Ajker Patrika

জ্বালানি সরবরাহ শুরু আজ: চট্টগ্রাম-ঢাকা পাইপলাইন মেরামত শেষে ফের সচল

  • পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ সিডিপিএল প্রকল্প দপ্তরের।
  • প্রথম দিন চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় সরবরাহ করা হবে ৫০ লাখ লিটার।
 আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৮: ২৫
জ্বালানি সরবরাহ শুরু আজ: চট্টগ্রাম-ঢাকা পাইপলাইন মেরামত শেষে ফের সচল

চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় জ্বালানি তেল সরবরাহের প্রতিশ্রুতিতে গত ১৬ আগস্ট পতেঙ্গার ডেসপাস টার্মিনালে ছিল উৎসবের আমেজ। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান উদ্বোধন করেন বহু প্রতীক্ষিত ‘সিডিপিএল’ পাইপলাইন প্রকল্পের। শুরু হয় নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহের যাত্রা, যা তখন নতুন আশার আলো দেখিয়েছিল। কিন্তু সেই ধারা টিকল না বেশি দিন।

সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি রক্ষণাবেক্ষণ বা মেরামতের অজুহাতে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় সরবরাহ। এক মাস পেরিয়ে অবশেষে আবারও সচল হচ্ছে প্রকল্পটি। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আজ বুধবার থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ৫০ লাখ লিটার জ্বালানি তেল পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত তিন কোম্পানি—পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল লিমিটেডকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে সিডিপিএল প্রকল্প দপ্তর। এর ফলে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল ও ফতুল্লা ডিপো পর্যন্ত আজ বুধবার সকাল থেকে পাইপলাইনে সরবরাহ করা নতুন জ্বালানি মিলবে।

বিপিসির তথ্য বলছে, বন্ধের আগেই পাইপলাইনে ৭টি পার্সেলে মেঘনা অয়েল ৩ কোটি ২২ লাখ লিটার, পদ্মা অয়েল প্রায় ৩ কোটি লিটার এবং যমুনা অয়েলও সমপরিমাণ তেল পাঠায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায়। আগে যেখানে ট্যাংকারে তেল পৌঁছাতে লাগত দুই দিন, সেখানে পাইপলাইন এখন সেই সময় কমিয়ে এনেছে মাত্র ১২ ঘণ্টায়। ঘণ্টায় ২৬০-২৮০ টন ডিজেল প্রবাহিত হতে পারে এই লাইনে, যা কার্যক্ষমতার দিক থেকে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অনন্য প্রযুক্তিগত সাফল্য।

এই প্রকল্প দেশের জ্বালানি পরিবহনে এক নতুন যুগের সূচনা বলে ধরা হয়। প্রায় ৩৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি ২৪৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পাইপলাইন চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা পর্যন্ত বিস্তৃত। এর মধ্যে গোদনাইল পর্যন্ত ১৬ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ, এরপর ফতুল্লা পর্যন্ত অংশে ১০ ইঞ্চি। ২২টি নদীর তলদেশ ছুঁয়ে গেছে এই পাইপলাইন; নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রণে সংযুক্ত রয়েছে স্ক্যাডা, টেলিকমিউনিকেশন, লিক ডিটেকশন প্রযুক্তিসহ অপটিক্যাল ফাইবার কেব্‌ল। চলতি বছরের জুনে পরীক্ষামূলকভাবে বাণিজ্যিক পরিবহন শুরু হয়। এরপর ১৬ আগস্ট পতেঙ্গায় ডেসপাস টার্মিনালে প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ফাওজুল কবির খান।

উদ্বোধনের এক মাস পর জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়ে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আগস্টে চালু হওয়ার পর সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে প্রকল্পের যান্ত্রিক রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন দেখা দিলে পরিবহন কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। এখন সেই রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শেষ হয়েছে, তাই সবকিছু আবারও সচল হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পদ্মা অয়েলের পরিচালন ও পরিকল্পনা বিভাগের মহাব্যবস্থাপক আসিফ মালিক বলেন, ‘রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্প দপ্তর থেকে চিঠি পেয়েছি, প্রস্তুতিও সম্পন্ন। বুধবার (আজ) থেকে আবার পাইপলাইনে তেল যাবে।’

মেঘনা অয়েলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহীরুল হাসানও নিশ্চিত করেছেন, মাসখানেক বিরতির পর নতুন করে সরবরাহ শুরু হচ্ছে আজ। এবার পুরোপুরি কার্যক্রমে গতি আসবে।

পতেঙ্গা থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত পাইপলাইনের নয়টি স্টেশন ও বরুড়ায় ২১ হাজার টন ধারণক্ষমতার নতুন ডিপোসহ পুরো প্রকল্পের তত্ত্বাবধানে রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড। বছরে ৫০ লাখ টন তেল পরিবহনের সক্ষমতা অর্জন করলে এই প্রকল্পে প্রতিবছর প্রায় ২২৬ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে বলে জানায় বিপিসি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে টালমাটাল টাটার সাম্রাজ্য, নেপথ্যে কী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

রতন টাটার মৃত্যুর এক বছর পর ভারতের বিশাল ব্যবসায়ী সাম্রাজ্য টাটা গ্রুপ এক জটিল সংকটের ভেতরে পড়ে গেছে। যে প্রতিষ্ঠানকে রতন টাটা আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর এক শক্তিশালী করপোরেট পরিণত করেছিলেন, সেই টাটা গ্রুপ এখন নানা কারণে টালমাটাল হয়ে পড়েছে। ব্রিটেনের বিখ্যাত জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার ও টেটলি টি এবং ভারতে অ্যাপলের আইফোন তৈরির কারখানা চালানো এই সাম্রাজ্য গৃহবিবাদে টলে উঠেছে।

গত কয়েক মাস ধরে টাটার ট্রাস্টিদের মধ্যে তীব্র ক্ষমতার লড়াই প্রতিষ্ঠানটির ভেতরের ভাঙন প্রকাশ্যে এনেছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, ভারত সরকারকেই হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে—যাতে ২০১৬ সালের মতো আরেকটি নাটকীয় আইনি সংকট না সৃষ্টি হয়। সে সময় টাটা গ্রুপের সাবেক চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রিকে বরখাস্ত করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো সাম্রাজ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছিল।

ভারতীয় মন্ত্রীরা কয়েক সপ্তাহ আগে অস্থায়ী সমঝোতার চেষ্টা চালালেও সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রতন টাটার ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং টাটা ট্রাস্টস বোর্ডের ট্রাস্টি মেহলি মিস্ত্রিকে পদচ্যুত করা হয়েছে। তবে বিবিসি এ তথ্য স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি।

যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মিরচা রায়ানু টাটা করপোরেশনের ইতিহাস নিয়ে বই লিখেছেন। তিনি এই সংঘাতকে দেখছেন ‘অমীমাংসিত ব্যবসায়িক প্রশ্নের/দ্বন্দ্বের পুনরুত্থান’ হিসেবে। মূলত কে টাটা গ্রুপ চালাবে এবং কতটা ক্ষমতা থাকবে প্রধান শেয়ারধারী টাটা ট্রাস্টসের (যারা মূল কোম্পানি টাটা সন্সের ৬৬ শতাংশ শেয়ার মালিক) হাতে—সেটিই আসল বিতর্ক।

টাটা গ্রুপের গঠন কাঠামো অনন্য। এর নিয়ন্ত্রণমূলক শেয়ার রয়েছে একটি দাতব্য সংস্থার (টাটা ট্রাস্টস) হাতে। এই ট্রাস্ট টাটা সন্সের মূল হোল্ডিং কোম্পানির মালিক। এই কাঠামো প্রতিষ্ঠানটিকে কর ও নীতিগত সুবিধা দিয়েছে এবং দাতব্য কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ দিয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এই দ্বৈত প্রকৃতি—অর্থাৎ একদিকে লাভজনক ব্যবসা, অন্যদিকে অলাভজনক মানবসেবা—প্রশাসনিক জটিলতা ও স্বচ্ছতার সমস্যাও তৈরি করেছে।

এই নতুন দ্বন্দ্ব এমন সময়ে দেখা দিয়েছে যখন টাটা গ্রুপ ব্যাপক ব্যবসায়িক প্রতিকূলতার মুখোমুখি। তারা এখন সেমিকন্ডাক্টর ও বৈদ্যুতিক যান (ইভি) শিল্পে নতুন বিনিয়োগের পথে হাঁটছে, পাশাপাশি চেষ্টা করছে ২০২১ সালে সরকারের কাছ থেকে কেনা দেউলিয়া বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়াকে পুনরুজ্জীবিত করতে। কিন্তু সেই সংস্থাটিও চলতি বছর এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর আলোচনায় আসে।

টাটা গোষ্ঠী এখনো প্রকাশ্যে এই অস্থিরতা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, টাটা ট্রাস্টের ট্রাস্টিদের মধ্যে মতবিরোধ তৈরি হয়েছে বোর্ড সদস্য নিয়োগ, অর্থ অনুমোদন ও টাটা সন্সকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করার পরিকল্পনাকে ঘিরে। টাটা সন্স হলো টাটা গোষ্ঠীর মূল হোল্ডিং কোম্পানি, যার অধীনে রয়েছে ২৬টি তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান, মোট বাজারমূল্য প্রায় ৩২৮ বিলিয়ন ডলার।

টাটা গোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ এক সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, টাটা সন্সের বোর্ডে ট্রাস্টিদের প্রভাব বাড়ানো এবং কৌশলগত সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাদের অংশগ্রহণের আকাঙ্ক্ষাই দ্বন্দ্বের মূল কেন্দ্রবিন্দু। বর্তমানে টাটা ট্রাস্টের তিনজন প্রতিনিধি টাটা সন্সের বোর্ডে রয়েছেন। সূত্রটি আরও জানিয়েছে, ‘টাটা ট্রাস্টের প্রতিনিধিদের বড় ধরনের সিদ্ধান্তে ভেটো দেওয়ার অধিকার রয়েছে, কিন্তু তাদের ভূমিকা মূলত তদারকির, সিদ্ধান্তগ্রহণমূলক নয়। কিন্তু এখন কিছু ট্রাস্টি চান, তারা যেন বাণিজ্যিক সিদ্ধান্তেও অংশ নিতে পারেন।’

তবে এর চেয়েও বড় বিতর্কের জায়গা হলো—টাটা সন্সকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করার প্রশ্ন। কোম্পানিটির ১৮ শতাংশ শেয়ারধারী সর্ববৃহৎ সংখ্যালঘু অংশীদার এসপি গ্রুপ এই তালিকাভুক্তির পক্ষে জোরালোভাবে চাপ দিচ্ছে। অন্যদিকে, বেশির ভাগ টাটা ট্রাস্টি এ প্রস্তাবের বিপক্ষে। সূত্রের ভাষায়, ‘অনেকেই আশঙ্কা করছেন, পাবলিক লিস্টিং হলে ট্রাস্টের দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যাবে। বাজারের ত্রৈমাসিক চাপের মুখে পড়বে টাটা সন্স। বিশেষ করে যখন গোষ্ঠীর অনেক নতুন ব্যবসা এখনো একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে।’

তবে এসপি গ্রুপ এই তালিকাভুক্তিকে ‘নৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ব’ হিসেবে দেখছে। তাদের দাবি, এতে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য মূল্য বাড়বে, কোম্পানির স্বচ্ছতা ও শাসনব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হবে। টাটা সন্স বা টাটা ট্রাস্টস—কেউই বিবিসির বিস্তারিত প্রশ্নের জবাব দেয়নি। তবে অধ্যাপক রায়ানুর মতে, এই দ্বন্দ্ব টাটা গোষ্ঠীর এক বাস্তব সংকটকে তুলে ধরে।

রায়ানুর ভাষায়, ‘টাটা সন্সকে শেয়ারবাজারে আনা হলে তা এক অর্থে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অনেক বড় কনগ্লোমারেটের চলমান ধারা থেকে ভিন্ন হবে। সেখানে অনেকে এখন ফাউন্ডেশন মালিকানার পথে হাঁটছে, যাতে স্থিতিশীলতা ও স্থায়িত্ব বাড়ে। পরিহাসের বিষয় হলো, তারা টাটা গোষ্ঠীকেই অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখছে।’ তাঁর মতে, ‘তবে একই সঙ্গে এটাও সত্য যে, বেসরকারি বা ঘনিষ্ঠ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো বাইরের নজরদারির বাইরে থাকে, যা শেষ পর্যন্ত দ্বন্দ্ব বাড়াতে ও সুনাম নষ্ট করতে পারে।’

জনসংযোগ বিশেষজ্ঞ ও টাটা সন্সের সাবেক চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রির ঘনিষ্ঠ সহযোগী দিলীপ চেরিয়ান বলেছেন, এই সংঘাত এরই মধ্যে গোষ্ঠীটির পরিচালনা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে এবং ভারতের প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম ‘টাটা গ্রুপের’ ব্র্যান্ড ইমেজে আঘাত হেনেছে।

বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘এটা সাম্প্রতিক সময়ে টাটার ভাবমূর্তিতে লাগা একের পর এক আঘাতের ধারাবাহিকতা।’ তিনি উল্লেখ করেন, বছরের শুরুতে ভয়াবহ এয়ার ইন্ডিয়া দুর্ঘটনা এবং সেপ্টেম্বরে জাগুয়ার ল্যান্ড রোভারের (জেএলআর) এক গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটে সাইবার হামলার কথা। যার ফলে যুক্তরাজ্যের গাড়ি উৎপাদন নেমে যায় গত ৭০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে।

এদিকে, টাটা কনসালট্যান্সি সার্ভিসেস (টিসিএস)—যা গ্রুপের মোট আয়ের প্রায় অর্ধেকের উৎস—নিজস্ব সংকটে জর্জরিত। ব্যাপক ছাঁটাই, আর সম্প্রতি খুচরা বিক্রেতা মার্কস অ্যান্ড স্পেনসারের সঙ্গে এক বিলিয়ন ডলারের চুক্তি বাতিল—সব মিলিয়ে বিপাকে পড়েছে।

চেরিয়ানের মতে, ‘বোর্ডরুমে এই লড়াইগুলো আরও বিভ্রান্তি তৈরি করছে। এখন শুধু শেয়ার পারফরম্যান্স নিয়েই নয়, বিনিয়োগকারীদের মনেও প্রশ্ন জাগবে—তারা আসলে টাটার কোন নেতৃত্বের সঙ্গে লেনদেন করছেন।’

এই অস্থিরতার মাঝেই খবর এসেছে, টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এন. চন্দ্রশেখরনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। টাটা সন্সের ঘনিষ্ঠ এক সূত্র বলেছে, ‘চেয়ারম্যান তাঁর কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন। কারণ এটা বোর্ডের ভেতরের বিভাজন নয়, বরং ট্রাস্টিদের মধ্যে। তবে এটি তার জন্য অপ্রয়োজনীয় এক বিভ্রান্তি।’

তবে টাটা গ্রুপের জন্য এমন সংকট নতুন কিছু নয়। নব্বইয়ের দশকে রতন টাটা যখন গ্রুপের নেতৃত্ব নেন এবং কাঠামোগত আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেন, তখনো তীব্র দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছিল। কয়েক বছর আগে সাইরাস মিস্ত্রিকে অপসারণের পর যে সংঘাত দেখা দিয়েছিল, তা-ও এখনো অনেকের স্মৃতিতে তাজা।

তবে এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন, বলছেন অধ্যাপক রায়ানু। তিনি বলেন, ‘সেই সময়ে টিসিএস দুর্বল কোম্পানিগুলোর টিকে থাকার ভরসা ছিল। তারও আগে এই ভূমিকা পালন করত টাটা স্টিল। কিন্তু এখন টিসিএসের ব্যবসায়িক মডেল নিজেই টালমাটাল অবস্থায় আছে, আর গ্রুপের মোট আয়ে তার অবদানও চাপের মুখে। ফলে টাটা গ্রুপের জন্য আগের মতো কোনো নোঙর বা স্থিতিশীলতা তৈরি হয়নি। এই কারণেই অভ্যন্তরীণ বিভাজনের মোকাবিলা এখন আরও কঠিন হয়ে পড়ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এখন থেকে ফুডিতে পাওয়া যাবে বেঙ্গল মিটের সব পণ্য

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফুডি এক্সপ্রেস লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি হয়। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
ফুডি এক্সপ্রেস লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি হয়। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

এখন থেকে ফুডি শপ প্ল্যাটফর্মে বেঙ্গল মিটের সব ধরনের পণ্য পাওয়া যাবে। গ্রাহকরা নিজেদের ঘরে বসে আরও দ্রুত, নির্ভরযোগ্য ও ঝামেলামুক্ত অনলাইন শপিং উপভোগ করতে পারবেন।

দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রিমিয়াম বুচারি চেইন বেঙ্গল মিট এবং কিউ-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ফুডি এক্সপ্রেস লিমিটেডের মধ্যে একটি ব্যবসায়িক চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। ফুডি এক্সপ্রেস লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি হয়।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বেঙ্গল মিট টিমের পক্ষ থেকে ছিলেন—হেড অব রিটেইল সেলস শেখ ইমরান আজিজ, সিনিয়র ম্যানেজার মো. তালাত মাহমুদ ও সহকারী ম্যানেজার মো. মুনতাজুল ইসলাম।

ফুডি এক্সপ্রেস লিমিটেড টিমের পক্ষ থেকে ছিলেন—ফুডি এক্সপ্রেস লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) মো. শাহনেওয়াজ মান্নান এবং ফুডি শপের ম্যানেজার হৃদিতা শাওন, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার তাজওয়ার রিজভী ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ সৈয়দ আবদুল্লাহ আল বাকী।

উভয় প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছে যে, দেশের অনলাইন গ্রোসারি শপিং খাতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে এই অংশীদারত্ব। সারা দেশের গ্রাহকদের জন্য আরও সহজলভ্য ও উন্নতমানের সেবা নিশ্চিত করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৫: ২৭
মথ ডাল ‘মুগ’ ডাল নামে বিপণন করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। ছবি: সংগৃহীত
মথ ডাল ‘মুগ’ ডাল নামে বিপণন করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। ছবি: সংগৃহীত

‘মথ’ ডালে হলুদ রং মিশিয়ে ‘মুগ’ ডালের নামে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এতে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে বলে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এ বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের এক পর্যবেক্ষণে বিষয়টি উঠে এসেছে।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, টারট্রেইজিন (Tartrazine) রংটি ডালে ব্যবহারের অনুমোদন নেই। ওই রং খাদ্যদ্রব্যে ব্যবহার করলে বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হবে। গত অর্থবছরে বাংলাদেশে মুগ ডালের তুলনায় মথ ডাল দ্বিগুণ পরিমাণে আমদানি হলেও বাজারে মথ নামে কোনো ডাল পাওয়া যায়নি। স্থানীয় বাজারে মুগ ডাল নামে বিক্রীত ডালের সংগৃহীত নমুনার অর্ধেকের বেশি রংমিশ্রিত পাওয়া গেছে।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, অননুমোদিতভাবে কোনো রং খাদ্যে ব্যবহার বা অন্তর্ভুক্তি বা এরূপ রংমিশ্রিত খাদ্য আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ, মজুত, সরবরাহ বা বিক্রয় নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩-এর ২৭ ধারা মতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

সব খাদ্য ব্যবসায়ীদের রংযুক্ত ডাল আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ, মজুত, সরবরাহ বা বিক্রয় থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলেছে, সর্বসাধারণকে ‘মুগ’ ডাল ক্রয়ের সময় মুগ ডালের বিশুদ্ধতা এবং ওই ডালে রং মিশ্রিত করা হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হয়ে ডাল ক্রয়ের জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ৪১
ভারতের তৈরি পোশাক শিল্পের একটি কারখানা। ছবি: সংগৃহীত
ভারতের তৈরি পোশাক শিল্পের একটি কারখানা। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের বস্ত্র খাতকে বৈশ্বিক মানদণ্ডের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে দেশটি একটি বিস্তৃত ‘ব্যয় রূপরেখা’ প্রস্তুত করছে। মূল্য প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম ও চীনের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে ক্রমে অবস্থান হারাচ্ছে ভারত। এই রূপরেখায় থাকবে দুই বছরের স্বল্পমেয়াদি, পাঁচ বছরের মধ্যমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। যেখানে কাঁচামাল, নীতি-অনুবর্তিতা ও কর কাঠামোসহ উৎপাদন খরচের বিভিন্ন উপাদান বিশ্লেষণ করা হবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ব্যয়বহুল কাঁচামালের পাশাপাশি ভারতের বস্ত্র খাতকে প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় আরও ক্ষতিগ্রস্ত করছে উচ্চ পরিবহন ব্যয় ও জ্বালানির খরচ। এক সরকারি কর্মকর্তার ভাষায়, ‘লক্ষ্য হলো বৈশ্বিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে ভারতের ব্যয় কাঠামোর তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা এবং উৎপাদন ও রপ্তানি খরচ কমানোর পাশাপাশি উৎপাদন প্রক্রিয়ায় অপচয় হ্রাসের উদ্যোগ নেওয়া।’

ভারত ২০৩০ সালের মধ্যে বস্ত্র রপ্তানি ১০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে চায়, যা বর্তমানে প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের শ্রম উৎপাদনশীলতা তুলনামূলকভাবে বেশি। তাদের শ্রম আইনও বেশি নমনীয়। তা ছাড়া, উন্নত বিশ্বের অনেক অঞ্চল থেকে তারা শুল্কমুক্ত কাঁচামাল সংগ্রহ করতে পারে এবং ইউরোপীয় বাজারে বাণিজ্য সুবিধাও পায়। ভিয়েতনাম আবার চীনা বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের সুবিধাও ভোগ করে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের শ্রমিকদের মজুরি ভারতের তুলনায় অনেক কম, যা তাদের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা দিয়েছে।

ভারতীয় বস্ত্র শিল্প খাতের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর শ্রম উৎপাদনশীলতা ভারতের তুলনায় ২০ থেকে ৪০ শতাংশ বেশি। এই প্রেক্ষাপটে ভারতের বস্ত্র মন্ত্রণালয় তন্তু, কাপড়, প্রযুক্তিনির্ভর বস্ত্র, টেকসই উপাদান ও ডিজিটাল ট্রেসিংয়ের ক্ষেত্রে গবেষণা ও উদ্ভাবন জোরদার করার পরিকল্পনাও হাতে নিয়েছে।

এ ছাড়া, বৈশ্বিক বাজারের জন্য ব্র্যান্ডিং ও ডিজাইনে উদ্ভাবন সংযুক্ত করার উপায় খুঁজতে এবং নবীন বস্ত্র-স্টার্টআপ ও ডিজাইন হাউসগুলোর বিকাশে সহায়তা করতে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কর্মকর্তা জানান, ‘শিল্প সংগঠন, ব্যাংক, ইনোভেশন ল্যাব, স্টার্টআপ ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ব্যাপক পরামর্শ প্রক্রিয়া চালানো হবে।’

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথমার্ধে ভারতের বস্ত্র ও পোশাক রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ০.৩৯ শতাংশ বেড়েছে। ভারতের চেম্বার অব কমার্সের টেক্সটাইল বিষয়ক জাতীয় বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় জৈন বলেন, ‘কোয়ালিটি কন্ট্রোল অর্ডার বাতিল, শ্রম আইনের সংস্কার এবং ইউরোপের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি খরচ কমাতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।’

২০২৪-২৫ অর্থবছরের অর্থনৈতিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বৈশ্বিকভাবে টেকসই উৎস থেকে পণ্য সংগ্রহের প্রবণতা বাড়ার কারণে আগামী বছরগুলোতে ভারতের বস্ত্রশিল্পের খরচ আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত