Ajker Patrika

৫০ হাজার টাকা চেয়ে ‘হুমকি’ দেওয়ার পর সহকর্মীর হাতে খুন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
৫০ হাজার টাকা চেয়ে ‘হুমকি’ দেওয়ার পর সহকর্মীর হাতে খুন

অন্যের সার্টিফিকেট জাল করে চাকরির নেওয়ার তথ্য ফাঁস করে দেওয়ায় সহকর্মীর হাতে খুন হন জীবন চন্দ্র বিশ্বাস (২৮)।  এই ঘটনায় ঘাতক সহকর্মী সাইফুল আলম হৃদয়কে (২৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)'র এলআইসি শাখা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সংস্থাটির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।

মুক্তাধর জানান, গত ১০ ফেব্রুয়ারি গাজীপুর জেলার শ্রীপুরের ধানুয়া উত্তরপাড়ায় জীবন চন্দ্র বিশ্বাস (২৮) হত্যার শিকার হন। তিনি ঢাকার আশুলিয়ার  ‘এজিস সিকিউরিটি ফোর্স’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ তারাকান্দা এলাকায়।এই ঘটনায় নিহতের ভাই সুমন চন্দ্র বিশ্বাস (২৩) শ্রীপুর থানায় মো. শফিকুল আলম জয় (২৮) নামে এক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।  মামলাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে সিআইডি। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রবিউল আলম হৃদয় (২৬) নামে এক যুবকের বিষয়ে তথ্য পায়। যিনি এই হত্যার সঙ্গে জড়িত। তাঁর গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার হোসেনপুর। গতকাল ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে সিআইডি তাঁকে নেত্রকোনা থেকে গ্রেপ্তার করে।

সিআইডি কর্মকর্তা মুক্তা ধর বলেন, গ্রেপ্তারের পর হৃদয় জানায়, সে তার বড় ভাই শফিকুল আলম জয়ের (২৮)  এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা পাসের সনদপত্র দিয়ে নিজে এজিস সিকিউরিটি ফোর্সে চাকরি নেয়।  প্রতিষ্ঠানটি থেকে ২১ দিনের সিকিউরিটি গার্ডের কোর্স করে ময়মনসিংহের ভালুকা থানাধীন ‘দি অ্যাপ্যারেলস ইস্ট জামিরদিয়া’ নামের পোশাক কারখানায় গার্ড হিসেবে প্রায় ৮ মাস কাজ করে। পরবর্তীতে গাজীপুরের শ্রীপুরের ‘হাজী বাড়ী প্লান্ট’ নামে একটি হাঁস, মুরগির খামারের সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে প্রায় ২ মাস কাজ শুরু করে আলম হৃদয় (২৬)। এই খামারেই জীবন চন্দ্র বিশ্বাস এর সঙ্গে কাজের সুবাদে তাঁর পরিচয় হয়। কোম্পানির ৪ রুমের ভাড়া করা বাসায় তারা দু’জন প্রায় দুই মাস একই রুমে বসবাস করে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাত আনুমানিক সাড়ে সাতটার দিকে জীবন চন্দ্র অভিযুক্ত হৃদয়ের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে না হলে সে জাল সার্টিফিকেটের কথা জানিয়ে দেবে। এতে উভয়ের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা তৈরি হয়। একপর্যায়ে হৃদয় ঘরে থাকা দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত ধারালো ছুরি দিয়ে সহকর্মী জীবন চন্দ্র বিশ্বাসের পেটের মধ্যে আঘাত করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করে। এরপর থেকেই পলাতক ছিলেন ঘাতক সাইফুল। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত