বেসরকারি খাতের প্রথম প্রজন্মের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি) সাড়ে তিন দশক ধরে অভিনব সেবায় জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। সরকার পরিবর্তনের পর গত আগস্টে পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় নেতৃত্ব বদল হয়। ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ব্যাংকটির সার্বিক কর্মকাণ্ড নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জয়নাল আবেদীন খান।
জয়নাল আবেদীন খান
আজকের পত্রিকা: ইউসিবির দেশি-বিদেশি গ্রাহকের আস্থার নেপথ্যে জাদুটা কী?
মামদুদুর রশীদ: ২০২০ সাল থেকে দেশে ব্যাংকিং খাত একটানা চাপের মধ্যেই রয়েছে। সুদহারে কৃত্রিম সীমা, করোনা, বৈশ্বিক যুদ্ধ, ডলারের ঘাটতি—সব মিলিয়ে টানা সংকট চলছে। বিশেষ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যখন রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে, তখন বাজারের তারল্যের বড় অংশ সরে যায়। মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায় আর সুদের সীমা তুলে দেওয়ার পর তা লাগামছাড়া বাড়তে থাকে। ডলারের দাম একপর্যায়ে ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়।
এই চাপ দেশের অনেক ব্যবসায়ীর জন্যই সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে। সব খাত আবার এমন নয় যে সেখানে উচ্চ মুনাফা হয়। ফলে খেলাপি ঋণ বেড়ে ২৪ শতাংশ ছাড়ায়। আমাদের ব্যাংকেও তা ১৪ শতাংশে পৌঁছেছে। তবু এই টালমাটাল সময়ে আমরা কখনোই গ্রাহকের কাছে দায় এড়িয়ে যাইনি। টাকা হোক বা ডলার—চাহিদামতো আমরা দিয়েছি সময়মতোই। ২০২২ সালের সংকটকালেও কেউ ইউসিবি থেকে খালি হাতে ফেরেনি। এটাই আমাদের আসল শক্তি—প্রতিশ্রুতি রক্ষা। আর এভাবেই গড়ে উঠেছে আজকের আস্থা, যেটা অনেকের চোখে জাদুর মতো মনে হলেও আমাদের কাছে এটা নীতির প্রশ্ন।
আজকের পত্রিকা: ইউসিবির ব্র্যান্ডিং কেমন উপভোগ করছেন?
মামদুদুর রশীদ: ইউসিবি দেশে বেসরকারি খাতের প্রথম প্রজন্মের ব্যাংক হিসেবে ১৯৮৩ সালের ২৮ জুন যাত্রা শুরু করে। তখন অর্থনীতি ছোট ছিল। তবে বড় হওয়ার গতি নজরে পড়ার মতো ছিল। বিশেষ করে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সওদাগরেরা দেশ-বিদেশে জোরেশোরে ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু অর্থায়ন করার মতো তেমন প্রতিষ্ঠান ছিল না। এখন যাদের বড়-মাঝারি শিল্প গ্রুপ হিসেবে দেখা যায়, তাদের বেশির ভাগের যাত্রা শুরু হয় দেশে বেসরকারি ব্যাংক চালুর পর। ফলে দেশের শীর্ষ করপোরেটরা ইউসিবির গ্রাহক। ব্যাংকের উদ্দেশ্যই ছিল বেসরকারি খাতকে এগিয়ে নেওয়া। সেটা সফল হয়েছে। আমাদের ৬১ হাজার কোটি টাকার ঋণের ৭০ শতাংশই বেসরকারি খাতের করপোরেট উদ্যোক্তারা নিয়েছেন। এই ৪২ বছরে গ্রাহকের আস্থা ও ব্র্যান্ডিং ব্যাংকটিকে অনন্য উচ্চতায় দাঁড় করিয়েছে। ব্র্যান্ডিং তো দেশ-বিদেশে ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছে।
আজকের পত্রিকা: ব্যাংকটির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
মামদুদুর রশীদ: নতুন পরিচালনা পরিষদ ২০২৪ সালের আগস্টে দায়িত্ব নেওয়ার পর ব্যাংক কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়, তবে আমানত সংগ্রহে দ্রুত সাফল্য এসেছে। চলতি বছর ৬ হাজার ২১৮ কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। ৩ লাখ নতুন গ্রাহক যুক্ত হয়েছেন এবং চারটি বিদেশি ব্যাংকের সঙ্গে ক্রেডিট লাইন চালু হয়েছে। কর্মীদের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনা হয়েছে এবং ব্যাংকের সুশাসনের উন্নয়নে জোর দেওয়া হচ্ছে।
পরবর্তী তিন থেকে পাঁচ বছরে মূলধন দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা রয়েছে, রাইট শেয়ার ও নতুন শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে। ডিজিটাল সেবায় বিনিয়োগ বাড়িয়ে ভোক্তা ও এসএমই ব্যাংকিং পুরোপুরি ডিজিটাল করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ব্যাংকের চারটি লাইসেন্সের সুবিধা নিয়ে ফিনটেকসহ সব ধরনের আধুনিক সেবার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যার উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যে ব্যাংকিং রোবোটিকস ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার শুরু হয়েছে।
আজকের পত্রিকা: অফশোর ব্যাংকিংয়ের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
মামদুদুর রশীদ: স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে বিদেশে হাউস বৃদ্ধি ও বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের লক্ষ্যে কাজ চলবে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিক লেনদেনে দেশের ৬১টি ব্যাংকের মধ্যে শীর্ষ তিনে থাকার দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে।
আজকের পত্রিকা: ইসলামি ব্যাংকিং নিয়ে হতাশ নাকি আশাবাদী?
মামদুদুর রশীদ: আমাদের ইসলামি ব্যাংকিং চালু রয়েছে। এর প্রতি অনেক গ্রাহকের আগ্রহ রয়েছে। তাদের চাহিদা আমলে নিয়ে শরিয়াহ ব্যাংকিং প্রসারে উদ্যোগ রয়েছে। এ ধরনের ব্যাংকিংয়ের ভবিষ্যৎ ভালো মনে হচ্ছে। হতাশার কিছু নেই।
আজকের পত্রিকা: ইউসিবির ঋণ ব্যবস্থাপনা কেমন?
মামদুদুর রশীদ: ৪২ বছরের মাথায় দাঁড়িয়ে আমরা দেখছি, আমাদের আমানত ৬১ হাজার ৮০৩ কোটি টাকা। আমাদের ঋণের পরিমাণ প্রায় ৬০ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রায় ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকার তহবিল ব্যবস্থাপনা করছি আমরা। ফলে আমানত ও ঋণ—দুভাবেই ইউসিবি বড় ব্যাংক। দেশের শীর্ষ পাঁচ ব্যাংকের একটি ইউসিবি। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ৭ শতাংশ আমাদের মাধ্যমে হয়ে থাকে। পোশাক খাতে অর্থায়নে শীর্ষ ব্যাংক ইউসিবি। আমাদের ঋণের প্রায় ৭০ শতাংশ হচ্ছে মাঝারি করপোরেট ও বড় করপোরেটদের। বাকি ৩০ শতাংশ ঋণ গেছে ভোক্তা, সিএমএসএমই, কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে। সারা দেশে আমাদের ২৩১ শাখা, ১৮১ উপশাখা ও ৬৪৫টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট রয়েছে। আমানতকারী ২৪ লাখ ৬২ হাজার। ব্যাংকের নিয়মিত কর্মী ৫ হাজার ৭৮৯ জন।
আজকের পত্রিকা: নতুন বন্ড ইস্যু নিয়ে বাজারে চাউর হওয়া বিষয়টি সত্যি কি?
মামদুদুর রশীদ: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি হিসেবে ইউসিবির পরিচালনা পর্ষদ একটি সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রস্তাবিত বন্ডটি ইস্যুর মাধ্যমে ইউসিবি বাজার থেকে ১ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। টিয়ার টু মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করতে এই অর্থ ব্যবহার করবে ব্যাংকটি। বন্ডটির নাম হলো ইউসিবি ষষ্ঠ সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড।
আজকের পত্রিকা: ইউসিবির দেশি-বিদেশি গ্রাহকের আস্থার নেপথ্যে জাদুটা কী?
মামদুদুর রশীদ: ২০২০ সাল থেকে দেশে ব্যাংকিং খাত একটানা চাপের মধ্যেই রয়েছে। সুদহারে কৃত্রিম সীমা, করোনা, বৈশ্বিক যুদ্ধ, ডলারের ঘাটতি—সব মিলিয়ে টানা সংকট চলছে। বিশেষ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যখন রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে, তখন বাজারের তারল্যের বড় অংশ সরে যায়। মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায় আর সুদের সীমা তুলে দেওয়ার পর তা লাগামছাড়া বাড়তে থাকে। ডলারের দাম একপর্যায়ে ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়।
এই চাপ দেশের অনেক ব্যবসায়ীর জন্যই সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে। সব খাত আবার এমন নয় যে সেখানে উচ্চ মুনাফা হয়। ফলে খেলাপি ঋণ বেড়ে ২৪ শতাংশ ছাড়ায়। আমাদের ব্যাংকেও তা ১৪ শতাংশে পৌঁছেছে। তবু এই টালমাটাল সময়ে আমরা কখনোই গ্রাহকের কাছে দায় এড়িয়ে যাইনি। টাকা হোক বা ডলার—চাহিদামতো আমরা দিয়েছি সময়মতোই। ২০২২ সালের সংকটকালেও কেউ ইউসিবি থেকে খালি হাতে ফেরেনি। এটাই আমাদের আসল শক্তি—প্রতিশ্রুতি রক্ষা। আর এভাবেই গড়ে উঠেছে আজকের আস্থা, যেটা অনেকের চোখে জাদুর মতো মনে হলেও আমাদের কাছে এটা নীতির প্রশ্ন।
আজকের পত্রিকা: ইউসিবির ব্র্যান্ডিং কেমন উপভোগ করছেন?
মামদুদুর রশীদ: ইউসিবি দেশে বেসরকারি খাতের প্রথম প্রজন্মের ব্যাংক হিসেবে ১৯৮৩ সালের ২৮ জুন যাত্রা শুরু করে। তখন অর্থনীতি ছোট ছিল। তবে বড় হওয়ার গতি নজরে পড়ার মতো ছিল। বিশেষ করে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সওদাগরেরা দেশ-বিদেশে জোরেশোরে ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু অর্থায়ন করার মতো তেমন প্রতিষ্ঠান ছিল না। এখন যাদের বড়-মাঝারি শিল্প গ্রুপ হিসেবে দেখা যায়, তাদের বেশির ভাগের যাত্রা শুরু হয় দেশে বেসরকারি ব্যাংক চালুর পর। ফলে দেশের শীর্ষ করপোরেটরা ইউসিবির গ্রাহক। ব্যাংকের উদ্দেশ্যই ছিল বেসরকারি খাতকে এগিয়ে নেওয়া। সেটা সফল হয়েছে। আমাদের ৬১ হাজার কোটি টাকার ঋণের ৭০ শতাংশই বেসরকারি খাতের করপোরেট উদ্যোক্তারা নিয়েছেন। এই ৪২ বছরে গ্রাহকের আস্থা ও ব্র্যান্ডিং ব্যাংকটিকে অনন্য উচ্চতায় দাঁড় করিয়েছে। ব্র্যান্ডিং তো দেশ-বিদেশে ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছে।
আজকের পত্রিকা: ব্যাংকটির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
মামদুদুর রশীদ: নতুন পরিচালনা পরিষদ ২০২৪ সালের আগস্টে দায়িত্ব নেওয়ার পর ব্যাংক কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়, তবে আমানত সংগ্রহে দ্রুত সাফল্য এসেছে। চলতি বছর ৬ হাজার ২১৮ কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। ৩ লাখ নতুন গ্রাহক যুক্ত হয়েছেন এবং চারটি বিদেশি ব্যাংকের সঙ্গে ক্রেডিট লাইন চালু হয়েছে। কর্মীদের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনা হয়েছে এবং ব্যাংকের সুশাসনের উন্নয়নে জোর দেওয়া হচ্ছে।
পরবর্তী তিন থেকে পাঁচ বছরে মূলধন দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা রয়েছে, রাইট শেয়ার ও নতুন শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে। ডিজিটাল সেবায় বিনিয়োগ বাড়িয়ে ভোক্তা ও এসএমই ব্যাংকিং পুরোপুরি ডিজিটাল করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ব্যাংকের চারটি লাইসেন্সের সুবিধা নিয়ে ফিনটেকসহ সব ধরনের আধুনিক সেবার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যার উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যে ব্যাংকিং রোবোটিকস ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার শুরু হয়েছে।
আজকের পত্রিকা: অফশোর ব্যাংকিংয়ের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
মামদুদুর রশীদ: স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে বিদেশে হাউস বৃদ্ধি ও বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের লক্ষ্যে কাজ চলবে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিক লেনদেনে দেশের ৬১টি ব্যাংকের মধ্যে শীর্ষ তিনে থাকার দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে।
আজকের পত্রিকা: ইসলামি ব্যাংকিং নিয়ে হতাশ নাকি আশাবাদী?
মামদুদুর রশীদ: আমাদের ইসলামি ব্যাংকিং চালু রয়েছে। এর প্রতি অনেক গ্রাহকের আগ্রহ রয়েছে। তাদের চাহিদা আমলে নিয়ে শরিয়াহ ব্যাংকিং প্রসারে উদ্যোগ রয়েছে। এ ধরনের ব্যাংকিংয়ের ভবিষ্যৎ ভালো মনে হচ্ছে। হতাশার কিছু নেই।
আজকের পত্রিকা: ইউসিবির ঋণ ব্যবস্থাপনা কেমন?
মামদুদুর রশীদ: ৪২ বছরের মাথায় দাঁড়িয়ে আমরা দেখছি, আমাদের আমানত ৬১ হাজার ৮০৩ কোটি টাকা। আমাদের ঋণের পরিমাণ প্রায় ৬০ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রায় ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকার তহবিল ব্যবস্থাপনা করছি আমরা। ফলে আমানত ও ঋণ—দুভাবেই ইউসিবি বড় ব্যাংক। দেশের শীর্ষ পাঁচ ব্যাংকের একটি ইউসিবি। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ৭ শতাংশ আমাদের মাধ্যমে হয়ে থাকে। পোশাক খাতে অর্থায়নে শীর্ষ ব্যাংক ইউসিবি। আমাদের ঋণের প্রায় ৭০ শতাংশ হচ্ছে মাঝারি করপোরেট ও বড় করপোরেটদের। বাকি ৩০ শতাংশ ঋণ গেছে ভোক্তা, সিএমএসএমই, কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে। সারা দেশে আমাদের ২৩১ শাখা, ১৮১ উপশাখা ও ৬৪৫টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট রয়েছে। আমানতকারী ২৪ লাখ ৬২ হাজার। ব্যাংকের নিয়মিত কর্মী ৫ হাজার ৭৮৯ জন।
আজকের পত্রিকা: নতুন বন্ড ইস্যু নিয়ে বাজারে চাউর হওয়া বিষয়টি সত্যি কি?
মামদুদুর রশীদ: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি হিসেবে ইউসিবির পরিচালনা পর্ষদ একটি সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রস্তাবিত বন্ডটি ইস্যুর মাধ্যমে ইউসিবি বাজার থেকে ১ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। টিয়ার টু মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করতে এই অর্থ ব্যবহার করবে ব্যাংকটি। বন্ডটির নাম হলো ইউসিবি ষষ্ঠ সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড।
বাংলাদেশ সরকার আদানি পাওয়ারকে জুন মাসে ৩৮৪ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে। যার ফলে ভারতের এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিদ্যুৎ সরবরাহ চুক্তির অধীনে বকেয়া অনেকটাই কমে এসেছে। সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর।
৪ ঘণ্টা আগেমাসদেড়েক আগে বাংলাদেশ থেকে স্থলবন্দর দিয়ে আট ধরনের পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করে ভারত। নিষেধাজ্ঞার এ তালিকায় নতুন করে পাট ও ওভেন কাপড়সহ ৯ ধরনের পণ্য যুক্ত করেছে দেশটি। ভারতে বাংলাদেশ থেকে যে ২ বিলিয়ন ডলার পণ্য রপ্তানি হয়, তার সিংহভাগই নিষেধাজ্ঞার পণ্যের তালিকায় পড়ে গেছে।
৯ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্র তার বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে বিশ্বের বেশ কিছু দেশের ওপর আরোপিত পাল্টা শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছিল। সে সময়সীমা শেষ হতে আর মাত্র ১০ দিন বাকি। কিন্তু এখনো এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো চুক্তি বা সুরাহা না হওয়ায় চিন্তিত ব্যবসায়ীরা
১০ ঘণ্টা আগেজাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের অপসারণ ছাড়া সরকারের কোনো কথা শুনবেন না প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সরকারের আহ্বান ও কর্তৃপক্ষের হুঁশিয়ারির পরও দাবি আদায়ে গতকাল শনিবার পূর্বনির্ধারিত কমপ্লিট শাটডাউন ও মার্চ টু এনবিআর কর্মসূচি পালন করেছেন তাঁরা।
১০ ঘণ্টা আগে