অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল সোমবার বাংলাদেশসহ জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং আরও ১২টি দেশের পণ্যে ১ আগস্ট থেকে কমপক্ষে ২৫ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা দিয়েছেন। নতুন বাণিজ্য চুক্তি না হলে এই শুল্ক কার্যকর হবে। এই ঘোষণা ট্রাম্প প্রশাসনের বাণিজ্য নীতির কঠোর অবস্থানের পুনরাবৃত্তি হিসেবে দেখা হচ্ছে। এটি কার্যকর হলে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি খাত, বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্পে গভীর অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়তে পারে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ১৪টি দেশের নেতাদের কাছে পাঠানো চিঠিতে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এই নতুন শুল্ক হার ঘোষণা করেছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশের জন্য ৩৫ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আগে প্রস্তাবিত ৩৭ শতাংশ থেকে সামান্য কম হলেও, বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধাক্কা।
উল্লেখ্য, এপ্রিল মাসে ঘোষিত উচ্চ শুল্ক হার ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছিল যাতে নতুন বাণিজ্য চুক্তি করা যায়। কিন্তু হোয়াইট হাউসের ‘৯০ দিনে ৯০টি চুক্তি’ করার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সামান্যই অগ্রগতি হয়েছে, যার সময়সীমা আগামীকাল বুধবার (৯ জুলাই) শেষ হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে, আরও সময় পাওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সোমবার একটি নির্বাহী আদেশে তাঁর প্রাথমিক স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়িয়েছেন। একই সঙ্গে, তিনি সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাদের রপ্তানির ওপর নতুন কর সম্পর্কে অবহিত করেছেন।
প্রাথমিক তালিকায় থাকা দেশগুলো হলো জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, কাজাখস্তান, লাওস, মিয়ানমার, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, সার্বিয়া, কম্বোডিয়া, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, তিউনিসিয়া এবং থাইল্যান্ড। এর মধ্যে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হবে, যেখানে থাইল্যান্ডের জন্য ৩৬ শতাংশ এবং বাংলাদেশের জন্য ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা এসেছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি কোনো দেশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করে বা অন্য দেশের মাধ্যমে মার্কিন শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করে, তাহলে শুল্কের হার আরও বাড়ানো হবে।
আগামী দিনগুলোতে হোয়াইট হাউস অন্যান্য দেশগুলোতেও চিঠি পাঠাবে বলে আশা করা হচ্ছে, যাদের কিছু এপ্রিল মাসে ঘোষিত শুল্কের আওতায় পড়বে।
নির্বাচিত বাণিজ্য অংশীদারদের জন্য শুল্ক হারের তালিকা:
সূত্র: হোয়াইট হাউস, অবজারভেটরি অব ইকোনমিক কমপ্লেক্সিটি
উল্লেখ্য, উল্লেখিত হারগুলো একটি দেশ থেকে আমদানি করা বেশির ভাগ পণ্যের জন্য, সব পণ্যের জন্য নয় এবং যে পণ্যগুলো ছাড় পেয়েছে সেগুলোর জন্য নয়। আমদানির অংশীদারত্বের পরিসংখ্যান ২০২৪ সালের বাণিজ্য বিষয়ক উপাত্তে ওপর ভিত্তি করে তৈরি।
বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর প্রভাব
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের বৃহত্তম একক বাজার। ২০২৪ সালে, বাংলাদেশ প্রায় ৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করেছে, যার মধ্যে ৭ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার ছিল তৈরি পোশাক। এই নতুন ৩৫ শতাংশ শুল্ক বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পণ্যের মূল্য মার্কিন বাজারে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে দেবে, যা মার্কিন ক্রেতাদের জন্য ব্যয়বহুল হবে এবং অন্যান্য শুল্কমুক্ত বা কম শুল্কের দেশ থেকে পণ্য কেনার প্রবণতা বাড়াতে পারে।
এর ফলে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজার থেকে বাংলাদেশের রপ্তানি আদেশ কমে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে, যা সরাসরি তৈরি পোশাক কারখানার উৎপাদন হ্রাস এবং শ্রমিক ছাঁটাইয়ের কারণ হতে পারে। এই শিল্পে ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ কাজ করে, যাদের বেশির ভাগই নারী। তাই, এই শুল্কের প্রভাব বাংলাদেশের কর্মসংস্থান এবং সামাজিক স্থিতিশীলতার ওপর মারাত্মক হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রপ্তানি আয়ে পতন ঘটলে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি বৃদ্ধি পাবে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ পড়বে। এটি দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এ ছাড়া, এর ফলে ডলারের বিপরীতে টাকার মান আরও দুর্বল হতে পারে, যা আমদানি খরচ বাড়াবে এবং মূল্যস্ফীতি আরও উসকে দেবে।
এদিকে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই শুল্কের প্রভাব কমানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আশা করছে, সময়সীমা ১ আগস্ট পর্যন্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় দ্বিপক্ষীয় আলোচনা ও চুক্তির মাধ্যমে একটি অনুকূল সমাধান খুঁজে পাওয়া সম্ভব। তবে, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের রপ্তানি খাত এবং সামগ্রিক অর্থনীতি এক গভীর অনিশ্চয়তার মুখে দাঁড়িয়ে আছে।
আরও খবর পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল সোমবার বাংলাদেশসহ জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং আরও ১২টি দেশের পণ্যে ১ আগস্ট থেকে কমপক্ষে ২৫ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা দিয়েছেন। নতুন বাণিজ্য চুক্তি না হলে এই শুল্ক কার্যকর হবে। এই ঘোষণা ট্রাম্প প্রশাসনের বাণিজ্য নীতির কঠোর অবস্থানের পুনরাবৃত্তি হিসেবে দেখা হচ্ছে। এটি কার্যকর হলে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি খাত, বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্পে গভীর অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়তে পারে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ১৪টি দেশের নেতাদের কাছে পাঠানো চিঠিতে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এই নতুন শুল্ক হার ঘোষণা করেছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশের জন্য ৩৫ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আগে প্রস্তাবিত ৩৭ শতাংশ থেকে সামান্য কম হলেও, বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধাক্কা।
উল্লেখ্য, এপ্রিল মাসে ঘোষিত উচ্চ শুল্ক হার ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছিল যাতে নতুন বাণিজ্য চুক্তি করা যায়। কিন্তু হোয়াইট হাউসের ‘৯০ দিনে ৯০টি চুক্তি’ করার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সামান্যই অগ্রগতি হয়েছে, যার সময়সীমা আগামীকাল বুধবার (৯ জুলাই) শেষ হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে, আরও সময় পাওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সোমবার একটি নির্বাহী আদেশে তাঁর প্রাথমিক স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়িয়েছেন। একই সঙ্গে, তিনি সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাদের রপ্তানির ওপর নতুন কর সম্পর্কে অবহিত করেছেন।
প্রাথমিক তালিকায় থাকা দেশগুলো হলো জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, কাজাখস্তান, লাওস, মিয়ানমার, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, সার্বিয়া, কম্বোডিয়া, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, তিউনিসিয়া এবং থাইল্যান্ড। এর মধ্যে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হবে, যেখানে থাইল্যান্ডের জন্য ৩৬ শতাংশ এবং বাংলাদেশের জন্য ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা এসেছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি কোনো দেশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করে বা অন্য দেশের মাধ্যমে মার্কিন শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করে, তাহলে শুল্কের হার আরও বাড়ানো হবে।
আগামী দিনগুলোতে হোয়াইট হাউস অন্যান্য দেশগুলোতেও চিঠি পাঠাবে বলে আশা করা হচ্ছে, যাদের কিছু এপ্রিল মাসে ঘোষিত শুল্কের আওতায় পড়বে।
নির্বাচিত বাণিজ্য অংশীদারদের জন্য শুল্ক হারের তালিকা:
সূত্র: হোয়াইট হাউস, অবজারভেটরি অব ইকোনমিক কমপ্লেক্সিটি
উল্লেখ্য, উল্লেখিত হারগুলো একটি দেশ থেকে আমদানি করা বেশির ভাগ পণ্যের জন্য, সব পণ্যের জন্য নয় এবং যে পণ্যগুলো ছাড় পেয়েছে সেগুলোর জন্য নয়। আমদানির অংশীদারত্বের পরিসংখ্যান ২০২৪ সালের বাণিজ্য বিষয়ক উপাত্তে ওপর ভিত্তি করে তৈরি।
বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর প্রভাব
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের বৃহত্তম একক বাজার। ২০২৪ সালে, বাংলাদেশ প্রায় ৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করেছে, যার মধ্যে ৭ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার ছিল তৈরি পোশাক। এই নতুন ৩৫ শতাংশ শুল্ক বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পণ্যের মূল্য মার্কিন বাজারে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে দেবে, যা মার্কিন ক্রেতাদের জন্য ব্যয়বহুল হবে এবং অন্যান্য শুল্কমুক্ত বা কম শুল্কের দেশ থেকে পণ্য কেনার প্রবণতা বাড়াতে পারে।
এর ফলে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজার থেকে বাংলাদেশের রপ্তানি আদেশ কমে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে, যা সরাসরি তৈরি পোশাক কারখানার উৎপাদন হ্রাস এবং শ্রমিক ছাঁটাইয়ের কারণ হতে পারে। এই শিল্পে ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ কাজ করে, যাদের বেশির ভাগই নারী। তাই, এই শুল্কের প্রভাব বাংলাদেশের কর্মসংস্থান এবং সামাজিক স্থিতিশীলতার ওপর মারাত্মক হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রপ্তানি আয়ে পতন ঘটলে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি বৃদ্ধি পাবে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ পড়বে। এটি দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এ ছাড়া, এর ফলে ডলারের বিপরীতে টাকার মান আরও দুর্বল হতে পারে, যা আমদানি খরচ বাড়াবে এবং মূল্যস্ফীতি আরও উসকে দেবে।
এদিকে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই শুল্কের প্রভাব কমানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আশা করছে, সময়সীমা ১ আগস্ট পর্যন্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় দ্বিপক্ষীয় আলোচনা ও চুক্তির মাধ্যমে একটি অনুকূল সমাধান খুঁজে পাওয়া সম্ভব। তবে, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের রপ্তানি খাত এবং সামগ্রিক অর্থনীতি এক গভীর অনিশ্চয়তার মুখে দাঁড়িয়ে আছে।
আরও খবর পড়ুন:
সরকারের কার্যক্রম নিয়ে কিছু অর্থনীতিদের সমালোচনা প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘অর্থনীতিবিদ যারা কিছুই (সরকারের ইতিবাচক কাজ) দেখেন না; দেখতে দৃষ্টি লাগে। অন্তর্দৃষ্টি লাগে। না চাইলে তো দেখতে পারবেন না!’
৫ ঘণ্টা আগেট্রাভেল এজেন্টদের শীর্ষ সংগঠন এসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)-এর বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি বিলুপ্ত করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সংগঠনের অভ্যন্তরে অনিয়ম, দুর্নীতি এবং অর্থ আত্মসাতের একাধিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেবিশ্বের প্রধান তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সংগঠন ওপেকের দ্বিতীয় বৃহত্তম সদস্য ইরাক। সম্প্রতি ইরাকে নিজেদের কার্যক্রম বাড়াতে শুরু করেছে চীনের স্বশাসিত তুলনামূলক ছোট ও বেসরকারি তেল কোম্পানিগুলো।
৭ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক আরোপের হুমকি বাংলাদেশকে এমন এক বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছিল, যা ছিল অর্থনীতির জন্য ভয়াবহ এক সতর্কসংকেত। শেষ পর্যন্ত যদি এই শুল্কহার ১৫ শতাংশ কমিয়ে ২০ শতাংশে নির্ধারণ না করা হতো, বরং তা প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় আরও বেশি হতো। তবে এর অভিঘাত হতো বহুমাত্রিক ও ব্যাপক।
১৬ ঘণ্টা আগে