Ajker Patrika

বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণা

সম্পাদকীয়
আপডেট : ০৪ আগস্ট ২০২২, ০৯: ৪০
বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণা

বিকাশের নাম ব্যবহার করে যে প্রতারণা হয়, সেটা নতুন কিছু নয়। ইউটিউবে গেলে বিকাশের নামে প্রতারণার ভূরি ভূরি কথোপকথন শুনতে পাবেন। অবশ্য সে কথোপকথনে যাঁরা প্রতারককে কোনো 

সুযোগ দেননি, তাঁদের কথাই পাওয়া যাবে। আর যাঁরা প্রতারিত হয়েছেন, তাঁরা ভুলেও ইউটিউবে তাঁদের বোকামির খবর বলেন না।

সম্প্রতি এমনই একটি প্রতারক দলের পালের গোদাকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তিনি এই প্রতারণার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঘটনার বর্ণনা করেছেন। প্রতারণায় যাঁরা শিক্ষানবিশি করছেন, তাঁদের জন্য এই বর্ণনা খুবই মূল্যবান হয়ে দেখা দিতে পারে, যদি না বিকাশ অ্যাকাউন্ট এবং যেকোনো ই-ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের অধিকারী গ্রাহক বা ভোক্তারা নিজেরাই নিজেদের সাবধান বা সতর্ক না করতে পারেন।

ভাবার কোনো কারণ নেই, শুধু আমাদের দেশেই এই বদমাশের দল আছে। যেখানেই ব্যাংক ব্যবস্থা আছে, সেখানেই এ রকম ধূর্ত প্রতারকেরা বিদ্যমান। খোদ যুক্তরাষ্ট্রেও অবলীলায় ব্যাংকের নাম ভাঙিয়ে গ্রাহকের কাছ থেকে সব তথ্য নিয়ে তার বারোটা বাজানোর বহু ঘটনা ইন্টারনেট ঘাঁটলেই পাওয়া যাবে। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে ফেলার পরও যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শত্রুদের অন্যতম যে রাশিয়া, সেখানেও অবাধে এই প্রতারণা চলছে। সেসব দেশে প্রতারকেরা এত বিশ্বাসযোগ্যভাবে মিছে কথাগুলো বলতে পারে যে সহজেই যে কেউ তাদের প্রতারণার ফাঁদে পা ফেলতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশে কি সে কথা খাটে? বাংলাদেশে বিকাশের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হচ্ছে বলে যাঁরা বিকাশের গ্রাহকের কাছে ফোন করেন, তাঁদের ব্যবহারেই বোঝা যায় যে তাঁরা অভিনয়শিল্পী হিসেবেও খুবই নিচু দরের। কথার ধরনেই বোঝা যায় তাঁরা সত্যিকার অর্থেই কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হতে পারেন না। নারী বা পুরুষ যে-ই এ কাজটি করে থাকুন না কেন, তাঁদের কাজের কোনো মান নেই।

একটি প্রতারক দলের পালের গোদাকে গ্রেপ্তার করা খুবই আশাব্যঞ্জক সংবাদ। কিন্তু তাতে অন্য প্রতারকদের কাজ কি খুব একটা ব্যাহত হয়? গ্রাহকদের বোকামিই প্রতারকদের সবচেয়ে বড় শক্তি।

বহুবার, বহুভাবে প্রতারকদের ব্যাপারে সতর্ক করে দেওয়া সত্ত্বেও বিকাশ গ্রাহকেরা অবলীলায় তাঁদের ব্যাংক-সংক্রান্ত কিংবা বিকাশ-সংক্রান্ত গোপন তথ্য প্রতারকদের বলে দেন। বিকাশ কিংবা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদের কাছে নানাভাবে মোবাইল ফোনে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি পাঠায়, সেখানে বলা হয়ে থাকে যে বিকাশ বা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এ ধরনের কোনো তথ্য গ্রাহকের কাছ থেকে চান না। যদি এই নির্দেশনা গ্রাহকেরা মেনে চলতেন, তাহলে এই প্রতারকদের কাণ্ডকারখানা অচিরেই বন্ধ হয়ে যেত। গ্রাহকের অসচেতনতা, অজ্ঞতা এই ধরনের প্রতারণা টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে।

যেকোনো ধরনের প্রতারণাই সৎ মানুষকে বিপদে ফেলে। প্রতারকদের বড় রকমের শাস্তি হলে এবং সে কথা ঠিকভাবে প্রচার করা হলে, হয়তোবা এ ধরনের তৎপরতা বন্ধ হতে পারে। তবে তার আগে গ্রাহকদের আরও বেশি করে সচেতন করে তোলার প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখা জরুরি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশসহ এশিয়ার ৫ দেশে সফর বাতিল করলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনি

স্ত্রীকে হতে হবে নোরা ফাতেহির মতো, না খাইয়ে রেখে তিন ঘণ্টা করে ব্যায়াম করান স্বামী

বাংলা বলায় কলকাতার মার্কেটে ছুরি, বন্দুকের বাঁট ও হকিস্টিক নিয়ে ছাত্রদের ওপর হামলা

ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুর, আবারও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, পুলিশের টিয়ার শেল-সাউন্ড গ্রেনেড

২০২৬ সালের পাঠ্যবইয়ে শেখ হাসিনার নামের আগে গণহত্যাকারী, ফেসবুকে আসিফ মাহমুদ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত