ঢাকার মুগদা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালে অ্যাপোলো হসপিটাল হায়দ্রাবাদের একটি বিজ্ঞানবিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ডা. রাজীব রেড্ডি (কনসালট্যান্ট অর্থোপেডিক অনকোসার্জন) এবং ডা. রুমা সিনহা (কনসালট্যান্ট গাইনোকোলজিস্ট, ল্যাপারোস্কোপিক এবং রোবোটিক সার্জন)। তাঁরা অর্থোপেডিক অনকোলজি, ল্যাপারোস্কোপিক ও রোবোটিক সার্জারির ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেন।
সেমিনারে ডা. রাজীব রেড্ডি ‘একবিংশ শতাব্দীতে হাড়ের টিউমার হলেও অঙ্গ সংরক্ষণ’ বিষয়ের ওপর আলোচনা করেন। ডা. রুমা সিনহা কথা বলেন ‘মিনিমাল অ্যাক্সেস সার্জারির মাধ্যমে নারীর ফার্টিলিটি বৃদ্ধি’র বিষয় নিয়ে। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মুগদা মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. এম ডি আবুল হাসনাত এবং গাইনি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সাবিনা হোসেন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ডা. আব্দুল বাশার এমডি জামাল (অধ্যক্ষ) এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন ডা. নিয়াতুজ্জামান (পরিচালক)।
ডা. রুমা সিনহা বলেন, নারীর বন্ধ্যত্ব সমস্যা পুরো বিশ্বেই বেড়ে চলেছে। তরুণীদের মধ্যে ইনফার্টিলিটি হওয়ার অন্যতম বড় কারণ ফাইব্রয়েড আর এন্ডোমেট্রিওসিস। সার্জারির মাধ্যমে সাধারণত এই সমস্যাগুলোর চিকিৎসা করা সম্ভব। মিনিমাল অ্যাক্সেস সার্জারি, ল্যাপারোস্কোপি ও রোবোটিক উভয়ই আজ নারীদের এ দুটি সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার।
সার্জারির পরে নারীদের স্বতঃস্ফূর্ত গর্ভধারণের পাশাপাশি কৃত্রিম প্রজনন প্রযুক্তির মাধ্যমে গর্ভধারণের হার বেড়েছে। এই বক্তৃতায় রোগী নির্বাচন, যাঁরা সার্জারির ফলে উপকৃত হবেন, তাদের নিয়েও আলোচনা করা হয়। সেই সঙ্গে সার্জারির কৌশল এবং সার্জারির পরে গর্ভধারণ করতে সক্ষম হয়েছেন এমন কিছু কেস স্টাডিও তুলে ধরা হয়।
ডা. রাজীব রেড্ডির বক্তৃতার বিষয় ছিল—‘একবিংশ শতাব্দীতে হাড়ের টিউমার হলেও অঙ্গ সংরক্ষণ’, সারকোমা হলো ক্যানসার, যা হাড়, পেশি, জয়েন্ট ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গের অন্যান্য অংশ, পিঠ ও পেলভিসে হয়ে থাকে। এগুলো সাধারণত শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে দেখা যায়, যারা ক্রমাগত ব্যথার কথা জানায় বা হাত-পা ফুলে যাওয়ার অভিযোগ করে, যা আকারে বাড়তেই থাকে। অর্থোপেডিক অনকোলজিস্ট হলেন একজন অভিজ্ঞ সার্জন, যিনি শুধু সারকোমাস নির্ণয় ও চিকিৎসা করেন। যেহেতু হাড়ের এই ক্যানসার আজকাল প্রায়ই দেখা যাচ্ছে, একজন বিশেষজ্ঞ অর্থোপেডিক অনকোসার্জন হিসেবে তিনি এই চিকিৎসার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন। সারকোমা (হাড়ের ক্যানসার) চিকিৎসার শুরুতেই চাই একজন বিশেষজ্ঞ অর্থোপেডিক অনকোসার্জনের সঠিক নির্ণয় এবং এতে সার্জারি, কেমোথেরাপি এবং মাঝে মাঝে রেডিয়েশন থেরাপির মিশ্রণ থাকে।
বেশির ভাগ সারকোমা এখন ‘লিম্ব স্যালভেজ সার্জারি’র মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। এই সার্জারিতে টিউমার প্রভাবিত হাড় এবং পেশি অপসারণ করা হয়। কখনো কখনো অঙ্গটি বাঁচাতে একটি ধাতব ইমপ্ল্যান্ট ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর লক্ষ্য হলো শুধু অঙ্গ থেকে টিউমার অপসারণ করা নয়, বরং রোগীকে একটি ভালো, কার্যকর অঙ্গ প্রদান করা। গত দুই দশকে সারকোমাসের চিকিৎসার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সার্জারির পরে রোগীর অঙ্গ কেটে ফেলার দরকার হয় না।
এক্সট্রা করপোরিয়াল রেডিয়েশন থেরাপি এবং থ্রিডি প্রিন্টেড মডেল অ্যান্ড ইমপ্লান্টের মতো কৌশল ব্যবহার করে সার্জারির সাফল্য উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে। অন্যান্য ক্যানসারের মতো সারকোমাও প্রথম দিকে শনাক্ত করা গেলে অভিজ্ঞ অর্থোপেডিক অনকোলজিস্ট সফলভাবে চিকিৎসা করতে পারবেন।
ঢাকার মুগদা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালে অ্যাপোলো হসপিটাল হায়দ্রাবাদের একটি বিজ্ঞানবিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ডা. রাজীব রেড্ডি (কনসালট্যান্ট অর্থোপেডিক অনকোসার্জন) এবং ডা. রুমা সিনহা (কনসালট্যান্ট গাইনোকোলজিস্ট, ল্যাপারোস্কোপিক এবং রোবোটিক সার্জন)। তাঁরা অর্থোপেডিক অনকোলজি, ল্যাপারোস্কোপিক ও রোবোটিক সার্জারির ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেন।
সেমিনারে ডা. রাজীব রেড্ডি ‘একবিংশ শতাব্দীতে হাড়ের টিউমার হলেও অঙ্গ সংরক্ষণ’ বিষয়ের ওপর আলোচনা করেন। ডা. রুমা সিনহা কথা বলেন ‘মিনিমাল অ্যাক্সেস সার্জারির মাধ্যমে নারীর ফার্টিলিটি বৃদ্ধি’র বিষয় নিয়ে। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মুগদা মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. এম ডি আবুল হাসনাত এবং গাইনি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সাবিনা হোসেন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ডা. আব্দুল বাশার এমডি জামাল (অধ্যক্ষ) এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন ডা. নিয়াতুজ্জামান (পরিচালক)।
ডা. রুমা সিনহা বলেন, নারীর বন্ধ্যত্ব সমস্যা পুরো বিশ্বেই বেড়ে চলেছে। তরুণীদের মধ্যে ইনফার্টিলিটি হওয়ার অন্যতম বড় কারণ ফাইব্রয়েড আর এন্ডোমেট্রিওসিস। সার্জারির মাধ্যমে সাধারণত এই সমস্যাগুলোর চিকিৎসা করা সম্ভব। মিনিমাল অ্যাক্সেস সার্জারি, ল্যাপারোস্কোপি ও রোবোটিক উভয়ই আজ নারীদের এ দুটি সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার।
সার্জারির পরে নারীদের স্বতঃস্ফূর্ত গর্ভধারণের পাশাপাশি কৃত্রিম প্রজনন প্রযুক্তির মাধ্যমে গর্ভধারণের হার বেড়েছে। এই বক্তৃতায় রোগী নির্বাচন, যাঁরা সার্জারির ফলে উপকৃত হবেন, তাদের নিয়েও আলোচনা করা হয়। সেই সঙ্গে সার্জারির কৌশল এবং সার্জারির পরে গর্ভধারণ করতে সক্ষম হয়েছেন এমন কিছু কেস স্টাডিও তুলে ধরা হয়।
ডা. রাজীব রেড্ডির বক্তৃতার বিষয় ছিল—‘একবিংশ শতাব্দীতে হাড়ের টিউমার হলেও অঙ্গ সংরক্ষণ’, সারকোমা হলো ক্যানসার, যা হাড়, পেশি, জয়েন্ট ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গের অন্যান্য অংশ, পিঠ ও পেলভিসে হয়ে থাকে। এগুলো সাধারণত শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে দেখা যায়, যারা ক্রমাগত ব্যথার কথা জানায় বা হাত-পা ফুলে যাওয়ার অভিযোগ করে, যা আকারে বাড়তেই থাকে। অর্থোপেডিক অনকোলজিস্ট হলেন একজন অভিজ্ঞ সার্জন, যিনি শুধু সারকোমাস নির্ণয় ও চিকিৎসা করেন। যেহেতু হাড়ের এই ক্যানসার আজকাল প্রায়ই দেখা যাচ্ছে, একজন বিশেষজ্ঞ অর্থোপেডিক অনকোসার্জন হিসেবে তিনি এই চিকিৎসার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন। সারকোমা (হাড়ের ক্যানসার) চিকিৎসার শুরুতেই চাই একজন বিশেষজ্ঞ অর্থোপেডিক অনকোসার্জনের সঠিক নির্ণয় এবং এতে সার্জারি, কেমোথেরাপি এবং মাঝে মাঝে রেডিয়েশন থেরাপির মিশ্রণ থাকে।
বেশির ভাগ সারকোমা এখন ‘লিম্ব স্যালভেজ সার্জারি’র মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। এই সার্জারিতে টিউমার প্রভাবিত হাড় এবং পেশি অপসারণ করা হয়। কখনো কখনো অঙ্গটি বাঁচাতে একটি ধাতব ইমপ্ল্যান্ট ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর লক্ষ্য হলো শুধু অঙ্গ থেকে টিউমার অপসারণ করা নয়, বরং রোগীকে একটি ভালো, কার্যকর অঙ্গ প্রদান করা। গত দুই দশকে সারকোমাসের চিকিৎসার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সার্জারির পরে রোগীর অঙ্গ কেটে ফেলার দরকার হয় না।
এক্সট্রা করপোরিয়াল রেডিয়েশন থেরাপি এবং থ্রিডি প্রিন্টেড মডেল অ্যান্ড ইমপ্লান্টের মতো কৌশল ব্যবহার করে সার্জারির সাফল্য উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে। অন্যান্য ক্যানসারের মতো সারকোমাও প্রথম দিকে শনাক্ত করা গেলে অভিজ্ঞ অর্থোপেডিক অনকোলজিস্ট সফলভাবে চিকিৎসা করতে পারবেন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে রামচন্দ্রপুর খালে দুই দিনের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। গত ২০ ও ২১ জুন তারিখে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি), ফুটস্টেপস বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে এই কার্যক্রমে অংশ নেয় আইডিএলসি ফাইন্যান্স।
২৬ মিনিট আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট অনুমোদিত হয়েছে। আজ রোববার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
১ ঘণ্টা আগেদেশীয় মৌসুমি ফলের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর ফলের বাজারে নেমেছে স্বস্তির ছোঁয়া। আম, কাঁঠাল, লিচু, লটকন, পেয়ারা, আনারস, ড্রাগনের মতো ফলের প্রাচুর্যে শুধু দেশীয় ফল নয়; দাম কমেছে আমদানিকৃত আপেল, মাল্টা, আঙুরেরও।
১০ ঘণ্টা আগেবেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে ব্যবসায়ীদের খরচ বাড়ছে। হ্যান্ডলিংয়ের আগে পণ্য চালান পরীক্ষার নামে এই অতিরিক্ত খরচ চাপ দিচ্ছে। প্রতিটি চালানে ১৫-২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। কখনো কখনো রিপোর্ট পেতে সময় লাগছে এক মাসেরও বেশি, আর ওই সময় পণ্য বন্দরে আটকা পড়ে।
১৪ ঘণ্টা আগে