আজকের পত্রিকা ডেস্ক
বিদেশি বিনিয়োগ নীতি শিথিল করার জন্য একটি খসড়া প্রস্তাব তৈরি করেছে ভারত সরকার। এই প্রস্তাব কার্যকর হলে আমাজনের মতো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো সরাসরি ভারতীয় বিক্রেতাদের কাছ থেকে পণ্য কিনে বিদেশি ক্রেতাদের কাছে তা বিক্রি করতে পারবে। বর্তমানে, ভারতে বিদেশি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেশে বা বিদেশে সরাসরি পণ্য বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয় না। তারা কেবল ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে পারে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই নীতি বহু বছর ধরে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মতবিরোধের একটি বড় কারণ ছিল। তবে রপ্তানির ক্ষেত্রে এই নিয়ম শিথিল করার জন্য ভারত সরকারের কাছে আমাজন লবিং করছিল বলে জানা গেছে। এদিকে, প্রস্তাবটি এমন এক সময়ে এসেছে, যখন ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র একটি বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে তাদের মতপার্থক্য দূর করার চেষ্টা করছে।
তবে এই প্রস্তাব নিয়ে ভারতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা একমত নন। খুচরা বিক্রেতাদের বিভিন্ন সংগঠন দাবি করেছে, সরকারের উচিত আমাজনের এই অনুরোধ খারিজ করে দেওয়া। তাদের যুক্তি হলো, আমাজনের মতো বৃহৎ কোম্পানির আর্থিক ক্ষমতা তাদের ব্যবসার জন্য হুমকি।
ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেডের (ডিজিএফটি) ১০ পৃষ্ঠার একটি অপ্রকাশিত প্রস্তাব বার্তা সংস্থা রয়টার্সের হাতে এসেছে। তাতে বলা হয়েছে, জটিল নিয়মকানুনের কারণে দেশের অভ্যন্তরে অনলাইনে বিক্রি করা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পণ্যের ১০ শতাংশের কম বিশ্বব্যাপী ই-কমার্স রপ্তানির অংশ হতে পারে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য প্রস্তাবে একটি ‘থার্ড-পার্টি এক্সপোর্ট ফ্যাসিলিটেশন মডেল’-এর কথা বলা হয়েছে, যেখানে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত একটি নির্দিষ্ট রপ্তানি সংস্থা সব নিয়মকানুনের দায়িত্ব নেবে। প্রস্তাবটি কার্যকর করতে হলে ভারতের মন্ত্রিসভার অনুমোদন প্রয়োজন হবে।
এ বিষয়ে জানতে ডিজিএফটি ও আমাজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। তবে তারা কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়নি।
আমাজন মনে করে, এই পদক্ষেপ ভারতীয় রপ্তানিকারকদের সহায়তা করবে। তবে লক্ষ লক্ষ খুচরা বিক্রেতার প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। সংগঠনটির জাতীয় সভাপতি বি সি ভার্টিয়া জানান, বিদেশি কোম্পানিগুলো এই নীতির অপব্যবহার করাসহ সরবরাহ শৃঙ্খলের ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ বেড়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, ‘এটি একটি পিচ্ছিল ঢাল তৈরি করবে, ফলে পণ্যগুলো সত্যিই রপ্তানির উদ্দেশ্যে নাকি অভ্যন্তরীণ বাজারে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে, তা পর্যবেক্ষণ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে।’
ডিজিএফটির খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এই শিথিল নিয়মগুলো কেবল রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। যদি নীতির কোনো লঙ্ঘন ঘটে, তবে কঠোর শাস্তি এবং ফৌজদারি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারা এই মডেল পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার এবং পর্যালোচনার পর এর পরিধি বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে।
গত ডিসেম্বরে আমাজন জানায়, ২০১৫ সাল থেকে তারা ভারতীয় বিক্রেতাদের ১৩ বিলিয়ন ডলারের বিভিন্ন পণ্য রপ্তানিতে করতে সহায়তা করেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এটি ৮০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এদিকে, অ্যান্টি-ট্রাস্ট আইনের তদন্ত প্রতিবেদনে ভারতের আমাজনের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বছরের এই প্রতিবেদনে দেখা যায়, আমাজন নির্দিষ্ট কিছু বিক্রেতাকে অগ্রাধিকার দিয়ে বাজারের প্রতিযোগিতা আইন লঙ্ঘন করেছে। তবে আমাজন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বিদেশি বিনিয়োগ নীতি শিথিল করার জন্য একটি খসড়া প্রস্তাব তৈরি করেছে ভারত সরকার। এই প্রস্তাব কার্যকর হলে আমাজনের মতো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো সরাসরি ভারতীয় বিক্রেতাদের কাছ থেকে পণ্য কিনে বিদেশি ক্রেতাদের কাছে তা বিক্রি করতে পারবে। বর্তমানে, ভারতে বিদেশি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেশে বা বিদেশে সরাসরি পণ্য বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয় না। তারা কেবল ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে পারে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই নীতি বহু বছর ধরে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মতবিরোধের একটি বড় কারণ ছিল। তবে রপ্তানির ক্ষেত্রে এই নিয়ম শিথিল করার জন্য ভারত সরকারের কাছে আমাজন লবিং করছিল বলে জানা গেছে। এদিকে, প্রস্তাবটি এমন এক সময়ে এসেছে, যখন ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র একটি বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে তাদের মতপার্থক্য দূর করার চেষ্টা করছে।
তবে এই প্রস্তাব নিয়ে ভারতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা একমত নন। খুচরা বিক্রেতাদের বিভিন্ন সংগঠন দাবি করেছে, সরকারের উচিত আমাজনের এই অনুরোধ খারিজ করে দেওয়া। তাদের যুক্তি হলো, আমাজনের মতো বৃহৎ কোম্পানির আর্থিক ক্ষমতা তাদের ব্যবসার জন্য হুমকি।
ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেডের (ডিজিএফটি) ১০ পৃষ্ঠার একটি অপ্রকাশিত প্রস্তাব বার্তা সংস্থা রয়টার্সের হাতে এসেছে। তাতে বলা হয়েছে, জটিল নিয়মকানুনের কারণে দেশের অভ্যন্তরে অনলাইনে বিক্রি করা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পণ্যের ১০ শতাংশের কম বিশ্বব্যাপী ই-কমার্স রপ্তানির অংশ হতে পারে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য প্রস্তাবে একটি ‘থার্ড-পার্টি এক্সপোর্ট ফ্যাসিলিটেশন মডেল’-এর কথা বলা হয়েছে, যেখানে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত একটি নির্দিষ্ট রপ্তানি সংস্থা সব নিয়মকানুনের দায়িত্ব নেবে। প্রস্তাবটি কার্যকর করতে হলে ভারতের মন্ত্রিসভার অনুমোদন প্রয়োজন হবে।
এ বিষয়ে জানতে ডিজিএফটি ও আমাজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। তবে তারা কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়নি।
আমাজন মনে করে, এই পদক্ষেপ ভারতীয় রপ্তানিকারকদের সহায়তা করবে। তবে লক্ষ লক্ষ খুচরা বিক্রেতার প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। সংগঠনটির জাতীয় সভাপতি বি সি ভার্টিয়া জানান, বিদেশি কোম্পানিগুলো এই নীতির অপব্যবহার করাসহ সরবরাহ শৃঙ্খলের ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ বেড়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, ‘এটি একটি পিচ্ছিল ঢাল তৈরি করবে, ফলে পণ্যগুলো সত্যিই রপ্তানির উদ্দেশ্যে নাকি অভ্যন্তরীণ বাজারে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে, তা পর্যবেক্ষণ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে।’
ডিজিএফটির খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এই শিথিল নিয়মগুলো কেবল রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। যদি নীতির কোনো লঙ্ঘন ঘটে, তবে কঠোর শাস্তি এবং ফৌজদারি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারা এই মডেল পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার এবং পর্যালোচনার পর এর পরিধি বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে।
গত ডিসেম্বরে আমাজন জানায়, ২০১৫ সাল থেকে তারা ভারতীয় বিক্রেতাদের ১৩ বিলিয়ন ডলারের বিভিন্ন পণ্য রপ্তানিতে করতে সহায়তা করেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এটি ৮০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এদিকে, অ্যান্টি-ট্রাস্ট আইনের তদন্ত প্রতিবেদনে ভারতের আমাজনের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বছরের এই প্রতিবেদনে দেখা যায়, আমাজন নির্দিষ্ট কিছু বিক্রেতাকে অগ্রাধিকার দিয়ে বাজারের প্রতিযোগিতা আইন লঙ্ঘন করেছে। তবে আমাজন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, কমিটির সুপারিশ ছিল এ রকম—নীতি প্রণয়ন কমিটিতে বাধ্যতামূলকভাবে বেসরকারি খাতের কিছু ব্যক্তিকে রাখতে হবে। এ ছাড়া যে নীতি নেওয়া হবে, তা অন্তত পাঁচ বছর অব্যাহত রাখতে হবে।
৩৮ মিনিট আগেদেশের শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে অসামান্য অবদানের জন্য বছরের সেরা ব্যবসা উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের সম্মাননা পেল বাংলাদেশের সুপারব্র্যান্ড ও টেক জায়ান্ট ওয়ালটন। প্রতিষ্ঠানটি অর্জন করেছে ডিএইচএল-দ্য ডেইলি স্টার বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ডের ‘বেস্ট এন্টারপ্রাইজ অব দ্য ইয়ার ২০২৪’ সম্মাননা।
৩৯ মিনিট আগেকর্মশালার সূচনা বক্তব্যে তাসকীন আহমেদ বলেন, কর রাজস্বের মাধ্যমে সরকার দেশীয় অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে থাকে। তাই দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি শক্তিশালীকরণে আয়কর জমা দেওয়া আমাদের প্রত্যেক নাগরিক ও ব্যবসায়ীর নৈতিক দায়িত্ব।
১ ঘণ্টা আগে২৫ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কোস্ট গার্ড বেইস চট্টগ্রাম কর্তৃক টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা করা হয়। ওই মেডিকেল ক্যাম্পেইনে ৫২৫ জন অসহায়, গরিব, দুস্থ ও শিশুদের বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ সামগ্রী দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগে