Ajker Patrika

ঘুরতে যাবেন বলে ইজিবাইক ভাড়া করে চালককে খুন, ইজিবাইক ছিনতাই

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঘুরতে যাবেন বলে ইজিবাইক ভাড়া করে চালককে খুন, ইজিবাইক ছিনতাই

ইজিবাইক ভাড়া নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান এলাকায় ইজিবাইকচালককে খুন করেছেন ছিনতাইকারীরা। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সাত ছিনতাইকারীকে আটক করেছে র‍্যাব–১০। গতকাল শুক্রবার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ ঢাকা ও মুন্সিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়। 

আটককৃতরা হলেন হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী মো. জুয়েল বেপারী (২৭) এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িত মো. সাজ্জাদ শেখ (২৩), মো. ইসমাইল হোসেন (২৩), মো. লিমন মাতুব্বর (২১), মো. সোহাগ (২০) ও রোমান শিকদার (১৮)। নিহত ইজিবাইকচালকের নাম শাহাদাত হাওলাদার।

র‍্যাব-১০–এর অধিনায়ক মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বলেন, আটককৃত ব্যক্তিরা বিভিন্ন সময়ে ইজিবাইক বা অটোরিকশা ভাড়া করে নিজেদের সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে গিয়ে দেশীয় ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ছিনতাই করতেন। ইজিবাইক বা অটোরিকশা ছিনতাই করে ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে গ্যারেজ মালিক মো. জাকিরের কাছে বিক্রি করতেন। মো. জাকিরকেও আটক করেছে র‍্যাব। 

এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব জানায়, গত ২২ এপ্রিল ঈদের দিন জুয়েল, সাজ্জাদ, লিমন, রোমান, ইসমাইল ও সোহাগ নামে পাঁচ তরুণ মাওয়া ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে ঘণ্টায় ৩২০ টাকা হিসেবে শাহাদাত হাওলাদারের ইজিবাইক ভাড়া করেন। সেদিন চালককে ১ হাজার ৯০০ টাকা ভাড়া দেন তাঁরা। পরের দিনও তাঁরা ঘুরতে যাবেন বলে জুয়েল চালকের মোবাইল নম্বরটি নিয়ে নেন। পরের দিন ২৩ এপ্রিল বিকেল ৫টার দিকে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী চালক শাহাদাতের মোবাইল ফোনে কল করেন তাঁরা। কদমতলী এলাকার লাবণি রেস্টুরেন্টের সামনে চালককে ইজিবাইকসহ ডেকে আনেন তাঁরা। সেখান থেকে জুয়েল, সাজ্জাদ ও লিমন ইজিবাইকে ওঠেন এবং কিছুক্ষণ পর ইসমাইলকে ফোন দিয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের খালপাড়ে আসতে বলেন। 

র‍্যাব আরও জানায়, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে আসার পর ইসমাইলকে সঙ্গে নিয়ে তাঁরা মাওয়া রওনা হন। তাঁরা শ্রীনগরসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে সময়ক্ষেপণ করেন। ঘোরা–ফেরা শেষে ফেরার পথে আনুমানিক রাত ৯টার দিকে সিরাজদিখান থানার কুচিয়ামোড়া রেলওয়ে ওভার ব্রিজের ওপরে এসে ইজিবাইক থামিয়ে গল্প করতে থাকেন। এর কিছুক্ষণ পর তারা আশপাশে কোনো লোকজন দেখতে না পেয়ে জুয়েল, সাজ্জাদ, ইসমাইল ও লিমন চালক শাহাদাতের মুখ, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারতে থাকেন। এ সময় শাহাদাত চিৎকার করলে জুয়েল মুখ চেপে ধরেন। মারামারির একপর্যায়ে চালক অজ্ঞান হয়ে পড়লে দুর্বৃত্তরা শাহাদাতকে ব্রিজ থেকে নিচে ফেলে দিয়ে ইজিবাইকটি নিয়ে পালিয়ে যান। 

গত ২৪ এপ্রিল শাহাদাতের লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর স্বজনরা গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন। শাহাদাতের ভাই শহিদুল ইসলাম জসিম (৪০) সিরাজদিখান থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি র‍্যাব–১০ ছায়া তদন্ত শুরু করে।  

আটককৃত জুয়েল, লিমন ও ইসমাইলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যাচেষ্টা ও চুরিসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা যায়। 

র‍্যাব আরও জানায়, শাহাদাতের ছিনতাই করা ইজিবাইকটি ছিনতাইকারীরা জাকিরের কাছে ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। জাকির পরে ইজিবাইকের রং ও কাঠামো পরিবর্তন করে বিক্রি করার পরিকল্পনা করেছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইরানের ‘দানবীয় ক্ষেপণাস্ত্রের’ সামনে উন্মুক্ত ইসরায়েলের ‘অ্যাকিলিস হিল’

ভারতীয় বিমানবন্দরে ১১ দিন ধরে পড়ে আছে ব্রিটিশ এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, ঘনাচ্ছে রহস্য

মা-মেয়ের ত্রিভুজ প্রেম, বিয়ে ও একটি খুন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফল আজ, যেভাবে দেখবেন

পাকিস্তানের পরমাণু প্রকল্প ধ্বংসে ভারত-ইসরায়েলের যৌথ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় যেভাবে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত