আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

এক মাসের প্রেম। বিয়ের পর ঢাকা আনার কথা বলে ইটভাটার এক নারী শ্রমিককে দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেন যুবক। তিন মাস পর ওই নারী কৌশলে পালিয়ে বাঁচলেও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি। তাঁর চোখে ভাসে যৌনপল্লির বিভীষিকাময় দিনগুলোর স্মৃতি। পলাতক পাচারকারী এখন মামলা তুলে নিতে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন।
ওই নারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যাকে বিশ্বাস করে বিয়ে করেছিলাম, সেই আমাকে মাত্র ৪০ হাজার টাকায় যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেয়। তার ফাঁদে পড়ে আমার সব শেষ। এখন বিচারের জন্য লড়াই করছি। মামলা তুলতে আসামি আমার বাড়ির পাশে কাফনের কাপড় পাঠিয়ে দুই দফায় হুমকি দিয়েছে। পুলিশ তাকে ধরতে পারছে না। সে ঘুরে বেড়ায়।’
ইটভাটা থেকে যৌনপল্লিতে
২০২২ সালের ঘটনা। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার স্বামী পরিত্যক্তা এই নারী উপজেলার গোহাট মুন্সিগঞ্জের হাসু মিয়ার ইটভাটায় কাজ করতেন। সেখানে আলমডাঙ্গার হৈয়দারপুর মুন্সিগঞ্জের মনিরুল ইসলামের ছেলে রিংকু আলী নামে এক যুবকও শ্রমিক হিসেবে ছিলেন। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে প্রেম হয়। ২০২২ সালের ১৩ মে রিংকু ২ লাখ টাকা দেনমোহরে ওই নারীকে বিয়ে করেন। বিয়ের তিন মাস পরই রিংকু বিভিন্ন অজুহাতে তাঁর কাছ থেকে টাকা নিতেন। একসময় রিংকুকে তাঁর সন্দেহ হয়।
খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, রিংকুর বাড়িতে স্ত্রী ও সন্তান আছে। এ নিয়ে রিংকুর সঙ্গে তাঁর কলহ শুরু হয়। রিংকু তখন দাবি করেন, প্রথম স্ত্রী তাঁর বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করেছেন। তালাক দিতে ৩০ হাজার টাকা লাগবে। ওই নারী আবার রিংকুকে ৩০ হাজার টাকা দেন। ২০২২ সালের ২৬ আগস্ট রিংকু ওই নারীকে বাড়ি নিয়ে যান। প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিতে আরও অনেক টাকা লাগবে বলে তাঁকে গার্মেন্টসে চাকরি করার অনুরোধ করেন রিংকু। ২৮ নভেম্বর সকালে আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ থেকে দুজন বাসে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। বাসে বমি পাওয়ায় বমির ট্যাবলেট ও পানি চান ওই নারী। সকাল ১০টার দিকে বাস দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জ্যামে পড়লে রিংকু বাস থেকে নেমে একটি ট্যাবলেট এবং অর্ধেক বোতল পানি এনে দেন। ট্যাবলেট খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই নারী ঘুমিয়ে পড়েন।
ঘুম থেকে উঠে নিজেকে একটি বদ্ধ কক্ষে আবিষ্কার করেন ওই নারী। ঘটনার বর্ণনায় তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘুম থেকে উঠে দেখি, আমি একটি অন্ধকার ছোট্ট ঘরের মধ্যে পড়ে আছি। ঘরটির দরজা জানালা সব বন্ধ। রুমের ভেতরের দেয়ালে একটি ঘড়ি। সেটিতে তখন বেলা ১১টা ৩৪ মিনিট। তবে আমার জিনিসপত্র, মোবাইল কিছুই নেই। স্বামীকে খুঁজছি, তাকেও পাচ্ছি না।’
ওই নারী আরও বলেন, ‘কিছুক্ষণ পর একজন নারী আসে আমার কক্ষে। তার নাম আমি পড়ে জেনেছি, রোজিনা। বাড়ি কুমিল্লা। সে আমাকে জিজ্ঞেস করে, আমি কোথায় আছি, সেটি জানি কি না। আমি তাকে বলি, না। সে আমাকে বলল, এটা দৌলতদিয়া যৌনপল্লি। সে আমাকে আরও বলে, এখানে আমাকে কেউ জবাই করলেও দেখার বা জানার কেউ নেই। সর্দারের কথা মতো চলতে হবে। তাঁর কথা না শুনলেই নির্যাতন সহ্য করতে হবে।’
‘আমি ভয় পেয়ে যাই। ভয়ে কাঁপতে থাকি। ওই দিন আমি আর রুম থেকে বের হইনি। কী করব, তাও বুঝতে পারছিলাম না। কান্না করেছি দিন-রাত।’
পরের দিন বাইরে বের হন ওই নারী। তিনি দেখতে পান সেখানে বিভিন্ন বয়সের নারী রয়েছেন। তাঁর কক্ষ নম্বর ১১১। যৌনপল্লিতে নেওয়ার পরদিনই সর্দার বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করেন। কথামতো কাজ করতে আপত্তি করলেই লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। সিগারেটের আগুন দিয়ে শরীরে ছ্যাঁকা দেওয়া হয়। সেখানে আনার পরদিনই সর্দার তাঁর শরীরে একটি ইনজেকশন দেন। ওই দিনই তাঁকে একাধিক পুরুষ ধর্ষণ করে।
মায়ের মামলা
বাবার বাড়ি থেকে এনে যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দিয়েছেন রিংকু। আর তাঁর পরিবারকে জানিয়েছেন, তিনি নিখোঁজ। কিন্তু রিংকুকে তাঁর মায়ের সন্দেহ হয়। স্ত্রীকে খোঁজার কোনো গরজ তাঁর মধ্যে দেখা যাচ্ছিল না। গত বছরের ৮ অক্টোবর ওই নারীর মা রিংকুর বাড়িতে যান। মেয়েকে না পেয়ে আলমডাঙ্গা থানায় রিংকুর বিরুদ্ধে মামলা করতে যান। তবে থানা-পুলিশ তাঁকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। পুলিশের পরামর্শ অনুযায়ী ১৭ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গার আদালতে অপহরণ করে হত্যা ও লাশ গুমের অভিযোগ এনে নালিশি মামলা করেন। মামলায় রিংকু আলী, তাঁর মা আনজিয়া খাতুন অনজু, বাবা মনিরুল ইসলাম এবং রিংকুর প্রথম স্ত্রী অনিতা খাতুন ফারজানাকে আসামি করা হয়।
যৌনপল্লি থেকে পলায়ন
ঘটনার তিন মাস পর গত বছরের ১৬ নভেম্বর রাতে চার নারীর সঙ্গে যৌনপল্লির বাইরের একটি পারলারে যাওয়ার সুযোগ পান ওই ভুক্তভোগী। তাঁদের মধ্যে দুজন পারলারের ভেতরে যান। তিনিসহ তিনজন পারলারের বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন। সুযোগ বুঝে তিনি সটকে পড়েন। পারলারে খরচের জন্য যে ২৫০ টাকা পেয়েছিলেন, সেটি নিয়ে বাড়ির পথের বাসে ওঠেন। ভোরে তিনি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় বাবার বাড়িতে ওঠেন। তাঁর বাড়িতে যাওয়ার কথা শুনে গা-ঢাকা দেন রিংকু। পরে মুখ না খুলতে হুমকি-ধমকিও দেন।
ফিরে আসায় ঘুরে যায় মামলা
মা আদালতে মামলা করার এক মাসের মধ্যে ফিরে আসেন ওই নারী। এতে মামলার মোড় ঘুরে যায়। আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঝিনাইদহের জেলা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআইর পরিদর্শক সরদার বাবর আলী ভুক্তভোগীকে নিয়ে আদালতে যান। গত ১ ফেব্রুয়ারি চুয়াডাঙ্গার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রিপন হোসেনের আদালতে জবানবন্দি দেন তিনি। গত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
মানব পাচার আইনে পিবিআইয়ের দেওয়া অভিযোগপত্রে কেবল রিংকু আলীকে আসামি করা হয়েছে। তবে পুলিশ তাঁকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তাঁর বিরুদ্ধে মানব পাচার, অপহরণ ও দেহ ব্যবসায় বাধ্য করার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে মামলা থেকে রিংকুর মা, বাবা ও প্রথম স্ত্রীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
পিবিআইয়ের ঝিনাইদহের জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা তদন্ত শেষ করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছি। আসামিকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। থানা-পুলিশ ও আমরা তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।’

এক মাসের প্রেম। বিয়ের পর ঢাকা আনার কথা বলে ইটভাটার এক নারী শ্রমিককে দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেন যুবক। তিন মাস পর ওই নারী কৌশলে পালিয়ে বাঁচলেও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি। তাঁর চোখে ভাসে যৌনপল্লির বিভীষিকাময় দিনগুলোর স্মৃতি। পলাতক পাচারকারী এখন মামলা তুলে নিতে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন।
ওই নারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যাকে বিশ্বাস করে বিয়ে করেছিলাম, সেই আমাকে মাত্র ৪০ হাজার টাকায় যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেয়। তার ফাঁদে পড়ে আমার সব শেষ। এখন বিচারের জন্য লড়াই করছি। মামলা তুলতে আসামি আমার বাড়ির পাশে কাফনের কাপড় পাঠিয়ে দুই দফায় হুমকি দিয়েছে। পুলিশ তাকে ধরতে পারছে না। সে ঘুরে বেড়ায়।’
ইটভাটা থেকে যৌনপল্লিতে
২০২২ সালের ঘটনা। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার স্বামী পরিত্যক্তা এই নারী উপজেলার গোহাট মুন্সিগঞ্জের হাসু মিয়ার ইটভাটায় কাজ করতেন। সেখানে আলমডাঙ্গার হৈয়দারপুর মুন্সিগঞ্জের মনিরুল ইসলামের ছেলে রিংকু আলী নামে এক যুবকও শ্রমিক হিসেবে ছিলেন। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে প্রেম হয়। ২০২২ সালের ১৩ মে রিংকু ২ লাখ টাকা দেনমোহরে ওই নারীকে বিয়ে করেন। বিয়ের তিন মাস পরই রিংকু বিভিন্ন অজুহাতে তাঁর কাছ থেকে টাকা নিতেন। একসময় রিংকুকে তাঁর সন্দেহ হয়।
খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, রিংকুর বাড়িতে স্ত্রী ও সন্তান আছে। এ নিয়ে রিংকুর সঙ্গে তাঁর কলহ শুরু হয়। রিংকু তখন দাবি করেন, প্রথম স্ত্রী তাঁর বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করেছেন। তালাক দিতে ৩০ হাজার টাকা লাগবে। ওই নারী আবার রিংকুকে ৩০ হাজার টাকা দেন। ২০২২ সালের ২৬ আগস্ট রিংকু ওই নারীকে বাড়ি নিয়ে যান। প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিতে আরও অনেক টাকা লাগবে বলে তাঁকে গার্মেন্টসে চাকরি করার অনুরোধ করেন রিংকু। ২৮ নভেম্বর সকালে আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ থেকে দুজন বাসে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। বাসে বমি পাওয়ায় বমির ট্যাবলেট ও পানি চান ওই নারী। সকাল ১০টার দিকে বাস দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জ্যামে পড়লে রিংকু বাস থেকে নেমে একটি ট্যাবলেট এবং অর্ধেক বোতল পানি এনে দেন। ট্যাবলেট খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই নারী ঘুমিয়ে পড়েন।
ঘুম থেকে উঠে নিজেকে একটি বদ্ধ কক্ষে আবিষ্কার করেন ওই নারী। ঘটনার বর্ণনায় তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘুম থেকে উঠে দেখি, আমি একটি অন্ধকার ছোট্ট ঘরের মধ্যে পড়ে আছি। ঘরটির দরজা জানালা সব বন্ধ। রুমের ভেতরের দেয়ালে একটি ঘড়ি। সেটিতে তখন বেলা ১১টা ৩৪ মিনিট। তবে আমার জিনিসপত্র, মোবাইল কিছুই নেই। স্বামীকে খুঁজছি, তাকেও পাচ্ছি না।’
ওই নারী আরও বলেন, ‘কিছুক্ষণ পর একজন নারী আসে আমার কক্ষে। তার নাম আমি পড়ে জেনেছি, রোজিনা। বাড়ি কুমিল্লা। সে আমাকে জিজ্ঞেস করে, আমি কোথায় আছি, সেটি জানি কি না। আমি তাকে বলি, না। সে আমাকে বলল, এটা দৌলতদিয়া যৌনপল্লি। সে আমাকে আরও বলে, এখানে আমাকে কেউ জবাই করলেও দেখার বা জানার কেউ নেই। সর্দারের কথা মতো চলতে হবে। তাঁর কথা না শুনলেই নির্যাতন সহ্য করতে হবে।’
‘আমি ভয় পেয়ে যাই। ভয়ে কাঁপতে থাকি। ওই দিন আমি আর রুম থেকে বের হইনি। কী করব, তাও বুঝতে পারছিলাম না। কান্না করেছি দিন-রাত।’
পরের দিন বাইরে বের হন ওই নারী। তিনি দেখতে পান সেখানে বিভিন্ন বয়সের নারী রয়েছেন। তাঁর কক্ষ নম্বর ১১১। যৌনপল্লিতে নেওয়ার পরদিনই সর্দার বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করেন। কথামতো কাজ করতে আপত্তি করলেই লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। সিগারেটের আগুন দিয়ে শরীরে ছ্যাঁকা দেওয়া হয়। সেখানে আনার পরদিনই সর্দার তাঁর শরীরে একটি ইনজেকশন দেন। ওই দিনই তাঁকে একাধিক পুরুষ ধর্ষণ করে।
মায়ের মামলা
বাবার বাড়ি থেকে এনে যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দিয়েছেন রিংকু। আর তাঁর পরিবারকে জানিয়েছেন, তিনি নিখোঁজ। কিন্তু রিংকুকে তাঁর মায়ের সন্দেহ হয়। স্ত্রীকে খোঁজার কোনো গরজ তাঁর মধ্যে দেখা যাচ্ছিল না। গত বছরের ৮ অক্টোবর ওই নারীর মা রিংকুর বাড়িতে যান। মেয়েকে না পেয়ে আলমডাঙ্গা থানায় রিংকুর বিরুদ্ধে মামলা করতে যান। তবে থানা-পুলিশ তাঁকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। পুলিশের পরামর্শ অনুযায়ী ১৭ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গার আদালতে অপহরণ করে হত্যা ও লাশ গুমের অভিযোগ এনে নালিশি মামলা করেন। মামলায় রিংকু আলী, তাঁর মা আনজিয়া খাতুন অনজু, বাবা মনিরুল ইসলাম এবং রিংকুর প্রথম স্ত্রী অনিতা খাতুন ফারজানাকে আসামি করা হয়।
যৌনপল্লি থেকে পলায়ন
ঘটনার তিন মাস পর গত বছরের ১৬ নভেম্বর রাতে চার নারীর সঙ্গে যৌনপল্লির বাইরের একটি পারলারে যাওয়ার সুযোগ পান ওই ভুক্তভোগী। তাঁদের মধ্যে দুজন পারলারের ভেতরে যান। তিনিসহ তিনজন পারলারের বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন। সুযোগ বুঝে তিনি সটকে পড়েন। পারলারে খরচের জন্য যে ২৫০ টাকা পেয়েছিলেন, সেটি নিয়ে বাড়ির পথের বাসে ওঠেন। ভোরে তিনি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় বাবার বাড়িতে ওঠেন। তাঁর বাড়িতে যাওয়ার কথা শুনে গা-ঢাকা দেন রিংকু। পরে মুখ না খুলতে হুমকি-ধমকিও দেন।
ফিরে আসায় ঘুরে যায় মামলা
মা আদালতে মামলা করার এক মাসের মধ্যে ফিরে আসেন ওই নারী। এতে মামলার মোড় ঘুরে যায়। আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঝিনাইদহের জেলা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআইর পরিদর্শক সরদার বাবর আলী ভুক্তভোগীকে নিয়ে আদালতে যান। গত ১ ফেব্রুয়ারি চুয়াডাঙ্গার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রিপন হোসেনের আদালতে জবানবন্দি দেন তিনি। গত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
মানব পাচার আইনে পিবিআইয়ের দেওয়া অভিযোগপত্রে কেবল রিংকু আলীকে আসামি করা হয়েছে। তবে পুলিশ তাঁকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তাঁর বিরুদ্ধে মানব পাচার, অপহরণ ও দেহ ব্যবসায় বাধ্য করার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে মামলা থেকে রিংকুর মা, বাবা ও প্রথম স্ত্রীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
পিবিআইয়ের ঝিনাইদহের জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা তদন্ত শেষ করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছি। আসামিকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। থানা-পুলিশ ও আমরা তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।’
আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

এক মাসের প্রেম। বিয়ের পর ঢাকা আনার কথা বলে ইটভাটার এক নারী শ্রমিককে দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেন যুবক। তিন মাস পর ওই নারী কৌশলে পালিয়ে বাঁচলেও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি। তাঁর চোখে ভাসে যৌনপল্লির বিভীষিকাময় দিনগুলোর স্মৃতি। পলাতক পাচারকারী এখন মামলা তুলে নিতে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন।
ওই নারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যাকে বিশ্বাস করে বিয়ে করেছিলাম, সেই আমাকে মাত্র ৪০ হাজার টাকায় যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেয়। তার ফাঁদে পড়ে আমার সব শেষ। এখন বিচারের জন্য লড়াই করছি। মামলা তুলতে আসামি আমার বাড়ির পাশে কাফনের কাপড় পাঠিয়ে দুই দফায় হুমকি দিয়েছে। পুলিশ তাকে ধরতে পারছে না। সে ঘুরে বেড়ায়।’
ইটভাটা থেকে যৌনপল্লিতে
২০২২ সালের ঘটনা। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার স্বামী পরিত্যক্তা এই নারী উপজেলার গোহাট মুন্সিগঞ্জের হাসু মিয়ার ইটভাটায় কাজ করতেন। সেখানে আলমডাঙ্গার হৈয়দারপুর মুন্সিগঞ্জের মনিরুল ইসলামের ছেলে রিংকু আলী নামে এক যুবকও শ্রমিক হিসেবে ছিলেন। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে প্রেম হয়। ২০২২ সালের ১৩ মে রিংকু ২ লাখ টাকা দেনমোহরে ওই নারীকে বিয়ে করেন। বিয়ের তিন মাস পরই রিংকু বিভিন্ন অজুহাতে তাঁর কাছ থেকে টাকা নিতেন। একসময় রিংকুকে তাঁর সন্দেহ হয়।
খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, রিংকুর বাড়িতে স্ত্রী ও সন্তান আছে। এ নিয়ে রিংকুর সঙ্গে তাঁর কলহ শুরু হয়। রিংকু তখন দাবি করেন, প্রথম স্ত্রী তাঁর বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করেছেন। তালাক দিতে ৩০ হাজার টাকা লাগবে। ওই নারী আবার রিংকুকে ৩০ হাজার টাকা দেন। ২০২২ সালের ২৬ আগস্ট রিংকু ওই নারীকে বাড়ি নিয়ে যান। প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিতে আরও অনেক টাকা লাগবে বলে তাঁকে গার্মেন্টসে চাকরি করার অনুরোধ করেন রিংকু। ২৮ নভেম্বর সকালে আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ থেকে দুজন বাসে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। বাসে বমি পাওয়ায় বমির ট্যাবলেট ও পানি চান ওই নারী। সকাল ১০টার দিকে বাস দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জ্যামে পড়লে রিংকু বাস থেকে নেমে একটি ট্যাবলেট এবং অর্ধেক বোতল পানি এনে দেন। ট্যাবলেট খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই নারী ঘুমিয়ে পড়েন।
ঘুম থেকে উঠে নিজেকে একটি বদ্ধ কক্ষে আবিষ্কার করেন ওই নারী। ঘটনার বর্ণনায় তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘুম থেকে উঠে দেখি, আমি একটি অন্ধকার ছোট্ট ঘরের মধ্যে পড়ে আছি। ঘরটির দরজা জানালা সব বন্ধ। রুমের ভেতরের দেয়ালে একটি ঘড়ি। সেটিতে তখন বেলা ১১টা ৩৪ মিনিট। তবে আমার জিনিসপত্র, মোবাইল কিছুই নেই। স্বামীকে খুঁজছি, তাকেও পাচ্ছি না।’
ওই নারী আরও বলেন, ‘কিছুক্ষণ পর একজন নারী আসে আমার কক্ষে। তার নাম আমি পড়ে জেনেছি, রোজিনা। বাড়ি কুমিল্লা। সে আমাকে জিজ্ঞেস করে, আমি কোথায় আছি, সেটি জানি কি না। আমি তাকে বলি, না। সে আমাকে বলল, এটা দৌলতদিয়া যৌনপল্লি। সে আমাকে আরও বলে, এখানে আমাকে কেউ জবাই করলেও দেখার বা জানার কেউ নেই। সর্দারের কথা মতো চলতে হবে। তাঁর কথা না শুনলেই নির্যাতন সহ্য করতে হবে।’
‘আমি ভয় পেয়ে যাই। ভয়ে কাঁপতে থাকি। ওই দিন আমি আর রুম থেকে বের হইনি। কী করব, তাও বুঝতে পারছিলাম না। কান্না করেছি দিন-রাত।’
পরের দিন বাইরে বের হন ওই নারী। তিনি দেখতে পান সেখানে বিভিন্ন বয়সের নারী রয়েছেন। তাঁর কক্ষ নম্বর ১১১। যৌনপল্লিতে নেওয়ার পরদিনই সর্দার বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করেন। কথামতো কাজ করতে আপত্তি করলেই লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। সিগারেটের আগুন দিয়ে শরীরে ছ্যাঁকা দেওয়া হয়। সেখানে আনার পরদিনই সর্দার তাঁর শরীরে একটি ইনজেকশন দেন। ওই দিনই তাঁকে একাধিক পুরুষ ধর্ষণ করে।
মায়ের মামলা
বাবার বাড়ি থেকে এনে যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দিয়েছেন রিংকু। আর তাঁর পরিবারকে জানিয়েছেন, তিনি নিখোঁজ। কিন্তু রিংকুকে তাঁর মায়ের সন্দেহ হয়। স্ত্রীকে খোঁজার কোনো গরজ তাঁর মধ্যে দেখা যাচ্ছিল না। গত বছরের ৮ অক্টোবর ওই নারীর মা রিংকুর বাড়িতে যান। মেয়েকে না পেয়ে আলমডাঙ্গা থানায় রিংকুর বিরুদ্ধে মামলা করতে যান। তবে থানা-পুলিশ তাঁকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। পুলিশের পরামর্শ অনুযায়ী ১৭ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গার আদালতে অপহরণ করে হত্যা ও লাশ গুমের অভিযোগ এনে নালিশি মামলা করেন। মামলায় রিংকু আলী, তাঁর মা আনজিয়া খাতুন অনজু, বাবা মনিরুল ইসলাম এবং রিংকুর প্রথম স্ত্রী অনিতা খাতুন ফারজানাকে আসামি করা হয়।
যৌনপল্লি থেকে পলায়ন
ঘটনার তিন মাস পর গত বছরের ১৬ নভেম্বর রাতে চার নারীর সঙ্গে যৌনপল্লির বাইরের একটি পারলারে যাওয়ার সুযোগ পান ওই ভুক্তভোগী। তাঁদের মধ্যে দুজন পারলারের ভেতরে যান। তিনিসহ তিনজন পারলারের বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন। সুযোগ বুঝে তিনি সটকে পড়েন। পারলারে খরচের জন্য যে ২৫০ টাকা পেয়েছিলেন, সেটি নিয়ে বাড়ির পথের বাসে ওঠেন। ভোরে তিনি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় বাবার বাড়িতে ওঠেন। তাঁর বাড়িতে যাওয়ার কথা শুনে গা-ঢাকা দেন রিংকু। পরে মুখ না খুলতে হুমকি-ধমকিও দেন।
ফিরে আসায় ঘুরে যায় মামলা
মা আদালতে মামলা করার এক মাসের মধ্যে ফিরে আসেন ওই নারী। এতে মামলার মোড় ঘুরে যায়। আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঝিনাইদহের জেলা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআইর পরিদর্শক সরদার বাবর আলী ভুক্তভোগীকে নিয়ে আদালতে যান। গত ১ ফেব্রুয়ারি চুয়াডাঙ্গার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রিপন হোসেনের আদালতে জবানবন্দি দেন তিনি। গত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
মানব পাচার আইনে পিবিআইয়ের দেওয়া অভিযোগপত্রে কেবল রিংকু আলীকে আসামি করা হয়েছে। তবে পুলিশ তাঁকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তাঁর বিরুদ্ধে মানব পাচার, অপহরণ ও দেহ ব্যবসায় বাধ্য করার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে মামলা থেকে রিংকুর মা, বাবা ও প্রথম স্ত্রীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
পিবিআইয়ের ঝিনাইদহের জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা তদন্ত শেষ করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছি। আসামিকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। থানা-পুলিশ ও আমরা তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।’

এক মাসের প্রেম। বিয়ের পর ঢাকা আনার কথা বলে ইটভাটার এক নারী শ্রমিককে দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেন যুবক। তিন মাস পর ওই নারী কৌশলে পালিয়ে বাঁচলেও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি। তাঁর চোখে ভাসে যৌনপল্লির বিভীষিকাময় দিনগুলোর স্মৃতি। পলাতক পাচারকারী এখন মামলা তুলে নিতে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন।
ওই নারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যাকে বিশ্বাস করে বিয়ে করেছিলাম, সেই আমাকে মাত্র ৪০ হাজার টাকায় যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেয়। তার ফাঁদে পড়ে আমার সব শেষ। এখন বিচারের জন্য লড়াই করছি। মামলা তুলতে আসামি আমার বাড়ির পাশে কাফনের কাপড় পাঠিয়ে দুই দফায় হুমকি দিয়েছে। পুলিশ তাকে ধরতে পারছে না। সে ঘুরে বেড়ায়।’
ইটভাটা থেকে যৌনপল্লিতে
২০২২ সালের ঘটনা। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার স্বামী পরিত্যক্তা এই নারী উপজেলার গোহাট মুন্সিগঞ্জের হাসু মিয়ার ইটভাটায় কাজ করতেন। সেখানে আলমডাঙ্গার হৈয়দারপুর মুন্সিগঞ্জের মনিরুল ইসলামের ছেলে রিংকু আলী নামে এক যুবকও শ্রমিক হিসেবে ছিলেন। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে প্রেম হয়। ২০২২ সালের ১৩ মে রিংকু ২ লাখ টাকা দেনমোহরে ওই নারীকে বিয়ে করেন। বিয়ের তিন মাস পরই রিংকু বিভিন্ন অজুহাতে তাঁর কাছ থেকে টাকা নিতেন। একসময় রিংকুকে তাঁর সন্দেহ হয়।
খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, রিংকুর বাড়িতে স্ত্রী ও সন্তান আছে। এ নিয়ে রিংকুর সঙ্গে তাঁর কলহ শুরু হয়। রিংকু তখন দাবি করেন, প্রথম স্ত্রী তাঁর বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করেছেন। তালাক দিতে ৩০ হাজার টাকা লাগবে। ওই নারী আবার রিংকুকে ৩০ হাজার টাকা দেন। ২০২২ সালের ২৬ আগস্ট রিংকু ওই নারীকে বাড়ি নিয়ে যান। প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিতে আরও অনেক টাকা লাগবে বলে তাঁকে গার্মেন্টসে চাকরি করার অনুরোধ করেন রিংকু। ২৮ নভেম্বর সকালে আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ থেকে দুজন বাসে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। বাসে বমি পাওয়ায় বমির ট্যাবলেট ও পানি চান ওই নারী। সকাল ১০টার দিকে বাস দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জ্যামে পড়লে রিংকু বাস থেকে নেমে একটি ট্যাবলেট এবং অর্ধেক বোতল পানি এনে দেন। ট্যাবলেট খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই নারী ঘুমিয়ে পড়েন।
ঘুম থেকে উঠে নিজেকে একটি বদ্ধ কক্ষে আবিষ্কার করেন ওই নারী। ঘটনার বর্ণনায় তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘুম থেকে উঠে দেখি, আমি একটি অন্ধকার ছোট্ট ঘরের মধ্যে পড়ে আছি। ঘরটির দরজা জানালা সব বন্ধ। রুমের ভেতরের দেয়ালে একটি ঘড়ি। সেটিতে তখন বেলা ১১টা ৩৪ মিনিট। তবে আমার জিনিসপত্র, মোবাইল কিছুই নেই। স্বামীকে খুঁজছি, তাকেও পাচ্ছি না।’
ওই নারী আরও বলেন, ‘কিছুক্ষণ পর একজন নারী আসে আমার কক্ষে। তার নাম আমি পড়ে জেনেছি, রোজিনা। বাড়ি কুমিল্লা। সে আমাকে জিজ্ঞেস করে, আমি কোথায় আছি, সেটি জানি কি না। আমি তাকে বলি, না। সে আমাকে বলল, এটা দৌলতদিয়া যৌনপল্লি। সে আমাকে আরও বলে, এখানে আমাকে কেউ জবাই করলেও দেখার বা জানার কেউ নেই। সর্দারের কথা মতো চলতে হবে। তাঁর কথা না শুনলেই নির্যাতন সহ্য করতে হবে।’
‘আমি ভয় পেয়ে যাই। ভয়ে কাঁপতে থাকি। ওই দিন আমি আর রুম থেকে বের হইনি। কী করব, তাও বুঝতে পারছিলাম না। কান্না করেছি দিন-রাত।’
পরের দিন বাইরে বের হন ওই নারী। তিনি দেখতে পান সেখানে বিভিন্ন বয়সের নারী রয়েছেন। তাঁর কক্ষ নম্বর ১১১। যৌনপল্লিতে নেওয়ার পরদিনই সর্দার বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করেন। কথামতো কাজ করতে আপত্তি করলেই লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। সিগারেটের আগুন দিয়ে শরীরে ছ্যাঁকা দেওয়া হয়। সেখানে আনার পরদিনই সর্দার তাঁর শরীরে একটি ইনজেকশন দেন। ওই দিনই তাঁকে একাধিক পুরুষ ধর্ষণ করে।
মায়ের মামলা
বাবার বাড়ি থেকে এনে যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দিয়েছেন রিংকু। আর তাঁর পরিবারকে জানিয়েছেন, তিনি নিখোঁজ। কিন্তু রিংকুকে তাঁর মায়ের সন্দেহ হয়। স্ত্রীকে খোঁজার কোনো গরজ তাঁর মধ্যে দেখা যাচ্ছিল না। গত বছরের ৮ অক্টোবর ওই নারীর মা রিংকুর বাড়িতে যান। মেয়েকে না পেয়ে আলমডাঙ্গা থানায় রিংকুর বিরুদ্ধে মামলা করতে যান। তবে থানা-পুলিশ তাঁকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। পুলিশের পরামর্শ অনুযায়ী ১৭ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গার আদালতে অপহরণ করে হত্যা ও লাশ গুমের অভিযোগ এনে নালিশি মামলা করেন। মামলায় রিংকু আলী, তাঁর মা আনজিয়া খাতুন অনজু, বাবা মনিরুল ইসলাম এবং রিংকুর প্রথম স্ত্রী অনিতা খাতুন ফারজানাকে আসামি করা হয়।
যৌনপল্লি থেকে পলায়ন
ঘটনার তিন মাস পর গত বছরের ১৬ নভেম্বর রাতে চার নারীর সঙ্গে যৌনপল্লির বাইরের একটি পারলারে যাওয়ার সুযোগ পান ওই ভুক্তভোগী। তাঁদের মধ্যে দুজন পারলারের ভেতরে যান। তিনিসহ তিনজন পারলারের বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন। সুযোগ বুঝে তিনি সটকে পড়েন। পারলারে খরচের জন্য যে ২৫০ টাকা পেয়েছিলেন, সেটি নিয়ে বাড়ির পথের বাসে ওঠেন। ভোরে তিনি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় বাবার বাড়িতে ওঠেন। তাঁর বাড়িতে যাওয়ার কথা শুনে গা-ঢাকা দেন রিংকু। পরে মুখ না খুলতে হুমকি-ধমকিও দেন।
ফিরে আসায় ঘুরে যায় মামলা
মা আদালতে মামলা করার এক মাসের মধ্যে ফিরে আসেন ওই নারী। এতে মামলার মোড় ঘুরে যায়। আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঝিনাইদহের জেলা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআইর পরিদর্শক সরদার বাবর আলী ভুক্তভোগীকে নিয়ে আদালতে যান। গত ১ ফেব্রুয়ারি চুয়াডাঙ্গার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রিপন হোসেনের আদালতে জবানবন্দি দেন তিনি। গত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
মানব পাচার আইনে পিবিআইয়ের দেওয়া অভিযোগপত্রে কেবল রিংকু আলীকে আসামি করা হয়েছে। তবে পুলিশ তাঁকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তাঁর বিরুদ্ধে মানব পাচার, অপহরণ ও দেহ ব্যবসায় বাধ্য করার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে মামলা থেকে রিংকুর মা, বাবা ও প্রথম স্ত্রীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
পিবিআইয়ের ঝিনাইদহের জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা তদন্ত শেষ করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছি। আসামিকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। থানা-পুলিশ ও আমরা তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।’

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৮ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৮ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
২১ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
২১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এক মাসের প্রেম। বিয়ের পর ঢাকা আনার কথা বলে ইটভাটার এক নারী শ্রমিককে দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেন যুবক। তিন মাস পর ওই নারী কৌশলে পালিয়ে বাঁচলেও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি। তাঁর চোখে ভাসে যৌনপল্লির বিভীষিকাময় দিনগুলোর স্মৃতি। পলাতক পাচারকারী এখন মামলা তুলে নিতে হত্যার হুমকি দিচ্ছে।
২০ জুন ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৮ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
২১ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
২১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

এক মাসের প্রেম। বিয়ের পর ঢাকা আনার কথা বলে ইটভাটার এক নারী শ্রমিককে দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেন যুবক। তিন মাস পর ওই নারী কৌশলে পালিয়ে বাঁচলেও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি। তাঁর চোখে ভাসে যৌনপল্লির বিভীষিকাময় দিনগুলোর স্মৃতি। পলাতক পাচারকারী এখন মামলা তুলে নিতে হত্যার হুমকি দিচ্ছে।
২০ জুন ২০২৩
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৮ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
২১ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
২১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

এক মাসের প্রেম। বিয়ের পর ঢাকা আনার কথা বলে ইটভাটার এক নারী শ্রমিককে দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেন যুবক। তিন মাস পর ওই নারী কৌশলে পালিয়ে বাঁচলেও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি। তাঁর চোখে ভাসে যৌনপল্লির বিভীষিকাময় দিনগুলোর স্মৃতি। পলাতক পাচারকারী এখন মামলা তুলে নিতে হত্যার হুমকি দিচ্ছে।
২০ জুন ২০২৩
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৮ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৮ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
২১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

এক মাসের প্রেম। বিয়ের পর ঢাকা আনার কথা বলে ইটভাটার এক নারী শ্রমিককে দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেন যুবক। তিন মাস পর ওই নারী কৌশলে পালিয়ে বাঁচলেও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি। তাঁর চোখে ভাসে যৌনপল্লির বিভীষিকাময় দিনগুলোর স্মৃতি। পলাতক পাচারকারী এখন মামলা তুলে নিতে হত্যার হুমকি দিচ্ছে।
২০ জুন ২০২৩
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৮ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৮ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
২১ দিন আগে