টিআইবির গবেষণা
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঘুষ, চাঁদাবাজি, মুক্তিপণের টাকা লেনদেনে এমএফএস (মোবাইল আর্থিক সেবা) সুবিধাজনক মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
‘মোবাইল আর্থিক সেবা খাতে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
গবেষণা প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপে বলা হয়, মোবাইল আর্থিক সেবা ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের আর্থিক প্রতারণা ও জালিয়াতির ঘটনা ক্রমেই উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে।
এ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কার্যকর ‘চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স’ ব্যবস্থা অনুপস্থিত থাকায় প্রতারক চক্র সহজেই গ্রাহকের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে এমএফএসপিতে কর্মরত বা সাবেক কর্মী, এজেন্ট ও পরিবেশকেরা অর্থের বিনিময়ে গ্রাহকের হিসাব সংক্রান্ত সংবেদনশীল তথ্য প্রতারক ও জালিয়াতি চক্রের কাছে সরবরাহ করে, কিংবা নিজেরাই এমন চক্রের অংশ হিসেবে জালিয়াতি ও প্রতারণামূলক কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়ে। কিছু ক্ষেত্রে এজেন্ট পয়েন্ট থেকে কৌশলে লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে এসব চক্র গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ করে থাকে।
অনেক সময় কৌশলে অনৈতিকভাবে হস্তগত করা অন্যের এনআইডি দিয়ে নতুন হিসাব খোলার সুযোগ থাকায় প্রতারণা ও জালিয়াতিতে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়ে। ঘুষ, চাঁদাবাজি ও মুক্তিপণের অর্থ আদান-প্রদানেও এমএফএস একটি সুবিধাজনক মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, এমএফএস লেনদেন বিবরণী আয়কর রিটার্নে সংযুক্ত করার বাধ্যবাধকতা না থাকায় কিছু অসাধু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এই ব্যবস্থার অপব্যবহার করে ঘুষ লেনদেন করছে।
সংবাদ সম্মেলনে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন টিআইবির রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট কাজী আমিনুল হাসান এবং রিসার্চ ফেলো মোহাম্মদ নূরে আলম। তাঁরা জানান, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের মে মাস পর্যন্ত গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে। গবেষণার তথ্য সংগ্রহের জন্য দেশের ৩২ জেলার ১ হাজার ৭৮৪ ব্যক্তিগত হিসাবধারী, ৪২৯ মার্চেন্ট হিসাবধারী এবং ৬৬৪ এজেন্টের ওপর জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে।
জরিপে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিগত হিসাবধারীদের ৬ দশমিক ৩ শতাংশ, এজেন্ট হিসাবধারীদের ১৭ শতাংশ এবং মার্চেন্ট হিসাবধারীদের ১ দশমিক ৬ শতাংশ জানান, তাঁরা জালিয়াতি ও প্রতারণার শিকার হয়েছেন। আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন যথাক্রমে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ, ৮ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ১ দশমিক ৪ শতাংশ হিসাবধারী। জালিয়াতি ও প্রতারণার শিকার হয়ে ব্যক্তিগত হিসাবধারীদের সর্বনিম্ন ৩০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮৩ হাজার টাকা পর্যন্ত, এজেন্টদের সর্বনিম্ন ২০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকা পর্যন্ত এবং মার্চেন্ট হিসাবধারীরা সর্বনিম্ন ৫৩ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন।
এ ক্ষেত্রে প্রলোভন বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে এমএফএস গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার হার ৫২ শতাংশ। ফোনকল বা এসএমএসের মাধ্যমে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে ৪২ শতাংশ, হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে ১২ শতাংশ। আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েও ব্যক্তিগত হিসাবধারীদের মাত্র ৭ শতাংশ, এজেন্ট হিসাবধারীদের ২৭ শতাংশ এবং মার্চেন্ট হিসাবধারীদের ৪ শতাংশ থানায় মামলা বা জিডি করেছে।
টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, এমএফএসে ব্যক্তিগত হিসাবধারীদের ১৪ শতাংশ মোবাইল আর্থিক সেবা নিতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হোন। ব্যক্তিগত হিসাবধারী পুরুষদের তুলনায় নারীরা অধিক সমস্যার সম্মুখীন হন। অভিযোগকারী গ্রাহকদের মধ্যে ৬১ দশমিক ৯ শতাংশ গ্রাহক সমস্যার সমাধান পাননি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’ পরিচালনায় নির্ধারিত আইনি কাঠামো অনুসরণ করা হয়নি। গবেষণা প্রতিবেদনের সার সংক্ষেপে নগদের বিষয়ে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের বিধিমালায় ব্যাংক ব্যতীত অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের এমএফএসপি হিসেবে নিবন্ধন গ্রহণের এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদনের সুযোগ না থাকলেও বাংলাদেশ ব্যাংক বিধি লঙ্ঘন করে ডাক বিভাগের ডিজিটাল সেবা ‘নগদ’কে কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেয়। এ ছাড়া এমএফএস বিধিমালা অনুযায়ী অনাপত্তি সনদ বা এনওসি নিয়ে শুধু অবকাঠামো স্থাপনের অনুমতি থাকলেও ‘নগদ’ গ্রাহক অন্তর্ভুক্তিসহ সব কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক কঠোর পদক্ষেপ নেয়নি।
আবার বিধান না থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ ব্যাংক ডাক বিভাগকে ‘নগদ’ পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তী লাইসেন্স দিয়ে এবং ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সাবসিডিয়ারি গঠনের শর্তে ছয় বার অন্তর্বর্তী লাইসেন্সের মেয়াদ বৃদ্ধি করে—যা এখনো চলমান।
নগদের পরিচালন প্রক্রিয়াতেও বিধি লঙ্ঘন হয়েছে বলে মনে করে টিআইবি। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডাক বিভাগের ডিজিটাল সেবা ‘নগদ’ পরিচালনায় নির্ধারিত আইনি কাঠামো অনুসরণ না করে, অর্থাৎ সাবসিডিয়ারি গঠন ব্যতিরেকে ‘থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস লিমিটেড’-এর সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়েছে, যা স্পষ্টতই বিদ্যমান বিধিমালার লঙ্ঘন। অধিকন্তু, ডাক বিভাগের অনুমতি ও অংশগ্রহণ ছাড়াই চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’-এর সেবামূল্য নির্ধারণ, আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও অন্যান্য নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের, আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন ডিরেক্টর মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
ঘুষ, চাঁদাবাজি, মুক্তিপণের টাকা লেনদেনে এমএফএস (মোবাইল আর্থিক সেবা) সুবিধাজনক মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
‘মোবাইল আর্থিক সেবা খাতে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
গবেষণা প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপে বলা হয়, মোবাইল আর্থিক সেবা ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের আর্থিক প্রতারণা ও জালিয়াতির ঘটনা ক্রমেই উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে।
এ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কার্যকর ‘চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স’ ব্যবস্থা অনুপস্থিত থাকায় প্রতারক চক্র সহজেই গ্রাহকের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে এমএফএসপিতে কর্মরত বা সাবেক কর্মী, এজেন্ট ও পরিবেশকেরা অর্থের বিনিময়ে গ্রাহকের হিসাব সংক্রান্ত সংবেদনশীল তথ্য প্রতারক ও জালিয়াতি চক্রের কাছে সরবরাহ করে, কিংবা নিজেরাই এমন চক্রের অংশ হিসেবে জালিয়াতি ও প্রতারণামূলক কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়ে। কিছু ক্ষেত্রে এজেন্ট পয়েন্ট থেকে কৌশলে লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে এসব চক্র গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ করে থাকে।
অনেক সময় কৌশলে অনৈতিকভাবে হস্তগত করা অন্যের এনআইডি দিয়ে নতুন হিসাব খোলার সুযোগ থাকায় প্রতারণা ও জালিয়াতিতে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়ে। ঘুষ, চাঁদাবাজি ও মুক্তিপণের অর্থ আদান-প্রদানেও এমএফএস একটি সুবিধাজনক মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, এমএফএস লেনদেন বিবরণী আয়কর রিটার্নে সংযুক্ত করার বাধ্যবাধকতা না থাকায় কিছু অসাধু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এই ব্যবস্থার অপব্যবহার করে ঘুষ লেনদেন করছে।
সংবাদ সম্মেলনে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন টিআইবির রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট কাজী আমিনুল হাসান এবং রিসার্চ ফেলো মোহাম্মদ নূরে আলম। তাঁরা জানান, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের মে মাস পর্যন্ত গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে। গবেষণার তথ্য সংগ্রহের জন্য দেশের ৩২ জেলার ১ হাজার ৭৮৪ ব্যক্তিগত হিসাবধারী, ৪২৯ মার্চেন্ট হিসাবধারী এবং ৬৬৪ এজেন্টের ওপর জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে।
জরিপে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিগত হিসাবধারীদের ৬ দশমিক ৩ শতাংশ, এজেন্ট হিসাবধারীদের ১৭ শতাংশ এবং মার্চেন্ট হিসাবধারীদের ১ দশমিক ৬ শতাংশ জানান, তাঁরা জালিয়াতি ও প্রতারণার শিকার হয়েছেন। আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন যথাক্রমে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ, ৮ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ১ দশমিক ৪ শতাংশ হিসাবধারী। জালিয়াতি ও প্রতারণার শিকার হয়ে ব্যক্তিগত হিসাবধারীদের সর্বনিম্ন ৩০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮৩ হাজার টাকা পর্যন্ত, এজেন্টদের সর্বনিম্ন ২০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকা পর্যন্ত এবং মার্চেন্ট হিসাবধারীরা সর্বনিম্ন ৫৩ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন।
এ ক্ষেত্রে প্রলোভন বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে এমএফএস গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার হার ৫২ শতাংশ। ফোনকল বা এসএমএসের মাধ্যমে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে ৪২ শতাংশ, হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে ১২ শতাংশ। আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েও ব্যক্তিগত হিসাবধারীদের মাত্র ৭ শতাংশ, এজেন্ট হিসাবধারীদের ২৭ শতাংশ এবং মার্চেন্ট হিসাবধারীদের ৪ শতাংশ থানায় মামলা বা জিডি করেছে।
টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, এমএফএসে ব্যক্তিগত হিসাবধারীদের ১৪ শতাংশ মোবাইল আর্থিক সেবা নিতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হোন। ব্যক্তিগত হিসাবধারী পুরুষদের তুলনায় নারীরা অধিক সমস্যার সম্মুখীন হন। অভিযোগকারী গ্রাহকদের মধ্যে ৬১ দশমিক ৯ শতাংশ গ্রাহক সমস্যার সমাধান পাননি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’ পরিচালনায় নির্ধারিত আইনি কাঠামো অনুসরণ করা হয়নি। গবেষণা প্রতিবেদনের সার সংক্ষেপে নগদের বিষয়ে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের বিধিমালায় ব্যাংক ব্যতীত অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের এমএফএসপি হিসেবে নিবন্ধন গ্রহণের এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদনের সুযোগ না থাকলেও বাংলাদেশ ব্যাংক বিধি লঙ্ঘন করে ডাক বিভাগের ডিজিটাল সেবা ‘নগদ’কে কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেয়। এ ছাড়া এমএফএস বিধিমালা অনুযায়ী অনাপত্তি সনদ বা এনওসি নিয়ে শুধু অবকাঠামো স্থাপনের অনুমতি থাকলেও ‘নগদ’ গ্রাহক অন্তর্ভুক্তিসহ সব কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক কঠোর পদক্ষেপ নেয়নি।
আবার বিধান না থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ ব্যাংক ডাক বিভাগকে ‘নগদ’ পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তী লাইসেন্স দিয়ে এবং ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সাবসিডিয়ারি গঠনের শর্তে ছয় বার অন্তর্বর্তী লাইসেন্সের মেয়াদ বৃদ্ধি করে—যা এখনো চলমান।
নগদের পরিচালন প্রক্রিয়াতেও বিধি লঙ্ঘন হয়েছে বলে মনে করে টিআইবি। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডাক বিভাগের ডিজিটাল সেবা ‘নগদ’ পরিচালনায় নির্ধারিত আইনি কাঠামো অনুসরণ না করে, অর্থাৎ সাবসিডিয়ারি গঠন ব্যতিরেকে ‘থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস লিমিটেড’-এর সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়েছে, যা স্পষ্টতই বিদ্যমান বিধিমালার লঙ্ঘন। অধিকন্তু, ডাক বিভাগের অনুমতি ও অংশগ্রহণ ছাড়াই চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’-এর সেবামূল্য নির্ধারণ, আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও অন্যান্য নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের, আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন ডিরেক্টর মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
দুই মাস ধরে কিছুটা গতি ফিরেছে দেশের পুঁজিবাজারে। তার আগের পরিস্থিতি মোটেও সুখকর ছিল না। সব মিলিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার এক বছরে আগের বছরের তুলনায় বাজারের লেনদেন ১৯ শতাংশের বেশি কমেছে। একই সময়ে প্রধান সূচক নেমেছে ৮ শতাংশের বেশি।
১ ঘণ্টা আগেপ্রথমবারের মতো কোনো ঋণ ছাড়া সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে চীন থেকে দুটি আধুনিক জাহাজ কিনতে যাচ্ছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি)।
৬ ঘণ্টা আগেবাজারে দামের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে দেশের সাধারণ মানুষকে স্বস্তির খবর দিল ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। আগামীকাল রোববার (১০ আগস্ট) থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে ভর্তুকিমূল্যে ভোজ্যতেল, চিনি ও ডাল বিক্রির কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এবার মূল্যেও এসেছে উল্লেখযোগ্য ছাড়।
৭ ঘণ্টা আগেবিশ্ববাণিজ্যের জটিল পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপ এশিয়ার পোশাক রপ্তানিতে ভিন্ন ভিন্ন প্রভাব ফেলেছে। চীন ও ভারতের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি সংকুচিত হলেও বাংলাদেশের টেক্সটাইল খাত উল্লেখযোগ্যভাবে জোরালো হয়েছে। ভিয়েতনামও বাণিজ্যে ভালো অগ্রগতি দেখাচ্ছে। একই সঙ্গে, দেশের অর্থনীতির উৎপাদন ও সেবা...
৮ ঘণ্টা আগে