নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির নিরীক্ষা প্রতিবেদন উচ্চ আদালতে জমা দিয়েছে সদ্য পদত্যাগ করা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের পরিচালনা বোর্ড। একই সঙ্গে তাঁরা নিজেদের পদত্যাগপত্র এবং ইভ্যালির বিষয়ে তাঁদের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনও আদালতে দাখিল করেছেন।
আজ বুধবার বেলা ১১টা নাগাদ এসব প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হয় বলে জানিয়েছেন বিচারপতি মানিক।
আজকের পত্রিকাকে শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘ইভ্যালিকে ডোবানোর জন্য রাসেল (ইভ্যালির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক) দায়ী। তিনি নিজের খেয়াল-খুশিমতো কোম্পানি চালিয়েছেন। কোম্পানির টাকায় বিলাসী জীবন যাপন করেছেন।’
ইভ্যালির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বোর্ডের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে কী বলা হয়েছে জানতে চাইলে বিচারপতি মানিক বলেন, ‘আমরা কোম্পানি দেউলিয়া হওয়ার পক্ষে মত দেইনি। কারণ হাজার হাজার মানুষের টাকা এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ৷ আমরা বলেছি বিনিয়োগ পেলে কোম্পানি চলবে। অন্যথায় বন্ধ হয়ে যাবে।’
মানিক জানান, আদালতে দাখিল করা পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাসেল কার কাছ থেকে কত টাকা নিয়েছেন, কত টাকা দিয়েছেন তার কোনো হিসাব নেই। সার্ভারের পাসওয়ার্ড না পাওয়ায় অনেক তথ্যই পাওয়া যায়নি।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার দায়িত্ব নেবে ইভ্যালির নতুন পরিচালনা বোর্ড। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী এই বোর্ডে থাকছেন মোহাম্মদ রাসেলের স্ত্রী শামীমা নাসরিন, তার মা ও বোনের স্বামী। আর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব কামরুন নাহার এবং ইক্যাবের সহসভাপতি সাহাব উদ্দিন শিপন।
গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল ও তাঁর স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। এরপর ১৮ অক্টোবর ইভ্যালি পরিচালনার জন্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দেন বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বাধীন বোর্ডের অন্য সদস্যরা ছিলেন স্থানীয় সরকার ও পল্লি উন্নয়ন বিভাগের সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল আহসান, তৎকালীন অতিরিক্ত সচিব (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) মাহবুব কবীর মিলন, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফখরুদ্দিন আহম্মেদ ও কোম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
গত ১০ আগস্ট ইভ্যালি পুনরায় চালু করতে বোর্ডের কাছে আবেদন করেন শামীমা নাসরিন। আবেদনে তিনি নিজেকে এবং তাঁর মা ও বোনের স্বামীকে পরিচালনা বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করতে বলেন। এরপর ২৪ আগস্ট হাইকোর্ট বেঞ্চ শামীমা নাসরিন এবং তাঁর মা ও বোনের স্বামীকে ইভ্যালির নতুন পরিচালনা বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশ দেন। ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত বোর্ডের মিটিংয়ে তাঁদের নতুন পরিচালনা পর্ষদে অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হয়। এই পরিচালনা পর্ষদে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিবের নিচে নয়, এমন কর্মকর্তাকে স্বাধীন পরিচালক হিসেবে রাখতে বলা হয়। এ ছাড়া নতুন বোর্ডে ই-ক্যাবের একজন প্রতিনিধি থাকবেন।
ইভ্যালির আইনজীবী আহসান হাবীব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামীকালই নতুন বোর্ড দায়িত্ব বুঝে নেবে। শামীমা নাসরিনের নেতৃত্বে এই বোর্ড কাজ করবে।’
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির নিরীক্ষা প্রতিবেদন উচ্চ আদালতে জমা দিয়েছে সদ্য পদত্যাগ করা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের পরিচালনা বোর্ড। একই সঙ্গে তাঁরা নিজেদের পদত্যাগপত্র এবং ইভ্যালির বিষয়ে তাঁদের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনও আদালতে দাখিল করেছেন।
আজ বুধবার বেলা ১১টা নাগাদ এসব প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হয় বলে জানিয়েছেন বিচারপতি মানিক।
আজকের পত্রিকাকে শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘ইভ্যালিকে ডোবানোর জন্য রাসেল (ইভ্যালির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক) দায়ী। তিনি নিজের খেয়াল-খুশিমতো কোম্পানি চালিয়েছেন। কোম্পানির টাকায় বিলাসী জীবন যাপন করেছেন।’
ইভ্যালির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বোর্ডের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে কী বলা হয়েছে জানতে চাইলে বিচারপতি মানিক বলেন, ‘আমরা কোম্পানি দেউলিয়া হওয়ার পক্ষে মত দেইনি। কারণ হাজার হাজার মানুষের টাকা এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ৷ আমরা বলেছি বিনিয়োগ পেলে কোম্পানি চলবে। অন্যথায় বন্ধ হয়ে যাবে।’
মানিক জানান, আদালতে দাখিল করা পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাসেল কার কাছ থেকে কত টাকা নিয়েছেন, কত টাকা দিয়েছেন তার কোনো হিসাব নেই। সার্ভারের পাসওয়ার্ড না পাওয়ায় অনেক তথ্যই পাওয়া যায়নি।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার দায়িত্ব নেবে ইভ্যালির নতুন পরিচালনা বোর্ড। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী এই বোর্ডে থাকছেন মোহাম্মদ রাসেলের স্ত্রী শামীমা নাসরিন, তার মা ও বোনের স্বামী। আর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব কামরুন নাহার এবং ইক্যাবের সহসভাপতি সাহাব উদ্দিন শিপন।
গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল ও তাঁর স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। এরপর ১৮ অক্টোবর ইভ্যালি পরিচালনার জন্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দেন বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বাধীন বোর্ডের অন্য সদস্যরা ছিলেন স্থানীয় সরকার ও পল্লি উন্নয়ন বিভাগের সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল আহসান, তৎকালীন অতিরিক্ত সচিব (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) মাহবুব কবীর মিলন, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফখরুদ্দিন আহম্মেদ ও কোম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
গত ১০ আগস্ট ইভ্যালি পুনরায় চালু করতে বোর্ডের কাছে আবেদন করেন শামীমা নাসরিন। আবেদনে তিনি নিজেকে এবং তাঁর মা ও বোনের স্বামীকে পরিচালনা বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করতে বলেন। এরপর ২৪ আগস্ট হাইকোর্ট বেঞ্চ শামীমা নাসরিন এবং তাঁর মা ও বোনের স্বামীকে ইভ্যালির নতুন পরিচালনা বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশ দেন। ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত বোর্ডের মিটিংয়ে তাঁদের নতুন পরিচালনা পর্ষদে অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হয়। এই পরিচালনা পর্ষদে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিবের নিচে নয়, এমন কর্মকর্তাকে স্বাধীন পরিচালক হিসেবে রাখতে বলা হয়। এ ছাড়া নতুন বোর্ডে ই-ক্যাবের একজন প্রতিনিধি থাকবেন।
ইভ্যালির আইনজীবী আহসান হাবীব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামীকালই নতুন বোর্ড দায়িত্ব বুঝে নেবে। শামীমা নাসরিনের নেতৃত্বে এই বোর্ড কাজ করবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর বিমান হামলার পর বিশ্বজুড়ে তেলের বাজারে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। যুদ্ধের আশঙ্কা এবং জ্বালানির সরবরাহে সম্ভাব্য বিঘ্ন ঘটতে পারে—এই আতঙ্কে আজ দিনের শুরুতেই বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম হঠাৎ করেই ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠে।
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের মানুষ বছরে গড়ে ৯৮১ টাকা ব্যয় করেন শুধু হাত ধোয়ার পেছনে। এ খরচ শহরে ১৩১১ টাকা হলেও গ্রামে ৮৩১ টাকা। পানি ব্যবহারের দিক থেকেও পার্থক্য লক্ষণীয়—একজন গ্রামীণ নাগরিক বছরে গড়ে ৩১ হাজার ১৮৪ লিটার পানি ব্যবহার করেন হাত ধোয়ার জন্য, আর শহরে এ পরিমাণ ৩০ হাজার ৬৮৩ লিটার। এসব তথ্য প্রকাশ করেছে
৮ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কানসাট আমবাজারে চলছে জমজমাট বেচাকেনা। দেশের বৃহৎতম এই মৌসুমি বাজারটি এখন হাঁকডাকে মুখর, নানা জাতের আমে ভরে উঠেছে প্রতিটি আড়ত। ঈদুল আজহার ছুটি, অতিবৃষ্টি ও প্রচণ্ড খরায় সাময়িক ধাক্কা খেলেও গত কয়েকদিনে পরিস্থিতি অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ব্যাংক লেনদেন চালু হওয়
৮ ঘণ্টা আগেচলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত) প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এটি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৭ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এই সময় পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন
৮ ঘণ্টা আগে