই সোনার মূল্য প্রায় ৪৫ কোটি টাকা। মামলাটি বর্তমানে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ তদন্ত করছে। এদিকে পুরো ঘটনা তদন্তের জন্য কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার মিনহাজ উদ্দীনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি টিম গঠন করেছে কাস্টমস হাউস। 

ঘটনার পর চার রাজস্ব কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়। তাঁরা হলেন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম সাহেদ, শহীদুল ইসলাম, মাসুম রানা ও আকরাম শেখ। 

আজ রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, বিমানবন্দরের কাস্টমস লকার থেকে সোনা চুরির ঘটনায় এই আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে আনার পর তাঁরা চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। ইতিমধ্যে তাঁদের কাছ থেকে ৯৪ ভরি সোনা উদ্ধার করা হয়েছে। চুরি হওয়া বাকি সোনা উদ্ধারের জন্য এবং এই ঘটনার সঙ্গে আর কারা জড়িত সে বিষয়ে তথ্য উদ্‌ঘাটনের জন্য ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হরমুজ প্রণালিতে প্রবেশ করে ইউটার্ন নিল দুটি জাহাজ

ইসরায়েলে ২০ লাখ রুশভাষীর বাস, রাশিয়াকে তাঁদের কথা ভাবতে হয়: পুতিন

গুমে জড়িত ছিল ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা: গুম কমিশনের প্রতিবেদন

ইরানের হামলার তীব্র নিন্দা কাতারের, পাল্টা জবাবের হুঁশিয়ারি

মধ্যপ্রাচ্যের চার দেশে পরবর্তী ঘোষণার আগপর্যন্ত বাংলাদেশি সব ফ্লাইট বাতিল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত