Ajker Patrika

আয়াত হত্যার আসামি আবিরের বাবা-মা-বোন গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২২, ১৮: ১৬
আয়াত হত্যার আসামি আবিরের বাবা-মা-বোন গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে

চট্টগ্রাম শিশু আয়াতকে খুনের পর লাশ ছয় টুকরো করা আাসমি আবিরের বাবা-মা ও ছোট বোনকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নিয়েছে পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন)। আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মো. অলিউল্লাহর আদালতে পিবিআইয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে আবিরের বাবা-মাকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। 

অন্যদিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬ এর বিচারক সিরাজউল্লাহ কুতুবীর আদালতে আবিরের বোনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। তবে আবিরের বোন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাঁকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন আদালত। এর আগে সকালে নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এই তিনজনকে। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক (মেট্রো) মনোজ কুমার দে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

গ্রেপ্তারকৃত তিনজন হলেন, আবীরের বাবা আজাহারুল ইসলাম, মা মোছাম্মৎ আলো বেগম ও তাঁদের ১৫ বছরের কিশোরী মেয়ে। 

তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘আবিরকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের পর বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্যগুলো আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখছি। এ ছাড়া আমরা ধারণা করছি হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আবিরের বাবা-মা, বোনের কাছে আরও তথ্য থাকতে পারে। তদন্তের স্বার্থে এখন কিছু বলা যাচ্ছে না।’ 

পিবিআই সূত্র বলেছে, বর্তমানে আবির পিবিআইয়ের হেফাজতে রয়েছে।

গত ১৫ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) ইপিজেড থানাধীন নয়ারহাট বিদ্যুৎ অফিসের সামনে থেকে নিখোঁজ হয় শিশু আয়াত। শিশুটি তাঁর বাসা থেকে বেরিয়ে স্থানীয় মক্তবে পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয়। ওই ঘটনায় শিশুটির বাবা সোহেল ইপিজেড থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। শিশু আয়াতের নিখোঁজের বিষয়ে পিবিআই তদন্ত করে ১৯ বছর বয়সী আবির আলীর সম্পৃক্ততা পায়। অভিযুক্ত আবের শিশু আয়াতের পরিবারের মালিকানাধীন বাসার ভাড়াটিয়া। 

পিবিআই বলছে, শিশুটিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করা উদ্দেশ্য ছিল আবিরের। কিন্তু ঘটনার দিন তাঁর মোবাইলে থাকা সিমটি কাজ না করায় সে শিশুটির পরিবারকে ফোন দিতে পারছিল না। একপর্যায়ে শিশুটি চিৎকার শুরু করলে। 

পরদিন ১৬ নভেম্বর (শুক্রবার) সকালে ভাড়া বাসাতেই শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর শিশুটির লাশ একটি ব্যাগে ভরে আবির তাঁদের ইপিজেডের পুরোনো ভাড়া বাসায় যায়। সেখানে সুযোগ বুঝে আয়াতের লাশটি ৬ খণ্ড করে আলাদা ৬টি প্যাকেটে ভরা হয়। পরদিন ১৭ নভেম্বর (শনিবার) তিনটি প্যাকেট ২০ ফুট গভীর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন নালায় ও বাকি তিনটি প্যাকেট প্যাকেট সাগরে ফেলে আসে অভিযুক্ত আবের আলী। এই তথ্য পেয়ে পিবিআই শিশুটির খণ্ডবিখণ্ড মরদেহ উদ্ধারে নামে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত ওই শিশুটির দেহাবশেষের কোনো কিছুই উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত