তানিয়া সুলতানা
বিজেএস পরীক্ষার জন্য একটি সুসংগঠিত ও দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতি প্রয়োজন। অনার্স ও মাস্টার্সে যে বিষয়গুলো বিজেএসের সঙ্গে সম্পর্কিত, সেগুলো আগে শেষ করতে হবে। প্রথম দিকে প্রস্তুতি এলোমেলো মনে হতে পারে। কোথা থেকে শুরু করবেন, বুঝতে অসুবিধা হতে পারে। তাই মূল প্রস্তুতি শুরু করুন আইন বিষয় দিয়ে। যেহেতু আইন একাডেমিক বিষয়, তাই এ অংশে আলাদা গাইডলাইনের প্রয়োজন নেই।
সাধারণ জ্ঞানভিত্তিক বিষয়ের প্রস্তুতির জন্য প্রথমে বিজেএস পরীক্ষার সিলেবাস ডাউনলোড করে ভালোভাবে পড়ুন। এরপর বিগত বছরের প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ করুন—কোন কোন টপিক থেকে বেশি প্রশ্ন এসেছে, সেটি বুঝে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় বই নির্বাচন করুন। এরপর এক বছর বা তার বেশি সময় মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করুন।
অনার্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের করণীয়
আপনি যখন বিজেএস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেবেন, তখন অবশ্যই পরীক্ষার সিলেবাস সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে। আপনি যদি স্নাতকের শিক্ষার্থী হন; আপনার করণীয় হলো, বিজেএস সিলেবাসের সঙ্গে একাডেমিক যেসব বিষয়ের মিল রয়েছে, সেগুলো ভালোভাবে পড়া। এরপর চতুর্থ বর্ষ থেকে জেনারেল প্রস্তুতিতে মনোযোগ দিতে পারেন।
নতুনদের জন্য পরামর্শ
যেকোনো পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে প্রথমে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে যে আমি এ পরীক্ষার জন্য শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করতে প্রস্তুত। পড়ায় ক্লান্তি এলেও নতুন উদ্যমে আবার পড়তে হবে। ভবিষ্যতে যাঁরা বিচারক হতে চান, তাঁদের উচিত অনার্স থেকেই একাডেমিক পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়া। একই সঙ্গে নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস রাখা এবং হাল না ছাড়া। তাহলে সাফল্য লাভ করতে পারবেন।
প্রিলিতে উত্তীর্ণ হতে করণীয়
প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ৫০ নম্বর পেলে পাস। প্রিলিতে পাস করার জন্য আপনাকে অবশ্যই বিগত বছরের প্রশ্নগুলো বিশ্লেষণ করে বুঝতে হবে, কোন বিষয় থেকে কতটা প্রশ্ন আসে। এ ক্ষেত্রে ‘লিগ্যাম প্রশ্নব্যাংক’-এর সাহায্য নিতে পারেন। এখানে প্রশ্ন অ্যানালাইসিস সহজ করে দেওয়া রয়েছে। তারপর স্ট্রং ও উইক জোন সিলেক্ট করুন। স্ট্রং জোনগুলো বারবার রিভিশন দিন, যাতে কোনোভাবেই এখান থেকে নম্বর কাটা না যায়।
কোন বিষয়গুলো অল্প পড়ে বেশি নম্বর তোলা যায়, সেগুলো আয়ত্তে আনুন। অনেকের প্রিলিতে ফেল করার কারণ, লোভে বেশি দাগিয়ে ফেলা। আমার মনে হয়, ৭৫ থেকে ৮০টি দাগালে সেফ জোনে থাকা যায়। মুখস্থ বিষয়গুলো যেমন বাংলা বিরচন, বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্য—এগুলো প্রতিদিন অল্প হলেও রিভিশন দিন। আইন ভুলে যাওয়ার বিষয়। তাই আইন মনে রাখতে বারবার রিভিশনের বিকল্প নেই। জেনারেল অংশে কমন পেতে চাইলে ‘বিসিএস বিশেষ সংখ্যা’ বইটি অবশ্যই পড়বেন।
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে করণীয়
বিজেএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে ১০০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা মূল ভূমিকা পালন করে। লিখিত পরীক্ষার জন্য কোন বিষয়ের কোন ধারাগুলো পড়তে হবে, অনেকে বুঝতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে লিগ্যাম প্রশ্নব্যাংক প্রশ্ন অ্যানালাইসিসে সাহায্য করবে। আইন অংশের জন্য অবশ্যই বেয়ার অ্যাক্ট গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে। বেয়ার অ্যাক্টের পাশাপাশি বিজেএস রিটেন মাস্টার বইটিও অনুসরণ করা যায়।
লিখিত পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেতে অবশ্যই প্রতিটি প্রশ্নের জন্য সমান সময় দেওয়ার চেষ্টা করবেন। সঠিক Section/Rules/Order/ Article উল্লেখ করে লেখার চেষ্টা করবেন। পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লেখার চেষ্টা না করে প্রশ্নের সঙ্গে রিলেটেড Section/Rules/Order/Article—এসব সঠিকভাবে উল্লেখ করে উত্তর করলে খুব সুন্দরভাবে সময় মেইনটেইন করা যায়।
প্রবলেমেটিক প্রশ্নের উত্তর করার সময় fact-Issue-decision-reasoning—এভাবে লেখার চেষ্টা করবেন। বিজেএস লিখিত পরীক্ষায় প্রবলেমেটিক প্রশ্ন কমন পেতে জাস্টিস হামিদুল হকের ‘Trial of Civil Suits and Criminal Cases’ বইটি পড়বেন। একটা বিষয়ে কয়েকটি বই না পড়ে একই বই বারবার রিভিশন দেওয়ার চেষ্টা করুন। অন্যান্য রেফারেন্স বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলা মূল বইয়ে লিখে রাখার চেষ্টা করুন বা হ্যান্ডনোট বানান।
ভাইভায় ভালো করার উপায়
প্রথমে বিগত পরীক্ষাগুলাতে ভাইভা বোর্ডে যেসব প্রশ্ন করা হয়েছে, সেগুলা সংগ্রহ করে উত্তরসহ প্রিন্ট করুন। এসব প্রশ্নোত্তর কয়েকবার পড়লে ধারণা হবে যে মৌখিক পরীক্ষায় কোন ধরনের প্রশ্ন করা হয়। আইন অংশের জন্য বেয়ার অ্যাক্ট রিভিশন দিন। জেনারেল অংশের জন্য নিউজ শুনে আপডেটেড থাকুন। ভাইভা প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় কনফিডেন্টলি উত্তর দিন। উত্তর জানা না থাকলে ‘সরি স্যার, এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না’ বলুন।
বিজেএস পরীক্ষার জন্য একটি সুসংগঠিত ও দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতি প্রয়োজন। অনার্স ও মাস্টার্সে যে বিষয়গুলো বিজেএসের সঙ্গে সম্পর্কিত, সেগুলো আগে শেষ করতে হবে। প্রথম দিকে প্রস্তুতি এলোমেলো মনে হতে পারে। কোথা থেকে শুরু করবেন, বুঝতে অসুবিধা হতে পারে। তাই মূল প্রস্তুতি শুরু করুন আইন বিষয় দিয়ে। যেহেতু আইন একাডেমিক বিষয়, তাই এ অংশে আলাদা গাইডলাইনের প্রয়োজন নেই।
সাধারণ জ্ঞানভিত্তিক বিষয়ের প্রস্তুতির জন্য প্রথমে বিজেএস পরীক্ষার সিলেবাস ডাউনলোড করে ভালোভাবে পড়ুন। এরপর বিগত বছরের প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ করুন—কোন কোন টপিক থেকে বেশি প্রশ্ন এসেছে, সেটি বুঝে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় বই নির্বাচন করুন। এরপর এক বছর বা তার বেশি সময় মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করুন।
অনার্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের করণীয়
আপনি যখন বিজেএস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেবেন, তখন অবশ্যই পরীক্ষার সিলেবাস সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে। আপনি যদি স্নাতকের শিক্ষার্থী হন; আপনার করণীয় হলো, বিজেএস সিলেবাসের সঙ্গে একাডেমিক যেসব বিষয়ের মিল রয়েছে, সেগুলো ভালোভাবে পড়া। এরপর চতুর্থ বর্ষ থেকে জেনারেল প্রস্তুতিতে মনোযোগ দিতে পারেন।
নতুনদের জন্য পরামর্শ
যেকোনো পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে প্রথমে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে যে আমি এ পরীক্ষার জন্য শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করতে প্রস্তুত। পড়ায় ক্লান্তি এলেও নতুন উদ্যমে আবার পড়তে হবে। ভবিষ্যতে যাঁরা বিচারক হতে চান, তাঁদের উচিত অনার্স থেকেই একাডেমিক পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়া। একই সঙ্গে নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস রাখা এবং হাল না ছাড়া। তাহলে সাফল্য লাভ করতে পারবেন।
প্রিলিতে উত্তীর্ণ হতে করণীয়
প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ৫০ নম্বর পেলে পাস। প্রিলিতে পাস করার জন্য আপনাকে অবশ্যই বিগত বছরের প্রশ্নগুলো বিশ্লেষণ করে বুঝতে হবে, কোন বিষয় থেকে কতটা প্রশ্ন আসে। এ ক্ষেত্রে ‘লিগ্যাম প্রশ্নব্যাংক’-এর সাহায্য নিতে পারেন। এখানে প্রশ্ন অ্যানালাইসিস সহজ করে দেওয়া রয়েছে। তারপর স্ট্রং ও উইক জোন সিলেক্ট করুন। স্ট্রং জোনগুলো বারবার রিভিশন দিন, যাতে কোনোভাবেই এখান থেকে নম্বর কাটা না যায়।
কোন বিষয়গুলো অল্প পড়ে বেশি নম্বর তোলা যায়, সেগুলো আয়ত্তে আনুন। অনেকের প্রিলিতে ফেল করার কারণ, লোভে বেশি দাগিয়ে ফেলা। আমার মনে হয়, ৭৫ থেকে ৮০টি দাগালে সেফ জোনে থাকা যায়। মুখস্থ বিষয়গুলো যেমন বাংলা বিরচন, বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্য—এগুলো প্রতিদিন অল্প হলেও রিভিশন দিন। আইন ভুলে যাওয়ার বিষয়। তাই আইন মনে রাখতে বারবার রিভিশনের বিকল্প নেই। জেনারেল অংশে কমন পেতে চাইলে ‘বিসিএস বিশেষ সংখ্যা’ বইটি অবশ্যই পড়বেন।
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে করণীয়
বিজেএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে ১০০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা মূল ভূমিকা পালন করে। লিখিত পরীক্ষার জন্য কোন বিষয়ের কোন ধারাগুলো পড়তে হবে, অনেকে বুঝতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে লিগ্যাম প্রশ্নব্যাংক প্রশ্ন অ্যানালাইসিসে সাহায্য করবে। আইন অংশের জন্য অবশ্যই বেয়ার অ্যাক্ট গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে। বেয়ার অ্যাক্টের পাশাপাশি বিজেএস রিটেন মাস্টার বইটিও অনুসরণ করা যায়।
লিখিত পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেতে অবশ্যই প্রতিটি প্রশ্নের জন্য সমান সময় দেওয়ার চেষ্টা করবেন। সঠিক Section/Rules/Order/ Article উল্লেখ করে লেখার চেষ্টা করবেন। পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লেখার চেষ্টা না করে প্রশ্নের সঙ্গে রিলেটেড Section/Rules/Order/Article—এসব সঠিকভাবে উল্লেখ করে উত্তর করলে খুব সুন্দরভাবে সময় মেইনটেইন করা যায়।
প্রবলেমেটিক প্রশ্নের উত্তর করার সময় fact-Issue-decision-reasoning—এভাবে লেখার চেষ্টা করবেন। বিজেএস লিখিত পরীক্ষায় প্রবলেমেটিক প্রশ্ন কমন পেতে জাস্টিস হামিদুল হকের ‘Trial of Civil Suits and Criminal Cases’ বইটি পড়বেন। একটা বিষয়ে কয়েকটি বই না পড়ে একই বই বারবার রিভিশন দেওয়ার চেষ্টা করুন। অন্যান্য রেফারেন্স বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলা মূল বইয়ে লিখে রাখার চেষ্টা করুন বা হ্যান্ডনোট বানান।
ভাইভায় ভালো করার উপায়
প্রথমে বিগত পরীক্ষাগুলাতে ভাইভা বোর্ডে যেসব প্রশ্ন করা হয়েছে, সেগুলা সংগ্রহ করে উত্তরসহ প্রিন্ট করুন। এসব প্রশ্নোত্তর কয়েকবার পড়লে ধারণা হবে যে মৌখিক পরীক্ষায় কোন ধরনের প্রশ্ন করা হয়। আইন অংশের জন্য বেয়ার অ্যাক্ট রিভিশন দিন। জেনারেল অংশের জন্য নিউজ শুনে আপডেটেড থাকুন। ভাইভা প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় কনফিডেন্টলি উত্তর দিন। উত্তর জানা না থাকলে ‘সরি স্যার, এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না’ বলুন।
বর্তমান যুগে জ্ঞান বিনিময়ের অন্যতম কার্যকর মাধ্যম হলো প্রেজেন্টেশন। শিক্ষাঙ্গন থেকে শুরু করে করপোরেট দুনিয়া, প্রশাসনিক বৈঠক থেকে শুরু করে গবেষণা সম্মেলন—সব জায়গাতে একটি পরিষ্কার ও গোছানো প্রেজেন্টেশনের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। কিন্তু শুধু স্লাইড তৈরি করলেই একটি প্রভাবশালী প্রেজেন্টেশন হয় না।
২ দিন আগেবর্তমান প্রতিযোগিতামূলক সমাজে একজন শিক্ষার্থীর সফলতা শুধু পাঠ্যবই-নির্ভর নয়, এর পেছনে লুকিয়ে আছে একটি সুশৃঙ্খল জীবনধারা। একজন শিক্ষার্থীর লাইফস্টাইল যেমন হবে, তার ব্যক্তিত্ব ও ভবিষ্যৎ অনেকটা সেভাবেই গড়ে উঠবে। শিক্ষার্থীরা একটি সুস্থ জীবনধারা যেভাবে গড়ে তুলতে পারে, সে পরামর্শ দিয়েছেন...
১৯ দিন আগেবাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) রাজস্ব বাজেটভুক্ত শূন্য পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। নবম ও দশম গ্রেডে মোট ৯০টি শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
২৬ মার্চ ২০২৫জীবনে সফল হতে হলে একটি পরিষ্কার ও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকা প্রয়োজন। লক্ষ্য ছাড়া জীবনে কোনো সঠিক দিকনির্দেশনা পাওয়া যায় না। যেকোনো লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রথমে সেই লক্ষ্যকে মানসিকভাবে গ্রহণ করা এবং তার প্রতি অটুট মনোভাব রাখতে হবে। আপনি যদি নিশ্চিত না হন যে আপনার লক্ষ্য কী, তবে আপনার জীবনও লক্ষ্যহীন
০৬ মার্চ ২০২৫