সম্পাদকীয়
বিকাশের নাম ব্যবহার করে যে প্রতারণা হয়, সেটা নতুন কিছু নয়। ইউটিউবে গেলে বিকাশের নামে প্রতারণার ভূরি ভূরি কথোপকথন শুনতে পাবেন। অবশ্য সে কথোপকথনে যাঁরা প্রতারককে কোনো
সুযোগ দেননি, তাঁদের কথাই পাওয়া যাবে। আর যাঁরা প্রতারিত হয়েছেন, তাঁরা ভুলেও ইউটিউবে তাঁদের বোকামির খবর বলেন না।
সম্প্রতি এমনই একটি প্রতারক দলের পালের গোদাকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তিনি এই প্রতারণার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঘটনার বর্ণনা করেছেন। প্রতারণায় যাঁরা শিক্ষানবিশি করছেন, তাঁদের জন্য এই বর্ণনা খুবই মূল্যবান হয়ে দেখা দিতে পারে, যদি না বিকাশ অ্যাকাউন্ট এবং যেকোনো ই-ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের অধিকারী গ্রাহক বা ভোক্তারা নিজেরাই নিজেদের সাবধান বা সতর্ক না করতে পারেন।
ভাবার কোনো কারণ নেই, শুধু আমাদের দেশেই এই বদমাশের দল আছে। যেখানেই ব্যাংক ব্যবস্থা আছে, সেখানেই এ রকম ধূর্ত প্রতারকেরা বিদ্যমান। খোদ যুক্তরাষ্ট্রেও অবলীলায় ব্যাংকের নাম ভাঙিয়ে গ্রাহকের কাছ থেকে সব তথ্য নিয়ে তার বারোটা বাজানোর বহু ঘটনা ইন্টারনেট ঘাঁটলেই পাওয়া যাবে। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে ফেলার পরও যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শত্রুদের অন্যতম যে রাশিয়া, সেখানেও অবাধে এই প্রতারণা চলছে। সেসব দেশে প্রতারকেরা এত বিশ্বাসযোগ্যভাবে মিছে কথাগুলো বলতে পারে যে সহজেই যে কেউ তাদের প্রতারণার ফাঁদে পা ফেলতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশে কি সে কথা খাটে? বাংলাদেশে বিকাশের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হচ্ছে বলে যাঁরা বিকাশের গ্রাহকের কাছে ফোন করেন, তাঁদের ব্যবহারেই বোঝা যায় যে তাঁরা অভিনয়শিল্পী হিসেবেও খুবই নিচু দরের। কথার ধরনেই বোঝা যায় তাঁরা সত্যিকার অর্থেই কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হতে পারেন না। নারী বা পুরুষ যে-ই এ কাজটি করে থাকুন না কেন, তাঁদের কাজের কোনো মান নেই।
একটি প্রতারক দলের পালের গোদাকে গ্রেপ্তার করা খুবই আশাব্যঞ্জক সংবাদ। কিন্তু তাতে অন্য প্রতারকদের কাজ কি খুব একটা ব্যাহত হয়? গ্রাহকদের বোকামিই প্রতারকদের সবচেয়ে বড় শক্তি।
বহুবার, বহুভাবে প্রতারকদের ব্যাপারে সতর্ক করে দেওয়া সত্ত্বেও বিকাশ গ্রাহকেরা অবলীলায় তাঁদের ব্যাংক-সংক্রান্ত কিংবা বিকাশ-সংক্রান্ত গোপন তথ্য প্রতারকদের বলে দেন। বিকাশ কিংবা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদের কাছে নানাভাবে মোবাইল ফোনে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি পাঠায়, সেখানে বলা হয়ে থাকে যে বিকাশ বা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এ ধরনের কোনো তথ্য গ্রাহকের কাছ থেকে চান না। যদি এই নির্দেশনা গ্রাহকেরা মেনে চলতেন, তাহলে এই প্রতারকদের কাণ্ডকারখানা অচিরেই বন্ধ হয়ে যেত। গ্রাহকের অসচেতনতা, অজ্ঞতা এই ধরনের প্রতারণা টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে।
যেকোনো ধরনের প্রতারণাই সৎ মানুষকে বিপদে ফেলে। প্রতারকদের বড় রকমের শাস্তি হলে এবং সে কথা ঠিকভাবে প্রচার করা হলে, হয়তোবা এ ধরনের তৎপরতা বন্ধ হতে পারে। তবে তার আগে গ্রাহকদের আরও বেশি করে সচেতন করে তোলার প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখা জরুরি।
বিকাশের নাম ব্যবহার করে যে প্রতারণা হয়, সেটা নতুন কিছু নয়। ইউটিউবে গেলে বিকাশের নামে প্রতারণার ভূরি ভূরি কথোপকথন শুনতে পাবেন। অবশ্য সে কথোপকথনে যাঁরা প্রতারককে কোনো
সুযোগ দেননি, তাঁদের কথাই পাওয়া যাবে। আর যাঁরা প্রতারিত হয়েছেন, তাঁরা ভুলেও ইউটিউবে তাঁদের বোকামির খবর বলেন না।
সম্প্রতি এমনই একটি প্রতারক দলের পালের গোদাকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তিনি এই প্রতারণার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঘটনার বর্ণনা করেছেন। প্রতারণায় যাঁরা শিক্ষানবিশি করছেন, তাঁদের জন্য এই বর্ণনা খুবই মূল্যবান হয়ে দেখা দিতে পারে, যদি না বিকাশ অ্যাকাউন্ট এবং যেকোনো ই-ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের অধিকারী গ্রাহক বা ভোক্তারা নিজেরাই নিজেদের সাবধান বা সতর্ক না করতে পারেন।
ভাবার কোনো কারণ নেই, শুধু আমাদের দেশেই এই বদমাশের দল আছে। যেখানেই ব্যাংক ব্যবস্থা আছে, সেখানেই এ রকম ধূর্ত প্রতারকেরা বিদ্যমান। খোদ যুক্তরাষ্ট্রেও অবলীলায় ব্যাংকের নাম ভাঙিয়ে গ্রাহকের কাছ থেকে সব তথ্য নিয়ে তার বারোটা বাজানোর বহু ঘটনা ইন্টারনেট ঘাঁটলেই পাওয়া যাবে। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে ফেলার পরও যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শত্রুদের অন্যতম যে রাশিয়া, সেখানেও অবাধে এই প্রতারণা চলছে। সেসব দেশে প্রতারকেরা এত বিশ্বাসযোগ্যভাবে মিছে কথাগুলো বলতে পারে যে সহজেই যে কেউ তাদের প্রতারণার ফাঁদে পা ফেলতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশে কি সে কথা খাটে? বাংলাদেশে বিকাশের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হচ্ছে বলে যাঁরা বিকাশের গ্রাহকের কাছে ফোন করেন, তাঁদের ব্যবহারেই বোঝা যায় যে তাঁরা অভিনয়শিল্পী হিসেবেও খুবই নিচু দরের। কথার ধরনেই বোঝা যায় তাঁরা সত্যিকার অর্থেই কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হতে পারেন না। নারী বা পুরুষ যে-ই এ কাজটি করে থাকুন না কেন, তাঁদের কাজের কোনো মান নেই।
একটি প্রতারক দলের পালের গোদাকে গ্রেপ্তার করা খুবই আশাব্যঞ্জক সংবাদ। কিন্তু তাতে অন্য প্রতারকদের কাজ কি খুব একটা ব্যাহত হয়? গ্রাহকদের বোকামিই প্রতারকদের সবচেয়ে বড় শক্তি।
বহুবার, বহুভাবে প্রতারকদের ব্যাপারে সতর্ক করে দেওয়া সত্ত্বেও বিকাশ গ্রাহকেরা অবলীলায় তাঁদের ব্যাংক-সংক্রান্ত কিংবা বিকাশ-সংক্রান্ত গোপন তথ্য প্রতারকদের বলে দেন। বিকাশ কিংবা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদের কাছে নানাভাবে মোবাইল ফোনে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি পাঠায়, সেখানে বলা হয়ে থাকে যে বিকাশ বা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এ ধরনের কোনো তথ্য গ্রাহকের কাছ থেকে চান না। যদি এই নির্দেশনা গ্রাহকেরা মেনে চলতেন, তাহলে এই প্রতারকদের কাণ্ডকারখানা অচিরেই বন্ধ হয়ে যেত। গ্রাহকের অসচেতনতা, অজ্ঞতা এই ধরনের প্রতারণা টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে।
যেকোনো ধরনের প্রতারণাই সৎ মানুষকে বিপদে ফেলে। প্রতারকদের বড় রকমের শাস্তি হলে এবং সে কথা ঠিকভাবে প্রচার করা হলে, হয়তোবা এ ধরনের তৎপরতা বন্ধ হতে পারে। তবে তার আগে গ্রাহকদের আরও বেশি করে সচেতন করে তোলার প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখা জরুরি।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
২৪ জুলাই ২০২৫সবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৪ জুলাই ২০২৫এবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১২ জুলাই ২০২৫মোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
০৫ জুলাই ২০২৫