Ajker Patrika

কথা রাখেননি ব্যবসায়ীরা, বাজারে ভোজ্যতেলের সরবরাহ কমিয়েছেন

  • এক মাসে সয়াবিনের লিটারে বেড়েছে ২০ টাকা
  • পাম তেলে বেড়েছে ১৭ টাকা
  • আরও ৫ শতাংশ ভ্যাট ছাড়ের সিদ্ধান্ত
রোকন উদ্দীন, ঢাকা ও সবুর শুভ, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২: ২৬
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ভোজ্যতেলের দাম যাতে না বাড়ে, সে জন্য আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট ছাড় দিয়েছিল সরকার। ব্যবসায়ীরাও দাম না বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু কথা রাখেননি তাঁরা। ঘোষণা দিয়ে দাম না বাড়ালেও বাজারে খোলা তেলের সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। এতে বেড়েছে দামও। এক মাসে সয়াবিনের লিটারে বেড়েছে ২০ টাকা। এ অবস্থায় আরও ৫ শতাংশ ভ্যাট ছাড়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

দেশে ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে ভোজ্যতেলের রেকর্ড দাম বেড়েছে। খোলা তেলের দাম মণপ্রতি বেড়েছে ১ হাজার ৩০০ টাকা পর্যন্ত। আর কেজিতে বাড়ে ২১-৩৫ টাকা পর্যন্ত। চাক্তাই- খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দীন জানান, ভোজ্যতেলের আন্তর্জাতিক বাজার চড়া। খাতুনগঞ্জের বাজারে সরবরাহ সংকটও রয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী এলসিও করা যাচ্ছে না বিভিন্ন জটিলতার কারণে। ফলে দাম বাড়তি।

তবে মিলমালিকদের দাবি, তাঁদের সরবরাহ আগের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে। দামও বাড়ানো হয়নি। তাঁরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা থাকলে অনেক সময় মধ্যস্বত্বভোগীরা বাড়তি মুনাফার আশায় তেল মজুত করে রাখে। এ ছাড়া পাচারের আশঙ্কাও থাকে। দেশে ভোজ্যতেলে বাজার নিয়ন্ত্রণ করে টিকে গ্রুপ, সিটি গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, বসুন্ধরা মাল্টি ফুড প্রোডাক্টস, স্মাইল ফুড প্রোডাক্টস, সেনা এডিবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ, ডেলটা অ্যাগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ, আবুল খায়েরসহ ১১-১২টি ব্র্যান্ড কোম্পানি। তবে এর মধ্যে সরাসরি আমদানি করে ৪-৫টি কোম্পানি।

দেশে ভোজ্যতেলের অন্যতম বড় আমদানি ও সরবরাহকারী কোম্পানি টিকে গ্রুপের পরিচালক (ব্র্যান্ড) শফিউল আতাহার তসলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের মিল পর্যায়ে তেলের সরবরাহ ঘাটতি বা মূল্যবৃদ্ধি কিছুই হয়নি। ভোজ্যতেলের সরবরাহ সংকটের কথা আজ (গতকাল) মন্ত্রণালয়ের বৈঠকের সময় আমাদের জানানো হয়েছে। সেখানে আমরা আমাদের সরবরাহের কাগজপত্র দেখিয়েছি।’

শফিউল আতাহার তসলিম বলেন, ‘যখন কোনো পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে অনেক বেড়ে যায় কিন্তু দেশের বাজারে তা সমন্বয় করা হয় না, তখন একশ্রেণির মধ্যস্বত্বভোগী এর সুযোগ নিতে চায়। তারা পণ্য মজুত করে রাখে, কারণ, তারা জানে এই পণ্যের দাম শিগগির বাড়বে। তেলের ক্ষেত্রেও এমনটা হতে পারে। তাই আমাদের পরামর্শ হলো, প্রতি মাসে বৈঠক করে আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়লে দেশে বাড়ানো হোক আর কমলে কমানো হোক। তাহলে বাজারে সরবরাহ ঠিক থাকবে।’

এদিকে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতার অভিযোগ, দাম বাড়াতে রিফাইনারিগুলো একযোগে সরবরাহ কমিয়েছে। চাহিদামতো তেল সরবরাহ পাচ্ছেন না তাঁরা। অনেক ডিলার ১০-১১ দিন ঘুরে তেলের সরবরাহ পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন।

রাজধানীর শান্তিনগর এলাকার একটি ব্র্যান্ড কোম্পানির ডিলার জিয়াউদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চাইলেই এখন তেলের ডিও (ডেলিভারি অর্ডার) কাটা যাচ্ছে না। চাহিদামতো তেলের সরবরাহও পাওয়া যাচ্ছে না। কোম্পানি অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিয়ে রাখলে কোম্পানিগুলো তাদের সময়মতো যখন খুশি পণ্য ডেলিভারি দিচ্ছে। সেটা কখনো ১০-১১ দিন পর। আমি সর্বশেষ গতকাল ১ ও ২ লিটারের তেলের বোতল সরবরাহ পেয়েছি। তার আগে পেয়েছিলাম ৩ নভেম্বর। গত এক মাস যাবৎ এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।’

এ ছাড়া কোম্পানিগুলো তেলের দামও বাড়িয়েছে বলে জানান এই সরবরাহকারী। তিনি বলেন, ‘বোতলজাত ৫ লিটারের খুচরা মূল্য (গায়ের মূল্য) ৮১৮ টাকা, আর খুচরা বিক্রেতা মূল্য ৮০৩ টাকা। কিন্তু আগে আমরা খুচরা বিক্রেতার কাছে ৭৯০ টাকাতেও সরবরাহ করতে পারতাম। কিন্তু কোম্পানিগুলো দাম বাড়ানোর কারণে এখন পারছি না।’

একই রকম কথা বলেন আরেকটা কোম্পানির পল্টন এলাকার ডিলার মেহেদি হাসান রাজিব। তিনি বলেন, প্রায় সব কোম্পানির একই অবস্থা। তেলের সরবরাহ অনেক কমে গেছে। চাহিদামতো তেল পাওয়া যাচ্ছে না ব্র্যান্ড কোম্পানি থেকে।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, তেলের দাম না বাড়ানোর জন্য ভ্যাট ছাড় দেওয়ার পর থেকে গত এক মাসে খুচরায় খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে প্রতি লিটারে ২০ টাকা। এর মধ্যে গত এক সপ্তাহে বেড়েছে ৭ টাকা। এক মাসে এত মূল্যবৃদ্ধি এর আগে কখনো হয়নি বলে অনেক ব্যবসায়ী বলেছেন। বর্তমানে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৭২ টাকা লিটার, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৬৩-১৬৫ টাকা। টিসিবির হিসাবেই মাসখানেক আগে এক লিটার সয়াবিন তেল কেনা যেত ১৫২-১৫৬ টাকায়। এ ছাড়া খোলা পাম সুপার এখন ১৬৪-১৬৫ টাকা লিটার বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৫৪-১৫৬ টাকা। আর এক মাস আগে পাম সুপার বিক্রি হয়েছিল ১৪৭-১৫০ টাকা লিটার। সে হিসাবে ভ্যাট ছাড় দেওয়ার পর এক মাসে এই তেলের দাম বেড়েছে প্রতি লিটারে ১৭ টাকা।

রাজধানীর পাইকারি মৌলভীবাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাইলেই চাহিদামতো তেল পাওয়া যাচ্ছে না। কেউ কেউ ৩ দিনে এক দিন, কেউ এক সপ্তাহে এক দিন তেলের এসও পাচ্ছে। এ ছাড়া দামও অনেক বেশি রাখে কোম্পানিগুলো।

মৌলভীবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, মিলগেট থেকে তাঁরা বুধবার পর্যন্ত প্রতি মণ সয়াবিন তেল (১৬৭.১১ লিটার) ৬৯০০ টাকায় কিনছেন। আর পাম তেল বিক্রি হয়েছে ৬৫০০-৬৬০০ টাকা মণ। তবে গতকাল প্রতি মণ তেলের দাম ১৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।

মৌলভীবাজার পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোম্পানিগুলো যখন দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা করে, তখন সরবরাহ কমিয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। এবারও তা-ই হয়েছে। তারা সরবরাহ কমিয়ে দাম আস্তে আস্তে দাম বাড়াচ্ছে।

সেগুনবাগিচা বাজারের মুদিদোকানি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমি গত এক সপ্তাহ পর আজ বসুন্ধরার তেলের সরবরাহ পেয়েছি। পরিচিত কাস্টমারদের চাহিদামতো তেলের সরবরাহ দিতে পারছি না, এটা খুবই বিব্রতকর। এ ছাড়া মুনাফাও কমিয়ে দিয়েছেন সরবরাহকারীরা। ৫ লিটার তেল বিক্রি করলে ৮-১০ টাকা মুনাফা থাকছে। ৮০০ টাকায় যদি ১০ টাকা মুনাফা হয়, তবে ব্যবসা করা কষ্টকর ব্যাপার আমাদের মতো খুচরা বিক্রেতাদের।’

ভোজ্যতেলে সর্বশেষ গত ১৮ এপ্রিল নির্ধারণ করা দাম অনুসারে খোলা সয়াবিন তেলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৪৭ টাকা লিটার ও বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৭ টাকা লিটার। এ ছাড়া সয়াবিন তেলের পাঁচ লিটারের বোতল ৮০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ওই সময় ৮১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। পাম সুপার প্রতি লিটার সর্বোচ্চ ১৩৫ টাকা।

সে হিসাবে ব্যবসায়ীরা খোলা সয়াবিন তেলের দাম বাড়তি রাখছেন লিটারে ২৩ টাকা ও পাম সুপারে বাড়তি রাখছেন ২৯ টাকা। তবে মিলমালিকেরা বলছেন, তেলের সরবরাহ তাঁরা স্বাভাবিক রেখেছেন। একই সঙ্গে দামও বাড়ানো হয়নি।

এ বিষয়ে গতকালও মিলমালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সেখানে তাঁরা আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রতি মাসে দাম সমন্বয়ের দাবি করেন। তবে শেষ পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা দাম বাড়াবেন না এমন শর্তে আমদানি পর্যায়ে আরও ৫ শতাংশ ভ্যাট ছাড়ের প্রস্তাব দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। মিলমালিকেরাও এ প্রস্তাব মেনে নেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কাল মিষ্টি বিতরণে বারণ করেছিলেন, আজ মনোনয়ন স্থগিত—কে এই কামাল জামান

নীলফামারীতে হচ্ছে চীনা সরকারের উপহার ১০০০ শয্যার হাসপাতাল

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

প্রতীক পেল এনসিপি, বাসদ মার্ক্সবাদী ও আমজনগণ

ট্রাকের নিচে ঢুকে গেল অটোরিকশা, কলেজশিক্ষার্থীসহ নিহত ৬

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো শুরু

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।

এ বছর প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, পাকিস্তান, তুরস্ক, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, জার্মানি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ১০টি দেশ থেকে ৪৫ টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।

এরা মূলত ফ্যাব্রিক মিল (ডেনিম ও নন-ডেনিম), গার্মেন্টস প্রস্তুতকারক, সুতা উৎপাদক, ওয়াশিং ও লন্ড্রি, অ্যাকসেসরিজ ও ট্রিমস, কেমিক্যালস, মেশিনারি বা প্রযুক্তি এবং লজিস্টিকস ক্যাটাগরিতে পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কাল মিষ্টি বিতরণে বারণ করেছিলেন, আজ মনোনয়ন স্থগিত—কে এই কামাল জামান

নীলফামারীতে হচ্ছে চীনা সরকারের উপহার ১০০০ শয্যার হাসপাতাল

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

প্রতীক পেল এনসিপি, বাসদ মার্ক্সবাদী ও আমজনগণ

ট্রাকের নিচে ঢুকে গেল অটোরিকশা, কলেজশিক্ষার্থীসহ নিহত ৬

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক এমডিকে ৫ কোটি টাকা জরিমানা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ার। ফাইল ছবি
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ার। ফাইল ছবি

সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

আজ মঙ্গলবার সংস্থার চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯৮০ তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভা শেষে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

বিএসইসি জানায়, ‘আইএফআইসি গ্যারান্টিড শ্রীপুর টাউনশীপ গ্রিন জিরো কুপন বন্ড’ শীর্ষক ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা অভিহিত মূল্যের ও ১ হাজার কোটি টাকা ইস্যু মূল্যের বন্ডটির জামিনদার (গ্যারান্টার) হিসেবে আইএফআইসি ব্যাংক এবং অ্যাডভাইজার ও অ্যারেঞ্জার হিসেবে আইএফআইসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড দায়িত্ব পালন করেছে। আইএফআইসি ব্যাংক ওই বন্ড ইস্যু করেনি। মূলত রিয়েল এস্টেট কোম্পানি শ্রীপুর টাউনশীপ লিমিটেড (এসটিএল) ওই বন্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করেছে। কিন্তু বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে বন্ডের নাম হিসেবে ‘আইএফআইসি আমার বন্ড’ নামটি ব্যবহার করা হয়েছে, যা বিনিয়োগকারীকে ধারণা দেয় যে, এ বন্ড আইএফআইসি ব্যাংক ইস্যু করেছে; কিন্তু ব্যাংকটি ছিল মূলত বন্ডটির জামিনদার। এভাবে বিনিয়োগকারীদের প্রতারিত করে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করা হয়।

বিএসইসি এও জানায়, এর আগে ৯৬৫ তম কমিশন সভায় ওই বন্ডের অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। একই অপরাধে এবার ব্যাংকের তৎকালীন এমডি শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কমিশন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কাল মিষ্টি বিতরণে বারণ করেছিলেন, আজ মনোনয়ন স্থগিত—কে এই কামাল জামান

নীলফামারীতে হচ্ছে চীনা সরকারের উপহার ১০০০ শয্যার হাসপাতাল

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

প্রতীক পেল এনসিপি, বাসদ মার্ক্সবাদী ও আমজনগণ

ট্রাকের নিচে ঢুকে গেল অটোরিকশা, কলেজশিক্ষার্থীসহ নিহত ৬

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মার্কিন তুলায় শুল্কছাড়ে স্পষ্টতা চায় বিজিএমইএ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় মার্কিন তুলা রপ্তানিকারক সংগঠন কটন ইউএসএর এক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করে বিজিএমইএ। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় মার্কিন তুলা রপ্তানিকারক সংগঠন কটন ইউএসএর এক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করে বিজিএমইএ। ছবি: আজকের পত্রিকা

পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় মার্কিন তুলা রপ্তানিকারক সংগঠন কটন ইউএসএর এক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি তুলে ধরে বিজিএমইএ। বৈঠকে দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকে মার্কিন তুলার ব্যবহার বৃদ্ধি এবং ঘোষিত শুল্ক সুবিধা বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান ও পরিচালক নাফিস-উদ-দৌলা। মার্কিন প্রতিনিধিদলে ছিলেন ইকমের লি ইন, কারগিলের ক্রিস্টা রিকম্যান, এলডিসির ডিয়েগো লোজাদা, ওলাম এগ্রির ওয়েসলি রেন্টজ, ক্যারোলিনা কটন গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের ওয়েন বোসম্যানসহ আরও অনেকে।

বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, নতুন শুল্কছাড় বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের জন্য এক বড় সুযোগ। কিন্তু এই সুবিধা কার্যকরভাবে পেতে কারখানাগুলোকে কী প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে, সে বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা নেই। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যাখ্যা পাওয়া গেলে উদ্যোক্তারা প্রস্তুতি নিতে পারবেন।

মাহমুদ হাসান খান বলেন, বর্তমানে আমদানি করা তুলার প্রায় ১০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসে, যা দ্বিগুণ বা ৩ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। তবে এ জন্য প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ও সুচিন্তিত কৌশলগত পদক্ষেপ। মার্কিন তুলার উচ্চ গুণগত মান ও তুলনামূলক সুবিধার বিষয়ে গবেষণা করে সুতা উৎপাদনকারীদের তথ্য সরবরাহ করা হলে তাঁরা আমদানি বাড়াতে উৎসাহিত হবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কাল মিষ্টি বিতরণে বারণ করেছিলেন, আজ মনোনয়ন স্থগিত—কে এই কামাল জামান

নীলফামারীতে হচ্ছে চীনা সরকারের উপহার ১০০০ শয্যার হাসপাতাল

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

প্রতীক পেল এনসিপি, বাসদ মার্ক্সবাদী ও আমজনগণ

ট্রাকের নিচে ঢুকে গেল অটোরিকশা, কলেজশিক্ষার্থীসহ নিহত ৬

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খেলাপি ঋণের তথ্য গোপন রাখা নিয়ে প্রশ্ন আইএমএফের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিশাল অঙ্কের খেলাপি ঋণ গোপন রেখে নিয়মিত দেখানো হতো। তবে কোনো পরিদর্শক প্রকৃত সত্য প্রতিবেদন দিতে পারতেন না। সরকার পরিবর্তনের পর এ তথ্য ধীরে ধীরে প্রকাশ পাচ্ছে। খেলাপি ঋণ কীভাবে গোপন রাখা হতো এবং কেন তা ব্যাংক পরিদর্শনে ধরা পড়েনি—এ বিষয়গুলো ঢাকায় সফররত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদলের নজরে এসেছে। তারা ব্যাংক পরিদর্শনপ্রক্রিয়ার ত্রুটি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে।

আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকে আইএমএফ সদস্যরা খেলাপি ঋণ বাড়ার নেপথ্যে কর্মকর্তাদের ভূমিকা ও আইনি দুর্বলতা পর্যালোচনার আহ্বান জানান। বৈঠকে খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র, ব্যাংক খাতের তারল্য সংকট ও ঋণ বাড়ার কারণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

বৈঠকে আইএমএফ জানিয়েছে, তাদের ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির শর্ত অনুযায়ী, ২০২৬ সালের মধ্যে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার ১০ শতাংশের নিচে নামানোর প্রতিশ্রুতি ছিল। কিন্তু বাস্তবে পরিস্থিতি উল্টো। সরকার পরিবর্তনের পর গোপন করা প্রকৃত তথ্য প্রকাশিত হলে দেখা গেছে, মাত্র এক বছরে খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় ৪ লাখ কোটি থেকে বেড়ে সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকা হয়েছে। সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার ৪০ শতাংশ ছাড়িয়েছে আর বেসরকারি খাতে ঋণহার ১০ শতাংশের ওপরে পৌঁছেছে।

সূত্র জানায়, ব্যাংকে খেলাপি ঋণ গোপন করার বিষয়টি রহস্যজনক। এতে সিস্টেমের দুর্বলতা বা কারচুপি দুটোরই ভূমিকা থাকতে পারে। যাঁরা ব্যাংক ইন্সপেকশন করেছেন, তাঁরা হয়তো দায়সারা পরিদর্শন করেছেন। আইএমএফ দ্রুত প্রকৃত কারণ জানাতে অনুরোধ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কাল মিষ্টি বিতরণে বারণ করেছিলেন, আজ মনোনয়ন স্থগিত—কে এই কামাল জামান

নীলফামারীতে হচ্ছে চীনা সরকারের উপহার ১০০০ শয্যার হাসপাতাল

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

প্রতীক পেল এনসিপি, বাসদ মার্ক্সবাদী ও আমজনগণ

ট্রাকের নিচে ঢুকে গেল অটোরিকশা, কলেজশিক্ষার্থীসহ নিহত ৬

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত