দেশের অন্যতম বেসরকারি ব্যাংক স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ ও সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে শুরু হচ্ছে ‘প্লাস্টিক বিনিময় কর্মসূচি’। যার মাধ্যমে সহায়তা পাবেন প্রায় ৮২ হাজার মানুষ।
প্রকল্পের অংশ হিসেবে ৬৫টি ‘প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ ক্যাম্প’ স্থাপনে যৌথভাবে কাজ করবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। এসব নির্দিষ্ট ক্যাম্পে মানুষ তাদের প্লাস্টিক বর্জ্য জমা দেওয়ার বিনিময়ে চাল, তেল ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্য সংগ্রহ করতে পারবে। এর ফলে শুধু প্লাস্টিকের পুনর্ব্যবহারকে উৎসাহিত করা হবে না, বরং যারা ব্যবহৃত প্লাস্টিক ফেরত দিবে তারা সরাসরি উপকৃতও হবে। পাশাপাশি, এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে সংগৃহীত প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহার করে রিসাইকেলড পলিথিন টেরেফথালেট বোতল তৈরিতে ব্যবহার করা হবে। প্রোগ্রামটি দেশের চক্রায়ন অর্থনীতিকে বিকশিত করার জন্য ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির একটি উদাহরণ।
পূর্ণাঙ্গ প্রকল্পের অর্থায়ন করবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন প্রকল্প বাস্তবায়নে সার্বিক দায়িত্বে থাকবে। সংগৃহীত প্লাস্টিক বর্জ্য পুনর্ব্যবহারের মাধ্যমে যে ফান্ড তৈরি হবে তা ক্যাম্প পরিচালনার জন্য ব্যবহার করা হবে।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও ফাইন্যান্সিয়াল মার্কেটসের প্রধান মুহিত রহমান বলেন, ‘২০২০ সালে নয় লাখ ৭৭ হাজার টন প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়েছে, যার মাত্র ৩১ শতাংশ পুনর্ব্যবহার করা হয়েছে। এর মানে প্রায় ৭০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য পরিবেশের ও সমাজের মানুষের ক্ষতি করছে। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে পরিচালিত এ যৌথ উদ্যোগটি টেকসই পরিবেশ গঠন ও সামাজিক সহায়তার প্রতি আমাদের ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। পুনর্ব্যবহারকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে আমরা শুধুমাত্র প্লাস্টিক বর্জ্যের জটিল সমস্যার সমাধানই করছি না, বরং চক্রায়ন অর্থনীতি তুলে ধরে হাজার হাজার মানুষকে কার্যকরী সহায়তা প্রদান করছি।’
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কিশোর কুমার দাস বলেন, ‘বর্জ্য ও প্লাস্টিক রিসাইকেল করার ব্যবস্থা না নিয়ে শহুরে জীবন দূষণমুক্ত করা এবং সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের হুমকি এড়ানোর কোনো উপায় নেই। শুধু সরকারের ওপর নির্ভর করে থাকলে এ লক্ষ্য অর্জন করা কখনই সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, দেশের সব প্রান্তের মানুষকে প্লাস্টিক রিসাইক্লিং প্রকল্পে যুক্ত করার পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের এ উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। বিশেষত, এই প্রকল্পে পুনর্ব্যবহৃত প্লাস্টিক পুনঃব্যবহারের মাধ্যমে প্রকল্পটিকে টেকসই করার যে প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে তা প্রশংসনীয়।
দেশের অগ্রগতির দীর্ঘমেয়াদি অংশীদার হিসেবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ও টিকে থাকার অনুপ্রেরণামূলক যাত্রার সঙ্গী হয়েছে। ১১৯ বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্যাংকটি সমাজে বিনিয়োগের মাধ্যমে বাণিজ্য ও উন্নয়নের জন্য কাজ করেছে। বৃহত্তর অন্তর্ভুক্তি ও নতুন সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে পরিষেবার আওতা ও মাত্রা প্রসারিত করেছে।
সামাজিক সম্পৃক্ততা ও টেকসই উদ্যোগে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের ওপর গুরুত্ব দিয়ে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও আর্থিক সাক্ষরতার উন্নতি; কৃষি উদ্ভাবনে সমর্থন; ইতিবাচক সামাজিক রূপান্তরের চালক হিসেবে খেলাধুলা, শিল্পকলা ও সংস্কৃতির প্রচার ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করা।
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে নিবন্ধিত একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন সারা বাংলাদেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সাহায্য করে থাকে এবং বিভিন্ন অত্যাবশ্যক সামাজিক কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ড সম্পাদন করে।
দেশের অন্যতম বেসরকারি ব্যাংক স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ ও সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে শুরু হচ্ছে ‘প্লাস্টিক বিনিময় কর্মসূচি’। যার মাধ্যমে সহায়তা পাবেন প্রায় ৮২ হাজার মানুষ।
প্রকল্পের অংশ হিসেবে ৬৫টি ‘প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ ক্যাম্প’ স্থাপনে যৌথভাবে কাজ করবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। এসব নির্দিষ্ট ক্যাম্পে মানুষ তাদের প্লাস্টিক বর্জ্য জমা দেওয়ার বিনিময়ে চাল, তেল ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্য সংগ্রহ করতে পারবে। এর ফলে শুধু প্লাস্টিকের পুনর্ব্যবহারকে উৎসাহিত করা হবে না, বরং যারা ব্যবহৃত প্লাস্টিক ফেরত দিবে তারা সরাসরি উপকৃতও হবে। পাশাপাশি, এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে সংগৃহীত প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহার করে রিসাইকেলড পলিথিন টেরেফথালেট বোতল তৈরিতে ব্যবহার করা হবে। প্রোগ্রামটি দেশের চক্রায়ন অর্থনীতিকে বিকশিত করার জন্য ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির একটি উদাহরণ।
পূর্ণাঙ্গ প্রকল্পের অর্থায়ন করবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন প্রকল্প বাস্তবায়নে সার্বিক দায়িত্বে থাকবে। সংগৃহীত প্লাস্টিক বর্জ্য পুনর্ব্যবহারের মাধ্যমে যে ফান্ড তৈরি হবে তা ক্যাম্প পরিচালনার জন্য ব্যবহার করা হবে।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও ফাইন্যান্সিয়াল মার্কেটসের প্রধান মুহিত রহমান বলেন, ‘২০২০ সালে নয় লাখ ৭৭ হাজার টন প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়েছে, যার মাত্র ৩১ শতাংশ পুনর্ব্যবহার করা হয়েছে। এর মানে প্রায় ৭০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য পরিবেশের ও সমাজের মানুষের ক্ষতি করছে। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে পরিচালিত এ যৌথ উদ্যোগটি টেকসই পরিবেশ গঠন ও সামাজিক সহায়তার প্রতি আমাদের ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। পুনর্ব্যবহারকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে আমরা শুধুমাত্র প্লাস্টিক বর্জ্যের জটিল সমস্যার সমাধানই করছি না, বরং চক্রায়ন অর্থনীতি তুলে ধরে হাজার হাজার মানুষকে কার্যকরী সহায়তা প্রদান করছি।’
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কিশোর কুমার দাস বলেন, ‘বর্জ্য ও প্লাস্টিক রিসাইকেল করার ব্যবস্থা না নিয়ে শহুরে জীবন দূষণমুক্ত করা এবং সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের হুমকি এড়ানোর কোনো উপায় নেই। শুধু সরকারের ওপর নির্ভর করে থাকলে এ লক্ষ্য অর্জন করা কখনই সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, দেশের সব প্রান্তের মানুষকে প্লাস্টিক রিসাইক্লিং প্রকল্পে যুক্ত করার পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের এ উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। বিশেষত, এই প্রকল্পে পুনর্ব্যবহৃত প্লাস্টিক পুনঃব্যবহারের মাধ্যমে প্রকল্পটিকে টেকসই করার যে প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে তা প্রশংসনীয়।
দেশের অগ্রগতির দীর্ঘমেয়াদি অংশীদার হিসেবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ও টিকে থাকার অনুপ্রেরণামূলক যাত্রার সঙ্গী হয়েছে। ১১৯ বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্যাংকটি সমাজে বিনিয়োগের মাধ্যমে বাণিজ্য ও উন্নয়নের জন্য কাজ করেছে। বৃহত্তর অন্তর্ভুক্তি ও নতুন সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে পরিষেবার আওতা ও মাত্রা প্রসারিত করেছে।
সামাজিক সম্পৃক্ততা ও টেকসই উদ্যোগে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের ওপর গুরুত্ব দিয়ে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও আর্থিক সাক্ষরতার উন্নতি; কৃষি উদ্ভাবনে সমর্থন; ইতিবাচক সামাজিক রূপান্তরের চালক হিসেবে খেলাধুলা, শিল্পকলা ও সংস্কৃতির প্রচার ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করা।
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে নিবন্ধিত একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন সারা বাংলাদেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সাহায্য করে থাকে এবং বিভিন্ন অত্যাবশ্যক সামাজিক কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ড সম্পাদন করে।
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব অর্থনীতিতে বড়সড় অভিঘাতের আভাস মিলছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের দাম ১ লাখ মার্কিন ডলারের নিচে নেমে গেছে; যা গত ২৫ মের পর প্রথমবারের মতো ঘটল।
৪৩ মিনিট আগেঅর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম জোরদারে ‘সেবাগ্রহীতা ও অংশীজনদের অবহিতকরণ সভা’ করেছে সোনালী ব্যাংক পিএলসি। আজ রোববার (২২ জুন) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের কনফারেন্স...
৩ ঘণ্টা আগেপূবালী ব্যাংক পিএলসি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য খাতে অবদান রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ। এরই ধারাবাহিকতায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে ৫০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে পূবালী ব্যাংক।
৪ ঘণ্টা আগেদেশের অর্থনীতির অন্যতম ভিত্তি হচ্ছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। দেশের উন্নয়ন ও শিল্পায়নের স্বার্থে রেমিট্যান্সসংক্রান্ত সেবা আরও সহজ করার উদ্যোগ নিয়েছে এনআরবিসি ব্যাংক।
৪ ঘণ্টা আগে