Ajker Patrika

পল্লবীতে শিশুর সামনে বাবাকে হত্যা: সাবেক এমপি আউয়ালের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ১০ সেপ্টেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৬ আগস্ট ২০২৩, ১৬: ৫৩
পল্লবীতে শিশুর সামনে বাবাকে হত্যা: সাবেক এমপি আউয়ালের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ১০ সেপ্টেম্বর

রাজধানীর পল্লবীতে প্রকাশ্যে সন্তানের সামনে সাহিনুদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ীকে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যার মামলায় লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনের সাবেক এমপি ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়ালসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে করা মামলা অধিকতর তদন্তের প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হক এই তারিখ ধার্য করেন। 

আজ অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদনের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত পুনরায় তারিখ ধার্য করেন। 

এর আগে গত বছর ১২ মে আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলার বাদী ও নিহত সাহিনুদ্দীনের মা আকলিমা বেগমের জবানবন্দি গ্রহণ করে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। 

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) গত বছর ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার হোসেন যাঁদের আসামি করেছেন, তাঁরা হলেন এম এ আউয়াল, সুমন ব্যাপারী, টিটু, কিবরিয়া, মুরাদ হোসেন, আবু তাহের, ইব্রাহিম সুমন, রকি তালুকদার, শফিকুল ইসলাম, তুহিন মিয়া, হারুন অর রশীদ, তারিকুল ইসলাম, নুর মোহাম্মদ, হাসান ও ইকবাল হোসেন। 

গত বছর ১৬ মে বিকেলে জমির বিরোধের মীমাংসার কথা বলে সাহিনুদ্দিনকে পল্লবী থানার ডি-ব্লকের একটি গ্যারেজের ভেতর নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়। প্রকাশ্য দিবালোকে এ হত্যাকাণ্ডের সময় সাহিনুদ্দিনের ছেলে উপস্থিত ছিল। ঘটনায় নিহতের মা আকলিমা বেগম ২০২১ সালের ১৭ মে পল্লবী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২১ সালের ১৬ মে বিকেল ৪টার দিকে সুমন ও টিটু নামের দুই যুবক সাহিনুদ্দিনকে জমির বিরোধ মেটানো হবে জানিয়ে ফোন করে ডেকে নেন। সাহিনুদ্দিন মোটরসাইকেলে পল্লবীর ডি-ব্লকের ৩১ নম্বর সড়কের ৪০ নম্বর বাসার সামনে গেলে, সুমন ও টিটুসহ ১৪-১৫ জন মিলে তাঁকে টেনে-হিঁচড়ে ওই বাড়ির গ্যারেজে নিয়ে যান। এ সময় সাহিনুদ্দিনের ছয় বছরের ছেলে মাশরাফি গেটের বাইরে ছিল। গ্যারেজে ঢুকিয়ে সাহিনুদ্দিনকে চাপাতি, চায়নিজ কুড়াল, রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন তাঁরা। এরপর তাঁকে ওই গ্যারেজ থেকে বের করে ৩৬ নম্বর বাড়ির সামনে আবার কুপিয়ে ফেলে রেখে চলে যান তাঁরা। ঘটনাস্থলেই সাহিনুদ্দিনের মৃত্যু হয়। 

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, পল্লবীর সেকশন-১২ বুড়িরটেকের আলীনগর আবাসিক এলাকার হ্যাভেনলি প্রপার্টিজ ডেভেলপার লিমিটেডের এমডি আউয়ালের সঙ্গে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভাড়া করা স্থানীয় সন্ত্রাসীরা সাহিনুদ্দিনকে হত্যা করেছে। আনুমানিক পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের ১০ একর জমি জবরদখলে বাধা দেওয়ায় তাঁকে খুন করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত