Ajker Patrika

বিটিআই প্রতারণা: তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করল ডিএনসিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিটিআই প্রতারণা: তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করল ডিএনসিসি

জৈব কীটনাশক বিটিআই নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ ওঠার ছয় দিন পর তদন্ত কমিটি করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি)। তিন সদস্যের এই তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন ডিএনসিসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শরীফ উদ্দিন, প্রধান সমাজ কল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন উল হাসান, অঞ্চল-৬ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল বাকী। 

আজ শনিবার ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়, তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি আগামী ১০ দিনের মধ্যে উত্থাপিত জালিয়াতির অভিযোগ ও টেন্ডার প্রক্রিয়াসহ সার্বিক বিষয় তদন্ত করে লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। 

এদিকে ডিএনসিসিকে দেওয়া বিটিআই সিঙ্গাপুরের একটি কোম্পানির বলা হলেও সেগুলো তাদের নয় বলে জানিয়েছে ওই কোম্পানি। এডিস মশার লার্ভা নিধনের কীটনাশক বিটিআই আমদানি নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগে মার্শাল অ্যাগ্রোভেট কোম্পানি লিমিটেডকে ‘কালো তালিকা’ ভুক্ত করেছে ঢাকা উত্তর সিটি। 

ডিএনসিসিকে এই কীটনাশক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মার্শাল অ্যাগ্রো জানিয়েছিল, পাঁচ টন বিটিআই তারা সিঙ্গাপুরের বেষ্ট কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড থেকে আমদানি করেছে। তবে সিঙ্গাপুরের ওই প্রতিষ্ঠান বলছে, সেগুলো তাদের কাছ থেকে আনা হয়নি।

ডিএনসিসির অফিস আদেশে বলা হয়, মার্শাল অ্যাগ্রোভেট লিমিটেড থেকে তারা ৫ হাজার কেজি বিটিআই এনেছে। কিন্তু জালিয়াতির অভিযোগ ওঠার পর বিষয়টি নিয়ে মার্শাল অ্যাগ্রোকে দুইবার চিঠি দিয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। এরপর গত ১৭ আগস্ট মার্শাল অ্যাগ্রো এ বিষয়ে একটি চিঠি দিয়েছে। 

তবে তাতে কোম্পানিটি অভিযোগ খণ্ডাতে পারেনি জানিয়ে বলা হয়, ‘বিষয়টি নিয়ে মশক নিধন ও যন্ত্রপাতি কারিগরি ও যাচাই কমিটির সভায় পর্যালোচনা করে ডিএনসিসিতে দেওয়া বিটিআই সিঙ্গাপুরের ওই প্রতিষ্ঠান থেকে আনা হয়েছে—এমন বক্তব্যের পক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি মার্শাল অ্যাগ্রো। এ ছাড়া ভান্ডার ও ক্রয় বিভাগ বেষ্ট কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারে, তারা কোনো বিটিআই মার্শাল অ্যাগ্রোকে সরবরাহ করেনি। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে তাদের পরিবেশকও নয়। আর লি কিয়াংও বেষ্ট কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের কেউ নয়। 

জৈব কীটনাশকের পুরো নাম ব্যাসিলাস থুরিংয়েইনসিস ইসরায়েলেনসিস। গত ৭ আগস্ট ঢাকার গুলশানে এর প্রয়োগের কাজ উদ্বোধন করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। তখন ডিএনসিসি থেকে জানানো হয়, সিঙ্গাপুরের বেষ্ট কেমিক্যাল কোম্পানি থেকে পাঁচ টন বিটিআই আনা হয়েছে। প্রতি কেজির দাম পড়েছে ৩ হাজার ৩৮৫ টাকা করে। সে হিসাবে পাঁচ টনের দাম পড়েছে ১ কোটি ৬৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা। পরে ১৪ আগস্ট ডিএনসিসির বিটিআই জালিয়াতি নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত