নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আগামী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা বাজেট প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। প্রস্তাবিত বাজেটে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা ঘাটতি ধরা হয়েছে। যা দেশের জিডিপির ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।
আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে উন্নয়ন খাতে প্রায় আড়াই লাখ কোটি টাকা ব্যয়ের কথা বলা হয়েছে। সরকারি অর্থায়ন এবং বৈদেশিক ঋণ মিলে আগামী এক বছরের উন্নয়ন বাজেট বা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার দাঁড়াবে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা। বিশাল এ উন্নয়ন বাজেটে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে যোগাযোগ অবকাঠামো, বিদ্যুৎ ও শিক্ষা খাতে। এডিপির উল্লেখযোগ্য অংশ খরচ হবে সরকারের মেগা প্রকল্পগুলোতে, প্রায় ৬২ হাজার কোটি টাকা। চলিত মাসে উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা পদ্মা সেতু প্রকল্পেও বড় বরাদ্দ রয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তব্যে বলেন, অবকাঠামো ও সামাজিক খাতে দ্রুত উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। দরিদ্র দূরীকরণের লক্ষ্যে সরকার পিছিয়ে পড়া অঞ্চলগুলোর শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অবকাঠামো উন্নয়নে এডিপিতে বিশেষ বরাদ্দ প্রদান করেছে।
সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পাওয়া ১০ মেগা প্রকল্পে বাজেটের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে প্রায় ৫৮ হাজর কোটি টাকা। বরাদ্দে সবচেয়ে বেশি অর্থ পেয়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প। দেশের প্রথম ও একমাত্র পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পটি বরাদ্দ পেয়েছে প্রায় ১৩ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা।
সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাওয়া অন্য প্রকল্প হচ্ছে—চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) পেয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রায় ৮ হাজার ৭৫৯ কোটি টাকা। তৃতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেয়েছে মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প, প্রায় ৬ হাজার ৫৫৪ কোটি টাকা। এ প্রকল্পের আওতায় মাতারবাড়িতে একটি গভীর সমুদ্রবন্দরও তৈরি হবে।
সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাওয়া প্রকল্পের অন্যগুলো হচ্ছে— হজরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ (প্রথম পর্যায়), প্রায় ৬ হাজার ১৯ কোটি টাকা; পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প, প্রায় ৫ হাজার ৮০৯ কোটি টাকা; কোভিড-১৯ ইমারজেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস (ডব্লিউবি-জিওবি), প্রায় ৪ হাজার ২৫৪ কোটি টাকা; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ, প্রায় ৩ হাজার ৮৫১ কোটি টাকা; ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, প্রায় ৩ হাজার ৭০৩ কোটি টাকা; এক্সপানশন অ্যান্ড স্ট্রেনদেনিং অব পাওয়ার সিস্টেম নেটওয়ার্ক আন্ডার ডিপিডিসি এরিয়া, প্রায় ৩ হাজার ৫৯ কোটি টাকা এবং ঢাকা মাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-৬), প্রায় ২ হাজার ৮৮৩ কোটি টাকা।
শীর্ষ বরাদ্দে না থাকলেও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প পদ্মা সেতু পাচ্ছে ২ হাজার ২০২ কোটি টাকা।
জাতীয় বাজেট সম্পর্কে জানতে: এখানে ক্লিক করুন
শেষ পর্যায়ে থাকা কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্প পাচ্ছে ২ হাজার কোটি টাকা। পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর সংশ্লিষ্ট দুই প্রকল্প পাচ্ছে ৮০০ কোটি টাকা। দোহাজারী-রামু হয়ে কক্সবাজার রেল প্রকল্প পাচ্ছে ১২০ কোটি টাকা।
এই সম্পর্কিত পড়ুন:
আগামী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা বাজেট প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। প্রস্তাবিত বাজেটে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা ঘাটতি ধরা হয়েছে। যা দেশের জিডিপির ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।
আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে উন্নয়ন খাতে প্রায় আড়াই লাখ কোটি টাকা ব্যয়ের কথা বলা হয়েছে। সরকারি অর্থায়ন এবং বৈদেশিক ঋণ মিলে আগামী এক বছরের উন্নয়ন বাজেট বা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার দাঁড়াবে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা। বিশাল এ উন্নয়ন বাজেটে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে যোগাযোগ অবকাঠামো, বিদ্যুৎ ও শিক্ষা খাতে। এডিপির উল্লেখযোগ্য অংশ খরচ হবে সরকারের মেগা প্রকল্পগুলোতে, প্রায় ৬২ হাজার কোটি টাকা। চলিত মাসে উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা পদ্মা সেতু প্রকল্পেও বড় বরাদ্দ রয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তব্যে বলেন, অবকাঠামো ও সামাজিক খাতে দ্রুত উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। দরিদ্র দূরীকরণের লক্ষ্যে সরকার পিছিয়ে পড়া অঞ্চলগুলোর শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অবকাঠামো উন্নয়নে এডিপিতে বিশেষ বরাদ্দ প্রদান করেছে।
সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পাওয়া ১০ মেগা প্রকল্পে বাজেটের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে প্রায় ৫৮ হাজর কোটি টাকা। বরাদ্দে সবচেয়ে বেশি অর্থ পেয়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প। দেশের প্রথম ও একমাত্র পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পটি বরাদ্দ পেয়েছে প্রায় ১৩ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা।
সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাওয়া অন্য প্রকল্প হচ্ছে—চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) পেয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রায় ৮ হাজার ৭৫৯ কোটি টাকা। তৃতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেয়েছে মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প, প্রায় ৬ হাজার ৫৫৪ কোটি টাকা। এ প্রকল্পের আওতায় মাতারবাড়িতে একটি গভীর সমুদ্রবন্দরও তৈরি হবে।
সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাওয়া প্রকল্পের অন্যগুলো হচ্ছে— হজরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ (প্রথম পর্যায়), প্রায় ৬ হাজার ১৯ কোটি টাকা; পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প, প্রায় ৫ হাজার ৮০৯ কোটি টাকা; কোভিড-১৯ ইমারজেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস (ডব্লিউবি-জিওবি), প্রায় ৪ হাজার ২৫৪ কোটি টাকা; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ, প্রায় ৩ হাজার ৮৫১ কোটি টাকা; ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, প্রায় ৩ হাজার ৭০৩ কোটি টাকা; এক্সপানশন অ্যান্ড স্ট্রেনদেনিং অব পাওয়ার সিস্টেম নেটওয়ার্ক আন্ডার ডিপিডিসি এরিয়া, প্রায় ৩ হাজার ৫৯ কোটি টাকা এবং ঢাকা মাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-৬), প্রায় ২ হাজার ৮৮৩ কোটি টাকা।
শীর্ষ বরাদ্দে না থাকলেও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প পদ্মা সেতু পাচ্ছে ২ হাজার ২০২ কোটি টাকা।
জাতীয় বাজেট সম্পর্কে জানতে: এখানে ক্লিক করুন
শেষ পর্যায়ে থাকা কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্প পাচ্ছে ২ হাজার কোটি টাকা। পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর সংশ্লিষ্ট দুই প্রকল্প পাচ্ছে ৮০০ কোটি টাকা। দোহাজারী-রামু হয়ে কক্সবাজার রেল প্রকল্প পাচ্ছে ১২০ কোটি টাকা।
এই সম্পর্কিত পড়ুন:
আয়কর রিটার্ন জমা না দিলে গ্যাস, বিদ্যুৎসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পরিষেবার সংযোগ কেটে দেওয়ার মতো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। নতুন আয়কর আইনে কর কর্মকর্তাদের এ ক্ষমতা দেওয়া আছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের আয়কর নির্দেশিকায় এমনটাই জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
৩ ঘণ্টা আগেবিশ্বের অন্যতম শীর্ষ গ্লোবাল ইলেকট্রনিকস ব্র্যান্ড হয়ে ওঠার লক্ষ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে এগিয়ে যাচ্ছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত টেক জায়ান্ট ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। সেই লক্ষ্য অর্জনে বৈশ্বিক বাজার সম্প্রসারণে ব্যাপক সাফল্য দেখাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
৫ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার শীর্ষ টেলিকম প্রতিষ্ঠান আজিয়াটাকে বাংলাদেশে ফাইভ-জি সেবা চালু এবং দেশের ডেটা সেন্টারে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন। কুয়ালালামপুরে প্রধান উপদেষ্টার অবস্থান করা হোটেলে আজিয়াটা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এই আহ্বান জানান।
৫ ঘণ্টা আগেসমুদ্র অর্থনীতিবিষয়ক গবেষক রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) এম খুরশেদ আলম বলেন, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা চিহ্নিত হয়েছে। কিন্তু দেশের অর্থনীতির টেকসই প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে সাগরের সম্পদ ও সম্ভাবনা কাজে লাগানোর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। দেশের উপকূলরেখা থেকে ৬৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ সমুদ্রসীমা
৫ ঘণ্টা আগে