নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: ছাত্রলীগ নেতা সুমন বেপারীর নেতৃত্বে রাজধানীর পল্লবীতে ব্যবসায়ী সাহিনুদ্দিনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার দিন সুমনই প্রথম সাহিনুদ্দিনকে কোপানো শুরু করে। এরপর সবাই মিলে তাঁকে কোপাতে থাকে। শেষে মনির কুপিয়ে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করে। সাহিনুদ্দিন হত্যা মামলার আসামি রকি তালুকদার ও মুরাদ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আদালতে এসব কথা বলেন বলে জানা গেছে। গতকাল শনিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এই জবানবন্দি দেন দুই আসামি।
গতকাল শনিবার রিমান্ডে থাকা আসামি রকি ও মুরাদকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় তাঁরা স্বেচ্ছায় হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে রাজি হন। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার হোসেন ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাঁদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন ।
সূত্রে জানা গেছে, এই দুজনই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে দোষ স্বীকার করেন। তারাও এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন বলে স্বীকার করেন। তারাও চাপাতি দিয়ে সাহিনুদ্দিন কুপিয়েছেন।
নির্ভরযোগ্য সূত্রটি আরও জানায়, রকি তালুকদার ও মুরাদ এই ঘটনায় লক্ষ্মীপুরের সাবেক সাংসদ এম এ আউয়ালের সংশ্লিষ্টতার কথা বলেছেন। গত ১৫ মে এম এ আউয়ালের কলাবাগানের অফিসে বসে সাহিনকে হত্যার চূড়ান্ত পরিকল্পনা হয়। এর চার পাঁচ দিন আগেও কলাবাগানে একবার সাহিনকে হত্যার বিষয়ে বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে মানিক ও মনির অংশ নেয়। এই দুজনই ঘটনার পর পুলিশের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
রকি তালুকদার ও মুরাদ আদালতকে বলেন, যেদিন ঘটনা ঘটে সেদিন সকালে তারা দুজন, মনির, মানিক, সুমন বেপারীসহ হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া প্রায় সবাই পল্লবীতে এক মিটিংয়ে সাহিনুদ্দিনকে হত্যার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে। ছাত্রলীগ নেতা সুমন বেপারী এই হত্যার নেতৃত্ব দেবেন বলেও সিদ্ধান্ত হয়। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ১৬ মে বিকেল ৪টার দিকে সুমন ও টিটু সাহিনুদ্দিনকে ফোন দেন। সাহিনুদ্দিনকে বলা হয়, পল্লবীর বুড়িরটেকের আলী নগর আবাসিক এলাকার হ্যাভেলি প্রপার্টিজ ডেভেলপার লিমিটেডের মালিক আউয়াল সাহেবের সঙ্গে যে বিরোধ আছে তা মিটিয়ে দেওয়া হবে। আসতে রাজি হননি। কিন্তু সুমন ও টিটু বলেন, তারা স্থানীয়। বিষয়টা সাহিনের জন্য ভালো হবে বলে তারা এগিয়ে এসেছে। মীমাংসা হলে সাহিনের লাভ হবে বলে তারা আশ্বস্ত করে। পরে সাহিন রাজি হয়।
পরে তাঁকে পল্লবীর ডি ব্লকে ৩১ নম্বর সড়কে আসতে বলা হয়। শাহিন একটি মোটরসাইকেলে তার ছয় বছরের ছেলে মাশরাফিকে নিয়ে ৪০ নম্বর বাড়ির সামনে এলেই তাকে সেখানে নামানো হয়। ছেলের সামনেই সাহিনকে টেনে হিঁচড়ে বাড়ির মধ্যে গ্যারেজের মধ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আগে থেকেই চাপাতি, রাম দা, চাইনিজ কুড়াল রাখা ছিল। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সুমন প্রথমেই সাহিনকে চাপাতি দিয়ে কোপাতে থাকে। পরে রকি, মুরাদ, মানিক, টিটু, বাবু ও অন্যরাও কোপাতে থাকে। একপর্যায়ে সাহিনকে টেনে বাইরে আনা হয়। সেখানে মনির আবারও কুপিয়ে শাহিনের মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
দুজনই স্বীকারোক্তিতে বলেন, সুমন, মনির ও মানিকের নেতৃত্বে এলাকায় তারা টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন বাড়ি দখল করে দেয়। তাদের পেশাই পেশি শক্তি ব্যবহার করে জোর জবরদস্তি করে বাড়ি দখল করা। সাবেক সাংসদ আউয়ালের কাছ থেকেই তারা মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছিল। ঘটনার আগে সকালের মিটিংয়ে সুমন বেপারী তাদের বলেছে, বসের (আউয়ালের) নির্দেশ পাওয়া গেছে। শালাকে (সাহিন) শেষ করে দিতে হবে।
এদিকে এই মামলায় গ্রেপ্তার আরও তিনজনকে চার দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মণ্ডল এই রিমান্ড দেন। তদন্ত কর্মকর্তা প্রত্যেকের দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান। আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। যাদের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে তারা হলেন মো. টিটু, ইকবাল নুর ও মো. শরীফ। এর মধ্যে টিটু এজাহার নামীয় আসামি। টিটু নিহত শাহিন উদ্দিনকে ডেকে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসেন বলে মামলায় বলা হয়েছে। অপর দুজনের নাম এজাহারে নেই। তবে পুলিশ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে তারাও শাহিন হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিলেন বলে তদন্তে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ মে প্রকাশ্যে শাহিন উদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় সাহিনের মা আকলিমা বেগম ১৭ মে পল্লবী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। সাহিনুদ্দিন খুন হওয়ার পর আউয়ালসহ মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়া মামলার দুই আসামি কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
ঢাকা: ছাত্রলীগ নেতা সুমন বেপারীর নেতৃত্বে রাজধানীর পল্লবীতে ব্যবসায়ী সাহিনুদ্দিনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার দিন সুমনই প্রথম সাহিনুদ্দিনকে কোপানো শুরু করে। এরপর সবাই মিলে তাঁকে কোপাতে থাকে। শেষে মনির কুপিয়ে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করে। সাহিনুদ্দিন হত্যা মামলার আসামি রকি তালুকদার ও মুরাদ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আদালতে এসব কথা বলেন বলে জানা গেছে। গতকাল শনিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এই জবানবন্দি দেন দুই আসামি।
গতকাল শনিবার রিমান্ডে থাকা আসামি রকি ও মুরাদকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় তাঁরা স্বেচ্ছায় হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে রাজি হন। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার হোসেন ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাঁদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন ।
সূত্রে জানা গেছে, এই দুজনই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে দোষ স্বীকার করেন। তারাও এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন বলে স্বীকার করেন। তারাও চাপাতি দিয়ে সাহিনুদ্দিন কুপিয়েছেন।
নির্ভরযোগ্য সূত্রটি আরও জানায়, রকি তালুকদার ও মুরাদ এই ঘটনায় লক্ষ্মীপুরের সাবেক সাংসদ এম এ আউয়ালের সংশ্লিষ্টতার কথা বলেছেন। গত ১৫ মে এম এ আউয়ালের কলাবাগানের অফিসে বসে সাহিনকে হত্যার চূড়ান্ত পরিকল্পনা হয়। এর চার পাঁচ দিন আগেও কলাবাগানে একবার সাহিনকে হত্যার বিষয়ে বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে মানিক ও মনির অংশ নেয়। এই দুজনই ঘটনার পর পুলিশের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
রকি তালুকদার ও মুরাদ আদালতকে বলেন, যেদিন ঘটনা ঘটে সেদিন সকালে তারা দুজন, মনির, মানিক, সুমন বেপারীসহ হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া প্রায় সবাই পল্লবীতে এক মিটিংয়ে সাহিনুদ্দিনকে হত্যার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে। ছাত্রলীগ নেতা সুমন বেপারী এই হত্যার নেতৃত্ব দেবেন বলেও সিদ্ধান্ত হয়। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ১৬ মে বিকেল ৪টার দিকে সুমন ও টিটু সাহিনুদ্দিনকে ফোন দেন। সাহিনুদ্দিনকে বলা হয়, পল্লবীর বুড়িরটেকের আলী নগর আবাসিক এলাকার হ্যাভেলি প্রপার্টিজ ডেভেলপার লিমিটেডের মালিক আউয়াল সাহেবের সঙ্গে যে বিরোধ আছে তা মিটিয়ে দেওয়া হবে। আসতে রাজি হননি। কিন্তু সুমন ও টিটু বলেন, তারা স্থানীয়। বিষয়টা সাহিনের জন্য ভালো হবে বলে তারা এগিয়ে এসেছে। মীমাংসা হলে সাহিনের লাভ হবে বলে তারা আশ্বস্ত করে। পরে সাহিন রাজি হয়।
পরে তাঁকে পল্লবীর ডি ব্লকে ৩১ নম্বর সড়কে আসতে বলা হয়। শাহিন একটি মোটরসাইকেলে তার ছয় বছরের ছেলে মাশরাফিকে নিয়ে ৪০ নম্বর বাড়ির সামনে এলেই তাকে সেখানে নামানো হয়। ছেলের সামনেই সাহিনকে টেনে হিঁচড়ে বাড়ির মধ্যে গ্যারেজের মধ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আগে থেকেই চাপাতি, রাম দা, চাইনিজ কুড়াল রাখা ছিল। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সুমন প্রথমেই সাহিনকে চাপাতি দিয়ে কোপাতে থাকে। পরে রকি, মুরাদ, মানিক, টিটু, বাবু ও অন্যরাও কোপাতে থাকে। একপর্যায়ে সাহিনকে টেনে বাইরে আনা হয়। সেখানে মনির আবারও কুপিয়ে শাহিনের মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
দুজনই স্বীকারোক্তিতে বলেন, সুমন, মনির ও মানিকের নেতৃত্বে এলাকায় তারা টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন বাড়ি দখল করে দেয়। তাদের পেশাই পেশি শক্তি ব্যবহার করে জোর জবরদস্তি করে বাড়ি দখল করা। সাবেক সাংসদ আউয়ালের কাছ থেকেই তারা মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছিল। ঘটনার আগে সকালের মিটিংয়ে সুমন বেপারী তাদের বলেছে, বসের (আউয়ালের) নির্দেশ পাওয়া গেছে। শালাকে (সাহিন) শেষ করে দিতে হবে।
এদিকে এই মামলায় গ্রেপ্তার আরও তিনজনকে চার দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মণ্ডল এই রিমান্ড দেন। তদন্ত কর্মকর্তা প্রত্যেকের দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান। আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। যাদের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে তারা হলেন মো. টিটু, ইকবাল নুর ও মো. শরীফ। এর মধ্যে টিটু এজাহার নামীয় আসামি। টিটু নিহত শাহিন উদ্দিনকে ডেকে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসেন বলে মামলায় বলা হয়েছে। অপর দুজনের নাম এজাহারে নেই। তবে পুলিশ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে তারাও শাহিন হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিলেন বলে তদন্তে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ মে প্রকাশ্যে শাহিন উদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় সাহিনের মা আকলিমা বেগম ১৭ মে পল্লবী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। সাহিনুদ্দিন খুন হওয়ার পর আউয়ালসহ মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়া মামলার দুই আসামি কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের হোতা আমিনুল ইসলাম (৪৬) ও তার চার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-২। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ ও হাজারীবাগ থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার ১১ নম্বর সেক্টর থেকে তাদের
৯ দিন আগেমেয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাকে ঘুম থেকে তুলে ধর্ষণ করেন বাবা। ৮ বছর আগের ওই ঘটনায় মামলা হয়েছিল। ওই ঘটনার আগেও আসামি একাধিকবার মেয়েকে ধর্ষণ করেন। ফলে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে যায়। ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছিল।
১৬ দিন আগেমুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় পুলিশ ক্যাম্পে ডাকাতদের হামলার ঘটনায় ডাকাত দলের প্রধান রিপনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ঢাকা ও গাজীপুর থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
২০ দিন আগেনরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
২৪ জুলাই ২০২৫