মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেটে সবচেয়ে বড় বোঝাগুলোর একটি হয়ে উঠেছে ঋণের সুদ পরিশোধ। পুরো বাজেটের ১৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হচ্ছে এ খাতে, যার পরিমাণ ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রতি ৬.৫ টাকায় ১ টাকা যাচ্ছে সুদ মেটাতে।
এই বিপুল বরাদ্দের মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ লাখ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধে ২২ হাজার কোটি টাকা। অথচ চলতি অর্থবছরে (২০২৪-২৫) সংশোধিত বাজেটে সুদ পরিশোধের জন্য বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে ব্যয় বাড়ছে ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি বছর কিছু বৈদেশিক ঋণের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় শুধু সুদ নয়, আসল অর্থও পরিশোধ করতে হচ্ছে সরকারকে। ফলে চাপ বেড়েছে দ্বিগুণ। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদের হার বেড়েছে, আর মুদ্রার অবমূল্যায়নে বৈদেশিক ঋণের বোঝা আরও ভারী হয়েছে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, এটি ঋণনির্ভর অর্থনীতির একটি সতর্কসংকেত। সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশি ও বৈদেশিক উভয় ঋণই বেড়েছে, কিন্তু রাজস্ব আয় বাড়েনি। ফলে সুদ পরিশোধের বোঝা বেড়েছে। সরকার এ দায় এড়াতে পারবে না। তবে ঋণ পরিশোধে অগ্রাধিকার দেওয়াটা ইতিবাচক দিক।’
গত কয়েক বছরের সুদ পরিশোধের হিসাবও বড় ঋণনির্ভরতার আভাস দেয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরে ঋণের সুদ পরিশোধে ব্যয় ছিল ৭০ হাজার ৬০৬ কোটি টাকা। পরবর্তী বছর তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭৭ হাজার ৭৭৯ কোটি, ২০২২-২৩ সালে ৯০ হাজার ১৩ কোটি এবং ২০২৩-২৪ সালে ৯৪ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকায়। এবার তা লাফিয়ে ১ লাখ ২২ হাজার কোটিতে পৌঁছাতে চলেছে।
আগামী বাজেট হবে আর্থিক শৃঙ্খলার বাজেট। ঋণের জাল থেকে বেরিয়ে আসাই হবে সরকারের মূল লক্ষ্য। ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, পরিকল্পনা উপদেষ্টা
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সরকারের অভ্যন্তরীণ ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকায়, যেখানে এক বছর আগে এই অঙ্ক ছিল ৮ লাখ ২২ হাজার কোটি। অন্যদিকে বৈদেশিক ঋণ বেড়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৮৯ কোটি ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা। বর্তমান অর্থবছরে সরকারের আরও ১ লাখ কোটি টাকার বৈদেশিক ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ঋণ পরিশোধে খরচ হয়েছে ৩২১ কোটি ২০ লাখ ডলার, যা দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ৩৮ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। গত বছর একই সময়ে এই পরিমাণ ছিল ২৫৭ কোটি ডলার (২৮ হাজার ২৮১ কোটি টাকা)। অর্থাৎ পরিশোধের চাপ বেড়েছে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আগামী বাজেট হবে আর্থিক শৃঙ্খলার বাজেট। ঋণের জাল থেকে বেরিয়ে আসাই হবে সরকারের মূল লক্ষ্য।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. মোস্তফা কে মুজেরী বলেন, ‘যদি ব্যয়ের তুলনায় আয় কম হয়, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই ঋণ নিতে হবে। কিন্তু ব্যাংক খাত থেকে বেশি ঋণ নিলে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ ব্যাহত হবে, যা বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আবার বৈদেশিক ঋণ বেশি হলে ভবিষ্যতে বৈদেশিক লেনদেনের ওপর চাপ বাড়বে।’
মোস্তফা কে মুজেরী আরও বলেন, ‘ডলার ও সুদের হার বৃদ্ধি এবং মেগা প্রকল্পের কিস্তি শোধের সময় শুরু হওয়ায় বাজেটের ঋণের বোঝা শুধু বাড়ছেই। এখন সুদ দিচ্ছি, সামনে আসলও দিতে হবে।’
সব মিলিয়ে আসন্ন বাজেটের সবচেয়ে বড় সংকেত হলো, বৃদ্ধির চেয়ে বোঝা বেশি। যেখানে উন্নয়ন কমছে, সেখানেই ঋণের সুদের ফাঁদে আটকে পড়ছে জাতীয় বাজেট। আর এই ফাঁদ থেকে মুক্তির পথ খুঁজতে সরকারকে রাজস্ব আদায়, ব্যয়ের দক্ষতা ও ঋণ ব্যবস্থাপনায় আনতে হবে আমূল সংস্কার।

আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেটে সবচেয়ে বড় বোঝাগুলোর একটি হয়ে উঠেছে ঋণের সুদ পরিশোধ। পুরো বাজেটের ১৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হচ্ছে এ খাতে, যার পরিমাণ ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রতি ৬.৫ টাকায় ১ টাকা যাচ্ছে সুদ মেটাতে।
এই বিপুল বরাদ্দের মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ লাখ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধে ২২ হাজার কোটি টাকা। অথচ চলতি অর্থবছরে (২০২৪-২৫) সংশোধিত বাজেটে সুদ পরিশোধের জন্য বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে ব্যয় বাড়ছে ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি বছর কিছু বৈদেশিক ঋণের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় শুধু সুদ নয়, আসল অর্থও পরিশোধ করতে হচ্ছে সরকারকে। ফলে চাপ বেড়েছে দ্বিগুণ। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদের হার বেড়েছে, আর মুদ্রার অবমূল্যায়নে বৈদেশিক ঋণের বোঝা আরও ভারী হয়েছে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, এটি ঋণনির্ভর অর্থনীতির একটি সতর্কসংকেত। সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশি ও বৈদেশিক উভয় ঋণই বেড়েছে, কিন্তু রাজস্ব আয় বাড়েনি। ফলে সুদ পরিশোধের বোঝা বেড়েছে। সরকার এ দায় এড়াতে পারবে না। তবে ঋণ পরিশোধে অগ্রাধিকার দেওয়াটা ইতিবাচক দিক।’
গত কয়েক বছরের সুদ পরিশোধের হিসাবও বড় ঋণনির্ভরতার আভাস দেয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরে ঋণের সুদ পরিশোধে ব্যয় ছিল ৭০ হাজার ৬০৬ কোটি টাকা। পরবর্তী বছর তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭৭ হাজার ৭৭৯ কোটি, ২০২২-২৩ সালে ৯০ হাজার ১৩ কোটি এবং ২০২৩-২৪ সালে ৯৪ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকায়। এবার তা লাফিয়ে ১ লাখ ২২ হাজার কোটিতে পৌঁছাতে চলেছে।
আগামী বাজেট হবে আর্থিক শৃঙ্খলার বাজেট। ঋণের জাল থেকে বেরিয়ে আসাই হবে সরকারের মূল লক্ষ্য। ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, পরিকল্পনা উপদেষ্টা
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সরকারের অভ্যন্তরীণ ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকায়, যেখানে এক বছর আগে এই অঙ্ক ছিল ৮ লাখ ২২ হাজার কোটি। অন্যদিকে বৈদেশিক ঋণ বেড়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৮৯ কোটি ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা। বর্তমান অর্থবছরে সরকারের আরও ১ লাখ কোটি টাকার বৈদেশিক ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ঋণ পরিশোধে খরচ হয়েছে ৩২১ কোটি ২০ লাখ ডলার, যা দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ৩৮ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। গত বছর একই সময়ে এই পরিমাণ ছিল ২৫৭ কোটি ডলার (২৮ হাজার ২৮১ কোটি টাকা)। অর্থাৎ পরিশোধের চাপ বেড়েছে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আগামী বাজেট হবে আর্থিক শৃঙ্খলার বাজেট। ঋণের জাল থেকে বেরিয়ে আসাই হবে সরকারের মূল লক্ষ্য।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. মোস্তফা কে মুজেরী বলেন, ‘যদি ব্যয়ের তুলনায় আয় কম হয়, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই ঋণ নিতে হবে। কিন্তু ব্যাংক খাত থেকে বেশি ঋণ নিলে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ ব্যাহত হবে, যা বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আবার বৈদেশিক ঋণ বেশি হলে ভবিষ্যতে বৈদেশিক লেনদেনের ওপর চাপ বাড়বে।’
মোস্তফা কে মুজেরী আরও বলেন, ‘ডলার ও সুদের হার বৃদ্ধি এবং মেগা প্রকল্পের কিস্তি শোধের সময় শুরু হওয়ায় বাজেটের ঋণের বোঝা শুধু বাড়ছেই। এখন সুদ দিচ্ছি, সামনে আসলও দিতে হবে।’
সব মিলিয়ে আসন্ন বাজেটের সবচেয়ে বড় সংকেত হলো, বৃদ্ধির চেয়ে বোঝা বেশি। যেখানে উন্নয়ন কমছে, সেখানেই ঋণের সুদের ফাঁদে আটকে পড়ছে জাতীয় বাজেট। আর এই ফাঁদ থেকে মুক্তির পথ খুঁজতে সরকারকে রাজস্ব আদায়, ব্যয়ের দক্ষতা ও ঋণ ব্যবস্থাপনায় আনতে হবে আমূল সংস্কার।
মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেটে সবচেয়ে বড় বোঝাগুলোর একটি হয়ে উঠেছে ঋণের সুদ পরিশোধ। পুরো বাজেটের ১৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হচ্ছে এ খাতে, যার পরিমাণ ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রতি ৬.৫ টাকায় ১ টাকা যাচ্ছে সুদ মেটাতে।
এই বিপুল বরাদ্দের মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ লাখ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধে ২২ হাজার কোটি টাকা। অথচ চলতি অর্থবছরে (২০২৪-২৫) সংশোধিত বাজেটে সুদ পরিশোধের জন্য বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে ব্যয় বাড়ছে ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি বছর কিছু বৈদেশিক ঋণের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় শুধু সুদ নয়, আসল অর্থও পরিশোধ করতে হচ্ছে সরকারকে। ফলে চাপ বেড়েছে দ্বিগুণ। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদের হার বেড়েছে, আর মুদ্রার অবমূল্যায়নে বৈদেশিক ঋণের বোঝা আরও ভারী হয়েছে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, এটি ঋণনির্ভর অর্থনীতির একটি সতর্কসংকেত। সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশি ও বৈদেশিক উভয় ঋণই বেড়েছে, কিন্তু রাজস্ব আয় বাড়েনি। ফলে সুদ পরিশোধের বোঝা বেড়েছে। সরকার এ দায় এড়াতে পারবে না। তবে ঋণ পরিশোধে অগ্রাধিকার দেওয়াটা ইতিবাচক দিক।’
গত কয়েক বছরের সুদ পরিশোধের হিসাবও বড় ঋণনির্ভরতার আভাস দেয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরে ঋণের সুদ পরিশোধে ব্যয় ছিল ৭০ হাজার ৬০৬ কোটি টাকা। পরবর্তী বছর তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭৭ হাজার ৭৭৯ কোটি, ২০২২-২৩ সালে ৯০ হাজার ১৩ কোটি এবং ২০২৩-২৪ সালে ৯৪ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকায়। এবার তা লাফিয়ে ১ লাখ ২২ হাজার কোটিতে পৌঁছাতে চলেছে।
আগামী বাজেট হবে আর্থিক শৃঙ্খলার বাজেট। ঋণের জাল থেকে বেরিয়ে আসাই হবে সরকারের মূল লক্ষ্য। ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, পরিকল্পনা উপদেষ্টা
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সরকারের অভ্যন্তরীণ ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকায়, যেখানে এক বছর আগে এই অঙ্ক ছিল ৮ লাখ ২২ হাজার কোটি। অন্যদিকে বৈদেশিক ঋণ বেড়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৮৯ কোটি ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা। বর্তমান অর্থবছরে সরকারের আরও ১ লাখ কোটি টাকার বৈদেশিক ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ঋণ পরিশোধে খরচ হয়েছে ৩২১ কোটি ২০ লাখ ডলার, যা দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ৩৮ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। গত বছর একই সময়ে এই পরিমাণ ছিল ২৫৭ কোটি ডলার (২৮ হাজার ২৮১ কোটি টাকা)। অর্থাৎ পরিশোধের চাপ বেড়েছে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আগামী বাজেট হবে আর্থিক শৃঙ্খলার বাজেট। ঋণের জাল থেকে বেরিয়ে আসাই হবে সরকারের মূল লক্ষ্য।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. মোস্তফা কে মুজেরী বলেন, ‘যদি ব্যয়ের তুলনায় আয় কম হয়, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই ঋণ নিতে হবে। কিন্তু ব্যাংক খাত থেকে বেশি ঋণ নিলে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ ব্যাহত হবে, যা বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আবার বৈদেশিক ঋণ বেশি হলে ভবিষ্যতে বৈদেশিক লেনদেনের ওপর চাপ বাড়বে।’
মোস্তফা কে মুজেরী আরও বলেন, ‘ডলার ও সুদের হার বৃদ্ধি এবং মেগা প্রকল্পের কিস্তি শোধের সময় শুরু হওয়ায় বাজেটের ঋণের বোঝা শুধু বাড়ছেই। এখন সুদ দিচ্ছি, সামনে আসলও দিতে হবে।’
সব মিলিয়ে আসন্ন বাজেটের সবচেয়ে বড় সংকেত হলো, বৃদ্ধির চেয়ে বোঝা বেশি। যেখানে উন্নয়ন কমছে, সেখানেই ঋণের সুদের ফাঁদে আটকে পড়ছে জাতীয় বাজেট। আর এই ফাঁদ থেকে মুক্তির পথ খুঁজতে সরকারকে রাজস্ব আদায়, ব্যয়ের দক্ষতা ও ঋণ ব্যবস্থাপনায় আনতে হবে আমূল সংস্কার।

আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেটে সবচেয়ে বড় বোঝাগুলোর একটি হয়ে উঠেছে ঋণের সুদ পরিশোধ। পুরো বাজেটের ১৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হচ্ছে এ খাতে, যার পরিমাণ ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রতি ৬.৫ টাকায় ১ টাকা যাচ্ছে সুদ মেটাতে।
এই বিপুল বরাদ্দের মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ লাখ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধে ২২ হাজার কোটি টাকা। অথচ চলতি অর্থবছরে (২০২৪-২৫) সংশোধিত বাজেটে সুদ পরিশোধের জন্য বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে ব্যয় বাড়ছে ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি বছর কিছু বৈদেশিক ঋণের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় শুধু সুদ নয়, আসল অর্থও পরিশোধ করতে হচ্ছে সরকারকে। ফলে চাপ বেড়েছে দ্বিগুণ। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদের হার বেড়েছে, আর মুদ্রার অবমূল্যায়নে বৈদেশিক ঋণের বোঝা আরও ভারী হয়েছে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, এটি ঋণনির্ভর অর্থনীতির একটি সতর্কসংকেত। সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশি ও বৈদেশিক উভয় ঋণই বেড়েছে, কিন্তু রাজস্ব আয় বাড়েনি। ফলে সুদ পরিশোধের বোঝা বেড়েছে। সরকার এ দায় এড়াতে পারবে না। তবে ঋণ পরিশোধে অগ্রাধিকার দেওয়াটা ইতিবাচক দিক।’
গত কয়েক বছরের সুদ পরিশোধের হিসাবও বড় ঋণনির্ভরতার আভাস দেয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরে ঋণের সুদ পরিশোধে ব্যয় ছিল ৭০ হাজার ৬০৬ কোটি টাকা। পরবর্তী বছর তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭৭ হাজার ৭৭৯ কোটি, ২০২২-২৩ সালে ৯০ হাজার ১৩ কোটি এবং ২০২৩-২৪ সালে ৯৪ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকায়। এবার তা লাফিয়ে ১ লাখ ২২ হাজার কোটিতে পৌঁছাতে চলেছে।
আগামী বাজেট হবে আর্থিক শৃঙ্খলার বাজেট। ঋণের জাল থেকে বেরিয়ে আসাই হবে সরকারের মূল লক্ষ্য। ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, পরিকল্পনা উপদেষ্টা
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সরকারের অভ্যন্তরীণ ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকায়, যেখানে এক বছর আগে এই অঙ্ক ছিল ৮ লাখ ২২ হাজার কোটি। অন্যদিকে বৈদেশিক ঋণ বেড়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৮৯ কোটি ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা। বর্তমান অর্থবছরে সরকারের আরও ১ লাখ কোটি টাকার বৈদেশিক ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ঋণ পরিশোধে খরচ হয়েছে ৩২১ কোটি ২০ লাখ ডলার, যা দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ৩৮ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। গত বছর একই সময়ে এই পরিমাণ ছিল ২৫৭ কোটি ডলার (২৮ হাজার ২৮১ কোটি টাকা)। অর্থাৎ পরিশোধের চাপ বেড়েছে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আগামী বাজেট হবে আর্থিক শৃঙ্খলার বাজেট। ঋণের জাল থেকে বেরিয়ে আসাই হবে সরকারের মূল লক্ষ্য।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. মোস্তফা কে মুজেরী বলেন, ‘যদি ব্যয়ের তুলনায় আয় কম হয়, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই ঋণ নিতে হবে। কিন্তু ব্যাংক খাত থেকে বেশি ঋণ নিলে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ ব্যাহত হবে, যা বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আবার বৈদেশিক ঋণ বেশি হলে ভবিষ্যতে বৈদেশিক লেনদেনের ওপর চাপ বাড়বে।’
মোস্তফা কে মুজেরী আরও বলেন, ‘ডলার ও সুদের হার বৃদ্ধি এবং মেগা প্রকল্পের কিস্তি শোধের সময় শুরু হওয়ায় বাজেটের ঋণের বোঝা শুধু বাড়ছেই। এখন সুদ দিচ্ছি, সামনে আসলও দিতে হবে।’
সব মিলিয়ে আসন্ন বাজেটের সবচেয়ে বড় সংকেত হলো, বৃদ্ধির চেয়ে বোঝা বেশি। যেখানে উন্নয়ন কমছে, সেখানেই ঋণের সুদের ফাঁদে আটকে পড়ছে জাতীয় বাজেট। আর এই ফাঁদ থেকে মুক্তির পথ খুঁজতে সরকারকে রাজস্ব আদায়, ব্যয়ের দক্ষতা ও ঋণ ব্যবস্থাপনায় আনতে হবে আমূল সংস্কার।

দেশের ব্যাংকিং সেবাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিজিটাল পরিসরে। এ লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে অ্যাপনির্ভর ব্যাংক গঠনের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে দেশি ও বিদেশি ১২টি প্রতিষ্ঠান নতুন প্রজন্মের এই ব্যাংক স্থাপনে আগ্রহ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুমোদনের আবেদন করেছে। প্রস্তাবিত এসব ব্যাংকের থাকবে...
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
১২ ঘণ্টা আগে
সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
১২ ঘণ্টা আগে
পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ...
১২ ঘণ্টা আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

দেশের ব্যাংকিং সেবাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিজিটাল পরিসরে। এ লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে অ্যাপনির্ভর ব্যাংক গঠনের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে দেশি ও বিদেশি ১২টি প্রতিষ্ঠান নতুন প্রজন্মের এই ব্যাংক স্থাপনে আগ্রহ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুমোদনের আবেদন করেছে। প্রস্তাবিত এসব ব্যাংকের থাকবে না কোনো শাখা, অবকাঠামো বা এটিএম বুথ; গ্রাহকেরা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেই ২৪ ঘণ্টায় যেকোনো সময় পাবেন সব ধরনের ব্যাংকিং সেবা।
নতুন যুগের আবেদনকারীরা
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে ব্রিটিশ বাংলা ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, ডিজিটাল ব্যাংকিং অব ভুটান-ডিকে, আমার ডিজিটাল ব্যাংক-২২ এমএফআই, ৩৬ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, বুস্ট-রবি, আমার ব্যাংক (প্রস্তাবিত), অ্যাপ ব্যাংক-ফার্মারস, নোভা ডিজিটাল ব্যাংক (বাংলালিংক ও স্কয়ার), মৈত্রী ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, উপকারী ডিজিটাল ব্যাংক, মুনাফা ইসলামী ডিজিটাল ব্যাংক-আকিজ এবং বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংক। আবেদনের শেষ সময় ২ নভেম্বর পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে এই ১২ প্রতিষ্ঠানের আবেদন জমা পড়েছে।
মূলধনে বড় শর্ত
২০২৩ সালের ১৪ জুন প্রণীত বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, একটি ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য ন্যূনতম ৩০০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন থাকতে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে কোম্পানি আইন অনুসারে পরিচালিত হতে হবে এবং প্রচলিত ব্যাংকের মতোই সিআরআর (নগদ জমা অনুপাত) ও এসএলআর (বিধিবদ্ধ জমা অনুপাত) বজায় রাখতে হবে।
এই ব্যাংকগুলো বড় বা মাঝারি শিল্পে ঋণ দিতে পারবে না এবং কোনো ধরনের ঋণপত্র (এলসি) খুলতেও পারবে না। কেবল ক্ষুদ্রঋণ, খুচরা পর্যায়ের লেনদেন এবং ডিজিটাল সেবা প্রদানের সুযোগ থাকবে। অনুমোদনের পাঁচ বছরের মধ্যে আইপিও আনতে হবে, যার পরিমাণ উদ্যোক্তাদের প্রাথমিক বিনিয়োগের সমান হতে হবে।
অ্যাপেই পুরো ব্যাংকিং
প্রস্তাবিত ডিজিটাল ব্যাংকগুলো হবে সম্পূর্ণ অ্যাপনির্ভর। কোনো শাখা বা এটিএম থাকবে না; বরং গ্রাহকেরা ভার্চুয়াল কার্ড, কিউআর কোড এবং মোবাইল লেনদেনের মাধ্যমে সব সেবা নিতে পারবেন। প্লাস্টিক কার্ডের পরিবর্তে সব লেনদেন হবে ডিজিটাল উপায়ে। গ্রাহকেরা অন্য ব্যাংকের এটিএম বা এজেন্ট সেবা ব্যবহার করতে পারবেন। সব সেবা পরিচালিত হবে বাংলাদেশ পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেম রেগুলেশন, ২০১৪-এর আওতায়; যা ডিজিটাল লেনদেনে নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে।
যোগ্যতার কঠোর মানদণ্ড
কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণখেলাপি ব্যক্তি বা তাঁর পরিবারের সদস্য এই ডিজিটাল ব্যাংকের উদ্যোক্তা হতে পারবেন না। ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হতে ব্যাংকিং পেশায় অন্তত ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ ছাড়া পর্ষদের অন্তত ৫০ শতাংশ সদস্যকে প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং, সাইবার নিরাপত্তা ও উদীয়মান প্রযুক্তি বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞানসম্পন্ন হতে হবে।
ক্যাশলেস সমাজের পথে
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘ডিজিটাল ব্যাংকের লক্ষ্য হলো ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়া।’ তিনি জানান, এসব ব্যাংক আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এবং ক্যাশলেস সমাজ গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
যাচাইয়ের পর অনুমোদন
প্রাথমিকভাবে আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর টেকনিক্যাল ও বিজনেস কমিটি নম্বরের ভিত্তিতে যোগ্য প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করবে। নির্ধারিত মানদণ্ডে উত্তীর্ণরা ‘লেটার অব ইনটেন্ট’ পেয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবে। চূড়ান্ত সনদ পাওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে নতুন বছরের প্রথমে শুরু হতে পারে তাদের অপারেশনাল কার্যক্রম।
চ্যালেঞ্জ এখন দক্ষতার
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘প্রথাগত ব্যাংকে ডিজিটাল সেবা হালনাগাদ রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই স্বতন্ত্র ও পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক সময়ের দাবি। তবে এই ব্যাংক পরিচালনায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে দক্ষ জনবল পাওয়া, পাশাপাশি তথ্য-উপাত্ত ব্যবস্থাপনা, জনসচেতনতা ও বিপণন কৌশল তথা নিয়ন্ত্রণ কাঠামো শক্ত রাখা।’

দেশের ব্যাংকিং সেবাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিজিটাল পরিসরে। এ লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে অ্যাপনির্ভর ব্যাংক গঠনের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে দেশি ও বিদেশি ১২টি প্রতিষ্ঠান নতুন প্রজন্মের এই ব্যাংক স্থাপনে আগ্রহ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুমোদনের আবেদন করেছে। প্রস্তাবিত এসব ব্যাংকের থাকবে না কোনো শাখা, অবকাঠামো বা এটিএম বুথ; গ্রাহকেরা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেই ২৪ ঘণ্টায় যেকোনো সময় পাবেন সব ধরনের ব্যাংকিং সেবা।
নতুন যুগের আবেদনকারীরা
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে ব্রিটিশ বাংলা ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, ডিজিটাল ব্যাংকিং অব ভুটান-ডিকে, আমার ডিজিটাল ব্যাংক-২২ এমএফআই, ৩৬ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, বুস্ট-রবি, আমার ব্যাংক (প্রস্তাবিত), অ্যাপ ব্যাংক-ফার্মারস, নোভা ডিজিটাল ব্যাংক (বাংলালিংক ও স্কয়ার), মৈত্রী ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, উপকারী ডিজিটাল ব্যাংক, মুনাফা ইসলামী ডিজিটাল ব্যাংক-আকিজ এবং বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংক। আবেদনের শেষ সময় ২ নভেম্বর পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে এই ১২ প্রতিষ্ঠানের আবেদন জমা পড়েছে।
মূলধনে বড় শর্ত
২০২৩ সালের ১৪ জুন প্রণীত বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, একটি ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য ন্যূনতম ৩০০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন থাকতে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে কোম্পানি আইন অনুসারে পরিচালিত হতে হবে এবং প্রচলিত ব্যাংকের মতোই সিআরআর (নগদ জমা অনুপাত) ও এসএলআর (বিধিবদ্ধ জমা অনুপাত) বজায় রাখতে হবে।
এই ব্যাংকগুলো বড় বা মাঝারি শিল্পে ঋণ দিতে পারবে না এবং কোনো ধরনের ঋণপত্র (এলসি) খুলতেও পারবে না। কেবল ক্ষুদ্রঋণ, খুচরা পর্যায়ের লেনদেন এবং ডিজিটাল সেবা প্রদানের সুযোগ থাকবে। অনুমোদনের পাঁচ বছরের মধ্যে আইপিও আনতে হবে, যার পরিমাণ উদ্যোক্তাদের প্রাথমিক বিনিয়োগের সমান হতে হবে।
অ্যাপেই পুরো ব্যাংকিং
প্রস্তাবিত ডিজিটাল ব্যাংকগুলো হবে সম্পূর্ণ অ্যাপনির্ভর। কোনো শাখা বা এটিএম থাকবে না; বরং গ্রাহকেরা ভার্চুয়াল কার্ড, কিউআর কোড এবং মোবাইল লেনদেনের মাধ্যমে সব সেবা নিতে পারবেন। প্লাস্টিক কার্ডের পরিবর্তে সব লেনদেন হবে ডিজিটাল উপায়ে। গ্রাহকেরা অন্য ব্যাংকের এটিএম বা এজেন্ট সেবা ব্যবহার করতে পারবেন। সব সেবা পরিচালিত হবে বাংলাদেশ পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেম রেগুলেশন, ২০১৪-এর আওতায়; যা ডিজিটাল লেনদেনে নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে।
যোগ্যতার কঠোর মানদণ্ড
কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণখেলাপি ব্যক্তি বা তাঁর পরিবারের সদস্য এই ডিজিটাল ব্যাংকের উদ্যোক্তা হতে পারবেন না। ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হতে ব্যাংকিং পেশায় অন্তত ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ ছাড়া পর্ষদের অন্তত ৫০ শতাংশ সদস্যকে প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং, সাইবার নিরাপত্তা ও উদীয়মান প্রযুক্তি বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞানসম্পন্ন হতে হবে।
ক্যাশলেস সমাজের পথে
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘ডিজিটাল ব্যাংকের লক্ষ্য হলো ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়া।’ তিনি জানান, এসব ব্যাংক আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এবং ক্যাশলেস সমাজ গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
যাচাইয়ের পর অনুমোদন
প্রাথমিকভাবে আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর টেকনিক্যাল ও বিজনেস কমিটি নম্বরের ভিত্তিতে যোগ্য প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করবে। নির্ধারিত মানদণ্ডে উত্তীর্ণরা ‘লেটার অব ইনটেন্ট’ পেয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবে। চূড়ান্ত সনদ পাওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে নতুন বছরের প্রথমে শুরু হতে পারে তাদের অপারেশনাল কার্যক্রম।
চ্যালেঞ্জ এখন দক্ষতার
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘প্রথাগত ব্যাংকে ডিজিটাল সেবা হালনাগাদ রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই স্বতন্ত্র ও পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক সময়ের দাবি। তবে এই ব্যাংক পরিচালনায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে দক্ষ জনবল পাওয়া, পাশাপাশি তথ্য-উপাত্ত ব্যবস্থাপনা, জনসচেতনতা ও বিপণন কৌশল তথা নিয়ন্ত্রণ কাঠামো শক্ত রাখা।’

আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেটে সবচেয়ে বড় বোঝাগুলোর একটি হয়ে উঠেছে ঋণের সুদ পরিশোধ। পুরো বাজেটের ১৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হচ্ছে এ খাতে, যার পরিমাণ ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রতি ৬.৫ টাকায় ১ টাকা যাচ্ছে সুদ মেটাতে।
২৭ মে ২০২৫
দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
১২ ঘণ্টা আগে
সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
১২ ঘণ্টা আগে
পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ...
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
এ বছর প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, পাকিস্তান, তুরস্ক, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, জার্মানি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ১০টি দেশ থেকে ৪৫ টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
এরা মূলত ফ্যাব্রিক মিল (ডেনিম ও নন-ডেনিম), গার্মেন্টস প্রস্তুতকারক, সুতা উৎপাদক, ওয়াশিং ও লন্ড্রি, অ্যাকসেসরিজ ও ট্রিমস, কেমিক্যালস, মেশিনারি বা প্রযুক্তি এবং লজিস্টিকস ক্যাটাগরিতে পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করবে।

দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
এ বছর প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, পাকিস্তান, তুরস্ক, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, জার্মানি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ১০টি দেশ থেকে ৪৫ টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
এরা মূলত ফ্যাব্রিক মিল (ডেনিম ও নন-ডেনিম), গার্মেন্টস প্রস্তুতকারক, সুতা উৎপাদক, ওয়াশিং ও লন্ড্রি, অ্যাকসেসরিজ ও ট্রিমস, কেমিক্যালস, মেশিনারি বা প্রযুক্তি এবং লজিস্টিকস ক্যাটাগরিতে পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করবে।

আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেটে সবচেয়ে বড় বোঝাগুলোর একটি হয়ে উঠেছে ঋণের সুদ পরিশোধ। পুরো বাজেটের ১৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হচ্ছে এ খাতে, যার পরিমাণ ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রতি ৬.৫ টাকায় ১ টাকা যাচ্ছে সুদ মেটাতে।
২৭ মে ২০২৫
দেশের ব্যাংকিং সেবাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিজিটাল পরিসরে। এ লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে অ্যাপনির্ভর ব্যাংক গঠনের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে দেশি ও বিদেশি ১২টি প্রতিষ্ঠান নতুন প্রজন্মের এই ব্যাংক স্থাপনে আগ্রহ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুমোদনের আবেদন করেছে। প্রস্তাবিত এসব ব্যাংকের থাকবে...
৯ ঘণ্টা আগে
সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
১২ ঘণ্টা আগে
পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ...
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
আজ মঙ্গলবার সংস্থার চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯৮০ তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভা শেষে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিএসইসি জানায়, ‘আইএফআইসি গ্যারান্টিড শ্রীপুর টাউনশীপ গ্রিন জিরো কুপন বন্ড’ শীর্ষক ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা অভিহিত মূল্যের ও ১ হাজার কোটি টাকা ইস্যু মূল্যের বন্ডটির জামিনদার (গ্যারান্টার) হিসেবে আইএফআইসি ব্যাংক এবং অ্যাডভাইজার ও অ্যারেঞ্জার হিসেবে আইএফআইসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড দায়িত্ব পালন করেছে। আইএফআইসি ব্যাংক ওই বন্ড ইস্যু করেনি। মূলত রিয়েল এস্টেট কোম্পানি শ্রীপুর টাউনশীপ লিমিটেড (এসটিএল) ওই বন্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করেছে। কিন্তু বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে বন্ডের নাম হিসেবে ‘আইএফআইসি আমার বন্ড’ নামটি ব্যবহার করা হয়েছে, যা বিনিয়োগকারীকে ধারণা দেয় যে, এ বন্ড আইএফআইসি ব্যাংক ইস্যু করেছে; কিন্তু ব্যাংকটি ছিল মূলত বন্ডটির জামিনদার। এভাবে বিনিয়োগকারীদের প্রতারিত করে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করা হয়।
বিএসইসি এও জানায়, এর আগে ৯৬৫ তম কমিশন সভায় ওই বন্ডের অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। একই অপরাধে এবার ব্যাংকের তৎকালীন এমডি শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কমিশন।

সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
আজ মঙ্গলবার সংস্থার চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯৮০ তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভা শেষে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিএসইসি জানায়, ‘আইএফআইসি গ্যারান্টিড শ্রীপুর টাউনশীপ গ্রিন জিরো কুপন বন্ড’ শীর্ষক ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা অভিহিত মূল্যের ও ১ হাজার কোটি টাকা ইস্যু মূল্যের বন্ডটির জামিনদার (গ্যারান্টার) হিসেবে আইএফআইসি ব্যাংক এবং অ্যাডভাইজার ও অ্যারেঞ্জার হিসেবে আইএফআইসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড দায়িত্ব পালন করেছে। আইএফআইসি ব্যাংক ওই বন্ড ইস্যু করেনি। মূলত রিয়েল এস্টেট কোম্পানি শ্রীপুর টাউনশীপ লিমিটেড (এসটিএল) ওই বন্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করেছে। কিন্তু বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে বন্ডের নাম হিসেবে ‘আইএফআইসি আমার বন্ড’ নামটি ব্যবহার করা হয়েছে, যা বিনিয়োগকারীকে ধারণা দেয় যে, এ বন্ড আইএফআইসি ব্যাংক ইস্যু করেছে; কিন্তু ব্যাংকটি ছিল মূলত বন্ডটির জামিনদার। এভাবে বিনিয়োগকারীদের প্রতারিত করে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করা হয়।
বিএসইসি এও জানায়, এর আগে ৯৬৫ তম কমিশন সভায় ওই বন্ডের অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। একই অপরাধে এবার ব্যাংকের তৎকালীন এমডি শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কমিশন।

আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেটে সবচেয়ে বড় বোঝাগুলোর একটি হয়ে উঠেছে ঋণের সুদ পরিশোধ। পুরো বাজেটের ১৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হচ্ছে এ খাতে, যার পরিমাণ ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রতি ৬.৫ টাকায় ১ টাকা যাচ্ছে সুদ মেটাতে।
২৭ মে ২০২৫
দেশের ব্যাংকিং সেবাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিজিটাল পরিসরে। এ লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে অ্যাপনির্ভর ব্যাংক গঠনের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে দেশি ও বিদেশি ১২টি প্রতিষ্ঠান নতুন প্রজন্মের এই ব্যাংক স্থাপনে আগ্রহ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুমোদনের আবেদন করেছে। প্রস্তাবিত এসব ব্যাংকের থাকবে...
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
১২ ঘণ্টা আগে
পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ...
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় মার্কিন তুলা রপ্তানিকারক সংগঠন কটন ইউএসএর এক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি তুলে ধরে বিজিএমইএ। বৈঠকে দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকে মার্কিন তুলার ব্যবহার বৃদ্ধি এবং ঘোষিত শুল্ক সুবিধা বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান ও পরিচালক নাফিস-উদ-দৌলা। মার্কিন প্রতিনিধিদলে ছিলেন ইকমের লি ইন, কারগিলের ক্রিস্টা রিকম্যান, এলডিসির ডিয়েগো লোজাদা, ওলাম এগ্রির ওয়েসলি রেন্টজ, ক্যারোলিনা কটন গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের ওয়েন বোসম্যানসহ আরও অনেকে।
বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, নতুন শুল্কছাড় বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের জন্য এক বড় সুযোগ। কিন্তু এই সুবিধা কার্যকরভাবে পেতে কারখানাগুলোকে কী প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে, সে বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা নেই। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যাখ্যা পাওয়া গেলে উদ্যোক্তারা প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
মাহমুদ হাসান খান বলেন, বর্তমানে আমদানি করা তুলার প্রায় ১০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসে, যা দ্বিগুণ বা ৩ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। তবে এ জন্য প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ও সুচিন্তিত কৌশলগত পদক্ষেপ। মার্কিন তুলার উচ্চ গুণগত মান ও তুলনামূলক সুবিধার বিষয়ে গবেষণা করে সুতা উৎপাদনকারীদের তথ্য সরবরাহ করা হলে তাঁরা আমদানি বাড়াতে উৎসাহিত হবেন।

পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় মার্কিন তুলা রপ্তানিকারক সংগঠন কটন ইউএসএর এক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি তুলে ধরে বিজিএমইএ। বৈঠকে দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকে মার্কিন তুলার ব্যবহার বৃদ্ধি এবং ঘোষিত শুল্ক সুবিধা বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান ও পরিচালক নাফিস-উদ-দৌলা। মার্কিন প্রতিনিধিদলে ছিলেন ইকমের লি ইন, কারগিলের ক্রিস্টা রিকম্যান, এলডিসির ডিয়েগো লোজাদা, ওলাম এগ্রির ওয়েসলি রেন্টজ, ক্যারোলিনা কটন গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের ওয়েন বোসম্যানসহ আরও অনেকে।
বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, নতুন শুল্কছাড় বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের জন্য এক বড় সুযোগ। কিন্তু এই সুবিধা কার্যকরভাবে পেতে কারখানাগুলোকে কী প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে, সে বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা নেই। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যাখ্যা পাওয়া গেলে উদ্যোক্তারা প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
মাহমুদ হাসান খান বলেন, বর্তমানে আমদানি করা তুলার প্রায় ১০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসে, যা দ্বিগুণ বা ৩ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। তবে এ জন্য প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ও সুচিন্তিত কৌশলগত পদক্ষেপ। মার্কিন তুলার উচ্চ গুণগত মান ও তুলনামূলক সুবিধার বিষয়ে গবেষণা করে সুতা উৎপাদনকারীদের তথ্য সরবরাহ করা হলে তাঁরা আমদানি বাড়াতে উৎসাহিত হবেন।

আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেটে সবচেয়ে বড় বোঝাগুলোর একটি হয়ে উঠেছে ঋণের সুদ পরিশোধ। পুরো বাজেটের ১৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হচ্ছে এ খাতে, যার পরিমাণ ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রতি ৬.৫ টাকায় ১ টাকা যাচ্ছে সুদ মেটাতে।
২৭ মে ২০২৫
দেশের ব্যাংকিং সেবাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিজিটাল পরিসরে। এ লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে অ্যাপনির্ভর ব্যাংক গঠনের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে দেশি ও বিদেশি ১২টি প্রতিষ্ঠান নতুন প্রজন্মের এই ব্যাংক স্থাপনে আগ্রহ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুমোদনের আবেদন করেছে। প্রস্তাবিত এসব ব্যাংকের থাকবে...
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
১২ ঘণ্টা আগে
সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
১২ ঘণ্টা আগে