রোকন উদ্দীন, ঢাকা

বাংলাদেশের চামড়া খাত একসময় দেশের অর্থনীতির মূল স্তম্ভ হিসেবে পরিচিত ছিল, বর্তমানে তা গভীর সংকটে রয়েছে। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানির প্রধান বাধা হচ্ছে কমপ্লায়েন্স সমস্যা এবং আন্তর্জাতিক মানের সনদ না পাওয়া, বিশেষত এলডব্লিউজি সনদ। এই সনদ বাংলাদেশের চামড়াশিল্পের টেকসই উন্নয়ন এবং বৈশ্বিক বাজারে প্রবেশের দরজা খুলে দিতে পারে।
চামড়া খাতকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের দ্বিতীয় প্রধান খাত হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তবে পোশাক রপ্তানির বিপরীতে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি আয় যথেষ্ট কম। প্রতিবছর ৪৬ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় হলেও চামড়া খাত থেকে অর্জিত হয় মাত্র ১২২ কোটি ডলার। সঠিক পরিকল্পনা এবং আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করলে চামড়া খাতও পোশাকশিল্পের মতো বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে পৌঁছাতে পারে।
২০১৭ সালে হাজারীবাগ থেকে চামড়াশিল্প সাভারের হরিণধরা চামড়াশিল্প নগরীতে স্থানান্তরিত হয়। তবে সেই উদ্যোগ সফল হয়নি। সরকারের উদাসীনতা, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এবং অর্থায়ন সমস্যার কারণে কমপ্লায়েন্সের মান উন্নত হয়নি। ফলে ভূমিদূষণ এবং অন্যান্য পরিবেশগত সমস্যার সমাধান হয়নি। শিল্পনগরীর সিইটিপি (কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধন প্ল্যান্ট) কার্যকর না হওয়ায় সাভারে দূষণ কমানো সম্ভব হয়নি এবং এলডব্লিউজি সনদ অর্জনেও বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সমীক্ষায় দেখা গেছে, সিইটিপি থেকে নির্গত তরল বর্জ্য এখনো প্রকৃত পরিবেশগত মানের তুলনায় বেশি। সে কারণে এলডব্লিউজি সনদ পাওয়া যাচ্ছে না। চামড়াশিল্পে বর্তমানে অস্থিরতা চলছে, লোকসান হচ্ছে এবং কোরবানির মৌসুমে চামড়ার মূল্য কম। ঋণখেলাপি সমস্যা এবং শ্রমিকদের সমস্যা আরও বিপদ বাড়াচ্ছে।
এসব সমস্যা ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারে রপ্তানি করার ক্ষেত্রে বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে চামড়া ব্যবসায়ী মাত্র ৯০ সেন্ট থেকে ১ দশমিক ২ ডলারে চীনে রপ্তানি করতে বাধ্য হচ্ছেন, অথচ আন্তর্জাতিক বাজারে এর প্রকৃত মূল্য ২ থেকে ২ দশমিক ৫ ডলার। তবে পরিবেশগত সনদ পাওয়ার পর ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারে প্রকৃত দামে চামড়া বিক্রি করা সম্ভব হবে।
রপ্তানিকারকেরা আশা করছেন, সরকার যদি দ্রুত সঠিক পদক্ষেপ নেয়, বাংলাদেশের চামড়া রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে আগামী ৪-৫ বছরের মধ্যে।
বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র্যাপিড) নির্বাহী পরিচালক মো. আবু ইউসুফ আজকের পত্রিকাকে জানান, চামড়া খাতে প্রধান সমস্যা হলো বাস্তবায়নের অভাব। তিনি বলেন, সিইটিপি মেরামত করে কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত না করা গেলে চামড়া খাত থেকে সুফল পাওয়া সম্ভব হবে না। এ জন্য সরকারকে চামড়া খাতকে বিসিকের আওতা থেকে আলাদা করে একটি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অথবা বেপজার অধীনে আনার পরামর্শ দেন। পাশাপাশি ১৫-২০ জন ভালো উদ্যোক্তাকে বিশেষ ঋণ সুবিধা দেওয়ারও সুপারিশ করেন তিনি।
এলডব্লিউজি সনদ কী
২০০৫ সালে নাইকি, অ্যাডিডাস, টিম্বারল্যান্ডসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড একসঙ্গে লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপ (এলডব্লিউজি) প্রতিষ্ঠা করে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো পরিবেশ সুরক্ষার সঙ্গে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য উৎপাদন নিশ্চিত করা। বর্তমানে এক হাজারের বেশি ব্র্যান্ড এবং সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এর সদস্য।
এলডব্লিউজির তৈরি মানদণ্ড অনুযায়ী, তারা কারখানাগুলো নিরীক্ষা করে পরিবেশগত মানদণ্ড অনুযায়ী গোল্ড, সিলভার, ব্রোঞ্জ এবং সাধারণ—এই চার শ্রেণিতে বিভক্ত করে। পরীক্ষার ক্ষেত্রে তারা দেখে পরিবেশ ব্যবস্থাপনা, ক্ষতিকর রাসায়নিক ও বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনা, জ্বালানি ও পানির দক্ষ ব্যবহার, কাঁচামালের উৎস ইত্যাদি। এলডব্লিউজির সনদ একটি কারখানার পরিবেশবান্ধব উৎপাদন সক্ষমতার প্রমাণ দেয় এবং এর মাধ্যমে কারখানাগুলো আন্তর্জাতিক বাজারে আরও প্রতিযোগিতামূলক হতে পারে।
কতটা পিছিয়ে
কমপ্লায়েন্সের দিক থেকে বাংলাদেশের চামড়াশিল্পের অবস্থান বিশ্বে প্রায় তলানিতে। তার নজির দেখা যায় প্রদত্ত তথ্য-উপাত্তে। বাংলাদেশে বর্তমানে ২৫০টি নিবন্ধিত ট্যানারি রয়েছে। এগুলোর মধ্যে সাভারে চামড়াশিল্প নগরীতে গেছে ১৪৯টি। এর থেকে মাত্র ৪০-৫০টি নিয়মিত উৎপাদনে রয়েছে, বাকি ট্যানারি বন্ধ অথবা অনিয়মিতভাবে উৎপাদন করছে। অন্যদিকে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য উৎপাদনের জন্য ৩ হাজার ৫৯০টি প্রতিষ্ঠান আছে, সেগুলোর মধ্যে বড় প্রতিষ্ঠান ৯০টি। সেখানে বর্তমানে বাংলাদেশে এলডব্লিউজির সনদপ্রাপ্ত ট্যানারি মাত্র ৬টি; যার মধ্যে তিনটি দেশীয় কাঁচামাল এবং বাকি তিনটি আমদানি করা কাঁচামাল ব্যবহার করে। এলডব্লিউজির সনদপ্রাপ্ত ট্যানারির সংখ্যা ভারতে ১৩৯টি, চীনে ১০৩, ইতালিতে ৬৮, ব্রাজিলে ৬০ এবং অন্যান্য দেশেও বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশি সনদপ্রাপ্ত ট্যানারি রয়েছে। অথচ সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি থেকে ১ হাজার ২৫০ কোটি ডলার আয় করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে, যার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই।
চামড়ার বহুমুখী ব্যবহার
চামড়ার নমনীয়তা, স্থায়িত্ব এবং টেকসই বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি জুতা ছাড়াও আসবাব, পোশাক, ব্যাগ, বেল্ট, গ্লাভস, ঘড়ির বেল্ট, গাড়ির অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা, ঘোড়ার বাঁধন, গৃহসজ্জার সামগ্রী এবং বিভিন্ন ফ্যাশনসামগ্রী তৈরিতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। সম্প্রতি, ক্রীড়া সরঞ্জাম ও পোশাক তৈরিতে চামড়ার ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। নাইকি, অ্যাডিডাস ও পুমার মতো বৈশ্বিক ব্র্যান্ডগুলো ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা বিবেচনা করে চামড়ার অ্যাথলেটিক সামগ্রী উৎপাদনে মনোনিবেশ করছে।
বৈশ্বিক বাজার
বিশ্বব্যাপী চামড়ার বাজারের আকার প্রায় ২৪১ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে কাঁচা চামড়ার রপ্তানি বাজার প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার, যা মূলত কিছু বড় দেশের নিয়ন্ত্রণে। ওয়ার্ল্ড ইন্টিগ্রেটেড ট্রেড সলিউশনসের (ডব্লিউআইটিএস) তথ্য অনুযায়ী, এই বাজারের শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর রয়েছে চীন, সুইজারল্যান্ড, হংকং, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি ও ভিয়েতনাম। এই দেশগুলো চামড়া রপ্তানি ও প্রক্রিয়াজাতকরণের ক্ষেত্রে বৈশ্বিক বাজারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। অন্যদিকে চামড়ার সবচেয়ে বড় আমদানিকারক হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো প্রথম স্থানে রয়েছে। এরপরে অবস্থান করছে চীন। এসব দেশ উচ্চমানের চামড়ার চাহিদা পূরণের জন্য বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশ থেকে কাঁচা চামড়া আমদানি করে।
বিশ্বে চামড়ার বাজারে এই প্রতিযোগিতা বাংলাদেশের জন্য বড় সুযোগ তৈরি করতে পারে, তবে সঠিক মান নিশ্চিত করা এবং আন্তর্জাতিক সনদ অর্জনের মাধ্যমে এই বাজারে প্রবেশের পথ উন্মুক্ত হবে।
দেশের বাজারের চিত্র
দেশে উৎপাদিত চামড়ার ২৫ শতাংশ স্থানীয় বাজারে ব্যবহৃত হয়, বাকি ৭৫ শতাংশ রপ্তানি করা সম্ভব। বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ) তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতিবছর ৪০০ কোটি বর্গফুট কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করা হয়। তবে প্রায় ৫০ লাখ বর্গফুট নষ্ট হয়ে যায়। বাকি ৩৫০ কোটি বর্গফুট চামড়া প্রক্রিয়াজাত করা হয়। সরকার গত বছর কাঁচা চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৫৫-৬০ টাকা নির্ধারণ করায় এর বাজারমূল্য দাঁড়ায় প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা (১ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার)। ট্যানারিমালিকদের মতে, প্রক্রিয়াজাত চামড়ার বাজারমূল্য প্রায় ৩৭ হাজার ৮০০ কোটি টাকা (৩ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার)। বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) জানায়, দেশে চামড়ার মোট বাজার ৩ বিলিয়ন ডলার, যা প্রতিবছর ৫ শতাংশ হারে বাড়ছে। তবে খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করে ফিনিশড লেদার রপ্তানি করা গেলে এই বাজার ১০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত হতে পারত।
দেশের রপ্তানি চিত্র
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ৫৪৪ মিলিয়ন ডলার চামড়ার জুতা, ৩৫২ মিলিয়ন ডলার চামড়াজাত পণ্য, ১৪৩ মিলিয়ন ডলার ফিনিশড ও ক্রাস্ট চামড়া রপ্তানি হয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) ৩৭২ মিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি। প্রবৃদ্ধির প্রধান কারণ চামড়ার জুতা রপ্তানি, যা গত বছরের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেড়েছে। এ সময়ে চামড়ার জুতা রপ্তানিতে আয় হয়েছে ২২৮ দশমিক ৪৭ মিলিয়ন ডলার, যা পাঁচ বছরে সর্বোচ্চ। যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে বেশি রপ্তানি হয়েছে।
আছে আমদানির বাধ্যবাধকতা
ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে এলডব্লিউজির সনদপ্রাপ্ত কারখানার চামড়া ব্যবহারের শর্ত থাকে। ফলে দেশের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো বাধ্য হয়ে বছরে প্রায় ১৫০ মিলিয়ন ডলারের চামড়া আমদানি করছে। বিটিএর সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত উল্লাহ জানিয়েছেন, দেশের ট্যানারিগুলো এলডব্লিউজি সনদ পেলে এই আমদানির প্রয়োজন হতো না। এতে একদিকে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হতো, অন্যদিকে রপ্তানি খাতে প্রতিযোগিতা আরও বাড়ত।
কী বলছেন উদ্যোক্তারা
বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএলএলএফইএ) সভাপতি মো. মহিউদ্দীন আহমেদ মাহিন বলেছেন, চামড়া খাত বর্তমানে সংকটে রয়েছে। এর মূল কারণ পরিবেশগত কমপ্লায়েন্সের অভাব। এলডব্লিউজির সনদ না থাকায় খাতটি চীনে ২০ শতাংশ লোকসানে চামড়া বিক্রি করছে। ফলে অনেক উদ্যোক্তা ঋণখেলাপি হয়েছে। তিনি মনে করেন, খাতটির পুনরুজ্জীবন সম্ভব; এর জন্য সিইটিপি সংস্কার এবং দীর্ঘমেয়াদি ঋণ সুবিধা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সভাপতি শাহিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৈশ্বিক বাজারের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হলে শিল্পনগরীর সিইটিপির বিভিন্ন সমস্যা দ্রুত কাটিয়ে উঠতে হবে। কিন্তু এর প্রস্তুতি নেই আমাদের।’
সরকারের বক্তব্য
শিল্প মন্ত্রণালয় বলছে, শুধু সিইটিপি সংস্কার করলেই এলডব্লিউজির সনদ পাওয়া সম্ভব হবে না। ট্যানারিমালিকদের আরও অনেক ধরনের কমপ্লায়েন্স মানতে হবে, যা তাঁরা বর্তমানে মানছেন না। আন্তর্জাতিক পরিবেশ সনদ পাওয়ার জন্য ১৭০০ মার্ক প্রয়োজন, এর মধ্যে সিইটিপির জন্য মাত্র ৩০০ মার্ক। বাকি মার্কগুলো উদ্যোক্তাদের মানতে হবে। তবে সিইটিপি পরিবেশ রক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হওয়ায় তা ধীরে ধীরে সংস্কার করা হচ্ছে এবং কোরবানির মৌসুম ছাড়া অন্য সময়ে সিইটিপি থেকে প্রায় শতভাগ পানি পরিশোধন করা হচ্ছে।
শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, চীনা কোম্পানি যখন সিইটিপি হস্তান্তর করেছে, তখন এটি ছিল অসম্পূর্ণ প্ল্যান্ট। এতে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ঠিকমতো হচ্ছিল না। তবে এখন ধীরে ধীরে এটি সংস্কার করা হচ্ছে এবং বেশির ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তবে ট্যানারিমালিকেরা এখনো সঠিকভাবে উৎপাদনে যাচ্ছেন না এবং হাজারীবাগ থেকে সরানোর পর থেকে তাঁদের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিয়েছে। এখন তাঁরা অর্থনৈতিক সমস্যার কথা বলছেন, বিশেষ করে মূলধনের সমস্যা। ফলে সিইটিপি সংস্কারের পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের কমপ্লায়েন্স অনুযায়ী উৎপাদন করতে হবে।
শিল্পসচিব আরও বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং তারা একটি নতুন প্রকল্প শুরু করতে চায়। কারণ, একমাত্র সিইটিপি দিয়ে দেশের সব চামড়ার বর্জ্য পরিশোধন সম্ভব নয়। তাই আরও একটি প্রকল্প নেওয়া হবে। আগামী জানুয়ারিতে তারা মূল্যায়ন প্রতিবেদন দেবে।

বাংলাদেশের চামড়া খাত একসময় দেশের অর্থনীতির মূল স্তম্ভ হিসেবে পরিচিত ছিল, বর্তমানে তা গভীর সংকটে রয়েছে। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানির প্রধান বাধা হচ্ছে কমপ্লায়েন্স সমস্যা এবং আন্তর্জাতিক মানের সনদ না পাওয়া, বিশেষত এলডব্লিউজি সনদ। এই সনদ বাংলাদেশের চামড়াশিল্পের টেকসই উন্নয়ন এবং বৈশ্বিক বাজারে প্রবেশের দরজা খুলে দিতে পারে।
চামড়া খাতকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের দ্বিতীয় প্রধান খাত হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তবে পোশাক রপ্তানির বিপরীতে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি আয় যথেষ্ট কম। প্রতিবছর ৪৬ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় হলেও চামড়া খাত থেকে অর্জিত হয় মাত্র ১২২ কোটি ডলার। সঠিক পরিকল্পনা এবং আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করলে চামড়া খাতও পোশাকশিল্পের মতো বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে পৌঁছাতে পারে।
২০১৭ সালে হাজারীবাগ থেকে চামড়াশিল্প সাভারের হরিণধরা চামড়াশিল্প নগরীতে স্থানান্তরিত হয়। তবে সেই উদ্যোগ সফল হয়নি। সরকারের উদাসীনতা, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এবং অর্থায়ন সমস্যার কারণে কমপ্লায়েন্সের মান উন্নত হয়নি। ফলে ভূমিদূষণ এবং অন্যান্য পরিবেশগত সমস্যার সমাধান হয়নি। শিল্পনগরীর সিইটিপি (কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধন প্ল্যান্ট) কার্যকর না হওয়ায় সাভারে দূষণ কমানো সম্ভব হয়নি এবং এলডব্লিউজি সনদ অর্জনেও বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সমীক্ষায় দেখা গেছে, সিইটিপি থেকে নির্গত তরল বর্জ্য এখনো প্রকৃত পরিবেশগত মানের তুলনায় বেশি। সে কারণে এলডব্লিউজি সনদ পাওয়া যাচ্ছে না। চামড়াশিল্পে বর্তমানে অস্থিরতা চলছে, লোকসান হচ্ছে এবং কোরবানির মৌসুমে চামড়ার মূল্য কম। ঋণখেলাপি সমস্যা এবং শ্রমিকদের সমস্যা আরও বিপদ বাড়াচ্ছে।
এসব সমস্যা ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারে রপ্তানি করার ক্ষেত্রে বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে চামড়া ব্যবসায়ী মাত্র ৯০ সেন্ট থেকে ১ দশমিক ২ ডলারে চীনে রপ্তানি করতে বাধ্য হচ্ছেন, অথচ আন্তর্জাতিক বাজারে এর প্রকৃত মূল্য ২ থেকে ২ দশমিক ৫ ডলার। তবে পরিবেশগত সনদ পাওয়ার পর ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারে প্রকৃত দামে চামড়া বিক্রি করা সম্ভব হবে।
রপ্তানিকারকেরা আশা করছেন, সরকার যদি দ্রুত সঠিক পদক্ষেপ নেয়, বাংলাদেশের চামড়া রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে আগামী ৪-৫ বছরের মধ্যে।
বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র্যাপিড) নির্বাহী পরিচালক মো. আবু ইউসুফ আজকের পত্রিকাকে জানান, চামড়া খাতে প্রধান সমস্যা হলো বাস্তবায়নের অভাব। তিনি বলেন, সিইটিপি মেরামত করে কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত না করা গেলে চামড়া খাত থেকে সুফল পাওয়া সম্ভব হবে না। এ জন্য সরকারকে চামড়া খাতকে বিসিকের আওতা থেকে আলাদা করে একটি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অথবা বেপজার অধীনে আনার পরামর্শ দেন। পাশাপাশি ১৫-২০ জন ভালো উদ্যোক্তাকে বিশেষ ঋণ সুবিধা দেওয়ারও সুপারিশ করেন তিনি।
এলডব্লিউজি সনদ কী
২০০৫ সালে নাইকি, অ্যাডিডাস, টিম্বারল্যান্ডসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড একসঙ্গে লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপ (এলডব্লিউজি) প্রতিষ্ঠা করে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো পরিবেশ সুরক্ষার সঙ্গে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য উৎপাদন নিশ্চিত করা। বর্তমানে এক হাজারের বেশি ব্র্যান্ড এবং সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এর সদস্য।
এলডব্লিউজির তৈরি মানদণ্ড অনুযায়ী, তারা কারখানাগুলো নিরীক্ষা করে পরিবেশগত মানদণ্ড অনুযায়ী গোল্ড, সিলভার, ব্রোঞ্জ এবং সাধারণ—এই চার শ্রেণিতে বিভক্ত করে। পরীক্ষার ক্ষেত্রে তারা দেখে পরিবেশ ব্যবস্থাপনা, ক্ষতিকর রাসায়নিক ও বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনা, জ্বালানি ও পানির দক্ষ ব্যবহার, কাঁচামালের উৎস ইত্যাদি। এলডব্লিউজির সনদ একটি কারখানার পরিবেশবান্ধব উৎপাদন সক্ষমতার প্রমাণ দেয় এবং এর মাধ্যমে কারখানাগুলো আন্তর্জাতিক বাজারে আরও প্রতিযোগিতামূলক হতে পারে।
কতটা পিছিয়ে
কমপ্লায়েন্সের দিক থেকে বাংলাদেশের চামড়াশিল্পের অবস্থান বিশ্বে প্রায় তলানিতে। তার নজির দেখা যায় প্রদত্ত তথ্য-উপাত্তে। বাংলাদেশে বর্তমানে ২৫০টি নিবন্ধিত ট্যানারি রয়েছে। এগুলোর মধ্যে সাভারে চামড়াশিল্প নগরীতে গেছে ১৪৯টি। এর থেকে মাত্র ৪০-৫০টি নিয়মিত উৎপাদনে রয়েছে, বাকি ট্যানারি বন্ধ অথবা অনিয়মিতভাবে উৎপাদন করছে। অন্যদিকে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য উৎপাদনের জন্য ৩ হাজার ৫৯০টি প্রতিষ্ঠান আছে, সেগুলোর মধ্যে বড় প্রতিষ্ঠান ৯০টি। সেখানে বর্তমানে বাংলাদেশে এলডব্লিউজির সনদপ্রাপ্ত ট্যানারি মাত্র ৬টি; যার মধ্যে তিনটি দেশীয় কাঁচামাল এবং বাকি তিনটি আমদানি করা কাঁচামাল ব্যবহার করে। এলডব্লিউজির সনদপ্রাপ্ত ট্যানারির সংখ্যা ভারতে ১৩৯টি, চীনে ১০৩, ইতালিতে ৬৮, ব্রাজিলে ৬০ এবং অন্যান্য দেশেও বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশি সনদপ্রাপ্ত ট্যানারি রয়েছে। অথচ সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি থেকে ১ হাজার ২৫০ কোটি ডলার আয় করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে, যার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই।
চামড়ার বহুমুখী ব্যবহার
চামড়ার নমনীয়তা, স্থায়িত্ব এবং টেকসই বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি জুতা ছাড়াও আসবাব, পোশাক, ব্যাগ, বেল্ট, গ্লাভস, ঘড়ির বেল্ট, গাড়ির অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা, ঘোড়ার বাঁধন, গৃহসজ্জার সামগ্রী এবং বিভিন্ন ফ্যাশনসামগ্রী তৈরিতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। সম্প্রতি, ক্রীড়া সরঞ্জাম ও পোশাক তৈরিতে চামড়ার ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। নাইকি, অ্যাডিডাস ও পুমার মতো বৈশ্বিক ব্র্যান্ডগুলো ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা বিবেচনা করে চামড়ার অ্যাথলেটিক সামগ্রী উৎপাদনে মনোনিবেশ করছে।
বৈশ্বিক বাজার
বিশ্বব্যাপী চামড়ার বাজারের আকার প্রায় ২৪১ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে কাঁচা চামড়ার রপ্তানি বাজার প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার, যা মূলত কিছু বড় দেশের নিয়ন্ত্রণে। ওয়ার্ল্ড ইন্টিগ্রেটেড ট্রেড সলিউশনসের (ডব্লিউআইটিএস) তথ্য অনুযায়ী, এই বাজারের শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর রয়েছে চীন, সুইজারল্যান্ড, হংকং, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি ও ভিয়েতনাম। এই দেশগুলো চামড়া রপ্তানি ও প্রক্রিয়াজাতকরণের ক্ষেত্রে বৈশ্বিক বাজারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। অন্যদিকে চামড়ার সবচেয়ে বড় আমদানিকারক হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো প্রথম স্থানে রয়েছে। এরপরে অবস্থান করছে চীন। এসব দেশ উচ্চমানের চামড়ার চাহিদা পূরণের জন্য বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশ থেকে কাঁচা চামড়া আমদানি করে।
বিশ্বে চামড়ার বাজারে এই প্রতিযোগিতা বাংলাদেশের জন্য বড় সুযোগ তৈরি করতে পারে, তবে সঠিক মান নিশ্চিত করা এবং আন্তর্জাতিক সনদ অর্জনের মাধ্যমে এই বাজারে প্রবেশের পথ উন্মুক্ত হবে।
দেশের বাজারের চিত্র
দেশে উৎপাদিত চামড়ার ২৫ শতাংশ স্থানীয় বাজারে ব্যবহৃত হয়, বাকি ৭৫ শতাংশ রপ্তানি করা সম্ভব। বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ) তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতিবছর ৪০০ কোটি বর্গফুট কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করা হয়। তবে প্রায় ৫০ লাখ বর্গফুট নষ্ট হয়ে যায়। বাকি ৩৫০ কোটি বর্গফুট চামড়া প্রক্রিয়াজাত করা হয়। সরকার গত বছর কাঁচা চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৫৫-৬০ টাকা নির্ধারণ করায় এর বাজারমূল্য দাঁড়ায় প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা (১ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার)। ট্যানারিমালিকদের মতে, প্রক্রিয়াজাত চামড়ার বাজারমূল্য প্রায় ৩৭ হাজার ৮০০ কোটি টাকা (৩ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার)। বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) জানায়, দেশে চামড়ার মোট বাজার ৩ বিলিয়ন ডলার, যা প্রতিবছর ৫ শতাংশ হারে বাড়ছে। তবে খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করে ফিনিশড লেদার রপ্তানি করা গেলে এই বাজার ১০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত হতে পারত।
দেশের রপ্তানি চিত্র
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ৫৪৪ মিলিয়ন ডলার চামড়ার জুতা, ৩৫২ মিলিয়ন ডলার চামড়াজাত পণ্য, ১৪৩ মিলিয়ন ডলার ফিনিশড ও ক্রাস্ট চামড়া রপ্তানি হয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) ৩৭২ মিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি। প্রবৃদ্ধির প্রধান কারণ চামড়ার জুতা রপ্তানি, যা গত বছরের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেড়েছে। এ সময়ে চামড়ার জুতা রপ্তানিতে আয় হয়েছে ২২৮ দশমিক ৪৭ মিলিয়ন ডলার, যা পাঁচ বছরে সর্বোচ্চ। যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে বেশি রপ্তানি হয়েছে।
আছে আমদানির বাধ্যবাধকতা
ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে এলডব্লিউজির সনদপ্রাপ্ত কারখানার চামড়া ব্যবহারের শর্ত থাকে। ফলে দেশের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো বাধ্য হয়ে বছরে প্রায় ১৫০ মিলিয়ন ডলারের চামড়া আমদানি করছে। বিটিএর সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত উল্লাহ জানিয়েছেন, দেশের ট্যানারিগুলো এলডব্লিউজি সনদ পেলে এই আমদানির প্রয়োজন হতো না। এতে একদিকে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হতো, অন্যদিকে রপ্তানি খাতে প্রতিযোগিতা আরও বাড়ত।
কী বলছেন উদ্যোক্তারা
বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএলএলএফইএ) সভাপতি মো. মহিউদ্দীন আহমেদ মাহিন বলেছেন, চামড়া খাত বর্তমানে সংকটে রয়েছে। এর মূল কারণ পরিবেশগত কমপ্লায়েন্সের অভাব। এলডব্লিউজির সনদ না থাকায় খাতটি চীনে ২০ শতাংশ লোকসানে চামড়া বিক্রি করছে। ফলে অনেক উদ্যোক্তা ঋণখেলাপি হয়েছে। তিনি মনে করেন, খাতটির পুনরুজ্জীবন সম্ভব; এর জন্য সিইটিপি সংস্কার এবং দীর্ঘমেয়াদি ঋণ সুবিধা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সভাপতি শাহিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৈশ্বিক বাজারের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হলে শিল্পনগরীর সিইটিপির বিভিন্ন সমস্যা দ্রুত কাটিয়ে উঠতে হবে। কিন্তু এর প্রস্তুতি নেই আমাদের।’
সরকারের বক্তব্য
শিল্প মন্ত্রণালয় বলছে, শুধু সিইটিপি সংস্কার করলেই এলডব্লিউজির সনদ পাওয়া সম্ভব হবে না। ট্যানারিমালিকদের আরও অনেক ধরনের কমপ্লায়েন্স মানতে হবে, যা তাঁরা বর্তমানে মানছেন না। আন্তর্জাতিক পরিবেশ সনদ পাওয়ার জন্য ১৭০০ মার্ক প্রয়োজন, এর মধ্যে সিইটিপির জন্য মাত্র ৩০০ মার্ক। বাকি মার্কগুলো উদ্যোক্তাদের মানতে হবে। তবে সিইটিপি পরিবেশ রক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হওয়ায় তা ধীরে ধীরে সংস্কার করা হচ্ছে এবং কোরবানির মৌসুম ছাড়া অন্য সময়ে সিইটিপি থেকে প্রায় শতভাগ পানি পরিশোধন করা হচ্ছে।
শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, চীনা কোম্পানি যখন সিইটিপি হস্তান্তর করেছে, তখন এটি ছিল অসম্পূর্ণ প্ল্যান্ট। এতে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ঠিকমতো হচ্ছিল না। তবে এখন ধীরে ধীরে এটি সংস্কার করা হচ্ছে এবং বেশির ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তবে ট্যানারিমালিকেরা এখনো সঠিকভাবে উৎপাদনে যাচ্ছেন না এবং হাজারীবাগ থেকে সরানোর পর থেকে তাঁদের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিয়েছে। এখন তাঁরা অর্থনৈতিক সমস্যার কথা বলছেন, বিশেষ করে মূলধনের সমস্যা। ফলে সিইটিপি সংস্কারের পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের কমপ্লায়েন্স অনুযায়ী উৎপাদন করতে হবে।
শিল্পসচিব আরও বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং তারা একটি নতুন প্রকল্প শুরু করতে চায়। কারণ, একমাত্র সিইটিপি দিয়ে দেশের সব চামড়ার বর্জ্য পরিশোধন সম্ভব নয়। তাই আরও একটি প্রকল্প নেওয়া হবে। আগামী জানুয়ারিতে তারা মূল্যায়ন প্রতিবেদন দেবে।

দেশের ব্যাংকিং সেবাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিজিটাল পরিসরে। এ লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে অ্যাপনির্ভর ব্যাংক গঠনের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে দেশি ও বিদেশি ১২টি প্রতিষ্ঠান নতুন প্রজন্মের এই ব্যাংক স্থাপনে আগ্রহ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুমোদনের আবেদন করেছে। প্রস্তাবিত এসব ব্যাংকের থাকবে...
৪ ঘণ্টা আগে
দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
৭ ঘণ্টা আগে
সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
৮ ঘণ্টা আগে
পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ...
৮ ঘণ্টা আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

দেশের ব্যাংকিং সেবাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিজিটাল পরিসরে। এ লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে অ্যাপনির্ভর ব্যাংক গঠনের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে দেশি ও বিদেশি ১২টি প্রতিষ্ঠান নতুন প্রজন্মের এই ব্যাংক স্থাপনে আগ্রহ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুমোদনের আবেদন করেছে। প্রস্তাবিত এসব ব্যাংকের থাকবে না কোনো শাখা, অবকাঠামো বা এটিএম বুথ; গ্রাহকেরা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেই ২৪ ঘণ্টায় যেকোনো সময় পাবেন সব ধরনের ব্যাংকিং সেবা।
নতুন যুগের আবেদনকারীরা
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে ব্রিটিশ বাংলা ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, ডিজিটাল ব্যাংকিং অব ভুটান-ডিকে, আমার ডিজিটাল ব্যাংক-২২ এমএফআই, ৩৬ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, বুস্ট-রবি, আমার ব্যাংক (প্রস্তাবিত), অ্যাপ ব্যাংক-ফার্মারস, নোভা ডিজিটাল ব্যাংক (বাংলালিংক ও স্কয়ার), মৈত্রী ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, উপকারী ডিজিটাল ব্যাংক, মুনাফা ইসলামী ডিজিটাল ব্যাংক-আকিজ এবং বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংক। আবেদনের শেষ সময় ২ নভেম্বর পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে এই ১২ প্রতিষ্ঠানের আবেদন জমা পড়েছে।
মূলধনে বড় শর্ত
২০২৩ সালের ১৪ জুন প্রণীত বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, একটি ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য ন্যূনতম ৩০০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন থাকতে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে কোম্পানি আইন অনুসারে পরিচালিত হতে হবে এবং প্রচলিত ব্যাংকের মতোই সিআরআর (নগদ জমা অনুপাত) ও এসএলআর (বিধিবদ্ধ জমা অনুপাত) বজায় রাখতে হবে।
এই ব্যাংকগুলো বড় বা মাঝারি শিল্পে ঋণ দিতে পারবে না এবং কোনো ধরনের ঋণপত্র (এলসি) খুলতেও পারবে না। কেবল ক্ষুদ্রঋণ, খুচরা পর্যায়ের লেনদেন এবং ডিজিটাল সেবা প্রদানের সুযোগ থাকবে। অনুমোদনের পাঁচ বছরের মধ্যে আইপিও আনতে হবে, যার পরিমাণ উদ্যোক্তাদের প্রাথমিক বিনিয়োগের সমান হতে হবে।
অ্যাপেই পুরো ব্যাংকিং
প্রস্তাবিত ডিজিটাল ব্যাংকগুলো হবে সম্পূর্ণ অ্যাপনির্ভর। কোনো শাখা বা এটিএম থাকবে না; বরং গ্রাহকেরা ভার্চুয়াল কার্ড, কিউআর কোড এবং মোবাইল লেনদেনের মাধ্যমে সব সেবা নিতে পারবেন। প্লাস্টিক কার্ডের পরিবর্তে সব লেনদেন হবে ডিজিটাল উপায়ে। গ্রাহকেরা অন্য ব্যাংকের এটিএম বা এজেন্ট সেবা ব্যবহার করতে পারবেন। সব সেবা পরিচালিত হবে বাংলাদেশ পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেম রেগুলেশন, ২০১৪-এর আওতায়; যা ডিজিটাল লেনদেনে নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে।
যোগ্যতার কঠোর মানদণ্ড
কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণখেলাপি ব্যক্তি বা তাঁর পরিবারের সদস্য এই ডিজিটাল ব্যাংকের উদ্যোক্তা হতে পারবেন না। ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হতে ব্যাংকিং পেশায় অন্তত ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ ছাড়া পর্ষদের অন্তত ৫০ শতাংশ সদস্যকে প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং, সাইবার নিরাপত্তা ও উদীয়মান প্রযুক্তি বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞানসম্পন্ন হতে হবে।
ক্যাশলেস সমাজের পথে
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘ডিজিটাল ব্যাংকের লক্ষ্য হলো ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়া।’ তিনি জানান, এসব ব্যাংক আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এবং ক্যাশলেস সমাজ গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
যাচাইয়ের পর অনুমোদন
প্রাথমিকভাবে আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর টেকনিক্যাল ও বিজনেস কমিটি নম্বরের ভিত্তিতে যোগ্য প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করবে। নির্ধারিত মানদণ্ডে উত্তীর্ণরা ‘লেটার অব ইনটেন্ট’ পেয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবে। চূড়ান্ত সনদ পাওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে নতুন বছরের প্রথমে শুরু হতে পারে তাদের অপারেশনাল কার্যক্রম।
চ্যালেঞ্জ এখন দক্ষতার
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘প্রথাগত ব্যাংকে ডিজিটাল সেবা হালনাগাদ রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই স্বতন্ত্র ও পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক সময়ের দাবি। তবে এই ব্যাংক পরিচালনায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে দক্ষ জনবল পাওয়া, পাশাপাশি তথ্য-উপাত্ত ব্যবস্থাপনা, জনসচেতনতা ও বিপণন কৌশল তথা নিয়ন্ত্রণ কাঠামো শক্ত রাখা।’

দেশের ব্যাংকিং সেবাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিজিটাল পরিসরে। এ লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে অ্যাপনির্ভর ব্যাংক গঠনের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে দেশি ও বিদেশি ১২টি প্রতিষ্ঠান নতুন প্রজন্মের এই ব্যাংক স্থাপনে আগ্রহ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুমোদনের আবেদন করেছে। প্রস্তাবিত এসব ব্যাংকের থাকবে না কোনো শাখা, অবকাঠামো বা এটিএম বুথ; গ্রাহকেরা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেই ২৪ ঘণ্টায় যেকোনো সময় পাবেন সব ধরনের ব্যাংকিং সেবা।
নতুন যুগের আবেদনকারীরা
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে ব্রিটিশ বাংলা ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, ডিজিটাল ব্যাংকিং অব ভুটান-ডিকে, আমার ডিজিটাল ব্যাংক-২২ এমএফআই, ৩৬ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, বুস্ট-রবি, আমার ব্যাংক (প্রস্তাবিত), অ্যাপ ব্যাংক-ফার্মারস, নোভা ডিজিটাল ব্যাংক (বাংলালিংক ও স্কয়ার), মৈত্রী ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, উপকারী ডিজিটাল ব্যাংক, মুনাফা ইসলামী ডিজিটাল ব্যাংক-আকিজ এবং বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংক। আবেদনের শেষ সময় ২ নভেম্বর পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে এই ১২ প্রতিষ্ঠানের আবেদন জমা পড়েছে।
মূলধনে বড় শর্ত
২০২৩ সালের ১৪ জুন প্রণীত বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, একটি ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য ন্যূনতম ৩০০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন থাকতে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে কোম্পানি আইন অনুসারে পরিচালিত হতে হবে এবং প্রচলিত ব্যাংকের মতোই সিআরআর (নগদ জমা অনুপাত) ও এসএলআর (বিধিবদ্ধ জমা অনুপাত) বজায় রাখতে হবে।
এই ব্যাংকগুলো বড় বা মাঝারি শিল্পে ঋণ দিতে পারবে না এবং কোনো ধরনের ঋণপত্র (এলসি) খুলতেও পারবে না। কেবল ক্ষুদ্রঋণ, খুচরা পর্যায়ের লেনদেন এবং ডিজিটাল সেবা প্রদানের সুযোগ থাকবে। অনুমোদনের পাঁচ বছরের মধ্যে আইপিও আনতে হবে, যার পরিমাণ উদ্যোক্তাদের প্রাথমিক বিনিয়োগের সমান হতে হবে।
অ্যাপেই পুরো ব্যাংকিং
প্রস্তাবিত ডিজিটাল ব্যাংকগুলো হবে সম্পূর্ণ অ্যাপনির্ভর। কোনো শাখা বা এটিএম থাকবে না; বরং গ্রাহকেরা ভার্চুয়াল কার্ড, কিউআর কোড এবং মোবাইল লেনদেনের মাধ্যমে সব সেবা নিতে পারবেন। প্লাস্টিক কার্ডের পরিবর্তে সব লেনদেন হবে ডিজিটাল উপায়ে। গ্রাহকেরা অন্য ব্যাংকের এটিএম বা এজেন্ট সেবা ব্যবহার করতে পারবেন। সব সেবা পরিচালিত হবে বাংলাদেশ পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেম রেগুলেশন, ২০১৪-এর আওতায়; যা ডিজিটাল লেনদেনে নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে।
যোগ্যতার কঠোর মানদণ্ড
কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণখেলাপি ব্যক্তি বা তাঁর পরিবারের সদস্য এই ডিজিটাল ব্যাংকের উদ্যোক্তা হতে পারবেন না। ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হতে ব্যাংকিং পেশায় অন্তত ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ ছাড়া পর্ষদের অন্তত ৫০ শতাংশ সদস্যকে প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং, সাইবার নিরাপত্তা ও উদীয়মান প্রযুক্তি বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞানসম্পন্ন হতে হবে।
ক্যাশলেস সমাজের পথে
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘ডিজিটাল ব্যাংকের লক্ষ্য হলো ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়া।’ তিনি জানান, এসব ব্যাংক আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এবং ক্যাশলেস সমাজ গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
যাচাইয়ের পর অনুমোদন
প্রাথমিকভাবে আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর টেকনিক্যাল ও বিজনেস কমিটি নম্বরের ভিত্তিতে যোগ্য প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করবে। নির্ধারিত মানদণ্ডে উত্তীর্ণরা ‘লেটার অব ইনটেন্ট’ পেয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবে। চূড়ান্ত সনদ পাওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে নতুন বছরের প্রথমে শুরু হতে পারে তাদের অপারেশনাল কার্যক্রম।
চ্যালেঞ্জ এখন দক্ষতার
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘প্রথাগত ব্যাংকে ডিজিটাল সেবা হালনাগাদ রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই স্বতন্ত্র ও পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক সময়ের দাবি। তবে এই ব্যাংক পরিচালনায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে দক্ষ জনবল পাওয়া, পাশাপাশি তথ্য-উপাত্ত ব্যবস্থাপনা, জনসচেতনতা ও বিপণন কৌশল তথা নিয়ন্ত্রণ কাঠামো শক্ত রাখা।’

বাংলাদেশের চামড়া খাত একসময় দেশের অর্থনীতির মূল স্তম্ভ হিসেবে পরিচিত ছিল, বর্তমানে তা গভীর সংকটে রয়েছে। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানির প্রধান বাধা হচ্ছে কমপ্লায়েন্স সমস্যা এবং আন্তর্জাতিক মানের সনদ না পাওয়া, বিশেষত এলডব্লিউজি সনদ। এই সনদ বাংলাদেশের চামড়াশিল্পের টেকসই উন্নয়ন এবং বৈশ্বিক বাজারে...
০৮ ডিসেম্বর ২০২৪
দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
৭ ঘণ্টা আগে
সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
৮ ঘণ্টা আগে
পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ...
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
এ বছর প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, পাকিস্তান, তুরস্ক, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, জার্মানি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ১০টি দেশ থেকে ৪৫ টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
এরা মূলত ফ্যাব্রিক মিল (ডেনিম ও নন-ডেনিম), গার্মেন্টস প্রস্তুতকারক, সুতা উৎপাদক, ওয়াশিং ও লন্ড্রি, অ্যাকসেসরিজ ও ট্রিমস, কেমিক্যালস, মেশিনারি বা প্রযুক্তি এবং লজিস্টিকস ক্যাটাগরিতে পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করবে।

দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
এ বছর প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, পাকিস্তান, তুরস্ক, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, জার্মানি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ১০টি দেশ থেকে ৪৫ টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
এরা মূলত ফ্যাব্রিক মিল (ডেনিম ও নন-ডেনিম), গার্মেন্টস প্রস্তুতকারক, সুতা উৎপাদক, ওয়াশিং ও লন্ড্রি, অ্যাকসেসরিজ ও ট্রিমস, কেমিক্যালস, মেশিনারি বা প্রযুক্তি এবং লজিস্টিকস ক্যাটাগরিতে পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করবে।

বাংলাদেশের চামড়া খাত একসময় দেশের অর্থনীতির মূল স্তম্ভ হিসেবে পরিচিত ছিল, বর্তমানে তা গভীর সংকটে রয়েছে। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানির প্রধান বাধা হচ্ছে কমপ্লায়েন্স সমস্যা এবং আন্তর্জাতিক মানের সনদ না পাওয়া, বিশেষত এলডব্লিউজি সনদ। এই সনদ বাংলাদেশের চামড়াশিল্পের টেকসই উন্নয়ন এবং বৈশ্বিক বাজারে...
০৮ ডিসেম্বর ২০২৪
দেশের ব্যাংকিং সেবাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিজিটাল পরিসরে। এ লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে অ্যাপনির্ভর ব্যাংক গঠনের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে দেশি ও বিদেশি ১২টি প্রতিষ্ঠান নতুন প্রজন্মের এই ব্যাংক স্থাপনে আগ্রহ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুমোদনের আবেদন করেছে। প্রস্তাবিত এসব ব্যাংকের থাকবে...
৪ ঘণ্টা আগে
সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
৮ ঘণ্টা আগে
পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ...
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
আজ মঙ্গলবার সংস্থার চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯৮০ তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভা শেষে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিএসইসি জানায়, ‘আইএফআইসি গ্যারান্টিড শ্রীপুর টাউনশীপ গ্রিন জিরো কুপন বন্ড’ শীর্ষক ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা অভিহিত মূল্যের ও ১ হাজার কোটি টাকা ইস্যু মূল্যের বন্ডটির জামিনদার (গ্যারান্টার) হিসেবে আইএফআইসি ব্যাংক এবং অ্যাডভাইজার ও অ্যারেঞ্জার হিসেবে আইএফআইসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড দায়িত্ব পালন করেছে। আইএফআইসি ব্যাংক ওই বন্ড ইস্যু করেনি। মূলত রিয়েল এস্টেট কোম্পানি শ্রীপুর টাউনশীপ লিমিটেড (এসটিএল) ওই বন্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করেছে। কিন্তু বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে বন্ডের নাম হিসেবে ‘আইএফআইসি আমার বন্ড’ নামটি ব্যবহার করা হয়েছে, যা বিনিয়োগকারীকে ধারণা দেয় যে, এ বন্ড আইএফআইসি ব্যাংক ইস্যু করেছে; কিন্তু ব্যাংকটি ছিল মূলত বন্ডটির জামিনদার। এভাবে বিনিয়োগকারীদের প্রতারিত করে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করা হয়।
বিএসইসি এও জানায়, এর আগে ৯৬৫ তম কমিশন সভায় ওই বন্ডের অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। একই অপরাধে এবার ব্যাংকের তৎকালীন এমডি শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কমিশন।

সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
আজ মঙ্গলবার সংস্থার চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯৮০ তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভা শেষে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিএসইসি জানায়, ‘আইএফআইসি গ্যারান্টিড শ্রীপুর টাউনশীপ গ্রিন জিরো কুপন বন্ড’ শীর্ষক ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা অভিহিত মূল্যের ও ১ হাজার কোটি টাকা ইস্যু মূল্যের বন্ডটির জামিনদার (গ্যারান্টার) হিসেবে আইএফআইসি ব্যাংক এবং অ্যাডভাইজার ও অ্যারেঞ্জার হিসেবে আইএফআইসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড দায়িত্ব পালন করেছে। আইএফআইসি ব্যাংক ওই বন্ড ইস্যু করেনি। মূলত রিয়েল এস্টেট কোম্পানি শ্রীপুর টাউনশীপ লিমিটেড (এসটিএল) ওই বন্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করেছে। কিন্তু বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে বন্ডের নাম হিসেবে ‘আইএফআইসি আমার বন্ড’ নামটি ব্যবহার করা হয়েছে, যা বিনিয়োগকারীকে ধারণা দেয় যে, এ বন্ড আইএফআইসি ব্যাংক ইস্যু করেছে; কিন্তু ব্যাংকটি ছিল মূলত বন্ডটির জামিনদার। এভাবে বিনিয়োগকারীদের প্রতারিত করে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করা হয়।
বিএসইসি এও জানায়, এর আগে ৯৬৫ তম কমিশন সভায় ওই বন্ডের অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। একই অপরাধে এবার ব্যাংকের তৎকালীন এমডি শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কমিশন।

বাংলাদেশের চামড়া খাত একসময় দেশের অর্থনীতির মূল স্তম্ভ হিসেবে পরিচিত ছিল, বর্তমানে তা গভীর সংকটে রয়েছে। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানির প্রধান বাধা হচ্ছে কমপ্লায়েন্স সমস্যা এবং আন্তর্জাতিক মানের সনদ না পাওয়া, বিশেষত এলডব্লিউজি সনদ। এই সনদ বাংলাদেশের চামড়াশিল্পের টেকসই উন্নয়ন এবং বৈশ্বিক বাজারে...
০৮ ডিসেম্বর ২০২৪
দেশের ব্যাংকিং সেবাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিজিটাল পরিসরে। এ লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে অ্যাপনির্ভর ব্যাংক গঠনের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে দেশি ও বিদেশি ১২টি প্রতিষ্ঠান নতুন প্রজন্মের এই ব্যাংক স্থাপনে আগ্রহ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুমোদনের আবেদন করেছে। প্রস্তাবিত এসব ব্যাংকের থাকবে...
৪ ঘণ্টা আগে
দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
৭ ঘণ্টা আগে
পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ...
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় মার্কিন তুলা রপ্তানিকারক সংগঠন কটন ইউএসএর এক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি তুলে ধরে বিজিএমইএ। বৈঠকে দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকে মার্কিন তুলার ব্যবহার বৃদ্ধি এবং ঘোষিত শুল্ক সুবিধা বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান ও পরিচালক নাফিস-উদ-দৌলা। মার্কিন প্রতিনিধিদলে ছিলেন ইকমের লি ইন, কারগিলের ক্রিস্টা রিকম্যান, এলডিসির ডিয়েগো লোজাদা, ওলাম এগ্রির ওয়েসলি রেন্টজ, ক্যারোলিনা কটন গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের ওয়েন বোসম্যানসহ আরও অনেকে।
বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, নতুন শুল্কছাড় বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের জন্য এক বড় সুযোগ। কিন্তু এই সুবিধা কার্যকরভাবে পেতে কারখানাগুলোকে কী প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে, সে বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা নেই। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যাখ্যা পাওয়া গেলে উদ্যোক্তারা প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
মাহমুদ হাসান খান বলেন, বর্তমানে আমদানি করা তুলার প্রায় ১০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসে, যা দ্বিগুণ বা ৩ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। তবে এ জন্য প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ও সুচিন্তিত কৌশলগত পদক্ষেপ। মার্কিন তুলার উচ্চ গুণগত মান ও তুলনামূলক সুবিধার বিষয়ে গবেষণা করে সুতা উৎপাদনকারীদের তথ্য সরবরাহ করা হলে তাঁরা আমদানি বাড়াতে উৎসাহিত হবেন।

পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় মার্কিন তুলা রপ্তানিকারক সংগঠন কটন ইউএসএর এক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি তুলে ধরে বিজিএমইএ। বৈঠকে দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকে মার্কিন তুলার ব্যবহার বৃদ্ধি এবং ঘোষিত শুল্ক সুবিধা বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান ও পরিচালক নাফিস-উদ-দৌলা। মার্কিন প্রতিনিধিদলে ছিলেন ইকমের লি ইন, কারগিলের ক্রিস্টা রিকম্যান, এলডিসির ডিয়েগো লোজাদা, ওলাম এগ্রির ওয়েসলি রেন্টজ, ক্যারোলিনা কটন গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের ওয়েন বোসম্যানসহ আরও অনেকে।
বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, নতুন শুল্কছাড় বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের জন্য এক বড় সুযোগ। কিন্তু এই সুবিধা কার্যকরভাবে পেতে কারখানাগুলোকে কী প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে, সে বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা নেই। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যাখ্যা পাওয়া গেলে উদ্যোক্তারা প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
মাহমুদ হাসান খান বলেন, বর্তমানে আমদানি করা তুলার প্রায় ১০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসে, যা দ্বিগুণ বা ৩ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। তবে এ জন্য প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ও সুচিন্তিত কৌশলগত পদক্ষেপ। মার্কিন তুলার উচ্চ গুণগত মান ও তুলনামূলক সুবিধার বিষয়ে গবেষণা করে সুতা উৎপাদনকারীদের তথ্য সরবরাহ করা হলে তাঁরা আমদানি বাড়াতে উৎসাহিত হবেন।

বাংলাদেশের চামড়া খাত একসময় দেশের অর্থনীতির মূল স্তম্ভ হিসেবে পরিচিত ছিল, বর্তমানে তা গভীর সংকটে রয়েছে। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানির প্রধান বাধা হচ্ছে কমপ্লায়েন্স সমস্যা এবং আন্তর্জাতিক মানের সনদ না পাওয়া, বিশেষত এলডব্লিউজি সনদ। এই সনদ বাংলাদেশের চামড়াশিল্পের টেকসই উন্নয়ন এবং বৈশ্বিক বাজারে...
০৮ ডিসেম্বর ২০২৪
দেশের ব্যাংকিং সেবাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিজিটাল পরিসরে। এ লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে অ্যাপনির্ভর ব্যাংক গঠনের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে দেশি ও বিদেশি ১২টি প্রতিষ্ঠান নতুন প্রজন্মের এই ব্যাংক স্থাপনে আগ্রহ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুমোদনের আবেদন করেছে। প্রস্তাবিত এসব ব্যাংকের থাকবে...
৪ ঘণ্টা আগে
দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
৭ ঘণ্টা আগে
সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
৮ ঘণ্টা আগে