অরূপ রায়, সাভার

কাজের সন্ধানে এসে সাভার ও ধামরাইয়ের সীমানা দিয়ে প্রবহমান বংশী নদীর তীরে প্রায় ৮ শতাংশ খাসজমিতে বসতি স্থাপন করেছেন সিরাজগঞ্জের চৌহালীর সোলায়মান ব্যাপারী। বছরখানেক আগে এই দখলের ঘটনা ঘটলেও স্থানীয় ভূমি কার্যালয় থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, এমনকি কোনো তথ্যও নেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে।
শুধু সোলায়মান ব্যাপারী নন, ওই এলাকার অর্ধশতাধিক একর খাসজমির কয়েক হাজার দখলদারের বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। তথ্য অধিকার আইন ব্যবহার করে এ বিষয়ে তথ্য জানতে চাওয়া হলে সাভার ও ধামরাই উপজেলা প্রশাসন একে অপরের ওপর দায় চাপিয়ে তথ্য প্রদান থেকে বিরত রয়েছে।
১৭ এপ্রিল ‘খাসজমির দখল বিক্রি’ শিরোনামে আজকের পত্রিকায় একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন প্রকাশের পর দখলদারদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে তথ্য অধিকার আইন ব্যবহার করে ঢাকার জেলা প্রশাসকসহ সাভার ও ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় এবং দুই উপজেলার সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে পৃথক আবেদন করা হয়। আবেদনের পেরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও ধামরাই উপজেলার ইউএনও কার্যালয় থেকে তথ্য সরবরাহ করা হয়।
সরবরাহ করা তথ্যে আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনটি সত্য নয় বলে দাবি করেন সাভার উপজেলার তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাহিদুর রহমান, যা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এ প্রতিবেদকে দেওয়া হয়। অন্যদিকে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে সরবরাহ করা তথ্যে আরএস রেকর্ড ও নকশা মোতাবেক দখলদারদের অবস্থান সাভারের খঞ্জনকাঠি ও ঘোরাদিয়া মৌজায় বলে দাবি করা হয়। আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের আলোকে সরেজমিনে তদন্ত করে এ মতামত দেওয়া হয়। পাশাপাশি বড়কুশিয়ারা মৌজায় কোনো অবৈধ দখলদার নেই বলেও উল্লেখ করা হয় ধামরাই থেকে সরবরাহ করা প্রতিবেদনে।
অন্যদিকে দখলদারদের পক্ষ থেকে তাঁদের দখলে থাকা জমির অবস্থান ধামরাইয়ের বড়কুশিয়ারা মৌজায় দাবি করা হলেও তাঁরা কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি।
জানতে চাইলে সোলায়মান ব্যাপারী বলেন, সাভারের পোড়াবাড়ী এলাকার সোলায়মান নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি খাসজমির দখল কিনে নিয়েছেন। সোলায়মান ওই জমির অবস্থান ধামরাইয়ের বড়কুশিয়ারা মৌজায় বলে জানালেও তিনি তা নিশ্চিত হতে পারেননি।
অন্য এক দখলদার আব্দুল আলিম বলেন, তিনি যুবকের এক কর্মকর্তার কাছ থেকে তিন শতাংশ জমির দখল বুঝে নিয়েছেন। দখল বুঝে নেওয়ার সময় তাঁকে একটি স্ট্যাম্প করে দেওয়া হয়েছে। ওই স্ট্যাম্পে জমির অবস্থান বড়কুশিয়ারা মৌজায় দেখানো হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বংশী নদীর পূর্ব তীর ঘেঁষে রয়েছে একটি আশ্রয়ণ প্রকল্প। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সাভার উপজেলা প্রশাসন। ওই জমি এক সময় বন্ধ হয়ে যাওয়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যুবকের দখলে ছিল। আশ্রয়ণ প্রকল্পের দু শ ফুটের মধ্যেই সোলায়মান ব্যাপারীর বাড়ি। বাড়িটির উত্তর ও দক্ষিণ পাশে নদীর তীরে আরও কয়েক হাজার বাড়ি চোখে পড়ে, যাদের সবাই খাসজমির অবৈধ দখলদার বলে জানা গেছে।
দখলদারদের অনেকে বলেন, ‘তাঁরা কয়েক বছর আগে কাজের সন্ধানে সাভার আসেন। এরপর বংশী নদীর তীরে খাসজমিতে বাড়ি করার সুযোগ পেয়ে দখল কিনে নেন। তাঁদের অনেকে সাভার ও ধামরাইয়ের ভোটারও হয়ে গেছেন।’
জানতে চাইলে সাভারের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘নকশা অনুযায়ী সাভারের সীমানা আশ্রয়ণ প্রকল্প পর্যন্ত। এরপর থেকে ধামরাই উপজেলা শুরু। তাই ওই এলাকায় সরকারি খাসজমিতে দখলদার থেকে থাকলে তা ধামরাইয়ে রয়েছে। ধামরাই উপজেলা প্রশাসন থেকেই তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা।’
ধামরাইয়ের ইউএনও হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী বলেন, ‘সরেজমিনে তদন্ত করেই তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। সাভারের ভূমি কার্যালয় থেকে দ্বিমত পোষণ করা হলে বিষয়টি পুনরায় তদন্ত করে দেখতে হবে।’

কাজের সন্ধানে এসে সাভার ও ধামরাইয়ের সীমানা দিয়ে প্রবহমান বংশী নদীর তীরে প্রায় ৮ শতাংশ খাসজমিতে বসতি স্থাপন করেছেন সিরাজগঞ্জের চৌহালীর সোলায়মান ব্যাপারী। বছরখানেক আগে এই দখলের ঘটনা ঘটলেও স্থানীয় ভূমি কার্যালয় থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, এমনকি কোনো তথ্যও নেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে।
শুধু সোলায়মান ব্যাপারী নন, ওই এলাকার অর্ধশতাধিক একর খাসজমির কয়েক হাজার দখলদারের বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। তথ্য অধিকার আইন ব্যবহার করে এ বিষয়ে তথ্য জানতে চাওয়া হলে সাভার ও ধামরাই উপজেলা প্রশাসন একে অপরের ওপর দায় চাপিয়ে তথ্য প্রদান থেকে বিরত রয়েছে।
১৭ এপ্রিল ‘খাসজমির দখল বিক্রি’ শিরোনামে আজকের পত্রিকায় একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন প্রকাশের পর দখলদারদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে তথ্য অধিকার আইন ব্যবহার করে ঢাকার জেলা প্রশাসকসহ সাভার ও ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় এবং দুই উপজেলার সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে পৃথক আবেদন করা হয়। আবেদনের পেরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও ধামরাই উপজেলার ইউএনও কার্যালয় থেকে তথ্য সরবরাহ করা হয়।
সরবরাহ করা তথ্যে আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনটি সত্য নয় বলে দাবি করেন সাভার উপজেলার তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাহিদুর রহমান, যা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এ প্রতিবেদকে দেওয়া হয়। অন্যদিকে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে সরবরাহ করা তথ্যে আরএস রেকর্ড ও নকশা মোতাবেক দখলদারদের অবস্থান সাভারের খঞ্জনকাঠি ও ঘোরাদিয়া মৌজায় বলে দাবি করা হয়। আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের আলোকে সরেজমিনে তদন্ত করে এ মতামত দেওয়া হয়। পাশাপাশি বড়কুশিয়ারা মৌজায় কোনো অবৈধ দখলদার নেই বলেও উল্লেখ করা হয় ধামরাই থেকে সরবরাহ করা প্রতিবেদনে।
অন্যদিকে দখলদারদের পক্ষ থেকে তাঁদের দখলে থাকা জমির অবস্থান ধামরাইয়ের বড়কুশিয়ারা মৌজায় দাবি করা হলেও তাঁরা কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি।
জানতে চাইলে সোলায়মান ব্যাপারী বলেন, সাভারের পোড়াবাড়ী এলাকার সোলায়মান নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি খাসজমির দখল কিনে নিয়েছেন। সোলায়মান ওই জমির অবস্থান ধামরাইয়ের বড়কুশিয়ারা মৌজায় বলে জানালেও তিনি তা নিশ্চিত হতে পারেননি।
অন্য এক দখলদার আব্দুল আলিম বলেন, তিনি যুবকের এক কর্মকর্তার কাছ থেকে তিন শতাংশ জমির দখল বুঝে নিয়েছেন। দখল বুঝে নেওয়ার সময় তাঁকে একটি স্ট্যাম্প করে দেওয়া হয়েছে। ওই স্ট্যাম্পে জমির অবস্থান বড়কুশিয়ারা মৌজায় দেখানো হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বংশী নদীর পূর্ব তীর ঘেঁষে রয়েছে একটি আশ্রয়ণ প্রকল্প। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সাভার উপজেলা প্রশাসন। ওই জমি এক সময় বন্ধ হয়ে যাওয়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যুবকের দখলে ছিল। আশ্রয়ণ প্রকল্পের দু শ ফুটের মধ্যেই সোলায়মান ব্যাপারীর বাড়ি। বাড়িটির উত্তর ও দক্ষিণ পাশে নদীর তীরে আরও কয়েক হাজার বাড়ি চোখে পড়ে, যাদের সবাই খাসজমির অবৈধ দখলদার বলে জানা গেছে।
দখলদারদের অনেকে বলেন, ‘তাঁরা কয়েক বছর আগে কাজের সন্ধানে সাভার আসেন। এরপর বংশী নদীর তীরে খাসজমিতে বাড়ি করার সুযোগ পেয়ে দখল কিনে নেন। তাঁদের অনেকে সাভার ও ধামরাইয়ের ভোটারও হয়ে গেছেন।’
জানতে চাইলে সাভারের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘নকশা অনুযায়ী সাভারের সীমানা আশ্রয়ণ প্রকল্প পর্যন্ত। এরপর থেকে ধামরাই উপজেলা শুরু। তাই ওই এলাকায় সরকারি খাসজমিতে দখলদার থেকে থাকলে তা ধামরাইয়ে রয়েছে। ধামরাই উপজেলা প্রশাসন থেকেই তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা।’
ধামরাইয়ের ইউএনও হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী বলেন, ‘সরেজমিনে তদন্ত করেই তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। সাভারের ভূমি কার্যালয় থেকে দ্বিমত পোষণ করা হলে বিষয়টি পুনরায় তদন্ত করে দেখতে হবে।’
অরূপ রায়, সাভার

কাজের সন্ধানে এসে সাভার ও ধামরাইয়ের সীমানা দিয়ে প্রবহমান বংশী নদীর তীরে প্রায় ৮ শতাংশ খাসজমিতে বসতি স্থাপন করেছেন সিরাজগঞ্জের চৌহালীর সোলায়মান ব্যাপারী। বছরখানেক আগে এই দখলের ঘটনা ঘটলেও স্থানীয় ভূমি কার্যালয় থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, এমনকি কোনো তথ্যও নেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে।
শুধু সোলায়মান ব্যাপারী নন, ওই এলাকার অর্ধশতাধিক একর খাসজমির কয়েক হাজার দখলদারের বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। তথ্য অধিকার আইন ব্যবহার করে এ বিষয়ে তথ্য জানতে চাওয়া হলে সাভার ও ধামরাই উপজেলা প্রশাসন একে অপরের ওপর দায় চাপিয়ে তথ্য প্রদান থেকে বিরত রয়েছে।
১৭ এপ্রিল ‘খাসজমির দখল বিক্রি’ শিরোনামে আজকের পত্রিকায় একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন প্রকাশের পর দখলদারদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে তথ্য অধিকার আইন ব্যবহার করে ঢাকার জেলা প্রশাসকসহ সাভার ও ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় এবং দুই উপজেলার সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে পৃথক আবেদন করা হয়। আবেদনের পেরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও ধামরাই উপজেলার ইউএনও কার্যালয় থেকে তথ্য সরবরাহ করা হয়।
সরবরাহ করা তথ্যে আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনটি সত্য নয় বলে দাবি করেন সাভার উপজেলার তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাহিদুর রহমান, যা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এ প্রতিবেদকে দেওয়া হয়। অন্যদিকে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে সরবরাহ করা তথ্যে আরএস রেকর্ড ও নকশা মোতাবেক দখলদারদের অবস্থান সাভারের খঞ্জনকাঠি ও ঘোরাদিয়া মৌজায় বলে দাবি করা হয়। আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের আলোকে সরেজমিনে তদন্ত করে এ মতামত দেওয়া হয়। পাশাপাশি বড়কুশিয়ারা মৌজায় কোনো অবৈধ দখলদার নেই বলেও উল্লেখ করা হয় ধামরাই থেকে সরবরাহ করা প্রতিবেদনে।
অন্যদিকে দখলদারদের পক্ষ থেকে তাঁদের দখলে থাকা জমির অবস্থান ধামরাইয়ের বড়কুশিয়ারা মৌজায় দাবি করা হলেও তাঁরা কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি।
জানতে চাইলে সোলায়মান ব্যাপারী বলেন, সাভারের পোড়াবাড়ী এলাকার সোলায়মান নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি খাসজমির দখল কিনে নিয়েছেন। সোলায়মান ওই জমির অবস্থান ধামরাইয়ের বড়কুশিয়ারা মৌজায় বলে জানালেও তিনি তা নিশ্চিত হতে পারেননি।
অন্য এক দখলদার আব্দুল আলিম বলেন, তিনি যুবকের এক কর্মকর্তার কাছ থেকে তিন শতাংশ জমির দখল বুঝে নিয়েছেন। দখল বুঝে নেওয়ার সময় তাঁকে একটি স্ট্যাম্প করে দেওয়া হয়েছে। ওই স্ট্যাম্পে জমির অবস্থান বড়কুশিয়ারা মৌজায় দেখানো হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বংশী নদীর পূর্ব তীর ঘেঁষে রয়েছে একটি আশ্রয়ণ প্রকল্প। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সাভার উপজেলা প্রশাসন। ওই জমি এক সময় বন্ধ হয়ে যাওয়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যুবকের দখলে ছিল। আশ্রয়ণ প্রকল্পের দু শ ফুটের মধ্যেই সোলায়মান ব্যাপারীর বাড়ি। বাড়িটির উত্তর ও দক্ষিণ পাশে নদীর তীরে আরও কয়েক হাজার বাড়ি চোখে পড়ে, যাদের সবাই খাসজমির অবৈধ দখলদার বলে জানা গেছে।
দখলদারদের অনেকে বলেন, ‘তাঁরা কয়েক বছর আগে কাজের সন্ধানে সাভার আসেন। এরপর বংশী নদীর তীরে খাসজমিতে বাড়ি করার সুযোগ পেয়ে দখল কিনে নেন। তাঁদের অনেকে সাভার ও ধামরাইয়ের ভোটারও হয়ে গেছেন।’
জানতে চাইলে সাভারের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘নকশা অনুযায়ী সাভারের সীমানা আশ্রয়ণ প্রকল্প পর্যন্ত। এরপর থেকে ধামরাই উপজেলা শুরু। তাই ওই এলাকায় সরকারি খাসজমিতে দখলদার থেকে থাকলে তা ধামরাইয়ে রয়েছে। ধামরাই উপজেলা প্রশাসন থেকেই তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা।’
ধামরাইয়ের ইউএনও হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী বলেন, ‘সরেজমিনে তদন্ত করেই তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। সাভারের ভূমি কার্যালয় থেকে দ্বিমত পোষণ করা হলে বিষয়টি পুনরায় তদন্ত করে দেখতে হবে।’

কাজের সন্ধানে এসে সাভার ও ধামরাইয়ের সীমানা দিয়ে প্রবহমান বংশী নদীর তীরে প্রায় ৮ শতাংশ খাসজমিতে বসতি স্থাপন করেছেন সিরাজগঞ্জের চৌহালীর সোলায়মান ব্যাপারী। বছরখানেক আগে এই দখলের ঘটনা ঘটলেও স্থানীয় ভূমি কার্যালয় থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, এমনকি কোনো তথ্যও নেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে।
শুধু সোলায়মান ব্যাপারী নন, ওই এলাকার অর্ধশতাধিক একর খাসজমির কয়েক হাজার দখলদারের বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। তথ্য অধিকার আইন ব্যবহার করে এ বিষয়ে তথ্য জানতে চাওয়া হলে সাভার ও ধামরাই উপজেলা প্রশাসন একে অপরের ওপর দায় চাপিয়ে তথ্য প্রদান থেকে বিরত রয়েছে।
১৭ এপ্রিল ‘খাসজমির দখল বিক্রি’ শিরোনামে আজকের পত্রিকায় একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন প্রকাশের পর দখলদারদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে তথ্য অধিকার আইন ব্যবহার করে ঢাকার জেলা প্রশাসকসহ সাভার ও ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় এবং দুই উপজেলার সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে পৃথক আবেদন করা হয়। আবেদনের পেরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও ধামরাই উপজেলার ইউএনও কার্যালয় থেকে তথ্য সরবরাহ করা হয়।
সরবরাহ করা তথ্যে আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনটি সত্য নয় বলে দাবি করেন সাভার উপজেলার তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাহিদুর রহমান, যা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এ প্রতিবেদকে দেওয়া হয়। অন্যদিকে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে সরবরাহ করা তথ্যে আরএস রেকর্ড ও নকশা মোতাবেক দখলদারদের অবস্থান সাভারের খঞ্জনকাঠি ও ঘোরাদিয়া মৌজায় বলে দাবি করা হয়। আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের আলোকে সরেজমিনে তদন্ত করে এ মতামত দেওয়া হয়। পাশাপাশি বড়কুশিয়ারা মৌজায় কোনো অবৈধ দখলদার নেই বলেও উল্লেখ করা হয় ধামরাই থেকে সরবরাহ করা প্রতিবেদনে।
অন্যদিকে দখলদারদের পক্ষ থেকে তাঁদের দখলে থাকা জমির অবস্থান ধামরাইয়ের বড়কুশিয়ারা মৌজায় দাবি করা হলেও তাঁরা কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি।
জানতে চাইলে সোলায়মান ব্যাপারী বলেন, সাভারের পোড়াবাড়ী এলাকার সোলায়মান নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি খাসজমির দখল কিনে নিয়েছেন। সোলায়মান ওই জমির অবস্থান ধামরাইয়ের বড়কুশিয়ারা মৌজায় বলে জানালেও তিনি তা নিশ্চিত হতে পারেননি।
অন্য এক দখলদার আব্দুল আলিম বলেন, তিনি যুবকের এক কর্মকর্তার কাছ থেকে তিন শতাংশ জমির দখল বুঝে নিয়েছেন। দখল বুঝে নেওয়ার সময় তাঁকে একটি স্ট্যাম্প করে দেওয়া হয়েছে। ওই স্ট্যাম্পে জমির অবস্থান বড়কুশিয়ারা মৌজায় দেখানো হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বংশী নদীর পূর্ব তীর ঘেঁষে রয়েছে একটি আশ্রয়ণ প্রকল্প। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সাভার উপজেলা প্রশাসন। ওই জমি এক সময় বন্ধ হয়ে যাওয়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যুবকের দখলে ছিল। আশ্রয়ণ প্রকল্পের দু শ ফুটের মধ্যেই সোলায়মান ব্যাপারীর বাড়ি। বাড়িটির উত্তর ও দক্ষিণ পাশে নদীর তীরে আরও কয়েক হাজার বাড়ি চোখে পড়ে, যাদের সবাই খাসজমির অবৈধ দখলদার বলে জানা গেছে।
দখলদারদের অনেকে বলেন, ‘তাঁরা কয়েক বছর আগে কাজের সন্ধানে সাভার আসেন। এরপর বংশী নদীর তীরে খাসজমিতে বাড়ি করার সুযোগ পেয়ে দখল কিনে নেন। তাঁদের অনেকে সাভার ও ধামরাইয়ের ভোটারও হয়ে গেছেন।’
জানতে চাইলে সাভারের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘নকশা অনুযায়ী সাভারের সীমানা আশ্রয়ণ প্রকল্প পর্যন্ত। এরপর থেকে ধামরাই উপজেলা শুরু। তাই ওই এলাকায় সরকারি খাসজমিতে দখলদার থেকে থাকলে তা ধামরাইয়ে রয়েছে। ধামরাই উপজেলা প্রশাসন থেকেই তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা।’
ধামরাইয়ের ইউএনও হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী বলেন, ‘সরেজমিনে তদন্ত করেই তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। সাভারের ভূমি কার্যালয় থেকে দ্বিমত পোষণ করা হলে বিষয়টি পুনরায় তদন্ত করে দেখতে হবে।’

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৪ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৩ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৬ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

কাজের সন্ধানে এসে সাভার ও ধামরাইয়ের সীমানা দিয়ে প্রবহমান বংশী নদীর তীরে প্রায় ৮ শতাংশ খাসজমিতে বসতি স্থাপন করেছেন সিরাজগঞ্জের চৌহালীর সোলায়মান ব্যাপারী। বছরখানেক আগে এই দখলের ঘটনা ঘটলেও স্থানীয় ভূমি কার্যালয় থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, এমনকি কোনো তথ্যও নেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৩ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৬ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

কাজের সন্ধানে এসে সাভার ও ধামরাইয়ের সীমানা দিয়ে প্রবহমান বংশী নদীর তীরে প্রায় ৮ শতাংশ খাসজমিতে বসতি স্থাপন করেছেন সিরাজগঞ্জের চৌহালীর সোলায়মান ব্যাপারী। বছরখানেক আগে এই দখলের ঘটনা ঘটলেও স্থানীয় ভূমি কার্যালয় থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, এমনকি কোনো তথ্যও নেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৪ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৬ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

কাজের সন্ধানে এসে সাভার ও ধামরাইয়ের সীমানা দিয়ে প্রবহমান বংশী নদীর তীরে প্রায় ৮ শতাংশ খাসজমিতে বসতি স্থাপন করেছেন সিরাজগঞ্জের চৌহালীর সোলায়মান ব্যাপারী। বছরখানেক আগে এই দখলের ঘটনা ঘটলেও স্থানীয় ভূমি কার্যালয় থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, এমনকি কোনো তথ্যও নেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৪ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৩ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

কাজের সন্ধানে এসে সাভার ও ধামরাইয়ের সীমানা দিয়ে প্রবহমান বংশী নদীর তীরে প্রায় ৮ শতাংশ খাসজমিতে বসতি স্থাপন করেছেন সিরাজগঞ্জের চৌহালীর সোলায়মান ব্যাপারী। বছরখানেক আগে এই দখলের ঘটনা ঘটলেও স্থানীয় ভূমি কার্যালয় থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, এমনকি কোনো তথ্যও নেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৪ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৩ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৬ দিন আগে