Ajker Patrika

টাঙ্গাইলে বাসে ডাকাতি-ধর্ষণ: গ্রেপ্তার ১

মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ আগস্ট ২০২২, ১৫: ৪৯
টাঙ্গাইলে বাসে ডাকাতি-ধর্ষণ: গ্রেপ্তার ১

বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপার থেকে বাস ছিনতাই করে তিন ঘণ্টা ধরে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত রাজা মিয়া নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে টাঙ্গাইল শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রাজা মিয়ার বাড়ি টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বল্লা গ্রামে। তিনি কালিহাতী উপজেলার বল্লা গ্রামের হারুন অর রশিদের ছেলে। টাঙ্গাইল শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। 

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে ঈগল পরিবহনের একটি বাস চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। বাসটি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর সিরাজগঞ্জ এলাকা থেকে যাত্রীবেশে ওঠা ডাকাতদল যাত্রীদের জিম্মি করে। পরে ডাকাতরা যাত্রীদের হাত, মুখ, চোখ বেঁধে তাদের কাছে থাকা মোবাইল, টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। পরে ডাকাতরা এক নারী যাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ছিনতাই করা বাসটি টাঙ্গাইল ময়মনসিংহ সড়কের রক্তিপাড়া এলাকায় গতি কমিয়ে অন্য একটি পরিবহনে পালিয়ে যায়। পরে রক্তিপাড়া বাসস্ট্যান্ডের দেড় শ গজ উত্তরে চলন্ত বাসটি মসজিদের পশ্চিম পাশে দুর্ঘটনার শিকার হয়। 

দুর্ঘটনার শব্দে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে যাত্রীদের উদ্ধারে এগিয়ে আসে। পরে তাঁরা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন।

মধুপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা জয়নাল আবেদিন জানান, খবর পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। প্রথমে মনে করেছিলেন সাধারণ দুর্ঘটনা। যাওয়ার পর দেখেন জানালা দিয়ে উঁকি দেওয়া অনেকের মুখ, হাত বাঁধা। সবাই আতঙ্কিত। এ সময় যাত্রীদের কাছে জানতে পারেন বাসে ডাকাতি হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনাও ঘটেছে। এ সময় তারা আহত দুজন ও ধর্ষণের শিকার নারীকে উদ্ধার করে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাসের ভেতরের যাত্রীদের চোখ, হাত, মুখ তাঁদের পরনের কাপড় ও জানালার পর্দা দিয়ে বাঁধা ছিল। সবাই ভয়ে কাঁপছিল। ডাকাতরা তাদের মোবাইল, টাকাপয়সা সব ছিনিয়ে নিয়েছে এবং ধর্ষণও করেছে। এতে সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। প্রতিবাদ করলে হত্যা করতে পারে—এই ভয়ে সবাই চুপ করে ছিলেন। 

এ ব্যাপারে বুধবার রাতে ওই বাসের যাত্রী হেকমত আলী বাদী হয়ে মধুপুর থানায় মামলা করেন। হেকমত আলীর বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সালিমপুর গ্রামে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মধুপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মুরাদ হোসেন জানান, এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া বাসের চালক ও সুপারভাইজারকে তাঁদের হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাঁদের ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। 

এদিকে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানিয়েছেন, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাজা মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে গোয়েন্দা পুলিশ বৃহস্পতিবার ভোরে গ্রেপ্তার করেছে। 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মুরাদ হোসেন জানিয়েছেন, ধর্ষণের শিকার নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে করা হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত