Ajker Patrika

দু-এক মাসের মধ্যেই ভারত ‘সরি’ বলবে, দাবি মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রীর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২: ৫২
মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুতনিক। ছবি: এএফপি
মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুতনিক। ছবি: এএফপি

মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুতনিক বলেছেন, রাশিয়ার জ্বালানি তেল কেনা বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে ভারত অনড় অবস্থান নিলেও শেষ পর্যন্ত তারা ওয়াশিংটনের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তিতে ফিরে আসবে।

ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, হ্যাঁ, এক বা দুই মাসের মধ্যে ভারত আলোচনার টেবিলে আসবে, তারা দুঃখ প্রকাশ করবে এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি চুক্তি করার চেষ্টা করবে।’ তিনি আরও সতর্ক করে দেন, যদি ভারত ‘যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন’ না করে, তবে তাদের যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ওপর ‘৫০ শতাংশ শুল্ক’ দিতে হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এলো, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলেন, ‘মনে হচ্ছে আমরা ভারত ও রাশিয়াকে গভীর, অন্ধকার চীনের কাছে হারিয়ে ফেলেছি।’ এর পরেই তিনি ব্যঙ্গাত্মকভাবে তিনটি দেশের ‘সমৃদ্ধ’ ভবিষ্যৎ কামনা করেন। ট্রাম্পের এই মন্তব্য থেকে স্পষ্ট, তিনি প্রকাশ্যে দিল্লি, মস্কো ও বেইজিংয়ের মধ্যে গভীর সম্পর্ককে স্বীকার করে নিয়েছেন।

লুতনিক ভারতকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘এটা পুরোটাই মিথ্যা অহংকার, কারণ সবচেয়ে বড় গ্রাহকের সঙ্গে লড়াই করতে ভালো লাগে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো আমেরিকার সঙ্গে একটি চুক্তি চাইবেই।’

শুল্ক এড়ানোর জন্য পূর্বশর্তের কথা উল্লেখ করে লুতনিক বলেন, ‘ভারত তাদের বাজার খুলতে, রুশ তেল কেনা বন্ধ করতে এবং ব্রিকসের অংশ হওয়া বন্ধ করতে চায় না। যদি তোমরা রাশিয়া এবং চীনের মধ্যে সেতুবন্ধ হতে চাও, তবে হও! কিন্তু হয় ডলারকে সমর্থন করো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন করো, তোমাদের সবচেয়ে বড় গ্রাহককে সমর্থন করো, নয়তো ৫০ শতাংশ শুল্ক দাও। দেখা যাক এটা কত দিন চলে।’

তিনি রাশিয়ার তেল কেনার বিষয়ে বলেন, যেহেতু এই তেল নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত এবং ‘সত্যিই খুব সস্তা’ এবং ‘রুশরা ক্রেতা খুঁজছে’, তাই ভারতীয়রা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ‘ধুর, বাদ দাও! সস্তায় কিনি আর প্রচুর টাকা বানাই!’

এর আগে গতকাল ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ সিএনবিসি টিভি ১৮-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ভারত নিঃসন্দেহে রাশিয়া থেকে তেল কেনা চালিয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘রুশ তেল হোক বা অন্য কিছু, আমরা আমাদের প্রয়োজন অনুসারে দাম, সরবরাহ বা অন্য কোনো বিষয় বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত