কামরুল হাসান

দুদিন আগে মুন্সিগঞ্জের হাঁসাড়া কবরস্থানে গিয়েছিলাম। পাড়ার শেষ প্রান্তে সেই কবরখানা। পৃথিবীর সব ফুল সেখানে ফুটে আছে। লাল শিমুল ছেয়ে আছে কবরের ওপরে। আমের মুকুলে আগাম গুটিও ধরেছে। কান পাতলে মনে হয় মৃতেরা কথা বলছে।
কবরখানায় যেতে ভয় হয়, আমার মতো সেই ভয় হয়তো অনেকের আছে। আমরা তাই মৃত মানুষদের নিয়ে কোনো বিষোদ্গার করি না, কেবল স্তুতি করি। লোকে হয়তো সেটাই পছন্দ করে। কিন্তু সেই মানুষ যদি রাজনীতিবিদ হন? তবু!
আমার কাছে রাজনীতিবিদ মানে যাঁর কোনো আড়াল নেই, গোপন বিজন ঘরও নেই। তিনি হাটের লোকের মতো, তিনি বহুদূর থেকে হেঁটে আসা বাউলের মতো।
‘বহুদূর’ কথাটার মধ্যে একটি হাহাকার আছে, রাজনীতিবিদদের হয়তো তা-ও নেই। কিন্তু তাঁর জীবনে উত্থান-পতন আছে, ভালোমন্দ আছে। আছে ইতি ও নেতিবাচক দিক। কাজেই আমজনতা হিসেবে তাঁকে নিয়ে কথা বলা যেতেই পারে। সেই স্পর্ধায় আজ বলছি ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার গল্প।
ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার সঙ্গে আমার কস্মিনকালেও ব্যক্তিগত কোনো সম্পর্ক ছিল না। থাকার কথাও নয়। গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে যতটুকু দরকার, তার থেকে একচুলও বেশি কথা হয়নি কোনো দিন। কিন্তু নাজমুল হুদা ও তাঁর স্ত্রী সিগমা হুদাকে আমার মনে হতো মহিরুহ। বিরাট ল ফার্ম, নামজাদা আইনজীবী। ডজন ডজন আইনজীবী সেখানে কাজ করেন। স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা বড় মানুষ। কিন্তু সাংবাদিকতায় এসে যখন জানলাম,তাঁরা যে কয়টি গাড়ি ব্যবহার করেন, একটিরও কোনো কাগজপত্র নেই, ভুয়া নম্বরপ্লেট ব্যবহার করে দিনের পর দিন রাস্তায় চলছেন, তখন তার মূর্তি থেকে ভাবটুকু চলে গেল।
১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে শুনলাম, ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার সময় নাজমুল হুদা মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৪৩ সালের ৬ জানুয়ারি তাঁর জন্ম। সেই হিসাবে বয়স ৮০ বছর হওয়ার কথা। গড় বয়সের হিসাবে তিনি দীর্ঘায়ু ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পরদিন পুরোনো কাগজপত্র ঘাঁটতে গিয়ে একটি জবানবন্দি চোখের সামনে পড়ে গেল। ওয়ান-ইলেভেনের সময় গ্রেপ্তার হয়ে তিনি সেই জবানবন্দি দিয়েছিলেন। কোত্থেকে সেটা পেয়েছিলাম, মনে নেই। তবে সেই জবানবন্দিতে নিজের সম্পর্কে তাঁর কিছু উপলব্ধি ছিল। এত দিন পর মনে হলো ‘আষাঢ়ে নয়’ এর পাঠকদের এটা জানানো উচিত।
নাজমুল হুদার জবানবন্দিতে নিজের জন্ম, শিক্ষা, পরিবার, বেড়ে ওঠা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আছে। কিন্তু আজকাল এসব তথ্য পাওয়া মোটেও কঠিন কিছু নয়। ল্যারি পেজের গুগল নামে একটি অনাথ আশ্রম আছে, সেখানে সার্চ দিলেই গেরস্তের গোলায় রাখা ধানের মতো গড়গড় করে সব তথ্য বেরিয়ে আসে। তবু যেটুকু না বললেই নয়, সেটুকু বলি।
জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে জাগদল গঠন করলে হুদা সেই দলে যোগ দেন। ১৯৭৮ বিএনপি হলে তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকারের তথ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। এরপর ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ছিলেন যোগাযোগমন্ত্রী। ওয়ান-ইলেভেনের সময় তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির তিনটি মামলা হয়। ২০১০ সালের ২১ নভেম্বর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যখন তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করেন, তখন তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।
২০১১ সালে আবার তাঁর সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ২০১২ সালে তিনি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন। পরে নাজমুল হুদা ও আবুল কালাম মিলে বিএনএফ গঠন করেন। কিন্তু কয়েক মাস পর কালাম তাঁকে বহিষ্কার করেন। এরপর তিনি বাংলাদেশ জাতীয় জোট এবং মানবাধিকার পার্টি নামে দুটি দল গঠন করেন। তাতেও শেষ হয়নি, ২০১৫ সালে গঠন করেন তৃণমূল বিএনপি। নির্বাচন কমিশন সেই তৃণমূল বিএনপিকে নিবন্ধনও দিয়েছিল। কিন্তু নাজমুল হুদা আর শেষ দেখে যেতে পারেননি।
২০০৭ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে বাঘা বাঘা ১৫ জন রাজনীতিকের সঙ্গে নাজমুল হুদাকেও গ্রেপ্তার করা হলো। সেনাশাসিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শুরুতে প্রথম যে ৫০ জন দুর্নীতিবাজের তালিকা প্রকাশ করা হয়, তার ১৮ নম্বরে ছিল হুদার নাম। গ্রেপ্তারের পর তাঁর ধানমন্ডির বাড়ি তল্লাশি হলো। পাওয়া গেল অনেক কিছু। ৫ ফেব্রুয়ারি তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। নাজমুল হুদাকে দেখে হাউমাউ করে কাঁদলেন স্ত্রী সিগমা হুদা।
এরপর তদন্ত শুরু হলো। অভিযোগ উঠল, যোগাযোগমন্ত্রী থাকার সময় হুদা ৩০ কোটি টাকার সরকারি কাজ পাইয়ে দিতে মীর জহির হোসেন নামের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে আড়াই কোটি টাকা ঘুষ নেন। এ মামলায় তাঁর সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হলো। পরে অবশ্য উচ্চ আদালত তাঁর সাজার মেয়াদ কমিয়ে চার বছর করে দেন।
গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ নামের আরেক ব্যক্তি হুদা ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেন। পরে হাইকোর্ট তা বাতিল করেন। অবশ্য দুদকের করা মামলা থেকেও তিনি অব্যাহতি পান। কিন্তু হুদার বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ কম ছিল না।
গ্রেপ্তারের পর রংপুর কারাগারে থাকার সময় ২০০৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি হুদা ওই জবানবন্দি দেন। তাতে বলেন, যৌথ বাহিনীর অভিযানের সময় তাঁর বাড়ি থেকে যে টাকা উদ্ধার করা হয়, তা ছিল ‘ওকালতির কাঁচা পয়সা’। সেই জবানবন্দিতে তিনি ধানমন্ডিতে তাঁর একটি বাড়ি, গুলশানে পাঁচ কাঠার প্লট, বকশীবাজারে পরিবারের নামে থাকা জমির কথা বলেন। আরও বলেন, তোপখানা রোডের মেহেরবা প্লাজায় স্ত্রীর নামে জায়গা আছে, গ্রামের বাড়িতেও আছে দালানকোঠা ও বাগানবাড়ি। অস্থাবর সম্পত্তি বলতে তিনি একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ, একটি জিপ, একটি নিশান প্যাট্রল জিপ, টয়োটা কার ও আসবাবের কথা উল্লেখ করেছিলেন। নিজের নামে, ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট থাকলেও তাতে কত টাকা আছে, তা আর উল্লেখ করেননি। তবে দুই মেয়ে অন্তরা সামিলা ও শ্রাবন্তী আমিনার নামে একটি ফ্ল্যাট আছে বলে জানিয়েছিলেন।
১৫ পৃষ্ঠার সেই জবানবন্দি শেষের দিকে এসে নাজমুল হুদা বলেছিলেন, ‘রাজনীতির নোংরা আবর্জনা আমাকে দুর্নীতিবাজ বানিয়েছে, আমাকে কলঙ্কিত করেছে, সুনাম এবং ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। উঠতে-বসতে আমি যে দুর্নীতিবাজ, তা শুনতে হয়েছে। আমার জীবনের যা ক্ষতি হয়েছে, তা এই সভ্য সমাজে পূরণীয় নয়।’
এত বছর পর হুদার সেই জবানবন্দি পড়তে গিয়ে মনে হলো, হয়তো তাঁর কথাই ঠিক, আবার মনে হলো, ঠিক না। হুদা লিখেছেন, ‘আমার সবই ছিল। কোনো কিছুর অভাব ছিল না। উপার্জন ছিল। বাড়ি ছিল। গাড়ি ছিল। পরিবারে সুখ ছিল। কিন্তু ‘‘কে যেন’’ রাজনীতিতে টেনে এনে সব নষ্ট করে দিল। এখন ভাবছি, এ পথে কেন এলাম?’
এই ‘কে যেন’টা কোন জন? সেটা কি লোভ নাকি উচ্চাকাঙ্ক্ষা? সেই প্রশ্নের জবাব হয়তো নাজমুল হুদা দিতে পারতেন। কিন্তু সেই সুযোগ তো আর নেই। হা হতোস্মি।
আরও পড়ুন

দুদিন আগে মুন্সিগঞ্জের হাঁসাড়া কবরস্থানে গিয়েছিলাম। পাড়ার শেষ প্রান্তে সেই কবরখানা। পৃথিবীর সব ফুল সেখানে ফুটে আছে। লাল শিমুল ছেয়ে আছে কবরের ওপরে। আমের মুকুলে আগাম গুটিও ধরেছে। কান পাতলে মনে হয় মৃতেরা কথা বলছে।
কবরখানায় যেতে ভয় হয়, আমার মতো সেই ভয় হয়তো অনেকের আছে। আমরা তাই মৃত মানুষদের নিয়ে কোনো বিষোদ্গার করি না, কেবল স্তুতি করি। লোকে হয়তো সেটাই পছন্দ করে। কিন্তু সেই মানুষ যদি রাজনীতিবিদ হন? তবু!
আমার কাছে রাজনীতিবিদ মানে যাঁর কোনো আড়াল নেই, গোপন বিজন ঘরও নেই। তিনি হাটের লোকের মতো, তিনি বহুদূর থেকে হেঁটে আসা বাউলের মতো।
‘বহুদূর’ কথাটার মধ্যে একটি হাহাকার আছে, রাজনীতিবিদদের হয়তো তা-ও নেই। কিন্তু তাঁর জীবনে উত্থান-পতন আছে, ভালোমন্দ আছে। আছে ইতি ও নেতিবাচক দিক। কাজেই আমজনতা হিসেবে তাঁকে নিয়ে কথা বলা যেতেই পারে। সেই স্পর্ধায় আজ বলছি ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার গল্প।
ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার সঙ্গে আমার কস্মিনকালেও ব্যক্তিগত কোনো সম্পর্ক ছিল না। থাকার কথাও নয়। গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে যতটুকু দরকার, তার থেকে একচুলও বেশি কথা হয়নি কোনো দিন। কিন্তু নাজমুল হুদা ও তাঁর স্ত্রী সিগমা হুদাকে আমার মনে হতো মহিরুহ। বিরাট ল ফার্ম, নামজাদা আইনজীবী। ডজন ডজন আইনজীবী সেখানে কাজ করেন। স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা বড় মানুষ। কিন্তু সাংবাদিকতায় এসে যখন জানলাম,তাঁরা যে কয়টি গাড়ি ব্যবহার করেন, একটিরও কোনো কাগজপত্র নেই, ভুয়া নম্বরপ্লেট ব্যবহার করে দিনের পর দিন রাস্তায় চলছেন, তখন তার মূর্তি থেকে ভাবটুকু চলে গেল।
১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে শুনলাম, ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার সময় নাজমুল হুদা মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৪৩ সালের ৬ জানুয়ারি তাঁর জন্ম। সেই হিসাবে বয়স ৮০ বছর হওয়ার কথা। গড় বয়সের হিসাবে তিনি দীর্ঘায়ু ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পরদিন পুরোনো কাগজপত্র ঘাঁটতে গিয়ে একটি জবানবন্দি চোখের সামনে পড়ে গেল। ওয়ান-ইলেভেনের সময় গ্রেপ্তার হয়ে তিনি সেই জবানবন্দি দিয়েছিলেন। কোত্থেকে সেটা পেয়েছিলাম, মনে নেই। তবে সেই জবানবন্দিতে নিজের সম্পর্কে তাঁর কিছু উপলব্ধি ছিল। এত দিন পর মনে হলো ‘আষাঢ়ে নয়’ এর পাঠকদের এটা জানানো উচিত।
নাজমুল হুদার জবানবন্দিতে নিজের জন্ম, শিক্ষা, পরিবার, বেড়ে ওঠা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আছে। কিন্তু আজকাল এসব তথ্য পাওয়া মোটেও কঠিন কিছু নয়। ল্যারি পেজের গুগল নামে একটি অনাথ আশ্রম আছে, সেখানে সার্চ দিলেই গেরস্তের গোলায় রাখা ধানের মতো গড়গড় করে সব তথ্য বেরিয়ে আসে। তবু যেটুকু না বললেই নয়, সেটুকু বলি।
জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে জাগদল গঠন করলে হুদা সেই দলে যোগ দেন। ১৯৭৮ বিএনপি হলে তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকারের তথ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। এরপর ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ছিলেন যোগাযোগমন্ত্রী। ওয়ান-ইলেভেনের সময় তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির তিনটি মামলা হয়। ২০১০ সালের ২১ নভেম্বর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যখন তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করেন, তখন তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।
২০১১ সালে আবার তাঁর সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ২০১২ সালে তিনি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন। পরে নাজমুল হুদা ও আবুল কালাম মিলে বিএনএফ গঠন করেন। কিন্তু কয়েক মাস পর কালাম তাঁকে বহিষ্কার করেন। এরপর তিনি বাংলাদেশ জাতীয় জোট এবং মানবাধিকার পার্টি নামে দুটি দল গঠন করেন। তাতেও শেষ হয়নি, ২০১৫ সালে গঠন করেন তৃণমূল বিএনপি। নির্বাচন কমিশন সেই তৃণমূল বিএনপিকে নিবন্ধনও দিয়েছিল। কিন্তু নাজমুল হুদা আর শেষ দেখে যেতে পারেননি।
২০০৭ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে বাঘা বাঘা ১৫ জন রাজনীতিকের সঙ্গে নাজমুল হুদাকেও গ্রেপ্তার করা হলো। সেনাশাসিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শুরুতে প্রথম যে ৫০ জন দুর্নীতিবাজের তালিকা প্রকাশ করা হয়, তার ১৮ নম্বরে ছিল হুদার নাম। গ্রেপ্তারের পর তাঁর ধানমন্ডির বাড়ি তল্লাশি হলো। পাওয়া গেল অনেক কিছু। ৫ ফেব্রুয়ারি তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। নাজমুল হুদাকে দেখে হাউমাউ করে কাঁদলেন স্ত্রী সিগমা হুদা।
এরপর তদন্ত শুরু হলো। অভিযোগ উঠল, যোগাযোগমন্ত্রী থাকার সময় হুদা ৩০ কোটি টাকার সরকারি কাজ পাইয়ে দিতে মীর জহির হোসেন নামের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে আড়াই কোটি টাকা ঘুষ নেন। এ মামলায় তাঁর সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হলো। পরে অবশ্য উচ্চ আদালত তাঁর সাজার মেয়াদ কমিয়ে চার বছর করে দেন।
গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ নামের আরেক ব্যক্তি হুদা ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেন। পরে হাইকোর্ট তা বাতিল করেন। অবশ্য দুদকের করা মামলা থেকেও তিনি অব্যাহতি পান। কিন্তু হুদার বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ কম ছিল না।
গ্রেপ্তারের পর রংপুর কারাগারে থাকার সময় ২০০৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি হুদা ওই জবানবন্দি দেন। তাতে বলেন, যৌথ বাহিনীর অভিযানের সময় তাঁর বাড়ি থেকে যে টাকা উদ্ধার করা হয়, তা ছিল ‘ওকালতির কাঁচা পয়সা’। সেই জবানবন্দিতে তিনি ধানমন্ডিতে তাঁর একটি বাড়ি, গুলশানে পাঁচ কাঠার প্লট, বকশীবাজারে পরিবারের নামে থাকা জমির কথা বলেন। আরও বলেন, তোপখানা রোডের মেহেরবা প্লাজায় স্ত্রীর নামে জায়গা আছে, গ্রামের বাড়িতেও আছে দালানকোঠা ও বাগানবাড়ি। অস্থাবর সম্পত্তি বলতে তিনি একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ, একটি জিপ, একটি নিশান প্যাট্রল জিপ, টয়োটা কার ও আসবাবের কথা উল্লেখ করেছিলেন। নিজের নামে, ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট থাকলেও তাতে কত টাকা আছে, তা আর উল্লেখ করেননি। তবে দুই মেয়ে অন্তরা সামিলা ও শ্রাবন্তী আমিনার নামে একটি ফ্ল্যাট আছে বলে জানিয়েছিলেন।
১৫ পৃষ্ঠার সেই জবানবন্দি শেষের দিকে এসে নাজমুল হুদা বলেছিলেন, ‘রাজনীতির নোংরা আবর্জনা আমাকে দুর্নীতিবাজ বানিয়েছে, আমাকে কলঙ্কিত করেছে, সুনাম এবং ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। উঠতে-বসতে আমি যে দুর্নীতিবাজ, তা শুনতে হয়েছে। আমার জীবনের যা ক্ষতি হয়েছে, তা এই সভ্য সমাজে পূরণীয় নয়।’
এত বছর পর হুদার সেই জবানবন্দি পড়তে গিয়ে মনে হলো, হয়তো তাঁর কথাই ঠিক, আবার মনে হলো, ঠিক না। হুদা লিখেছেন, ‘আমার সবই ছিল। কোনো কিছুর অভাব ছিল না। উপার্জন ছিল। বাড়ি ছিল। গাড়ি ছিল। পরিবারে সুখ ছিল। কিন্তু ‘‘কে যেন’’ রাজনীতিতে টেনে এনে সব নষ্ট করে দিল। এখন ভাবছি, এ পথে কেন এলাম?’
এই ‘কে যেন’টা কোন জন? সেটা কি লোভ নাকি উচ্চাকাঙ্ক্ষা? সেই প্রশ্নের জবাব হয়তো নাজমুল হুদা দিতে পারতেন। কিন্তু সেই সুযোগ তো আর নেই। হা হতোস্মি।
আরও পড়ুন

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮ হাজার ৫৯৭ জনকে। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
১ দিন আগে
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
৩ দিন আগে
জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
১২ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
১৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮ হাজার ৫৯৭ জনকে। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এ সারা দেশে ৮ হাজার ৫৯৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২ লাখ ৫৮ হাজার ১৬৮টি মোটরসাইকেল ও ২ লাখ ৬৪ হাজার ৪১১টি গাড়ি তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিকালে ৩ হাজার ৩৯৪টি অবৈধ মোটরসাইকেল আটক করা হয়।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ‘ফ্যাসিস্টদের’ দমনে ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ নামে বিশেষ অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী।

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮ হাজার ৫৯৭ জনকে। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এ সারা দেশে ৮ হাজার ৫৯৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২ লাখ ৫৮ হাজার ১৬৮টি মোটরসাইকেল ও ২ লাখ ৬৪ হাজার ৪১১টি গাড়ি তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিকালে ৩ হাজার ৩৯৪টি অবৈধ মোটরসাইকেল আটক করা হয়।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ‘ফ্যাসিস্টদের’ দমনে ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ নামে বিশেষ অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী।

দুদিন আগে মুন্সিগঞ্জের হাঁসাড়া কবরস্থানে গিয়েছিলাম। পাড়ার শেষ প্রান্তে সেই কবরখানা। পৃথিবীর সব ফুল সেখানে ফুটে আছে। লাল শিমুল ছেয়ে আছে কবরের ওপরে। আমের মুকুলে আগাম গুটিও ধরেছে। কান পাতলে মনে হয় মৃতেরা কথা বলছে।
০৪ মার্চ ২০২৩
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
৩ দিন আগে
জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
১২ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
১৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২৮ হাজার ৭৬৬টি মোটরসাইকেল ও ৪৩ হাজার ৩৫২টি গাড়ি তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিকালে ২৯১টি অবৈধ মোটরসাইকেল আটক করা হয়।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ‘ফ্যাসিস্টদের’ দমনে ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ নামে বিশেষ অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী।

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২৮ হাজার ৭৬৬টি মোটরসাইকেল ও ৪৩ হাজার ৩৫২টি গাড়ি তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিকালে ২৯১টি অবৈধ মোটরসাইকেল আটক করা হয়।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ‘ফ্যাসিস্টদের’ দমনে ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ নামে বিশেষ অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী।

দুদিন আগে মুন্সিগঞ্জের হাঁসাড়া কবরস্থানে গিয়েছিলাম। পাড়ার শেষ প্রান্তে সেই কবরখানা। পৃথিবীর সব ফুল সেখানে ফুটে আছে। লাল শিমুল ছেয়ে আছে কবরের ওপরে। আমের মুকুলে আগাম গুটিও ধরেছে। কান পাতলে মনে হয় মৃতেরা কথা বলছে।
০৪ মার্চ ২০২৩
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮ হাজার ৫৯৭ জনকে। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
১ দিন আগে
জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
১২ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
১৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
হাদিকে গুলির ঘটনায় মাস্ক পরা দুই তরুণ জড়িত বলে তাঁর সহযোদ্ধাদের সন্দেহ। তাঁদের দাবি, কয়েকদিন ধরে দুই তরুণ মাস্ক পরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হাদির সঙ্গে গণসংযোগে অংশ নিচ্ছেন। বার বার তাঁদের মাস্ক খুলতে বলা হলেও তাঁরা রাজি হননি। হাদিঘনিষ্ঠদের সন্দেহ, এই তরুণরা হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর গতিবিধি বোঝার জন্য তাঁর সঙ্গে যুক্ত হন।
দুজনের মধ্যে মাস্ক পরা একজন হাদির পাশে বসে আছে— এমন একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই তাকে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ হিসেবে দেখিয়েছেন। তবে মাস্ক করা এই তরুণই যে হাদিকে গুলি করেছেন, কিংবা এই তরুণই যে ফয়সাল, তা নিশ্চিত করে বলছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে ‘সন্দেহভাজন’ হিসেবে শনাক্ত একজনের ছবি প্রকাশ করে ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ডিএমপির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট এলাকায় মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তদের হামলায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি গুরুতর আহত হন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেফতারে রাজধানীতে জোর অভিযান পরিচালনা করছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ছবির ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করা গেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তাকে হন্য হয়ে খুঁজছে। উক্ত ব্যক্তি সম্পর্কে কোন তথ্য থাকলে বা তার সন্ধান পেলে দ্রুত নিম্নলিখিত মোবাইল নম্বর অথবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশকে জানানোর জন্য বিনীত অনুরোধ করা হলো।’
পুলিশের বিবৃতিতে এই তরুণের নাম উল্লেখ করা না হলেও ছবি দেখে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ বলে আন্দাজ করা যায়। এই তরুণকেও আগে হাদীর সঙ্গে দেখা গেছে। তবে গত কয়েকদিন ধরে হাদির সঙ্গে গণসংযোগে থাকা মাস্ক পরা তরুণটিই ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ এমন কোনো তথ্য পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত ৯ ডিসেম্বর বাংলামোটর এলাকায় হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনা শুনেছিলেন ফয়সাল করিম। সেই আলোচনার ছবিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ফয়সাল করিম নামের তরুণ কার্যক্রমনিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হন। তাঁর পুরো নাম ফয়সাল করিম দাউদ খান।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে গুলিবিদ্ধ হন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ওসমান হাদি। হাদিকে বহনকারী রিকশাকে অনুসরণ করে পেছন দিকে থেকে মোটরসাইকেলে এসে তাঁকে গুলি করে চলে যায় আততায়ীরা। হাদি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার নামে ওসমান হাদির প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁর সঙ্গে ফয়সাল করিমের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সেই ছবিগুলোতে থাকা ফয়সাল করিমের সঙ্গে মাস্ক পরা ব্যক্তির চেহারার কিছুটা সাদৃশ্য আছে। সেকারণে গুলি ছোড়ার ঘটনায় তাঁকে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এর মধ্যেই দুপুরে ডিএমপি সন্দেহভাজনকে শনাক্তের কথা জানায় এবং ওসমান হাদিকে গুলি করা ব্যক্তিকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

পেশাদারদের যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইনে ফয়সাল করিমের নামে প্রোফাইল আছে। সেখানে তিনি নিজেকে অ্যাপল সফট আইটি, ওয়াইসিইউ টেকনোলজি ও এনলিস্ট ওয়ার্ক নামে তিন প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
লিংকডইন প্রোফাইলের তথ্য অনুযায়ী, ফয়সাল করিম ২০১৩ সালে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটারবিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। পরে আরেকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এমবিএ করেছেন বলে সেখানে উল্লেখ রয়েছে।
২০২৪ সালে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারীদের দমনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা–কর্মীদের সঙ্গে মাঠে ছিলেন বলে ছাত্রলীগের সূত্র জানিয়েছে।
ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় নাম আসার পর ফয়সাল করিমের সঙ্গে আওয়ামী লীগ আমলে বাংলাদেশের দুইবারের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কিছু নেতার ছবি ফেসবুকে প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে হাদির সঙ্গে ঢাকা–৮ আসনে গণসংযোগ এবং বাংলামোটরে হাদির প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের আড্ডায় ফয়সালের অংশ নেওয়ার ছবিও ভাইরাল হয়েছে। অনেকে ধারণা করছেন, ফয়সাল করিম ওসমান হাদিকে বেশ কিছুদিন ধরে অনুসরণ করছিলেন।
২০১৬ সালে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সহযোগিতা ও সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ‘ব্যাটল অব ৭১’ নামে একটি কম্পিউটার গেম তৈরি করেছিল ফয়সাল করিমের মালিকানাধীন ওয়াইসিইউ টেকনোলজি লিমিটেড। সে বছরের নভেম্বরে ওই গেমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেসিসের তৎকালীন সভাপতি এবং পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারও উপস্থিত ছিলেন।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘আসনভিত্তিক নির্বাচন পরিচালনা ও সমন্বয়ক কমিটি’ করেছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ঢাকা–১২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এই আসনের সমন্বয়ক কমিটির সদস্য ছিলেন ফয়সাল করিম।
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকার আদাবরের বাইতুল আমান হাউজিং সোসাইটি এলাকায় ব্রিটিশ কলাম্বিয়া স্কুলের চতুর্থ তলায় অফিসে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুটের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আদাবর থানার মামলার প্রধান আসামি ছিলেন ফয়সাল করিম।
মামলা হওয়ার কিছুদিন পর ৭ নভেম্বর আদাবর এলাকা থেকে ফয়সাল করিমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাঁর কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও পাঁচটি গুলিও উদ্ধার করা হয়। ওই মামলায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান ফয়সাল করিম। জামিনের সময়সীমা বাড়াতে গত ১২ আগস্ট আবারও আবেদন করলে হাইকোর্ট নতুন করে তাঁর এক বছরের জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিনে থাকা অবস্থায় এবার তাঁর বিরুদ্ধে ওসমান হাদিকে গুলি করার অভিযোগ এল। এত অল্প সময়ের মধ্যে তিনি কীভাবে জামিন পেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কারণ, কোনো অপরাধমূলক কাজের প্রমাণ না থাকলেও অভ্যুত্থানের পর শুধু মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা সভা করায় গ্রেপ্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাংবাদিকের জামিন বারবার নাকচ করা হয়েছিল। আর এ রকম লুটের ঘটনায় দুটি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিকে এতো দ্রুত জামিন দেওয়া হলো কীভাবে, সেই প্রশ্ন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন আলোচনা–সমালোচনায় সরব।

জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
হাদিকে গুলির ঘটনায় মাস্ক পরা দুই তরুণ জড়িত বলে তাঁর সহযোদ্ধাদের সন্দেহ। তাঁদের দাবি, কয়েকদিন ধরে দুই তরুণ মাস্ক পরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হাদির সঙ্গে গণসংযোগে অংশ নিচ্ছেন। বার বার তাঁদের মাস্ক খুলতে বলা হলেও তাঁরা রাজি হননি। হাদিঘনিষ্ঠদের সন্দেহ, এই তরুণরা হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর গতিবিধি বোঝার জন্য তাঁর সঙ্গে যুক্ত হন।
দুজনের মধ্যে মাস্ক পরা একজন হাদির পাশে বসে আছে— এমন একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই তাকে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ হিসেবে দেখিয়েছেন। তবে মাস্ক করা এই তরুণই যে হাদিকে গুলি করেছেন, কিংবা এই তরুণই যে ফয়সাল, তা নিশ্চিত করে বলছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে ‘সন্দেহভাজন’ হিসেবে শনাক্ত একজনের ছবি প্রকাশ করে ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ডিএমপির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট এলাকায় মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তদের হামলায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি গুরুতর আহত হন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেফতারে রাজধানীতে জোর অভিযান পরিচালনা করছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ছবির ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করা গেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তাকে হন্য হয়ে খুঁজছে। উক্ত ব্যক্তি সম্পর্কে কোন তথ্য থাকলে বা তার সন্ধান পেলে দ্রুত নিম্নলিখিত মোবাইল নম্বর অথবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশকে জানানোর জন্য বিনীত অনুরোধ করা হলো।’
পুলিশের বিবৃতিতে এই তরুণের নাম উল্লেখ করা না হলেও ছবি দেখে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ বলে আন্দাজ করা যায়। এই তরুণকেও আগে হাদীর সঙ্গে দেখা গেছে। তবে গত কয়েকদিন ধরে হাদির সঙ্গে গণসংযোগে থাকা মাস্ক পরা তরুণটিই ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ এমন কোনো তথ্য পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত ৯ ডিসেম্বর বাংলামোটর এলাকায় হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনা শুনেছিলেন ফয়সাল করিম। সেই আলোচনার ছবিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ফয়সাল করিম নামের তরুণ কার্যক্রমনিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হন। তাঁর পুরো নাম ফয়সাল করিম দাউদ খান।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে গুলিবিদ্ধ হন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ওসমান হাদি। হাদিকে বহনকারী রিকশাকে অনুসরণ করে পেছন দিকে থেকে মোটরসাইকেলে এসে তাঁকে গুলি করে চলে যায় আততায়ীরা। হাদি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার নামে ওসমান হাদির প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁর সঙ্গে ফয়সাল করিমের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সেই ছবিগুলোতে থাকা ফয়সাল করিমের সঙ্গে মাস্ক পরা ব্যক্তির চেহারার কিছুটা সাদৃশ্য আছে। সেকারণে গুলি ছোড়ার ঘটনায় তাঁকে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এর মধ্যেই দুপুরে ডিএমপি সন্দেহভাজনকে শনাক্তের কথা জানায় এবং ওসমান হাদিকে গুলি করা ব্যক্তিকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

পেশাদারদের যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইনে ফয়সাল করিমের নামে প্রোফাইল আছে। সেখানে তিনি নিজেকে অ্যাপল সফট আইটি, ওয়াইসিইউ টেকনোলজি ও এনলিস্ট ওয়ার্ক নামে তিন প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
লিংকডইন প্রোফাইলের তথ্য অনুযায়ী, ফয়সাল করিম ২০১৩ সালে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটারবিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। পরে আরেকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এমবিএ করেছেন বলে সেখানে উল্লেখ রয়েছে।
২০২৪ সালে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারীদের দমনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা–কর্মীদের সঙ্গে মাঠে ছিলেন বলে ছাত্রলীগের সূত্র জানিয়েছে।
ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় নাম আসার পর ফয়সাল করিমের সঙ্গে আওয়ামী লীগ আমলে বাংলাদেশের দুইবারের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কিছু নেতার ছবি ফেসবুকে প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে হাদির সঙ্গে ঢাকা–৮ আসনে গণসংযোগ এবং বাংলামোটরে হাদির প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের আড্ডায় ফয়সালের অংশ নেওয়ার ছবিও ভাইরাল হয়েছে। অনেকে ধারণা করছেন, ফয়সাল করিম ওসমান হাদিকে বেশ কিছুদিন ধরে অনুসরণ করছিলেন।
২০১৬ সালে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সহযোগিতা ও সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ‘ব্যাটল অব ৭১’ নামে একটি কম্পিউটার গেম তৈরি করেছিল ফয়সাল করিমের মালিকানাধীন ওয়াইসিইউ টেকনোলজি লিমিটেড। সে বছরের নভেম্বরে ওই গেমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেসিসের তৎকালীন সভাপতি এবং পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারও উপস্থিত ছিলেন।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘আসনভিত্তিক নির্বাচন পরিচালনা ও সমন্বয়ক কমিটি’ করেছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ঢাকা–১২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এই আসনের সমন্বয়ক কমিটির সদস্য ছিলেন ফয়সাল করিম।
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকার আদাবরের বাইতুল আমান হাউজিং সোসাইটি এলাকায় ব্রিটিশ কলাম্বিয়া স্কুলের চতুর্থ তলায় অফিসে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুটের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আদাবর থানার মামলার প্রধান আসামি ছিলেন ফয়সাল করিম।
মামলা হওয়ার কিছুদিন পর ৭ নভেম্বর আদাবর এলাকা থেকে ফয়সাল করিমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাঁর কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও পাঁচটি গুলিও উদ্ধার করা হয়। ওই মামলায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান ফয়সাল করিম। জামিনের সময়সীমা বাড়াতে গত ১২ আগস্ট আবারও আবেদন করলে হাইকোর্ট নতুন করে তাঁর এক বছরের জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিনে থাকা অবস্থায় এবার তাঁর বিরুদ্ধে ওসমান হাদিকে গুলি করার অভিযোগ এল। এত অল্প সময়ের মধ্যে তিনি কীভাবে জামিন পেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কারণ, কোনো অপরাধমূলক কাজের প্রমাণ না থাকলেও অভ্যুত্থানের পর শুধু মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা সভা করায় গ্রেপ্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাংবাদিকের জামিন বারবার নাকচ করা হয়েছিল। আর এ রকম লুটের ঘটনায় দুটি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিকে এতো দ্রুত জামিন দেওয়া হলো কীভাবে, সেই প্রশ্ন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন আলোচনা–সমালোচনায় সরব।

দুদিন আগে মুন্সিগঞ্জের হাঁসাড়া কবরস্থানে গিয়েছিলাম। পাড়ার শেষ প্রান্তে সেই কবরখানা। পৃথিবীর সব ফুল সেখানে ফুটে আছে। লাল শিমুল ছেয়ে আছে কবরের ওপরে। আমের মুকুলে আগাম গুটিও ধরেছে। কান পাতলে মনে হয় মৃতেরা কথা বলছে।
০৪ মার্চ ২০২৩
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮ হাজার ৫৯৭ জনকে। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
১ দিন আগে
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
৩ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
১৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় করা হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
স্ত্রী লায়লা আফরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫) হত্যার ঘটনায় গতকাল মামলাটি করেন নাটোরের স্থায়ী বাসিন্দা আ জ ম আজিজুল ইসলাম। মামলায় কথিত গৃহকর্মী মোছা. আয়েশাকে (২০) একমাত্র আসামি করা হয়েছে। তবে এজাহারে তাঁর বাবার নাম ও ঠিকানায় ‘অজ্ঞাত’ লেখা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে মামলার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রকিবুজ্জামান তালুকদার। গতকাল সকাল ৭টা ৫১ মিনিট থেকে ৯টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে বাদী আজিজুল লিখেছেন, তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। মোহাম্মদপুরে পরিবার নিয়ে থাকেন। চার দিন আগে উল্লিখিত আসামি তাঁর বাসায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। গতকাল সকাল ৭টার দিকে তিনি (আজিজুল) তাঁর কর্মস্থল উত্তরায় চলে যান। কর্মস্থলে থাকাকালে তিনি তাঁর স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
পরে তিনি বেলা ১১টার দিকে বাসায় আসেন। এসে দেখতে পান, তাঁর স্ত্রীর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা। স্ত্রী রক্তাক্ত জখম হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন আর মেয়ের গলার নিচে ডান পাশে কাটা। মেয়ে গুরুতর অবস্থায় বাসার প্রধান ফটকে পড়ে আছে। মেয়ের এই অবস্থা দেখে তিনি দ্রুত তাকে উদ্ধার করেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মী আশিকের মাধ্যমে মেয়েকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
মামলায় আজিজুল আরও লিখেছেন, তিনি বাসার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করেন। এতে তিনি দেখতে পান, আসামি সকাল ৭টা ৫১ মিনিটের সময় কাজ করার জন্য বাসায় আসেন। সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের সময় আসামি তাঁর (বাদী) মেয়ের স্কুলড্রেস পরে বাসা থেকে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থসহ অন্যান্য মূলবান সামগ্রী নিয়ে যান আসামি।
মামলায় বাদী লিখেছেন, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তিনি নিশ্চিত হন যে, অজ্ঞাত কারণে আসামি তাঁর (বাদী) স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরি বা অন্য কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যা করেন।
মা-মেয়ে হত্যার আসামিকে শনাক্ত করা যায়নি। মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ জানায়, গৃহকর্মীর পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় করা হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
স্ত্রী লায়লা আফরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫) হত্যার ঘটনায় গতকাল মামলাটি করেন নাটোরের স্থায়ী বাসিন্দা আ জ ম আজিজুল ইসলাম। মামলায় কথিত গৃহকর্মী মোছা. আয়েশাকে (২০) একমাত্র আসামি করা হয়েছে। তবে এজাহারে তাঁর বাবার নাম ও ঠিকানায় ‘অজ্ঞাত’ লেখা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে মামলার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রকিবুজ্জামান তালুকদার। গতকাল সকাল ৭টা ৫১ মিনিট থেকে ৯টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে বাদী আজিজুল লিখেছেন, তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। মোহাম্মদপুরে পরিবার নিয়ে থাকেন। চার দিন আগে উল্লিখিত আসামি তাঁর বাসায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। গতকাল সকাল ৭টার দিকে তিনি (আজিজুল) তাঁর কর্মস্থল উত্তরায় চলে যান। কর্মস্থলে থাকাকালে তিনি তাঁর স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
পরে তিনি বেলা ১১টার দিকে বাসায় আসেন। এসে দেখতে পান, তাঁর স্ত্রীর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা। স্ত্রী রক্তাক্ত জখম হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন আর মেয়ের গলার নিচে ডান পাশে কাটা। মেয়ে গুরুতর অবস্থায় বাসার প্রধান ফটকে পড়ে আছে। মেয়ের এই অবস্থা দেখে তিনি দ্রুত তাকে উদ্ধার করেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মী আশিকের মাধ্যমে মেয়েকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
মামলায় আজিজুল আরও লিখেছেন, তিনি বাসার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করেন। এতে তিনি দেখতে পান, আসামি সকাল ৭টা ৫১ মিনিটের সময় কাজ করার জন্য বাসায় আসেন। সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের সময় আসামি তাঁর (বাদী) মেয়ের স্কুলড্রেস পরে বাসা থেকে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থসহ অন্যান্য মূলবান সামগ্রী নিয়ে যান আসামি।
মামলায় বাদী লিখেছেন, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তিনি নিশ্চিত হন যে, অজ্ঞাত কারণে আসামি তাঁর (বাদী) স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরি বা অন্য কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যা করেন।
মা-মেয়ে হত্যার আসামিকে শনাক্ত করা যায়নি। মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ জানায়, গৃহকর্মীর পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

দুদিন আগে মুন্সিগঞ্জের হাঁসাড়া কবরস্থানে গিয়েছিলাম। পাড়ার শেষ প্রান্তে সেই কবরখানা। পৃথিবীর সব ফুল সেখানে ফুটে আছে। লাল শিমুল ছেয়ে আছে কবরের ওপরে। আমের মুকুলে আগাম গুটিও ধরেছে। কান পাতলে মনে হয় মৃতেরা কথা বলছে।
০৪ মার্চ ২০২৩
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮ হাজার ৫৯৭ জনকে। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
১ দিন আগে
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
৩ দিন আগে
জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
১২ দিন আগে