জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

বাংলাদেশে ডিজিটাল ব্যাংকিং খাতে নতুন একটি যুগ শুরুর উদ্দেশ্যে ২০২৩ সালে সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়। এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের জন্য ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া শুরু হয়, যা অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। ডিজিটাল ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের সেবা প্রদান করবে মোবাইল, অ্যাপ কিংবা অন্যান্য ডিজিটাল চ্যানেল ব্যবহার করে, যেখানে থাকবে ২৪ ঘণ্টা সেবা, ভার্চুয়াল কার্ড এবং কিউআর কোডের মতো সুবিধা। সরকারের মূল লক্ষ্য ছিল ব্যাংকিং খাতে প্রযুক্তিনির্ভর সংস্কৃতির সূচনা করা।
এই উদ্যোগের আওতায় মোট ৫৪টি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকে ডিজিটাল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আবেদন জমা দেয়। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত নীতিমালা অনুসরণ করে ১০টি প্রতিষ্ঠানকে ‘লেটার অব ইনটেন্ট’ (এলওআই) প্রদান করা হয়। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান নগদ চূড়ান্ত সনদ লাভ করে। তবে শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় নগদের কার্যক্রম শুরু হয়নি এবং অন্য আবেদনকারীদের কার্যক্রমও আটকে রয়েছে, যা সরকারের ডিজিটাল ব্যাংকিং পরিকল্পনাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।
নগদের জন্য প্রস্তুতির অভাব
নগদ একটি সফল মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হলেও ডিজিটাল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির অভাবে তা শুরু করতে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক কিছু শর্ত পূরণের জন্য নগদকে একাধিক সময়সীমা দেওয়া হলেও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তা পূরণ সম্ভব হয়নি। এর ফলে সনদপ্রাপ্ত নগদের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। নগদ এখনো কার্যক্রম শুরুর জন্য সঠিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারেনি এবং এর নির্দিষ্ট সময়সীমাও জানা সম্ভব না হওয়ায় পরিস্থিতি আরও অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক এবং নগদের প্রশাসক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নগদ ডিজিটাল ব্যাংকের সনদ পেয়ে ইতিমধ্যেই কার্যক্রম শুরুর প্রক্রিয়ায় রয়েছে। বাজারে প্রবেশের জন্য নির্ধারিত একটি দল কাজ করছে এবং বর্তমানে আমি মূলত এমএফএস দেখছি।’
অন্যান্য ব্যাংকের ভবিষ্যৎ
নগদ ছাড়া, অন্য ৯টি প্রতিষ্ঠানও শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের জন্যও সনদ পাওয়া এখন অনিশ্চিত। বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানিয়েছে, সনদপ্রাপ্ত ব্যাংকটির কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী ব্যাংকগুলোর সনদ প্রদান করা হবে, কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে শর্ত পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অন্য ব্যাংকগুলোর সনদ পাওয়া বিলম্বিত হতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা বলেন, সনদপ্রাপ্ত ব্যাংকটির (নগদ) পরিচালনা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেই পরবর্তী ব্যাংকগুলোর অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের নীতিমালা
বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাল ব্যাংকিং চালুর জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করে, যার মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত ছিল। এই শর্তগুলোর মধ্যে ছিল—ব্যাংকগুলোকে ১২৫ কোটি টাকার মূলধন জমা রাখতে হবে, ব্যাংকের সেবা প্রদানে শাখা বা শাখা-উপশাখা না রেখে শুধু প্রযুক্তিনির্ভর হতে হবে, সেবাগ্রহীতা ২৪ ঘণ্টা মোবাইল, অ্যাপ বা ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহার করে সেবা গ্রহণ করতে পারবেন এবং বিশেষ করে কোনো প্লাস্টিক কার্ড বা সশরীর লেনদেনের সুযোগ থাকবে না। এভাবে ডিজিটাল ব্যাংকগুলো ডিজিটাল কার্ড, কিউআর কোড বা অন্যান্য প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রাহকদের সেবা প্রদান করবে।
এ ছাড়া ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য উদ্যোক্তাদের প্রযুক্তিসংক্রান্ত অভিজ্ঞতা থাকতে হবে এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কমপক্ষে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে ব্যাংকিং খাতে। তবে এসব শর্তগুলো পূরণে নগদসহ অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে যথেষ্ট প্রস্তুতির অভাব দেখা গেছে, যা ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের সফল বাস্তবায়নে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সনদ প্রদানের অপেক্ষা
বিগত বছরগুলোয় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমোদন পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ছিল ডিজিটেন, বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংক, ডিজিট অল, কড়ি ডিজিটাল ব্যাংক, স্মার্ট ডিজিটাল ব্যাংক, নর্থইস্ট ডিজিটাল ব্যাংক এবং জাপান বাংলা ডিজিটাল ব্যাংক। এগুলোর মধ্যে প্রথম পাঁচটি প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা করেছিল, তবে এসব ডিজিটাল ব্যাংক প্রস্তুতির অভাবে কার্যক্রম শুরু করতে সক্ষম হয়নি এবং পিছিয়ে পড়েছে। এদিকে অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোও সনদ পাওয়ার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে; কিন্তু পরিস্থিতি দেখে বাংলাদেশ ব্যাংক নিশ্চিত করতে পারছে না, কখন পরবর্তী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সনদ প্রদান করা হবে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
সরকারের পরিকল্পনা ছিল ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের আর্থিক খাতে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য সুবিধাজনক ঋণের ব্যবস্থা তৈরি করা। তবে বর্তমান পরিস্থিতি দেখে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ডিজিটাল ব্যাংকিং খাতে সরকারের উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা সফল হওয়ার পথে বড় বাধা সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে প্রস্তুতির অভাব, অন্যদিকে সঠিক শর্ত পূরণের সমস্যা—এসব কারণে ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের কার্যক্রমে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে, যা দেশের আর্থিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

বাংলাদেশে ডিজিটাল ব্যাংকিং খাতে নতুন একটি যুগ শুরুর উদ্দেশ্যে ২০২৩ সালে সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়। এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের জন্য ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া শুরু হয়, যা অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। ডিজিটাল ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের সেবা প্রদান করবে মোবাইল, অ্যাপ কিংবা অন্যান্য ডিজিটাল চ্যানেল ব্যবহার করে, যেখানে থাকবে ২৪ ঘণ্টা সেবা, ভার্চুয়াল কার্ড এবং কিউআর কোডের মতো সুবিধা। সরকারের মূল লক্ষ্য ছিল ব্যাংকিং খাতে প্রযুক্তিনির্ভর সংস্কৃতির সূচনা করা।
এই উদ্যোগের আওতায় মোট ৫৪টি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকে ডিজিটাল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আবেদন জমা দেয়। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত নীতিমালা অনুসরণ করে ১০টি প্রতিষ্ঠানকে ‘লেটার অব ইনটেন্ট’ (এলওআই) প্রদান করা হয়। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান নগদ চূড়ান্ত সনদ লাভ করে। তবে শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় নগদের কার্যক্রম শুরু হয়নি এবং অন্য আবেদনকারীদের কার্যক্রমও আটকে রয়েছে, যা সরকারের ডিজিটাল ব্যাংকিং পরিকল্পনাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।
নগদের জন্য প্রস্তুতির অভাব
নগদ একটি সফল মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হলেও ডিজিটাল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির অভাবে তা শুরু করতে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক কিছু শর্ত পূরণের জন্য নগদকে একাধিক সময়সীমা দেওয়া হলেও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তা পূরণ সম্ভব হয়নি। এর ফলে সনদপ্রাপ্ত নগদের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। নগদ এখনো কার্যক্রম শুরুর জন্য সঠিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারেনি এবং এর নির্দিষ্ট সময়সীমাও জানা সম্ভব না হওয়ায় পরিস্থিতি আরও অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক এবং নগদের প্রশাসক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নগদ ডিজিটাল ব্যাংকের সনদ পেয়ে ইতিমধ্যেই কার্যক্রম শুরুর প্রক্রিয়ায় রয়েছে। বাজারে প্রবেশের জন্য নির্ধারিত একটি দল কাজ করছে এবং বর্তমানে আমি মূলত এমএফএস দেখছি।’
অন্যান্য ব্যাংকের ভবিষ্যৎ
নগদ ছাড়া, অন্য ৯টি প্রতিষ্ঠানও শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের জন্যও সনদ পাওয়া এখন অনিশ্চিত। বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানিয়েছে, সনদপ্রাপ্ত ব্যাংকটির কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী ব্যাংকগুলোর সনদ প্রদান করা হবে, কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে শর্ত পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অন্য ব্যাংকগুলোর সনদ পাওয়া বিলম্বিত হতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা বলেন, সনদপ্রাপ্ত ব্যাংকটির (নগদ) পরিচালনা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেই পরবর্তী ব্যাংকগুলোর অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের নীতিমালা
বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাল ব্যাংকিং চালুর জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করে, যার মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত ছিল। এই শর্তগুলোর মধ্যে ছিল—ব্যাংকগুলোকে ১২৫ কোটি টাকার মূলধন জমা রাখতে হবে, ব্যাংকের সেবা প্রদানে শাখা বা শাখা-উপশাখা না রেখে শুধু প্রযুক্তিনির্ভর হতে হবে, সেবাগ্রহীতা ২৪ ঘণ্টা মোবাইল, অ্যাপ বা ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহার করে সেবা গ্রহণ করতে পারবেন এবং বিশেষ করে কোনো প্লাস্টিক কার্ড বা সশরীর লেনদেনের সুযোগ থাকবে না। এভাবে ডিজিটাল ব্যাংকগুলো ডিজিটাল কার্ড, কিউআর কোড বা অন্যান্য প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রাহকদের সেবা প্রদান করবে।
এ ছাড়া ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য উদ্যোক্তাদের প্রযুক্তিসংক্রান্ত অভিজ্ঞতা থাকতে হবে এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কমপক্ষে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে ব্যাংকিং খাতে। তবে এসব শর্তগুলো পূরণে নগদসহ অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে যথেষ্ট প্রস্তুতির অভাব দেখা গেছে, যা ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের সফল বাস্তবায়নে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সনদ প্রদানের অপেক্ষা
বিগত বছরগুলোয় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমোদন পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ছিল ডিজিটেন, বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংক, ডিজিট অল, কড়ি ডিজিটাল ব্যাংক, স্মার্ট ডিজিটাল ব্যাংক, নর্থইস্ট ডিজিটাল ব্যাংক এবং জাপান বাংলা ডিজিটাল ব্যাংক। এগুলোর মধ্যে প্রথম পাঁচটি প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা করেছিল, তবে এসব ডিজিটাল ব্যাংক প্রস্তুতির অভাবে কার্যক্রম শুরু করতে সক্ষম হয়নি এবং পিছিয়ে পড়েছে। এদিকে অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোও সনদ পাওয়ার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে; কিন্তু পরিস্থিতি দেখে বাংলাদেশ ব্যাংক নিশ্চিত করতে পারছে না, কখন পরবর্তী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সনদ প্রদান করা হবে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
সরকারের পরিকল্পনা ছিল ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের আর্থিক খাতে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য সুবিধাজনক ঋণের ব্যবস্থা তৈরি করা। তবে বর্তমান পরিস্থিতি দেখে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ডিজিটাল ব্যাংকিং খাতে সরকারের উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা সফল হওয়ার পথে বড় বাধা সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে প্রস্তুতির অভাব, অন্যদিকে সঠিক শর্ত পূরণের সমস্যা—এসব কারণে ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের কার্যক্রমে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে, যা দেশের আর্থিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

বাংলাদেশে ডিজিটাল ব্যাংকিং খাতে নতুন একটি যুগ শুরুর উদ্দেশ্যে ২০২৩ সালে সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়। এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের জন্য ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া শুরু হয়, যা অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। ডিজিটাল ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের সেবা প্রদান করবে মোবাইল, অ্যাপ কিংবা অন্যান্য ডিজিটাল চ্যানেল ব্যবহার করে, যেখানে থাকবে ২৪ ঘণ্টা সেবা, ভার্চুয়াল কার্ড এবং কিউআর কোডের মতো সুবিধা। সরকারের মূল লক্ষ্য ছিল ব্যাংকিং খাতে প্রযুক্তিনির্ভর সংস্কৃতির সূচনা করা।
এই উদ্যোগের আওতায় মোট ৫৪টি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকে ডিজিটাল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আবেদন জমা দেয়। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত নীতিমালা অনুসরণ করে ১০টি প্রতিষ্ঠানকে ‘লেটার অব ইনটেন্ট’ (এলওআই) প্রদান করা হয়। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান নগদ চূড়ান্ত সনদ লাভ করে। তবে শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় নগদের কার্যক্রম শুরু হয়নি এবং অন্য আবেদনকারীদের কার্যক্রমও আটকে রয়েছে, যা সরকারের ডিজিটাল ব্যাংকিং পরিকল্পনাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।
নগদের জন্য প্রস্তুতির অভাব
নগদ একটি সফল মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হলেও ডিজিটাল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির অভাবে তা শুরু করতে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক কিছু শর্ত পূরণের জন্য নগদকে একাধিক সময়সীমা দেওয়া হলেও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তা পূরণ সম্ভব হয়নি। এর ফলে সনদপ্রাপ্ত নগদের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। নগদ এখনো কার্যক্রম শুরুর জন্য সঠিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারেনি এবং এর নির্দিষ্ট সময়সীমাও জানা সম্ভব না হওয়ায় পরিস্থিতি আরও অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক এবং নগদের প্রশাসক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নগদ ডিজিটাল ব্যাংকের সনদ পেয়ে ইতিমধ্যেই কার্যক্রম শুরুর প্রক্রিয়ায় রয়েছে। বাজারে প্রবেশের জন্য নির্ধারিত একটি দল কাজ করছে এবং বর্তমানে আমি মূলত এমএফএস দেখছি।’
অন্যান্য ব্যাংকের ভবিষ্যৎ
নগদ ছাড়া, অন্য ৯টি প্রতিষ্ঠানও শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের জন্যও সনদ পাওয়া এখন অনিশ্চিত। বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানিয়েছে, সনদপ্রাপ্ত ব্যাংকটির কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী ব্যাংকগুলোর সনদ প্রদান করা হবে, কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে শর্ত পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অন্য ব্যাংকগুলোর সনদ পাওয়া বিলম্বিত হতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা বলেন, সনদপ্রাপ্ত ব্যাংকটির (নগদ) পরিচালনা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেই পরবর্তী ব্যাংকগুলোর অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের নীতিমালা
বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাল ব্যাংকিং চালুর জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করে, যার মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত ছিল। এই শর্তগুলোর মধ্যে ছিল—ব্যাংকগুলোকে ১২৫ কোটি টাকার মূলধন জমা রাখতে হবে, ব্যাংকের সেবা প্রদানে শাখা বা শাখা-উপশাখা না রেখে শুধু প্রযুক্তিনির্ভর হতে হবে, সেবাগ্রহীতা ২৪ ঘণ্টা মোবাইল, অ্যাপ বা ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহার করে সেবা গ্রহণ করতে পারবেন এবং বিশেষ করে কোনো প্লাস্টিক কার্ড বা সশরীর লেনদেনের সুযোগ থাকবে না। এভাবে ডিজিটাল ব্যাংকগুলো ডিজিটাল কার্ড, কিউআর কোড বা অন্যান্য প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রাহকদের সেবা প্রদান করবে।
এ ছাড়া ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য উদ্যোক্তাদের প্রযুক্তিসংক্রান্ত অভিজ্ঞতা থাকতে হবে এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কমপক্ষে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে ব্যাংকিং খাতে। তবে এসব শর্তগুলো পূরণে নগদসহ অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে যথেষ্ট প্রস্তুতির অভাব দেখা গেছে, যা ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের সফল বাস্তবায়নে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সনদ প্রদানের অপেক্ষা
বিগত বছরগুলোয় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমোদন পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ছিল ডিজিটেন, বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংক, ডিজিট অল, কড়ি ডিজিটাল ব্যাংক, স্মার্ট ডিজিটাল ব্যাংক, নর্থইস্ট ডিজিটাল ব্যাংক এবং জাপান বাংলা ডিজিটাল ব্যাংক। এগুলোর মধ্যে প্রথম পাঁচটি প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা করেছিল, তবে এসব ডিজিটাল ব্যাংক প্রস্তুতির অভাবে কার্যক্রম শুরু করতে সক্ষম হয়নি এবং পিছিয়ে পড়েছে। এদিকে অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোও সনদ পাওয়ার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে; কিন্তু পরিস্থিতি দেখে বাংলাদেশ ব্যাংক নিশ্চিত করতে পারছে না, কখন পরবর্তী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সনদ প্রদান করা হবে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
সরকারের পরিকল্পনা ছিল ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের আর্থিক খাতে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য সুবিধাজনক ঋণের ব্যবস্থা তৈরি করা। তবে বর্তমান পরিস্থিতি দেখে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ডিজিটাল ব্যাংকিং খাতে সরকারের উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা সফল হওয়ার পথে বড় বাধা সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে প্রস্তুতির অভাব, অন্যদিকে সঠিক শর্ত পূরণের সমস্যা—এসব কারণে ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের কার্যক্রমে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে, যা দেশের আর্থিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

বাংলাদেশে ডিজিটাল ব্যাংকিং খাতে নতুন একটি যুগ শুরুর উদ্দেশ্যে ২০২৩ সালে সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়। এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের জন্য ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া শুরু হয়, যা অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। ডিজিটাল ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের সেবা প্রদান করবে মোবাইল, অ্যাপ কিংবা অন্যান্য ডিজিটাল চ্যানেল ব্যবহার করে, যেখানে থাকবে ২৪ ঘণ্টা সেবা, ভার্চুয়াল কার্ড এবং কিউআর কোডের মতো সুবিধা। সরকারের মূল লক্ষ্য ছিল ব্যাংকিং খাতে প্রযুক্তিনির্ভর সংস্কৃতির সূচনা করা।
এই উদ্যোগের আওতায় মোট ৫৪টি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকে ডিজিটাল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আবেদন জমা দেয়। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত নীতিমালা অনুসরণ করে ১০টি প্রতিষ্ঠানকে ‘লেটার অব ইনটেন্ট’ (এলওআই) প্রদান করা হয়। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান নগদ চূড়ান্ত সনদ লাভ করে। তবে শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় নগদের কার্যক্রম শুরু হয়নি এবং অন্য আবেদনকারীদের কার্যক্রমও আটকে রয়েছে, যা সরকারের ডিজিটাল ব্যাংকিং পরিকল্পনাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।
নগদের জন্য প্রস্তুতির অভাব
নগদ একটি সফল মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হলেও ডিজিটাল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির অভাবে তা শুরু করতে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক কিছু শর্ত পূরণের জন্য নগদকে একাধিক সময়সীমা দেওয়া হলেও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তা পূরণ সম্ভব হয়নি। এর ফলে সনদপ্রাপ্ত নগদের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। নগদ এখনো কার্যক্রম শুরুর জন্য সঠিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারেনি এবং এর নির্দিষ্ট সময়সীমাও জানা সম্ভব না হওয়ায় পরিস্থিতি আরও অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক এবং নগদের প্রশাসক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নগদ ডিজিটাল ব্যাংকের সনদ পেয়ে ইতিমধ্যেই কার্যক্রম শুরুর প্রক্রিয়ায় রয়েছে। বাজারে প্রবেশের জন্য নির্ধারিত একটি দল কাজ করছে এবং বর্তমানে আমি মূলত এমএফএস দেখছি।’
অন্যান্য ব্যাংকের ভবিষ্যৎ
নগদ ছাড়া, অন্য ৯টি প্রতিষ্ঠানও শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের জন্যও সনদ পাওয়া এখন অনিশ্চিত। বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানিয়েছে, সনদপ্রাপ্ত ব্যাংকটির কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী ব্যাংকগুলোর সনদ প্রদান করা হবে, কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে শর্ত পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অন্য ব্যাংকগুলোর সনদ পাওয়া বিলম্বিত হতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা বলেন, সনদপ্রাপ্ত ব্যাংকটির (নগদ) পরিচালনা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেই পরবর্তী ব্যাংকগুলোর অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের নীতিমালা
বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাল ব্যাংকিং চালুর জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করে, যার মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত ছিল। এই শর্তগুলোর মধ্যে ছিল—ব্যাংকগুলোকে ১২৫ কোটি টাকার মূলধন জমা রাখতে হবে, ব্যাংকের সেবা প্রদানে শাখা বা শাখা-উপশাখা না রেখে শুধু প্রযুক্তিনির্ভর হতে হবে, সেবাগ্রহীতা ২৪ ঘণ্টা মোবাইল, অ্যাপ বা ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহার করে সেবা গ্রহণ করতে পারবেন এবং বিশেষ করে কোনো প্লাস্টিক কার্ড বা সশরীর লেনদেনের সুযোগ থাকবে না। এভাবে ডিজিটাল ব্যাংকগুলো ডিজিটাল কার্ড, কিউআর কোড বা অন্যান্য প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রাহকদের সেবা প্রদান করবে।
এ ছাড়া ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য উদ্যোক্তাদের প্রযুক্তিসংক্রান্ত অভিজ্ঞতা থাকতে হবে এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কমপক্ষে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে ব্যাংকিং খাতে। তবে এসব শর্তগুলো পূরণে নগদসহ অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে যথেষ্ট প্রস্তুতির অভাব দেখা গেছে, যা ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের সফল বাস্তবায়নে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সনদ প্রদানের অপেক্ষা
বিগত বছরগুলোয় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমোদন পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ছিল ডিজিটেন, বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংক, ডিজিট অল, কড়ি ডিজিটাল ব্যাংক, স্মার্ট ডিজিটাল ব্যাংক, নর্থইস্ট ডিজিটাল ব্যাংক এবং জাপান বাংলা ডিজিটাল ব্যাংক। এগুলোর মধ্যে প্রথম পাঁচটি প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা করেছিল, তবে এসব ডিজিটাল ব্যাংক প্রস্তুতির অভাবে কার্যক্রম শুরু করতে সক্ষম হয়নি এবং পিছিয়ে পড়েছে। এদিকে অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোও সনদ পাওয়ার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে; কিন্তু পরিস্থিতি দেখে বাংলাদেশ ব্যাংক নিশ্চিত করতে পারছে না, কখন পরবর্তী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সনদ প্রদান করা হবে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
সরকারের পরিকল্পনা ছিল ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের আর্থিক খাতে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য সুবিধাজনক ঋণের ব্যবস্থা তৈরি করা। তবে বর্তমান পরিস্থিতি দেখে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ডিজিটাল ব্যাংকিং খাতে সরকারের উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা সফল হওয়ার পথে বড় বাধা সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে প্রস্তুতির অভাব, অন্যদিকে সঠিক শর্ত পূরণের সমস্যা—এসব কারণে ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের কার্যক্রমে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে, যা দেশের আর্থিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
৯ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
১ দিন আগেআইএমইডির নভেম্বর মাসের প্রতিবেদন
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বড় হলেও বাস্তব অগ্রগতি একেবারেই হতাশাজনক।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর—এই পাঁচ মাসে উন্নয়ন ব্যয় হয়েছে ২৮ হাজার ৪৩ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের মাত্র ১১.৭৫ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় ছিল ৩৪ হাজার ২১৫ কোটি টাকা বা ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় পিছিয়ে আছে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প যেন এগোচ্ছেই না। সরকারি তহবিল, বৈদেশিক সহায়তা ও সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন—প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্নয়ন ব্যয়ের এ তিন উৎসের প্রতিটিতেই যেন মন্থরতা লক্ষণীয়।
শুধু অর্থবছরের সার্বিক পরিস্থিতিই নয়, এডিপির মাসওয়ারি অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নভেম্বর মাসের তথ্য আরও চিন্তার। এই এক মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে ৮ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার মতো, যেখানে আগের বছরের নভেম্বরেই ব্যয় ছিল ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এক মাসেই ব্যয় কমে গেছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রগতির হার মাত্র ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ধীরগতি কোনো স্বাভাবিক মৌসুমি প্রবণতা নয়; বরং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ভেতরে জমে থাকা নানা অচলাবস্থার ফল।
প্রকল্প অনুমোদনে বিলম্ব, টেন্ডারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়া, দক্ষ ঠিকাদারের অভাব, মাঠপর্যায়ে প্রকৌশল বিভাগগুলোর সংকোচন—এসব মিলেই উন্নয়ন ব্যয় জমে থাকছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনে তৈরি হওয়া মন্থরতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধা। আইএমইডি কর্মকর্তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে পুরো প্রশাসনিক কাঠামো একধরনের অচল অবস্থায় ছিল, যার ধাক্কা এখনো পুরোপুরি কাটেনি।
মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ব্যয়ে বৈষম্যও স্পষ্ট। বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও সংসদবিষয়ক সচিবালয় মন্ত্রণালয় পাঁচ মাসে এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। কিছু বিভাগ অগ্রগতি দেখালেও, তা সমগ্র চিত্র বদলে দেওয়ার মতো নয়। বিপরীতে খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ ১৩২.৭৮ শতাংশ ব্যয় করেছে, যা বরাদ্দের চেয়েও বেশি ব্যয়—এটি চলমান প্রকল্পগুলোর প্রকৃত অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আইএমইডির মতে, প্রকৃত ব্যয় ও আর্থিক প্রতিবেদনের মধ্যকার এ ধরনের ব্যবধান ভবিষ্যতে প্রকল্প মূল্যায়নকে আরও জটিল করে তুলবে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলছেন, ‘বাস্তবায়নের হার স্পষ্টতই কম। শুধু সংখ্যা নয়, কেন এই অবস্থা, সেটাই এখন সবচেয়ে জরুরি প্রশ্ন।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন থাকায় ব্যবস্থাপনায় আরও ধীরতা দেখা দিতে পারে। ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তফা কে মুজেরী এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্থবছরের শুরুতে সাধারণত কিছুটা ধীরতা দেখা গেলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। নির্বাচনকালীন প্রশাসন সাধারণত ঝুঁকিনির্ভর হয় না, ফলে প্রকল্পের গতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
সব মিলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, প্রশাসনিক দ্বিধা এবং মাঠপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণহীনতা মিলিয়ে এডিপি বাস্তবায়ন যে পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে, তা দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন খুব কঠিন—এমনটি ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পনা কমিশনের ভেতরেও।
চলতি অর্থবছরে এডিপি বরাদ্দ ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম পাঁচ মাসে যে গতি দেখা গেছে, তাতে বছরের শেষে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন আদৌ সম্ভব হবে কি না, সে প্রশ্ন এখন আরও তীব্র হয়ে উঠছে।

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বড় হলেও বাস্তব অগ্রগতি একেবারেই হতাশাজনক।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর—এই পাঁচ মাসে উন্নয়ন ব্যয় হয়েছে ২৮ হাজার ৪৩ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের মাত্র ১১.৭৫ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় ছিল ৩৪ হাজার ২১৫ কোটি টাকা বা ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় পিছিয়ে আছে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প যেন এগোচ্ছেই না। সরকারি তহবিল, বৈদেশিক সহায়তা ও সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন—প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্নয়ন ব্যয়ের এ তিন উৎসের প্রতিটিতেই যেন মন্থরতা লক্ষণীয়।
শুধু অর্থবছরের সার্বিক পরিস্থিতিই নয়, এডিপির মাসওয়ারি অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নভেম্বর মাসের তথ্য আরও চিন্তার। এই এক মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে ৮ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার মতো, যেখানে আগের বছরের নভেম্বরেই ব্যয় ছিল ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এক মাসেই ব্যয় কমে গেছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রগতির হার মাত্র ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ধীরগতি কোনো স্বাভাবিক মৌসুমি প্রবণতা নয়; বরং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ভেতরে জমে থাকা নানা অচলাবস্থার ফল।
প্রকল্প অনুমোদনে বিলম্ব, টেন্ডারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়া, দক্ষ ঠিকাদারের অভাব, মাঠপর্যায়ে প্রকৌশল বিভাগগুলোর সংকোচন—এসব মিলেই উন্নয়ন ব্যয় জমে থাকছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনে তৈরি হওয়া মন্থরতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধা। আইএমইডি কর্মকর্তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে পুরো প্রশাসনিক কাঠামো একধরনের অচল অবস্থায় ছিল, যার ধাক্কা এখনো পুরোপুরি কাটেনি।
মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ব্যয়ে বৈষম্যও স্পষ্ট। বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও সংসদবিষয়ক সচিবালয় মন্ত্রণালয় পাঁচ মাসে এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। কিছু বিভাগ অগ্রগতি দেখালেও, তা সমগ্র চিত্র বদলে দেওয়ার মতো নয়। বিপরীতে খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ ১৩২.৭৮ শতাংশ ব্যয় করেছে, যা বরাদ্দের চেয়েও বেশি ব্যয়—এটি চলমান প্রকল্পগুলোর প্রকৃত অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আইএমইডির মতে, প্রকৃত ব্যয় ও আর্থিক প্রতিবেদনের মধ্যকার এ ধরনের ব্যবধান ভবিষ্যতে প্রকল্প মূল্যায়নকে আরও জটিল করে তুলবে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলছেন, ‘বাস্তবায়নের হার স্পষ্টতই কম। শুধু সংখ্যা নয়, কেন এই অবস্থা, সেটাই এখন সবচেয়ে জরুরি প্রশ্ন।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন থাকায় ব্যবস্থাপনায় আরও ধীরতা দেখা দিতে পারে। ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তফা কে মুজেরী এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্থবছরের শুরুতে সাধারণত কিছুটা ধীরতা দেখা গেলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। নির্বাচনকালীন প্রশাসন সাধারণত ঝুঁকিনির্ভর হয় না, ফলে প্রকল্পের গতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
সব মিলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, প্রশাসনিক দ্বিধা এবং মাঠপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণহীনতা মিলিয়ে এডিপি বাস্তবায়ন যে পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে, তা দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন খুব কঠিন—এমনটি ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পনা কমিশনের ভেতরেও।
চলতি অর্থবছরে এডিপি বরাদ্দ ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম পাঁচ মাসে যে গতি দেখা গেছে, তাতে বছরের শেষে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন আদৌ সম্ভব হবে কি না, সে প্রশ্ন এখন আরও তীব্র হয়ে উঠছে।

বাংলাদেশে ডিজিটাল ব্যাংকিং খাতে নতুন একটি যুগ শুরুর উদ্দেশ্যে ২০২৩ সালে সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়। এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের জন্য ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া শুরু হয়, যা অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। ডিজিটাল ব্যাংকগুলো গ্রা
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার দিনের শুরুতে রুপি ৩৬ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ১৪-এ পৌঁছায়, যা ইতিহাসের সর্বনিম্ন, পরে সামান্য পুনরুদ্ধার হয়। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে এবং ডলারের শক্তি কিছুটা কমেছে, তারপরও রুপির পতন অব্যাহত রয়েছে।
গত ১০টি লেনদেনের দিনে রুপি ৯০ থেকে ৯১-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। শুধু গত পাঁচ দিনে রুপির মান ডলারের তুলনায় ১ শতাংশ কমেছে। মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দাম চলতি মাসে ৯২ ছাড়িয়ে যাবে।
আজ মঙ্গলবার আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা রুপি ৯০ দশমিক ৮৭ থেকে লেনদেন শুরু হয়। পরে ৯০ দশমিক ৭৬ থেকে ৯১ দশমিক ১৪-এর মধ্যে ওঠানামা করে। শেষে ৯১ দশমিক ০১-এ বন্ধ হয়। গত সোমবার রুপি ৯০ দশমিক ৭৮-এ বন্ধ হয়েছিল, যা আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়সা কম।
ফিনরেক্স ট্রেজারি অ্যাডভাইজার্সের হেড অব ট্রেজারি অনিল কুমার বানসালি বলেন, ‘ডলারের ক্রয় অব্যাহত থাকায় রুপি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের নতুন বাণিজ্য প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় চুক্তি স্থগিত রয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার দিনের শুরুতে রুপি ৩৬ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ১৪-এ পৌঁছায়, যা ইতিহাসের সর্বনিম্ন, পরে সামান্য পুনরুদ্ধার হয়। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে এবং ডলারের শক্তি কিছুটা কমেছে, তারপরও রুপির পতন অব্যাহত রয়েছে।
গত ১০টি লেনদেনের দিনে রুপি ৯০ থেকে ৯১-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। শুধু গত পাঁচ দিনে রুপির মান ডলারের তুলনায় ১ শতাংশ কমেছে। মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দাম চলতি মাসে ৯২ ছাড়িয়ে যাবে।
আজ মঙ্গলবার আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা রুপি ৯০ দশমিক ৮৭ থেকে লেনদেন শুরু হয়। পরে ৯০ দশমিক ৭৬ থেকে ৯১ দশমিক ১৪-এর মধ্যে ওঠানামা করে। শেষে ৯১ দশমিক ০১-এ বন্ধ হয়। গত সোমবার রুপি ৯০ দশমিক ৭৮-এ বন্ধ হয়েছিল, যা আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়সা কম।
ফিনরেক্স ট্রেজারি অ্যাডভাইজার্সের হেড অব ট্রেজারি অনিল কুমার বানসালি বলেন, ‘ডলারের ক্রয় অব্যাহত থাকায় রুপি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের নতুন বাণিজ্য প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় চুক্তি স্থগিত রয়েছে।’

বাংলাদেশে ডিজিটাল ব্যাংকিং খাতে নতুন একটি যুগ শুরুর উদ্দেশ্যে ২০২৩ সালে সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়। এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের জন্য ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া শুরু হয়, যা অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। ডিজিটাল ব্যাংকগুলো গ্রা
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
৯ ঘণ্টা আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
পেপ্যালের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রিস বলেন, ‘পুঁজির নিরাপত্তা ছোট ব্যবসাগুলোর বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা। পেপ্যাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা ছোট ব্যবসার উন্নয়ন এবং মার্কিন অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারব।’
১৯৯৮ সালে ইলন মাস্ক ও পিটার থিয়েল পেপ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি গ্রাহককে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। মার্কিন ব্যাংকিং লাইসেন্স পাওয়ার পর কোম্পানি তৃতীয় পক্ষের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে গ্রাহকের আমানতকে ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে বিমার আওতায় আনতে পারবে।
পেপ্যালের আবেদন এসেছে এমন সময়ে, যখন একাধিক ক্রিপ্টো কোম্পানি এবং নিওব্যাংক এই বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি সুবিধা নিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং খাতে প্রবেশের সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করছে। এ বছরের মধ্যে নুবাঙ্ক, কয়েনবেসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং চার্টারের জন্য আবেদন করেছে।

ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
পেপ্যালের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রিস বলেন, ‘পুঁজির নিরাপত্তা ছোট ব্যবসাগুলোর বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা। পেপ্যাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা ছোট ব্যবসার উন্নয়ন এবং মার্কিন অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারব।’
১৯৯৮ সালে ইলন মাস্ক ও পিটার থিয়েল পেপ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি গ্রাহককে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। মার্কিন ব্যাংকিং লাইসেন্স পাওয়ার পর কোম্পানি তৃতীয় পক্ষের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে গ্রাহকের আমানতকে ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে বিমার আওতায় আনতে পারবে।
পেপ্যালের আবেদন এসেছে এমন সময়ে, যখন একাধিক ক্রিপ্টো কোম্পানি এবং নিওব্যাংক এই বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি সুবিধা নিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং খাতে প্রবেশের সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করছে। এ বছরের মধ্যে নুবাঙ্ক, কয়েনবেসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং চার্টারের জন্য আবেদন করেছে।

বাংলাদেশে ডিজিটাল ব্যাংকিং খাতে নতুন একটি যুগ শুরুর উদ্দেশ্যে ২০২৩ সালে সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়। এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের জন্য ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া শুরু হয়, যা অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। ডিজিটাল ব্যাংকগুলো গ্রা
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
৯ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

বাংলাদেশে ডিজিটাল ব্যাংকিং খাতে নতুন একটি যুগ শুরুর উদ্দেশ্যে ২০২৩ সালে সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়। এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের জন্য ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া শুরু হয়, যা অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। ডিজিটাল ব্যাংকগুলো গ্রা
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
৯ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে