নুরুল আমিন হাসান, উত্তরা (ঢাকা)
আড়াই বছর বয়সী জান্নাতুলকে কলা খাওয়াচ্ছিলেন মা সালমা আক্তার (২৭)। জান্নাতুল খেতে না চাওয়ায় জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা করছিলেন সালমা। এ কারণে ওই সময় কান্না করছিল জান্নাতুল। আর এদিকে পাশে কাজ করছিলেন জান্নাতুলের নানা আব্দুল হাকিম (৫৪)। নাতনির কান্না সহ্য করতে না পেরে তিনি সালমাকে প্রথমে ধমক দেন ও পরে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন।
গত বুধবার উত্তর গাওয়াইর এলাকার কাজী বাড়ি রোডের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আজ শনিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় সালমার।
এ ঘটনায় আজ শনিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে রাজধানীর দক্ষিণখানের উত্তর গাওয়াইর এলাকা থেকে ঘাতক বাবা আব্দুল হাকিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, ঘটনার দিন সালমার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ও আত্মীয়স্বজনরা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে দক্ষিণখানের একটি নিকটস্থল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর পান্থপথের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে ইমারজেন্সি কেয়ার ইউনিটি (আইসিইউ) ফাঁকা না থাকায় সবকিছু গোপন করে উত্তরার শিন-শিন জাপান হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শনিবার ভোর ৪টার দিকে সালমা মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পর সবকিছুই গোপন করে নিহত সালমার মরদেহ গোসল করে দাফন করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। কিন্তু গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে এবং তদন্ত করে হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদ্ঘাটন করে। অপরদিকে ঘাতক বাবা আব্দুল হাকিমকে গ্রেপ্তার করে।
আব্দুল হাকিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই সময় আমি ঘরের দেওয়ালে পেরেক গাড়ছিলাম। আর ঘরের মধ্যে আমার মেয়ে সালমা নাতনিকে কলা খাওয়াচ্ছিল। কিন্তু নাতনি খেতে চাচ্ছিল না। কান্না করছিল। কিন্তু জোর করেই খাওয়ানোর চেষ্টা করছিল সালমা। নাতনির কান্না সহ্য করতে না পেরে আমি সালমাকে ধমক দেই। যার কারণে সালমা নাতনিকে আছাড় দিয়ে দূরে সরিয়ে দেয়। তখন আর আমি সহ্য করতে পারি নাই। পরে হাতে থাকা হাতুড়ি নিয়ে আমি সালমাকে বলি বেশি ইয়া করিস না, করলে হাতুড়ি দিয়ে একটা দিব। এ কথা বলা মাত্রই সালমা মাথা ঘুরালে হাতে থাকা হাতুড়িতে লেগে যায়। একটু পরই আস্তে আস্তে হেলে পরে।’
আব্দুল হাকিম বলেন, ‘প্রথমে আমি এত কিছু বুঝি নাই। ভাবছিলাম মাথায় সামান্য আঘাত পেয়েছে। পরে তার মাথায় পানি ঢালি। পরে গামছা দিয়ে মাথা মুছানোর সময় রক্ত দেখি। তখন চিৎকার করলে আসে পাশের লোকজন এগিয়ে আসে। সেই সঙ্গে সালমার মা ও ভাইও এসে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।’
এ বিষয়ে দক্ষিণখান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোসাম্মত রেজিয়া খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দক্ষিণখানে বাবার হাতে মেয়ে খুন করে লাশ দাফনের প্রাক্কালে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ঘাতক বাবা আব্দুল হাকিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী মো. মাসুম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। নিহতের মরদেহ সুরতাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
এসআই রেজিয়া বলেন, ‘কোন দুর্ঘটনা হলে মাথার পাশে কিংবা কপালে আঘাত পাওয়ার কথা। কিন্তু মাথার মাঝে আঘাত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।’
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে পুলিশ বলছে, এটি একটি পুলিশ কেসের ঘটনা। কোনো পুলিশ কেসের রোগীকে চিকিৎসা করাতে গেলে অবশ্যই পুলিশকে জানাতে হবে। কিন্তু উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের শিন-শিন জাপান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ‘অতিরিক্ত টাকার লোভে’ সবকিছু গোপন করে চিকিৎসা করিয়েছে। মারা যাওয়ার পরও পুলিশকে অবগত না করে মরদেহ হস্তান্তর করেছে তারা।
এদিকে নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো অপারেশন করে নাই। শুধু মাথায় সেলাই করেই আর আইসিইউতে রেখে অতিরিক্ত বিল আদায় করেছে। হাসপাতালের গাফিলতির কারণে এবং চিকিৎসায় অবহেলার জন্য সালমার মৃত্যু হয়েছে।’
আড়াই বছর বয়সী জান্নাতুলকে কলা খাওয়াচ্ছিলেন মা সালমা আক্তার (২৭)। জান্নাতুল খেতে না চাওয়ায় জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা করছিলেন সালমা। এ কারণে ওই সময় কান্না করছিল জান্নাতুল। আর এদিকে পাশে কাজ করছিলেন জান্নাতুলের নানা আব্দুল হাকিম (৫৪)। নাতনির কান্না সহ্য করতে না পেরে তিনি সালমাকে প্রথমে ধমক দেন ও পরে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন।
গত বুধবার উত্তর গাওয়াইর এলাকার কাজী বাড়ি রোডের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আজ শনিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় সালমার।
এ ঘটনায় আজ শনিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে রাজধানীর দক্ষিণখানের উত্তর গাওয়াইর এলাকা থেকে ঘাতক বাবা আব্দুল হাকিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, ঘটনার দিন সালমার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ও আত্মীয়স্বজনরা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে দক্ষিণখানের একটি নিকটস্থল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর পান্থপথের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে ইমারজেন্সি কেয়ার ইউনিটি (আইসিইউ) ফাঁকা না থাকায় সবকিছু গোপন করে উত্তরার শিন-শিন জাপান হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শনিবার ভোর ৪টার দিকে সালমা মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পর সবকিছুই গোপন করে নিহত সালমার মরদেহ গোসল করে দাফন করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। কিন্তু গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে এবং তদন্ত করে হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদ্ঘাটন করে। অপরদিকে ঘাতক বাবা আব্দুল হাকিমকে গ্রেপ্তার করে।
আব্দুল হাকিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই সময় আমি ঘরের দেওয়ালে পেরেক গাড়ছিলাম। আর ঘরের মধ্যে আমার মেয়ে সালমা নাতনিকে কলা খাওয়াচ্ছিল। কিন্তু নাতনি খেতে চাচ্ছিল না। কান্না করছিল। কিন্তু জোর করেই খাওয়ানোর চেষ্টা করছিল সালমা। নাতনির কান্না সহ্য করতে না পেরে আমি সালমাকে ধমক দেই। যার কারণে সালমা নাতনিকে আছাড় দিয়ে দূরে সরিয়ে দেয়। তখন আর আমি সহ্য করতে পারি নাই। পরে হাতে থাকা হাতুড়ি নিয়ে আমি সালমাকে বলি বেশি ইয়া করিস না, করলে হাতুড়ি দিয়ে একটা দিব। এ কথা বলা মাত্রই সালমা মাথা ঘুরালে হাতে থাকা হাতুড়িতে লেগে যায়। একটু পরই আস্তে আস্তে হেলে পরে।’
আব্দুল হাকিম বলেন, ‘প্রথমে আমি এত কিছু বুঝি নাই। ভাবছিলাম মাথায় সামান্য আঘাত পেয়েছে। পরে তার মাথায় পানি ঢালি। পরে গামছা দিয়ে মাথা মুছানোর সময় রক্ত দেখি। তখন চিৎকার করলে আসে পাশের লোকজন এগিয়ে আসে। সেই সঙ্গে সালমার মা ও ভাইও এসে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।’
এ বিষয়ে দক্ষিণখান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোসাম্মত রেজিয়া খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দক্ষিণখানে বাবার হাতে মেয়ে খুন করে লাশ দাফনের প্রাক্কালে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ঘাতক বাবা আব্দুল হাকিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী মো. মাসুম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। নিহতের মরদেহ সুরতাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
এসআই রেজিয়া বলেন, ‘কোন দুর্ঘটনা হলে মাথার পাশে কিংবা কপালে আঘাত পাওয়ার কথা। কিন্তু মাথার মাঝে আঘাত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।’
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে পুলিশ বলছে, এটি একটি পুলিশ কেসের ঘটনা। কোনো পুলিশ কেসের রোগীকে চিকিৎসা করাতে গেলে অবশ্যই পুলিশকে জানাতে হবে। কিন্তু উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের শিন-শিন জাপান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ‘অতিরিক্ত টাকার লোভে’ সবকিছু গোপন করে চিকিৎসা করিয়েছে। মারা যাওয়ার পরও পুলিশকে অবগত না করে মরদেহ হস্তান্তর করেছে তারা।
এদিকে নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো অপারেশন করে নাই। শুধু মাথায় সেলাই করেই আর আইসিইউতে রেখে অতিরিক্ত বিল আদায় করেছে। হাসপাতালের গাফিলতির কারণে এবং চিকিৎসায় অবহেলার জন্য সালমার মৃত্যু হয়েছে।’
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
২৪ জুলাই ২০২৫সবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৪ জুলাই ২০২৫এবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১২ জুলাই ২০২৫মোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
০৫ জুলাই ২০২৫