সুলতান মাহমুদ

২০১০ সালের ৩ নভেম্বর শাহবাগ থেকে এক ব্যক্তিকে পাঁচ পিস ইয়াবাসহ আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। ২০১৫ সালের ৫ জুলাই তাঁকে ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাঁকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করেন। জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে আরও ১৫ দিনের কারাভোগের আদেশ দেন। ওই সময় আসামি পলাতক ছিলেন।
২০২০ সালের ২৬ অক্টোবর আসামি গ্রেপ্তার হন এবং একই বছরের ২ নভেম্বর জামিন পেয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আপিল করেন। আপিল শুনানির জন্য বিশেষ জজ আদালত-৬-এ মামলাটি বদলি হয়। আপিল শুনানিতে আইনজীবীর মাধ্যমে আসামি প্রবেশন আইন অনুযায়ী দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
এ সময় বিচারক কাঠগড়ায় দাঁড়ানো আসামির কাছে তাঁর ছেলেমেয়ে সম্পর্কে জানতে চান। আসামি বলেন, তাঁর এক ছেলে মাদ্রাসায় হাফেজি পড়ে, আর মেয়ে ছোট। বিচারক বলেন, ‘ছেলে হাফেজি পড়াচ্ছেন। আপনি মারা গেলে সে আপনার জানাজা পড়াবে। আপনার জন্য দোয়া করবে। আর আপনি ইয়াবা মামলার আসামি।’ তখন আসামি নিশ্চুপ থাকেন। বিচারকের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে আসামি বলেন, ‘আমি মাদ্রাসা থেকে ফাজিল পাস করেছি।’ এরপর বিচারক বলেন, ‘ছেলে মাদ্রাসায় হাফেজি পড়ে, আপনি ফাজিল পাস। কেন ইয়াবার মামলার আসামি হলেন? আসামি বলেন, ‘স্যার আমাকে ইয়াবা দিয়ে মামলা দিয়েছে।’
বিচারক প্রশ্ন করেন, ‘পবিত্র কোরআনের কোন সুরায় মাদক সম্পর্কে বলা আছে জানেন?’ আসামি আবারও নিশ্চুপ থাকেন। আদালত তখন বলেন, ‘সুরা বাকারা, মায়েদা ও নিছা ভালো করে পড়বেন। মাদক সম্পর্কে তিনটি সুরায় বলা আছে। এরপর বিচারক বলেন, ‘আপনার সাজা স্থগিত করা হলো। যে আদেশ দেওয়া হয়েছে, সেটা মেনে চলবেন। সমাজসেবা দপ্তরের প্রবেশন অফিসারের তত্ত্বাবধানে থেকে এই কাজগুলো করবেন। যদি না করেন, তাহলে আবার সাজা পুনর্বহাল করা হবে। আর প্রবেশন অফিসার যদি আপনার কাজের সপক্ষে প্রতিবেদন না দেন, তাহলে আপনাকে সাজা খাটতে হবে।’
পবিত্র কোরআনের তিনটি সুরা ভালো করে পড়ার শর্তে আসামির সাজা স্থগিতের আদেশ দেন বিচারক। গত ৫ নভেম্বর তিনি এই আদেশ দেন। পাশাপাশি তাঁকে ৫০টি গাছ রোপণ এবং মাদ্রাসায় কিছু ধর্মীয় বই উপহার দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়। প্রবেশন অফিসার তাঁর এই কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করে আদালতে প্রতিবেদন দেবেন।
প্রবেশন অফিসার যদি ইতিবাচক প্রতিবেদন দেন, তাহলেও ওই আসামিকে পরে কখনো সাজা ভোগ করতে হবে কি না, জানতে চাইলে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সোলায়মান তুষার বলেন, ‘আদালত যে শর্তে আসামির সাজা স্থগিত করেছেন, সংশ্লিষ্ট প্রবেশন অফিসার যদি আদালেত সন্তোষজনক রিপোর্ট দেন, তাহলে আসামিকে ওই সাজা আর কখনো ভোগ করতে হবে না। অর্থাৎ, তাঁকে আর কারাগারে যেতে হবে না। কেননা, আদালত যে শর্ত তাঁকে দিয়েছিলেন, সেই শর্ত আসামি পূরণ করেছেন।’
প্রবেশন কী
প্রবেশন বলতে অপরাধীর শাস্তি স্থগিত রেখে, কারারুদ্ধ না করে বা কোনো প্রতিষ্ঠানে (সংশোধন কেন্দ্র) আবদ্ধ না করে সমাজে খাপ খাইয়ে চলার সুযোগ দেওয়াকে বোঝায়। প্রবেশন একটি অপ্রাতিষ্ঠানিক ও সামাজিক সংশোধন কার্যক্রম। এটি অপরাধীর বিশৃঙ্খল ও বেআইনি আচরণ সংশোধনের জন্য একটি সুনিয়ন্ত্রিত কর্ম পদ্ধতি। এর মাধ্যমে অপরাধীকে আবার অপরাধ করা থেকে বিরত রাখতে এবং একজন আইন মান্যকারী নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়তা করা হয়।
প্রবেশন সুবিধা পাবেন কারা
এক. দ্য প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অধ্যাদেশ অনুযায়ী, প্রথম অপরাধ সংঘটন বা লঘু অপরাধ করা।
দুই. শিশু আইন ২০১৩ অনুযায়ী, কোনো অপরাধ করে আইনের আওতায় আসা শিশু।
তিন. কারাগারে আটক সাজাপ্রাপ্ত নারীদের বিশেষ সুবিধা আইন ২০০৬ অনুয়ায়ী সুবিধাপ্রাপ্তির যোগ্য নারী।
বিশেষ সুবিধা আইনে যা বলা আছে:
ক. কয়েদি শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি
খ. বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ যেমন—ব্লক বা বাটিক, সূচিশিল্প, হেয়ার কাটিং, বাঁশ ও বেতের কাজ, দরজিবিজ্ঞান, কাপড়ের ফুল তৈরি ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান
গ. কারাগারের অভ্যন্তরে থাকাকালীন বিভিন্ন ট্রেড কোর্সে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কয়েদিকে কারাদণ্ড ভোগের পর সমাজে সামাজিকভাবে পুনর্বাসিত করার জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক আফটার কেয়ার সার্ভিস প্রদান
ঘ. সরকার কর্তৃক, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা বিশেষ সুবিধা হিসাবে ঘোষিত অন্য যেকোনো সুবিধা
প্রবেশন বিষয়ে আইনে যা আছে
দ্য প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অধ্যাদেশ, ১৯৬০ (১৯৬৪ সংশোধিত)-এর ৪ ধারা অনুযায়ী, আগে দণ্ড বা শাস্তি পাননি কিংবা দুই বছরের বেশি মেয়াদে দণ্ড হবে না এমন অপরাধ এবং আসামির ক্ষেত্রে প্রবেশন প্রযোজ্য হবে। তবে এ ক্ষেত্রে আসামির বয়স, চরিত্র, তার সামাজিক ও পারিবারিক ইতিহাস, দৈহিক কিংবা মানসিক অবস্থা এবং অপরাধের ধরন বা অপরাধ সংঘটিত হওয়ার প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বিচারক শর্তসাপেক্ষে এটি প্রয়োগ করতে পারেন।
দ্য প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অধ্যাদেশ ও ২০১৯ সালের সুপ্রিম কোর্টের পরিপত্র অনুযায়ী, এ ধরনের প্রবেশন মঞ্জুর করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক বা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রবেশন কর্মকর্তার উপস্থিতি নিশ্চিত করে, তাঁর অধীনে আসামিকে ন্যস্ত করবেন। আসামি ওই কর্মকর্তার অধীনে দণ্ডের মেয়াদ পর্যন্ত তদারকিতে থাকবেন।
তবে এই অধ্যাদেশের ৫ ধারা অনুযায়ী, মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হওয়ার মতো কিংবা গুরুতর কোনো অপরাধের ক্ষেত্রে প্রবেশন প্রযোজ্য হবে না।
অধ্যাদেশের ৬ ধারার বিধান অনুযায়ী, আদালত যুক্তিসংগত মনে করলে অন্য কোনো শাস্তি না দিয়ে অপরাধীর হাতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং মামলার খরচ পরিশোধের আদেশও দিতে পারবেন।
প্রবেশনের ওপর আপিল বিভাগের রায়
‘নুর মোহাম্মদ বনাম সরকার এবং অন্যান্য’ শীর্ষক এক মামলায় ২০২১ সালের ২৮ জানুয়ারি আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ে ১৯৬০ সালের দ্য প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অধ্যাদেশের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। রায়ে বলা হয়, বাংলাদেশে ৬২ শতাংশের বেশি মানুষ গ্রামে বাস করে, যেখানে মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক শহরের তুলনায় বেশি। তাদের মধ্যে ছোটখাটো ঝগড়াবিবাদও বেশি হয়।
রায়ে আপিল বিভাগ বলেন, ‘দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করা যাচ্ছে যে, বিচারিক আদালতের বিচারক ও আপিল আদালতের বিচারক সম্পূর্ণরূপে ভুলে গেছেন যে, আমাদের দেশে দ্য প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অরডিন্যান্স, ১৯৬০ নামে একটি আইন আছে। বর্তমান মামলার প্রেক্ষাপটে সেই আইনের ৫ ধারা প্রয়োগযোগ্য।’
‘মামলার বিষয়বস্তু থেকে প্রতীয়মান হয় যে, এ ঘটনা ঘটেছিল দুই প্রতিবেশীর মধ্যে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে। এসব ক্ষেত্রে আসামিকে এক বছরের জন্য জেলে না পাঠিয়ে প্রবেশনে রাখা সমীচীন ছিল। যেহেতু দণ্ডবিধির ৩২৩ ও ৩২৫ ধারা আপসযোগ্য অপরাধ এবং দুই পক্ষ হচ্ছে পরস্পর আত্মীয়/প্রতিবেশী। কাজেই মামলাটি আপস-মীমাংসায় যুক্তিযুক্ত ছিল।’ যোগ করেন আপিল বিভাগ।
মামলার সার সংক্ষেপ, আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৪৭ / ১৪৮ / ১৪৯ / ৩২৩ / ৩২৪ / ৩২৫ / ৩২৬ / ৩০৭ / ৩৫৪ / ৩৪ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। আদালতে দণ্ডবিধির ৩২৩ / ৩২৪ / ৩২৫ / ৩২৬ / ৩০৭ / ৩৪ / ১৪৭ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়। বিচার শেষে আসামি নূর মোহাম্মদকে ৩২৫ ধারার অপরাধের জন্য এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৩২৩ ধারার অপরাধের জন্য ২ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অন্য আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদের সাজা ও জরিমানার রায় দেন।
রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করলে তা খারিজ হয়ে যায়। এরপর আসামিরা হাইকোর্ট বিভাগে ক্রিমিনাল রিভিশন দায়ের করলে সেটিও শুনানি শেষে খারিজ হয়। হাইকোর্ট বিভাগের ওই খারিজ আদেশে সংক্ষুব্ধ হয়ে আসামি নুর মোহাম্মদ ক্রিমিনাল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল করেন। আপিল বিভাগ এই মামলার রায়ে উল্লেখ করেন, তুচ্ছ ঘটনা থেকে উদ্ভূত এই মামলায় আসামিকে এক বছরের জন্য জেলে না পাঠিয়ে প্রবেশনে রাখা সমীচীন ছিল। এরপর আপিল বিভাগ নুর মোহাম্মদকে দোষী সাব্যস্তের আদেশ এবং জরিমানা বহাল রেখে তিনি যত দিন কারা ভোগ করেছেন তত দিনই তাঁর দণ্ড হিসেবে গণ্য করার আদেশ দেন।
স-সম্পাদক, আজকের পত্রিকা

২০১০ সালের ৩ নভেম্বর শাহবাগ থেকে এক ব্যক্তিকে পাঁচ পিস ইয়াবাসহ আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। ২০১৫ সালের ৫ জুলাই তাঁকে ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাঁকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করেন। জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে আরও ১৫ দিনের কারাভোগের আদেশ দেন। ওই সময় আসামি পলাতক ছিলেন।
২০২০ সালের ২৬ অক্টোবর আসামি গ্রেপ্তার হন এবং একই বছরের ২ নভেম্বর জামিন পেয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আপিল করেন। আপিল শুনানির জন্য বিশেষ জজ আদালত-৬-এ মামলাটি বদলি হয়। আপিল শুনানিতে আইনজীবীর মাধ্যমে আসামি প্রবেশন আইন অনুযায়ী দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
এ সময় বিচারক কাঠগড়ায় দাঁড়ানো আসামির কাছে তাঁর ছেলেমেয়ে সম্পর্কে জানতে চান। আসামি বলেন, তাঁর এক ছেলে মাদ্রাসায় হাফেজি পড়ে, আর মেয়ে ছোট। বিচারক বলেন, ‘ছেলে হাফেজি পড়াচ্ছেন। আপনি মারা গেলে সে আপনার জানাজা পড়াবে। আপনার জন্য দোয়া করবে। আর আপনি ইয়াবা মামলার আসামি।’ তখন আসামি নিশ্চুপ থাকেন। বিচারকের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে আসামি বলেন, ‘আমি মাদ্রাসা থেকে ফাজিল পাস করেছি।’ এরপর বিচারক বলেন, ‘ছেলে মাদ্রাসায় হাফেজি পড়ে, আপনি ফাজিল পাস। কেন ইয়াবার মামলার আসামি হলেন? আসামি বলেন, ‘স্যার আমাকে ইয়াবা দিয়ে মামলা দিয়েছে।’
বিচারক প্রশ্ন করেন, ‘পবিত্র কোরআনের কোন সুরায় মাদক সম্পর্কে বলা আছে জানেন?’ আসামি আবারও নিশ্চুপ থাকেন। আদালত তখন বলেন, ‘সুরা বাকারা, মায়েদা ও নিছা ভালো করে পড়বেন। মাদক সম্পর্কে তিনটি সুরায় বলা আছে। এরপর বিচারক বলেন, ‘আপনার সাজা স্থগিত করা হলো। যে আদেশ দেওয়া হয়েছে, সেটা মেনে চলবেন। সমাজসেবা দপ্তরের প্রবেশন অফিসারের তত্ত্বাবধানে থেকে এই কাজগুলো করবেন। যদি না করেন, তাহলে আবার সাজা পুনর্বহাল করা হবে। আর প্রবেশন অফিসার যদি আপনার কাজের সপক্ষে প্রতিবেদন না দেন, তাহলে আপনাকে সাজা খাটতে হবে।’
পবিত্র কোরআনের তিনটি সুরা ভালো করে পড়ার শর্তে আসামির সাজা স্থগিতের আদেশ দেন বিচারক। গত ৫ নভেম্বর তিনি এই আদেশ দেন। পাশাপাশি তাঁকে ৫০টি গাছ রোপণ এবং মাদ্রাসায় কিছু ধর্মীয় বই উপহার দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়। প্রবেশন অফিসার তাঁর এই কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করে আদালতে প্রতিবেদন দেবেন।
প্রবেশন অফিসার যদি ইতিবাচক প্রতিবেদন দেন, তাহলেও ওই আসামিকে পরে কখনো সাজা ভোগ করতে হবে কি না, জানতে চাইলে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সোলায়মান তুষার বলেন, ‘আদালত যে শর্তে আসামির সাজা স্থগিত করেছেন, সংশ্লিষ্ট প্রবেশন অফিসার যদি আদালেত সন্তোষজনক রিপোর্ট দেন, তাহলে আসামিকে ওই সাজা আর কখনো ভোগ করতে হবে না। অর্থাৎ, তাঁকে আর কারাগারে যেতে হবে না। কেননা, আদালত যে শর্ত তাঁকে দিয়েছিলেন, সেই শর্ত আসামি পূরণ করেছেন।’
প্রবেশন কী
প্রবেশন বলতে অপরাধীর শাস্তি স্থগিত রেখে, কারারুদ্ধ না করে বা কোনো প্রতিষ্ঠানে (সংশোধন কেন্দ্র) আবদ্ধ না করে সমাজে খাপ খাইয়ে চলার সুযোগ দেওয়াকে বোঝায়। প্রবেশন একটি অপ্রাতিষ্ঠানিক ও সামাজিক সংশোধন কার্যক্রম। এটি অপরাধীর বিশৃঙ্খল ও বেআইনি আচরণ সংশোধনের জন্য একটি সুনিয়ন্ত্রিত কর্ম পদ্ধতি। এর মাধ্যমে অপরাধীকে আবার অপরাধ করা থেকে বিরত রাখতে এবং একজন আইন মান্যকারী নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়তা করা হয়।
প্রবেশন সুবিধা পাবেন কারা
এক. দ্য প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অধ্যাদেশ অনুযায়ী, প্রথম অপরাধ সংঘটন বা লঘু অপরাধ করা।
দুই. শিশু আইন ২০১৩ অনুযায়ী, কোনো অপরাধ করে আইনের আওতায় আসা শিশু।
তিন. কারাগারে আটক সাজাপ্রাপ্ত নারীদের বিশেষ সুবিধা আইন ২০০৬ অনুয়ায়ী সুবিধাপ্রাপ্তির যোগ্য নারী।
বিশেষ সুবিধা আইনে যা বলা আছে:
ক. কয়েদি শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি
খ. বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ যেমন—ব্লক বা বাটিক, সূচিশিল্প, হেয়ার কাটিং, বাঁশ ও বেতের কাজ, দরজিবিজ্ঞান, কাপড়ের ফুল তৈরি ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান
গ. কারাগারের অভ্যন্তরে থাকাকালীন বিভিন্ন ট্রেড কোর্সে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কয়েদিকে কারাদণ্ড ভোগের পর সমাজে সামাজিকভাবে পুনর্বাসিত করার জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক আফটার কেয়ার সার্ভিস প্রদান
ঘ. সরকার কর্তৃক, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা বিশেষ সুবিধা হিসাবে ঘোষিত অন্য যেকোনো সুবিধা
প্রবেশন বিষয়ে আইনে যা আছে
দ্য প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অধ্যাদেশ, ১৯৬০ (১৯৬৪ সংশোধিত)-এর ৪ ধারা অনুযায়ী, আগে দণ্ড বা শাস্তি পাননি কিংবা দুই বছরের বেশি মেয়াদে দণ্ড হবে না এমন অপরাধ এবং আসামির ক্ষেত্রে প্রবেশন প্রযোজ্য হবে। তবে এ ক্ষেত্রে আসামির বয়স, চরিত্র, তার সামাজিক ও পারিবারিক ইতিহাস, দৈহিক কিংবা মানসিক অবস্থা এবং অপরাধের ধরন বা অপরাধ সংঘটিত হওয়ার প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বিচারক শর্তসাপেক্ষে এটি প্রয়োগ করতে পারেন।
দ্য প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অধ্যাদেশ ও ২০১৯ সালের সুপ্রিম কোর্টের পরিপত্র অনুযায়ী, এ ধরনের প্রবেশন মঞ্জুর করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক বা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রবেশন কর্মকর্তার উপস্থিতি নিশ্চিত করে, তাঁর অধীনে আসামিকে ন্যস্ত করবেন। আসামি ওই কর্মকর্তার অধীনে দণ্ডের মেয়াদ পর্যন্ত তদারকিতে থাকবেন।
তবে এই অধ্যাদেশের ৫ ধারা অনুযায়ী, মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হওয়ার মতো কিংবা গুরুতর কোনো অপরাধের ক্ষেত্রে প্রবেশন প্রযোজ্য হবে না।
অধ্যাদেশের ৬ ধারার বিধান অনুযায়ী, আদালত যুক্তিসংগত মনে করলে অন্য কোনো শাস্তি না দিয়ে অপরাধীর হাতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং মামলার খরচ পরিশোধের আদেশও দিতে পারবেন।
প্রবেশনের ওপর আপিল বিভাগের রায়
‘নুর মোহাম্মদ বনাম সরকার এবং অন্যান্য’ শীর্ষক এক মামলায় ২০২১ সালের ২৮ জানুয়ারি আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ে ১৯৬০ সালের দ্য প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অধ্যাদেশের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। রায়ে বলা হয়, বাংলাদেশে ৬২ শতাংশের বেশি মানুষ গ্রামে বাস করে, যেখানে মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক শহরের তুলনায় বেশি। তাদের মধ্যে ছোটখাটো ঝগড়াবিবাদও বেশি হয়।
রায়ে আপিল বিভাগ বলেন, ‘দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করা যাচ্ছে যে, বিচারিক আদালতের বিচারক ও আপিল আদালতের বিচারক সম্পূর্ণরূপে ভুলে গেছেন যে, আমাদের দেশে দ্য প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অরডিন্যান্স, ১৯৬০ নামে একটি আইন আছে। বর্তমান মামলার প্রেক্ষাপটে সেই আইনের ৫ ধারা প্রয়োগযোগ্য।’
‘মামলার বিষয়বস্তু থেকে প্রতীয়মান হয় যে, এ ঘটনা ঘটেছিল দুই প্রতিবেশীর মধ্যে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে। এসব ক্ষেত্রে আসামিকে এক বছরের জন্য জেলে না পাঠিয়ে প্রবেশনে রাখা সমীচীন ছিল। যেহেতু দণ্ডবিধির ৩২৩ ও ৩২৫ ধারা আপসযোগ্য অপরাধ এবং দুই পক্ষ হচ্ছে পরস্পর আত্মীয়/প্রতিবেশী। কাজেই মামলাটি আপস-মীমাংসায় যুক্তিযুক্ত ছিল।’ যোগ করেন আপিল বিভাগ।
মামলার সার সংক্ষেপ, আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৪৭ / ১৪৮ / ১৪৯ / ৩২৩ / ৩২৪ / ৩২৫ / ৩২৬ / ৩০৭ / ৩৫৪ / ৩৪ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। আদালতে দণ্ডবিধির ৩২৩ / ৩২৪ / ৩২৫ / ৩২৬ / ৩০৭ / ৩৪ / ১৪৭ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়। বিচার শেষে আসামি নূর মোহাম্মদকে ৩২৫ ধারার অপরাধের জন্য এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৩২৩ ধারার অপরাধের জন্য ২ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অন্য আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদের সাজা ও জরিমানার রায় দেন।
রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করলে তা খারিজ হয়ে যায়। এরপর আসামিরা হাইকোর্ট বিভাগে ক্রিমিনাল রিভিশন দায়ের করলে সেটিও শুনানি শেষে খারিজ হয়। হাইকোর্ট বিভাগের ওই খারিজ আদেশে সংক্ষুব্ধ হয়ে আসামি নুর মোহাম্মদ ক্রিমিনাল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল করেন। আপিল বিভাগ এই মামলার রায়ে উল্লেখ করেন, তুচ্ছ ঘটনা থেকে উদ্ভূত এই মামলায় আসামিকে এক বছরের জন্য জেলে না পাঠিয়ে প্রবেশনে রাখা সমীচীন ছিল। এরপর আপিল বিভাগ নুর মোহাম্মদকে দোষী সাব্যস্তের আদেশ এবং জরিমানা বহাল রেখে তিনি যত দিন কারা ভোগ করেছেন তত দিনই তাঁর দণ্ড হিসেবে গণ্য করার আদেশ দেন।
স-সম্পাদক, আজকের পত্রিকা

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৭ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৭ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
২০ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
২০ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

২০১০ সালের ৩ নভেম্বর শাহবাগ থেকে এক ব্যক্তিকে পাঁচ পিস ইয়াবাসহ আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। ২০১৫ সালের ৫ জুলাই তাঁকে ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাঁকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
৩০ নভেম্বর ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৭ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
২০ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
২০ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

২০১০ সালের ৩ নভেম্বর শাহবাগ থেকে এক ব্যক্তিকে পাঁচ পিস ইয়াবাসহ আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। ২০১৫ সালের ৫ জুলাই তাঁকে ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাঁকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
৩০ নভেম্বর ২০২৩
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৭ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
২০ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
২০ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

২০১০ সালের ৩ নভেম্বর শাহবাগ থেকে এক ব্যক্তিকে পাঁচ পিস ইয়াবাসহ আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। ২০১৫ সালের ৫ জুলাই তাঁকে ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাঁকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
৩০ নভেম্বর ২০২৩
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৭ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৭ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
২০ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

২০১০ সালের ৩ নভেম্বর শাহবাগ থেকে এক ব্যক্তিকে পাঁচ পিস ইয়াবাসহ আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। ২০১৫ সালের ৫ জুলাই তাঁকে ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাঁকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
৩০ নভেম্বর ২০২৩
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৭ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৭ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
২০ দিন আগে