নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চলতি অর্থবছরে দেশে নতুন করে অনেক মানুষ দরিদ্র হয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ধীরগতি, উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও চাকরি হারানোর মতো বিষয় স্বল্প আয়ের মানুষদের জীবনে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এ কারণে নতুন করে ৩০ লাখ মানুষ দরিদ্র হতে পারে।
দারিদ্র্য বৃদ্ধির বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে প্রায় ৪ শতাংশ শ্রমিক চাকরি হারিয়েছেন। একই সময়ে স্বল্প দক্ষ কর্মীদের মজুরি ২ শতাংশ এবং উচ্চ দক্ষ কর্মীদের মজুরি শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে।
এসব কারণে অতি দারিদ্র্যের হার ৭ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৯ দশমিক ৩ শতাংশ হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাসহ নানা কারণে চলতি বছরে শ্রমবাজারের দুর্বল অবস্থা অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া সাধারণ মানুষের, বিশেষ করে দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাওয়ার ঝুঁকিতে থাকা মানুষের প্রকৃত আয় কমতে পারে। এ ছাড়া অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতি কমার বিষয়টি ঝুঁকিতে থাকা মধ্য আয়ের মানুষের ওপর বেশি প্রভাব ফেলছে। এতে বৈষম্য আরও বাড়বে বলে বিশ্বব্যাংক মনে করে।
অতি দারিদ্র্যের পাশাপাশি জাতীয় দারিদ্র্যের হারও বাড়বে বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক। তাদের প্রতিবেদন অনুসারে, জাতীয় দারিদ্র্যের হার গত বছরে ছিল সাড়ে ২০ শতাংশ। ২০২৫ সালে তা বেড়ে ২২ দশমিক ৯ শতাংশ হবে।
২০২২ সালের জনশুমারি অনুসারে, দেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি।
বিশ্বব্যাংকের হিসাবটি বিবেচনায় নিলে ২০২৫ সাল শেষে অতি দরিদ্র মানুষের সংখ্যা হবে ১ কোটি ৫৮ লাখের মতো। অন্যদিকে জাতীয় দারিদ্র্যের মধ্যে পড়া মানুষের সংখ্যা হবে ৩ কোটি ৯০ লাখের মতো।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, রাজস্ব আদায় পরিস্থিতি, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন, বিনিয়োগ—এসব সূচকের অবস্থা ভালো নয়। ৯ মাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি সাড়ে ৬৫ হাজার কোটি টাকা। অন্যদিকে ছয় বছরের মধ্যে এবার এডিবি বাস্তবায়ন হচ্ছে সবচেয়ে কম। উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় গতবারের চেয়ে কমেছে। বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহও কমেছে। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে বেসরকারি খাতে নতুন বিনিয়োগ কম হচ্ছে, যাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ কমে গেছে।
এদিকে সার্বিকভাবে অর্থনীতির এই চ্যালেঞ্জের সময়ে চলতি বছরের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৩ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এর আগে গত জানুয়ারি মাসে প্রতিষ্ঠানটি ৪ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আভাস দিয়েছিল। তবে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৯ শতাংশ হতে পারে বলে জানিয়েছে তারা।
এর আগে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশের চলতি বছরের প্রবৃদ্ধি যথাক্রমে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ এবং ৩ দশমিক ৯ শতাংশ হতে পারে বলে জানিয়েছিল। এ দুই প্রতিষ্ঠানের পূর্বাভাসের চেয়েও প্রবৃদ্ধি কম হওয়ার কথা জানাল বিশ্বব্যাংক। এ ছাড়া চলতি অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশ হতে পারে বলে মনে করে প্রতিষ্ঠানটি। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এবার প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ২ শতাংশ।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে দক্ষিণ এশিয়ার গড় প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে। ২০২৬ সালে তা সামান্য বেড়ে ৬ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়াতে পারে। চলতি অর্থবছরে ভারতে সাড়ে ৬ শতাংশ এবং পাকিস্তানে ২ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে।
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার বলেন, ‘এখনই সময় নির্দিষ্ট কিছু সংস্কারের দিকে মনোযোগ দেওয়ার; যাতে অর্থনীতির সহনশীলতা বাড়ে, প্রবৃদ্ধি জোরদার হয় এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। বাণিজ্য আরও উন্মুক্ত করতে হবে, কৃষি খাতের আধুনিকায়ন করতে হবে এবং বেসরকারি খাতে গতি আনতে হবে।’
চলতি অর্থবছরে দেশে নতুন করে অনেক মানুষ দরিদ্র হয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ধীরগতি, উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও চাকরি হারানোর মতো বিষয় স্বল্প আয়ের মানুষদের জীবনে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এ কারণে নতুন করে ৩০ লাখ মানুষ দরিদ্র হতে পারে।
দারিদ্র্য বৃদ্ধির বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে প্রায় ৪ শতাংশ শ্রমিক চাকরি হারিয়েছেন। একই সময়ে স্বল্প দক্ষ কর্মীদের মজুরি ২ শতাংশ এবং উচ্চ দক্ষ কর্মীদের মজুরি শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে।
এসব কারণে অতি দারিদ্র্যের হার ৭ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৯ দশমিক ৩ শতাংশ হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাসহ নানা কারণে চলতি বছরে শ্রমবাজারের দুর্বল অবস্থা অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া সাধারণ মানুষের, বিশেষ করে দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাওয়ার ঝুঁকিতে থাকা মানুষের প্রকৃত আয় কমতে পারে। এ ছাড়া অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতি কমার বিষয়টি ঝুঁকিতে থাকা মধ্য আয়ের মানুষের ওপর বেশি প্রভাব ফেলছে। এতে বৈষম্য আরও বাড়বে বলে বিশ্বব্যাংক মনে করে।
অতি দারিদ্র্যের পাশাপাশি জাতীয় দারিদ্র্যের হারও বাড়বে বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক। তাদের প্রতিবেদন অনুসারে, জাতীয় দারিদ্র্যের হার গত বছরে ছিল সাড়ে ২০ শতাংশ। ২০২৫ সালে তা বেড়ে ২২ দশমিক ৯ শতাংশ হবে।
২০২২ সালের জনশুমারি অনুসারে, দেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি।
বিশ্বব্যাংকের হিসাবটি বিবেচনায় নিলে ২০২৫ সাল শেষে অতি দরিদ্র মানুষের সংখ্যা হবে ১ কোটি ৫৮ লাখের মতো। অন্যদিকে জাতীয় দারিদ্র্যের মধ্যে পড়া মানুষের সংখ্যা হবে ৩ কোটি ৯০ লাখের মতো।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, রাজস্ব আদায় পরিস্থিতি, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন, বিনিয়োগ—এসব সূচকের অবস্থা ভালো নয়। ৯ মাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি সাড়ে ৬৫ হাজার কোটি টাকা। অন্যদিকে ছয় বছরের মধ্যে এবার এডিবি বাস্তবায়ন হচ্ছে সবচেয়ে কম। উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় গতবারের চেয়ে কমেছে। বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহও কমেছে। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে বেসরকারি খাতে নতুন বিনিয়োগ কম হচ্ছে, যাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ কমে গেছে।
এদিকে সার্বিকভাবে অর্থনীতির এই চ্যালেঞ্জের সময়ে চলতি বছরের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৩ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এর আগে গত জানুয়ারি মাসে প্রতিষ্ঠানটি ৪ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আভাস দিয়েছিল। তবে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৯ শতাংশ হতে পারে বলে জানিয়েছে তারা।
এর আগে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশের চলতি বছরের প্রবৃদ্ধি যথাক্রমে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ এবং ৩ দশমিক ৯ শতাংশ হতে পারে বলে জানিয়েছিল। এ দুই প্রতিষ্ঠানের পূর্বাভাসের চেয়েও প্রবৃদ্ধি কম হওয়ার কথা জানাল বিশ্বব্যাংক। এ ছাড়া চলতি অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশ হতে পারে বলে মনে করে প্রতিষ্ঠানটি। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এবার প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ২ শতাংশ।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে দক্ষিণ এশিয়ার গড় প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে। ২০২৬ সালে তা সামান্য বেড়ে ৬ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়াতে পারে। চলতি অর্থবছরে ভারতে সাড়ে ৬ শতাংশ এবং পাকিস্তানে ২ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে।
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার বলেন, ‘এখনই সময় নির্দিষ্ট কিছু সংস্কারের দিকে মনোযোগ দেওয়ার; যাতে অর্থনীতির সহনশীলতা বাড়ে, প্রবৃদ্ধি জোরদার হয় এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। বাণিজ্য আরও উন্মুক্ত করতে হবে, কৃষি খাতের আধুনিকায়ন করতে হবে এবং বেসরকারি খাতে গতি আনতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্কের ধাক্কায় টালমাটাল বিশ্ববাণিজ্য, বিশেষ করে এশিয়ার দেশগুলো। এশিয়ার অধিকাংশ দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি হয়ে থাকে। আর শুল্কের কারণে এ খাতে শঙ্কার জন্ম হয়েছে। গত ২০ এপ্রিল লিবারেশন ডে ঘোষণা করে যে শুল্ক আরোপ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তার প্রভাবের
১৫ ঘণ্টা আগেভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর এর বড় ধাক্কা লেগেছে ভারতের তৈরি পোশাক খাতে। ট্রাম্পের এই শুল্ক ঘোষণার পর থেকে প্রতিদিন আতঙ্কে কাটছে এই খাতের উদ্যোক্তাদের।
১৭ ঘণ্টা আগেব্যাংক খাতে লুণ্ঠন, অর্থ পাচার, শেয়ারবাজার ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নড়বড়ে করে ফেলা, বৈদেশিক মুদ্রার মজুতে চাপ ইত্যাদি কারণে আওয়ামী লীগ আমলের শেষের দিকে অর্থনীতি মহাসংকটে পড়েছিল। এর সরাসরি প্রভাব পড়ে জনজীবনেও। মূল্যস্ফীতিতে দেশবাসীর নাভিশ্বাস ওঠে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের...
১ দিন আগেচীনা প্রতিষ্ঠান চুয়ানচিং ড্রিলিং ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের (সিসিডিসি) সঙ্গে দুটি কূপ খননের চুক্তি করেছে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল)। ৫৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বাখরাবাদ ও তিতাস এলাকায় গভীর অনুসন্ধানে এ দুটি কূপ খনন করা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে...
১ দিন আগে