ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের পর গত সপ্তাহ পর্যন্ত তেলে দাম বাড়ছিল। গত শুক্রবার আগের চেয়ে ৭ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি তেলের দাম ৯০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। এতে বিশ্ব অর্থনীতিতে নতুন আঘাতের শঙ্কা তৈরি হয়। তবে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক আচরণের মধ্যে আজ সোমবার দাম কয়েক সেন্ট কমেছে। সংঘাত পাশের দেশগুলোতেও ছড়ায় কি না, বিনিয়োগকারীরা তা পর্যবেক্ষণ করছে বলে রয়টার্স এক প্রতিবেদনে বলেছে।
সোমবার বেলা পৌনে ১টা নাগাদ অপরিশোধিত তেলের শীর্ষ বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট তেলের দাম শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ বা ৩৩ সেন্ট কমে ব্যারেলপ্রতি ৯০ দশমিক ৫৬ ডলারে নেমেছে। আর ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) তেলের দাম শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ বা ২৬ সেন্ট কমে হয়েছে ৮৭ দশমিক ৪৩ ডলার।
মধ্যপ্রাচ্যে সংঘটিত যুদ্ধ আশপাশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় উভয় তেলের দামই শুক্রবার প্রায় ৬ শতাংশ বেড়ে যায়। গত এপ্রিলের পর থেকে এটিই দৈনিক হিসাবে সর্বোচ্চ বৃদ্ধি। গত সপ্তাহে ব্রেন্ট তেলের দাম ৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ডব্লিউটিআই তেলের দাম বাড়ে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ।
নিসান সিকিউরিটিজের শাখা এনএস ট্রেডিংয়ের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ইসরায়েল যখন গাজার উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের দক্ষিণে চলে যাওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয়, তখন বিনিয়োগকারীরা এই সংঘাতের প্রভাব মূল্যায়নের চেষ্টা করেছে। তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর ওপর এই যুদ্ধের প্রভাব পড়লে তেলের দাম বাড়তে পারত। সত্যিকারের স্থলযুদ্ধ শুরু হলে তেল সরবরাহে প্রভাব পড়বে। সে ক্ষেত্রে, তেলের দাম সহজেই ব্যারেলপ্রতি ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
বৈশ্বিক তেল ও গ্যাস সরবরাহে মধ্যপ্রাচ্যের এই বিরোধের কারণে খুব একটা প্রভাব ফেলার কথা নয়। কারণ, এই দুটি সম্পদের বড় কোনো উৎপাদক নয় ইসরায়েল। কিন্তু গত বছর শুরু হওয়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর মধ্যপ্রাচ্যে হামাস ও ইসরায়েলের সংঘর্ষে তেলের বাজারে দেখা দেয় গুরুতর ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি। কারণ, এই যুদ্ধে ইরানের জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনাকেও একটি বড় বিষয় হিসেবে দেখা হয়।
সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে সৌদি আরব, ইরান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিশ্বের শীর্ষ তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো থেকে সরবরাহ কেমন হবে, তা অনুমান করার চেষ্টা করেছে বাজার-সংশ্লিষ্টরা। কমনওয়েলথ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়ার বিশ্লেষক বিবেক ধর সোমবার বলেছেন, হামাসের হামলায় তেহরান সরাসরি জড়িত বলে প্রমাণিত হলে ইরানের তেল রপ্তানির ওপর যুক্তরাষ্ট্র তার নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি কার্যকর করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র এ বছর ইরানের তেল রপ্তানির ওপর তার নিষেধাজ্ঞার দিকে নজর দেয়নি। এ বছর ইরানের তেল রপ্তানি প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ লাখ ব্যারেল বৃদ্ধি পেয়েছে; যা বিশ্বব্যাপী তেল সরবরাহের শূন্য দশমিক ৫ থেকে ১ শতাংশের সমতুল্য। যুক্তরাষ্ট্র তার নিষেধাজ্ঞা সম্পূর্ণ কার্যকর করলে ইরানের তেল রপ্তানি কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
হামাসকে পুরোপুরি নির্মূলে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) প্রবেশ করবে বলে রোববার প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর হুঁশিয়ারিতে বিস্মিত হয় পুরো বিশ্ব। এর আগের দিন ইরান সতর্ক বার্তায় বলে, ইসরায়েলের ‘যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা’ বন্ধ না হলে উদ্ভূত ‘সুদূরপ্রসারী পরিণতি’তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সোমবার ইসরায়েলে যাওয়ার কথা রয়েছে। কূটনৈতিকভাবে তিনি সমস্যার সমাধান খোঁজার চেষ্টা করবেন বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, গত সপ্তাহে রাশিয়া থেকে তেল কেনায় প্রতি ব্যারেলে ৬০ ডলার বেঁধে দেওয়া দামের নীতি লঙ্ঘন করায় সরবরাহকারী দুটি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়া বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ তেল উৎপাদক ও প্রধান রপ্তানিকারক দেশ। ফলে ইসরায়েলের সংঘাতের পাশাপাশি নতুন এ নিষেধাজ্ঞাও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়াতে পারে।
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের পর গত সপ্তাহ পর্যন্ত তেলে দাম বাড়ছিল। গত শুক্রবার আগের চেয়ে ৭ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি তেলের দাম ৯০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। এতে বিশ্ব অর্থনীতিতে নতুন আঘাতের শঙ্কা তৈরি হয়। তবে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক আচরণের মধ্যে আজ সোমবার দাম কয়েক সেন্ট কমেছে। সংঘাত পাশের দেশগুলোতেও ছড়ায় কি না, বিনিয়োগকারীরা তা পর্যবেক্ষণ করছে বলে রয়টার্স এক প্রতিবেদনে বলেছে।
সোমবার বেলা পৌনে ১টা নাগাদ অপরিশোধিত তেলের শীর্ষ বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট তেলের দাম শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ বা ৩৩ সেন্ট কমে ব্যারেলপ্রতি ৯০ দশমিক ৫৬ ডলারে নেমেছে। আর ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) তেলের দাম শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ বা ২৬ সেন্ট কমে হয়েছে ৮৭ দশমিক ৪৩ ডলার।
মধ্যপ্রাচ্যে সংঘটিত যুদ্ধ আশপাশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় উভয় তেলের দামই শুক্রবার প্রায় ৬ শতাংশ বেড়ে যায়। গত এপ্রিলের পর থেকে এটিই দৈনিক হিসাবে সর্বোচ্চ বৃদ্ধি। গত সপ্তাহে ব্রেন্ট তেলের দাম ৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ডব্লিউটিআই তেলের দাম বাড়ে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ।
নিসান সিকিউরিটিজের শাখা এনএস ট্রেডিংয়ের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ইসরায়েল যখন গাজার উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের দক্ষিণে চলে যাওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয়, তখন বিনিয়োগকারীরা এই সংঘাতের প্রভাব মূল্যায়নের চেষ্টা করেছে। তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর ওপর এই যুদ্ধের প্রভাব পড়লে তেলের দাম বাড়তে পারত। সত্যিকারের স্থলযুদ্ধ শুরু হলে তেল সরবরাহে প্রভাব পড়বে। সে ক্ষেত্রে, তেলের দাম সহজেই ব্যারেলপ্রতি ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
বৈশ্বিক তেল ও গ্যাস সরবরাহে মধ্যপ্রাচ্যের এই বিরোধের কারণে খুব একটা প্রভাব ফেলার কথা নয়। কারণ, এই দুটি সম্পদের বড় কোনো উৎপাদক নয় ইসরায়েল। কিন্তু গত বছর শুরু হওয়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর মধ্যপ্রাচ্যে হামাস ও ইসরায়েলের সংঘর্ষে তেলের বাজারে দেখা দেয় গুরুতর ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি। কারণ, এই যুদ্ধে ইরানের জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনাকেও একটি বড় বিষয় হিসেবে দেখা হয়।
সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে সৌদি আরব, ইরান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিশ্বের শীর্ষ তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো থেকে সরবরাহ কেমন হবে, তা অনুমান করার চেষ্টা করেছে বাজার-সংশ্লিষ্টরা। কমনওয়েলথ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়ার বিশ্লেষক বিবেক ধর সোমবার বলেছেন, হামাসের হামলায় তেহরান সরাসরি জড়িত বলে প্রমাণিত হলে ইরানের তেল রপ্তানির ওপর যুক্তরাষ্ট্র তার নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি কার্যকর করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র এ বছর ইরানের তেল রপ্তানির ওপর তার নিষেধাজ্ঞার দিকে নজর দেয়নি। এ বছর ইরানের তেল রপ্তানি প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ লাখ ব্যারেল বৃদ্ধি পেয়েছে; যা বিশ্বব্যাপী তেল সরবরাহের শূন্য দশমিক ৫ থেকে ১ শতাংশের সমতুল্য। যুক্তরাষ্ট্র তার নিষেধাজ্ঞা সম্পূর্ণ কার্যকর করলে ইরানের তেল রপ্তানি কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
হামাসকে পুরোপুরি নির্মূলে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) প্রবেশ করবে বলে রোববার প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর হুঁশিয়ারিতে বিস্মিত হয় পুরো বিশ্ব। এর আগের দিন ইরান সতর্ক বার্তায় বলে, ইসরায়েলের ‘যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা’ বন্ধ না হলে উদ্ভূত ‘সুদূরপ্রসারী পরিণতি’তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সোমবার ইসরায়েলে যাওয়ার কথা রয়েছে। কূটনৈতিকভাবে তিনি সমস্যার সমাধান খোঁজার চেষ্টা করবেন বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, গত সপ্তাহে রাশিয়া থেকে তেল কেনায় প্রতি ব্যারেলে ৬০ ডলার বেঁধে দেওয়া দামের নীতি লঙ্ঘন করায় সরবরাহকারী দুটি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়া বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ তেল উৎপাদক ও প্রধান রপ্তানিকারক দেশ। ফলে ইসরায়েলের সংঘাতের পাশাপাশি নতুন এ নিষেধাজ্ঞাও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়াতে পারে।
চট্টগ্রাম বন্দরের আলোচিত নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার দায়িত্ব থেকে সরে যাচ্ছে সাইফ পাওয়ারটেক। আগামী ৬ জুলাই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে বন্দরের চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আর চুক্তি নবায়ন করবে না বন্দর কর্তৃপক্ষ। আপাতত বন্দর কর্তৃপক্ষের হাতেই থাকছে এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব
১৩ মিনিট আগেইরানে মার্কিন হামলার জেরে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত আরও ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এর প্রভাব পড়তে যাচ্ছে বৈশ্বিক তেলের বাজারেও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সপ্তাহের শুরুতে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৫ ডলার পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।
৩ ঘণ্টা আগেইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব অর্থনীতিতে বড়সড় অভিঘাতের আভাস মিলছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের দাম ১ লাখ মার্কিন ডলারের নিচে নেমে গেছে; যা গত ২৫ মের পর প্রথমবারের মতো ঘটল।
৪ ঘণ্টা আগেঅর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম জোরদারে ‘সেবাগ্রহীতা ও অংশীজনদের অবহিতকরণ সভা’ করেছে সোনালী ব্যাংক পিএলসি। আজ রোববার (২২ জুন) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের কনফারেন্স...
৬ ঘণ্টা আগে