নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনার অনুমোদন পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক। দেশের দ্রুতগতির ইন্টারনেট খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে এই অনুমোদন। সরকারের বিনিয়োগ-সংক্রান্ত সংস্থা বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা) প্রতিষ্ঠানটিকে এ অনুমোদন দিয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিডা ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। তিনি জানান, ঈদের আগে গত ২৯ মার্চ স্টারলিংককে ব্যবসা পরিচালনার অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈদেশিক কোনো প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে কাজ করতে চাইলে বিডা থেকে নিবন্ধন নেওয়া বাধ্যতামূলক। সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে স্টারলিংক।
বর্তমানে দেশের ইন্টারনেট সেবা পুরোপুরি সাবমেরিন কেব্লনির্ভর। সমুদ্রতলদেশ দিয়ে ফাইবার অপটিক তারের মাধ্যমে আনা ব্যান্ডউইডথ মোবাইল অপারেটর ও ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডাররা (আইএসপি) গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেয়। তবে দুর্গম ও গ্রামীণ অঞ্চলে এখনো নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
এই প্রেক্ষাপটে স্টারলিংকের আগমন হতে পারে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন। কারণ, স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা আসে স্যাটেলাইট থেকে, যা পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে স্থাপিত হাজার হাজার উপগ্রহের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়। এতে করে দেশের যেকোনো প্রান্তে, এমনকি দুর্গম পাহাড় কিংবা নদীবেষ্টিত চরে দ্রুতগতির ইন্টারনেট পৌঁছানো সম্ভব হবে।
স্টারলিংকের মূল প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স। ২০১৫ সালে প্রকল্পের কাজ শুরু হয় এবং ২০১৯ সালে এর বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়। চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত স্টারলিংকের ৬ হাজার ৯৯৪টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ হয়েছে, যেগুলো পৃথিবী থেকে প্রায় ৫৫০ কিলোমিটার ওপরে ঘূর্ণমান অবস্থায় রয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের ১০০ টির বেশি দেশে স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা চালু রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম কার্যক্রম শুরু হয় ভুটানে।
সেবাটি ব্যবহার করতে গ্রাহককে একটি বিশেষ ডিভাইস বা ডিশ অ্যান্টেনা স্থাপন করতে হবে, যা স্যাটেলাইটের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত থাকবে। এরপর সেই অ্যান্টেনার সঙ্গে যুক্ত একটি রাউটার ব্যবহার করে গ্রাহক ঘরে বসেই উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা উপভোগ করতে পারবেন। স্টারলিংকের ইন্টারনেট গতি উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। ডাউনলোড স্পিড ২৫ থেকে ২২০ এমবিপিএস এবং আপলোড স্পিড ৫ থেকে ২০ এমবিপিএস পর্যন্ত হতে পারে। বেশির ভাগ ব্যবহারকারী গড়ে ১০০ এমবিপিএসের বেশি গতি পান।
অন্যদিকে গত জানুয়ারিতে ইন্টারনেট স্পিড বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান ওকলা জানায়, বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেটের গড় ডাউনলোড গতি ৪০ এমবিপিএসের নিচে এবং আপলোড গতি ১৩ এমবিপিএস। ব্রডব্যান্ডের গড় ডাউনলোড স্পিড ৫১ এমবিপিএস, আপলোড ৪৯ এমবিপিএস হলেও ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা ক্ষেত্রবিশেষে অনেক কম।
বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনার অনুমোদন পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক। দেশের দ্রুতগতির ইন্টারনেট খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে এই অনুমোদন। সরকারের বিনিয়োগ-সংক্রান্ত সংস্থা বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা) প্রতিষ্ঠানটিকে এ অনুমোদন দিয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিডা ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। তিনি জানান, ঈদের আগে গত ২৯ মার্চ স্টারলিংককে ব্যবসা পরিচালনার অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈদেশিক কোনো প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে কাজ করতে চাইলে বিডা থেকে নিবন্ধন নেওয়া বাধ্যতামূলক। সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে স্টারলিংক।
বর্তমানে দেশের ইন্টারনেট সেবা পুরোপুরি সাবমেরিন কেব্লনির্ভর। সমুদ্রতলদেশ দিয়ে ফাইবার অপটিক তারের মাধ্যমে আনা ব্যান্ডউইডথ মোবাইল অপারেটর ও ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডাররা (আইএসপি) গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেয়। তবে দুর্গম ও গ্রামীণ অঞ্চলে এখনো নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
এই প্রেক্ষাপটে স্টারলিংকের আগমন হতে পারে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন। কারণ, স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা আসে স্যাটেলাইট থেকে, যা পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে স্থাপিত হাজার হাজার উপগ্রহের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়। এতে করে দেশের যেকোনো প্রান্তে, এমনকি দুর্গম পাহাড় কিংবা নদীবেষ্টিত চরে দ্রুতগতির ইন্টারনেট পৌঁছানো সম্ভব হবে।
স্টারলিংকের মূল প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স। ২০১৫ সালে প্রকল্পের কাজ শুরু হয় এবং ২০১৯ সালে এর বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়। চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত স্টারলিংকের ৬ হাজার ৯৯৪টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ হয়েছে, যেগুলো পৃথিবী থেকে প্রায় ৫৫০ কিলোমিটার ওপরে ঘূর্ণমান অবস্থায় রয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের ১০০ টির বেশি দেশে স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা চালু রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম কার্যক্রম শুরু হয় ভুটানে।
সেবাটি ব্যবহার করতে গ্রাহককে একটি বিশেষ ডিভাইস বা ডিশ অ্যান্টেনা স্থাপন করতে হবে, যা স্যাটেলাইটের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত থাকবে। এরপর সেই অ্যান্টেনার সঙ্গে যুক্ত একটি রাউটার ব্যবহার করে গ্রাহক ঘরে বসেই উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা উপভোগ করতে পারবেন। স্টারলিংকের ইন্টারনেট গতি উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। ডাউনলোড স্পিড ২৫ থেকে ২২০ এমবিপিএস এবং আপলোড স্পিড ৫ থেকে ২০ এমবিপিএস পর্যন্ত হতে পারে। বেশির ভাগ ব্যবহারকারী গড়ে ১০০ এমবিপিএসের বেশি গতি পান।
অন্যদিকে গত জানুয়ারিতে ইন্টারনেট স্পিড বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান ওকলা জানায়, বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেটের গড় ডাউনলোড গতি ৪০ এমবিপিএসের নিচে এবং আপলোড গতি ১৩ এমবিপিএস। ব্রডব্যান্ডের গড় ডাউনলোড স্পিড ৫১ এমবিপিএস, আপলোড ৪৯ এমবিপিএস হলেও ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা ক্ষেত্রবিশেষে অনেক কম।
বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে ব্যবসায়ীদের খরচ বাড়ছে। হ্যান্ডলিংয়ের আগে পণ্য চালান পরীক্ষার নামে এই অতিরিক্ত খরচ চাপ দিচ্ছে। প্রতিটি চালানে ১৫-২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। কখনো কখনো রিপোর্ট পেতে সময় লাগছে এক মাসেরও বেশি, আর ওই সময় পণ্য বন্দরে আটকা পড়ে।
৩ ঘণ্টা আগে২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘিরে নানা প্রশ্ন আর আলোচনা চলছে। কালোটাকা সাদা করার সুযোগ থাকবে কি না, এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য দেশ কতটা প্রস্তুত, বিদেশি বাজার ধরে রাখতে কী উদ্যোগ দরকার—এসব নিয়েই মুখোমুখি হলেন অর্থনীতিবিদ, নীতিনির্ধারক ও ব্যবসায়ী নেতারা।
৪ ঘণ্টা আগেএ পরিস্থিতিতে আমাদের দাবি, অবিলম্বে এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে। তার মাধ্যমে রাজস্ব সংস্কার বিষয়ক কার্যক্রম সময়ক্ষেপণ বই কিছু নয় বলে মনে করে ঐক্য পরিষদ।
৭ ঘণ্টা আগেচতুর্থ প্রজন্মের বেসরকারি ব্যাংক ‘ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি’। ২০১৩ সালে লাইসেন্স পাওয়া এই ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ২৭ হাজার ৭৬৭ কোটি টাকা। এই ঋণের প্রায় ৬২ শতাংশ অর্থাৎ ১৭ হাজার ২২৯ কোটি টাকাই নামে-বেনামে হাতিয়ে নিয়েছে বিতর্কিত শিল্পগ্রুপ এস আলম। ঋণের নামে লুট করা এই টাকা সবচেয়ে বেশি নেওয়া হয়েছে
১ দিন আগে