আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা
২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভালো ব্যবসা করেও নগদ টাকার অভাবে কম মুনাফা দেবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি কনফিডেন্স সিমেন্ট। শেয়ারপ্রতি ৮ টাকার বেশি মুনাফা করেও কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের দেবে মাত্র ১ টাকা। ঋণের সুদ পরিশোধ, বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ে উচ্চহারের কারণে লোকসান এবং বাকিতে পণ্য বিক্রি করে নগদ অর্থের সংকটে পড়েছে কোম্পানিটি। এ ছাড়া ৮ কোটি ৪০ লাখ টাকার অবণ্টিত লভ্যাংশ পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিলে (সিএমএসএফ) প্রদান করতে পারছে না কোম্পানিটি। কোম্পানির নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণে এ তথ্য উঠে এসেছে।
তথ্যমতে, অর্থবছরটিতে কনফিডেন্স সিমেন্ট পণ্য বিক্রি করেছে ৪০৯ কোটি ৩২ লাখ টাকার। পণ্যের উৎপাদনসংক্রান্ত বিভিন্ন খরচ বাদ দিয়ে মুনাফা দাঁড়ায় ৫১ কোটি ৫ লাখ টাকা। অথচ বছরটিতে কোম্পানির সুদজনিত ব্যয় হয়েছে ৪৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। আর ডলারের বিনিময় হারের লোকসান হয়েছে ৮ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। ফলে এগুলোসহ অন্যান্য খরচ বাদে মূল ব্যবসা থেকে কনফিডেন্সের মুনাফা নেমে আসে ৫৩ লাখ ১৬ হাজার টাকায়। কিন্তু কোম্পানির অন্যান্য আয়ের কারণে বছর শেষে নিট মুনাফা হয়েছে ৭৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকার বেশি। এতে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৮ টাকা ৭৩ পয়সা। খাতা-কলমে মুনাফা থাকলেও নগদ অর্থের সংকটে পড়েছে কোম্পানিটি। কারণ, বছরটিতে ৯৮ কোটি ১০ লাখ টাকার বেশি পণ্য বাকিতে বিক্রি করেছে কনফিডেন্স কর্তৃপক্ষ।
আর্থিক হিসাবমতে, সব ধরনের নগদ প্রদান শেষে কোম্পানির নগদ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এতে করে শেয়ারপ্রতি নগদ প্রবাহ (ক্যাশ ফ্লো) হয়েছে ঋণাত্মক ২ টাকা ৭৮ পয়সা। অর্থাৎ কোম্পানির কাছে টাকা নেই।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ৮ টাকার বেশি মুনাফা করলেও বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ বা ১ টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কনফিডেন্স সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ; যা মোট মুনাফার ১১ শতাংশের মতো। এর জন্য শাস্তির মুখে পড়তে হবে কোম্পানিকে। কারণ, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের অনুমোদিত বাজেট অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে মুনাফার কমপক্ষে ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ আকারে বিনিয়োগকারীদের প্রদান করতে হয়। তা না হলে কোম্পানিতে অর্থের ওপরে ১০ শতাংশ হারে করারোপ করার বিধান রয়েছে। অতিরিক্ত কর দিতে হবে জেনেও কম লভ্যাংশ দেওয়ার কারণ নগদ অর্থের সংকট।
এদিকে কনফিডেন্স সিমেন্টের কাছে বিনিয়োগকারীদের অবণ্টিত ৯ কোটি ৬০ লাখ টাকার লভ্যাংশ রয়েছে। এর মধ্যে তিন বছরের বেশি সময়ের রয়েছে ৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির ২০২১ সালের ১৪ জানুয়ারির নির্দেশনা অনুযায়ী, ৩ বছর বা তার বেশি সময় পড়ে থাকা অবণ্টিত লভ্যাংশ পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিলে (সিএমএসএফ) স্থানান্তর করতে হবে। তবে নগদ অর্থের সংকটে এই আইনও পরিপালন করতে পারেনি কনফিডেন্স কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে কনফিডেন্স সিমেন্টের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) নেওয়াজ মোহাম্মদ ইকবাল ইউসুফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ফান্ড ট্রান্সফার করতে পারছি না। কারণ, আমাদের ক্যাশ ফ্লো নেগেটিভ আছে।’
২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভালো ব্যবসা করেও নগদ টাকার অভাবে কম মুনাফা দেবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি কনফিডেন্স সিমেন্ট। শেয়ারপ্রতি ৮ টাকার বেশি মুনাফা করেও কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের দেবে মাত্র ১ টাকা। ঋণের সুদ পরিশোধ, বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ে উচ্চহারের কারণে লোকসান এবং বাকিতে পণ্য বিক্রি করে নগদ অর্থের সংকটে পড়েছে কোম্পানিটি। এ ছাড়া ৮ কোটি ৪০ লাখ টাকার অবণ্টিত লভ্যাংশ পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিলে (সিএমএসএফ) প্রদান করতে পারছে না কোম্পানিটি। কোম্পানির নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণে এ তথ্য উঠে এসেছে।
তথ্যমতে, অর্থবছরটিতে কনফিডেন্স সিমেন্ট পণ্য বিক্রি করেছে ৪০৯ কোটি ৩২ লাখ টাকার। পণ্যের উৎপাদনসংক্রান্ত বিভিন্ন খরচ বাদ দিয়ে মুনাফা দাঁড়ায় ৫১ কোটি ৫ লাখ টাকা। অথচ বছরটিতে কোম্পানির সুদজনিত ব্যয় হয়েছে ৪৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। আর ডলারের বিনিময় হারের লোকসান হয়েছে ৮ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। ফলে এগুলোসহ অন্যান্য খরচ বাদে মূল ব্যবসা থেকে কনফিডেন্সের মুনাফা নেমে আসে ৫৩ লাখ ১৬ হাজার টাকায়। কিন্তু কোম্পানির অন্যান্য আয়ের কারণে বছর শেষে নিট মুনাফা হয়েছে ৭৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকার বেশি। এতে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৮ টাকা ৭৩ পয়সা। খাতা-কলমে মুনাফা থাকলেও নগদ অর্থের সংকটে পড়েছে কোম্পানিটি। কারণ, বছরটিতে ৯৮ কোটি ১০ লাখ টাকার বেশি পণ্য বাকিতে বিক্রি করেছে কনফিডেন্স কর্তৃপক্ষ।
আর্থিক হিসাবমতে, সব ধরনের নগদ প্রদান শেষে কোম্পানির নগদ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এতে করে শেয়ারপ্রতি নগদ প্রবাহ (ক্যাশ ফ্লো) হয়েছে ঋণাত্মক ২ টাকা ৭৮ পয়সা। অর্থাৎ কোম্পানির কাছে টাকা নেই।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ৮ টাকার বেশি মুনাফা করলেও বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ বা ১ টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কনফিডেন্স সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ; যা মোট মুনাফার ১১ শতাংশের মতো। এর জন্য শাস্তির মুখে পড়তে হবে কোম্পানিকে। কারণ, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের অনুমোদিত বাজেট অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে মুনাফার কমপক্ষে ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ আকারে বিনিয়োগকারীদের প্রদান করতে হয়। তা না হলে কোম্পানিতে অর্থের ওপরে ১০ শতাংশ হারে করারোপ করার বিধান রয়েছে। অতিরিক্ত কর দিতে হবে জেনেও কম লভ্যাংশ দেওয়ার কারণ নগদ অর্থের সংকট।
এদিকে কনফিডেন্স সিমেন্টের কাছে বিনিয়োগকারীদের অবণ্টিত ৯ কোটি ৬০ লাখ টাকার লভ্যাংশ রয়েছে। এর মধ্যে তিন বছরের বেশি সময়ের রয়েছে ৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির ২০২১ সালের ১৪ জানুয়ারির নির্দেশনা অনুযায়ী, ৩ বছর বা তার বেশি সময় পড়ে থাকা অবণ্টিত লভ্যাংশ পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিলে (সিএমএসএফ) স্থানান্তর করতে হবে। তবে নগদ অর্থের সংকটে এই আইনও পরিপালন করতে পারেনি কনফিডেন্স কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে কনফিডেন্স সিমেন্টের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) নেওয়াজ মোহাম্মদ ইকবাল ইউসুফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ফান্ড ট্রান্সফার করতে পারছি না। কারণ, আমাদের ক্যাশ ফ্লো নেগেটিভ আছে।’
চীনের খাইশি গ্রুপ আবারও বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। আজ সোমবার ৪ কোটি ৫ হাজার ডলারের একটি নতুন বিনিয়োগ চুক্তি করেছে প্রতিষ্ঠানটি; বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৪৮৮ কোটি ৬ লাখ ১০ হাজার টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)।
৬ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অবস্থিত জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৩ কোটি ২৭ লাখ ৭২ হাজার মার্কিন ডলার (প্রায় ৩২৭ কোটি টাকা) বিনিয়োগ করবে চীনের লেসো গ্রুপ। এ জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে ১২ দশমিক ৫ একর জমি হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)।
৬ ঘণ্টা আগেদেশের ব্যাংক খাতের আলোচনায় বারবার ভেসে ওঠে অনিয়ম, দুর্নীতি ও খেলাপির চিত্র। এর খেসারত দিচ্ছে অর্থনীতি, ভুগছেন সাধারণ গ্রাহক। ঠিক এক বছর আগে দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এসব সংস্কারে হাত দেন, যার ফলে বেরিয়ে আসে ভয়ংকর সব বাস্তবতা।
৯ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের সয়াবিন রপ্তানির একটি বড় অংশ যায় চীনে। সম্প্রতি চীনকে সয়াবিন আমদানি চার গুণ বাড়াতে বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। রোববার স্থানীয় সময় রাতে নিজের ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘চীন সয়াবিনের ঘাটতি নিয়ে চিন্তিত। আমি আশা করি, চীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন কেনা (চার গ
১০ ঘণ্টা আগে