Ajker Patrika

মধুপুরের আনারস

প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে ৩ কোটি টাকা

  • ৬ হাজার ৬৪০ হেক্টর জমিতে চাষ।
  • মৌসুমে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা বিক্রির সম্ভাবনা।
আনোয়ার সাদাৎ ইমরান, টাঙ্গাইল 
আপডেট : ২০ জুলাই ২০২৫, ০৮: ৩৬
এবার টাঙ্গাইলের মধুপুরে আনারসের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিক্রির জন্য ট্রাকে করে নেওয়া হচ্ছে অন্যত্র। ছবি: আজকের পত্রিকা
এবার টাঙ্গাইলের মধুপুরে আনারসের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিক্রির জন্য ট্রাকে করে নেওয়া হচ্ছে অন্যত্র। ছবি: আজকের পত্রিকা

অনুকূল আবহাওয়া ও যথাযথ পরিচর্যার ফলে এবার টাঙ্গাইলের মধুপুরে আনারসের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে ছড়িয়ে পড়েছে সুস্বাদু ক্যালেন্ডার জাতের আনারস। প্রতিদিন জলছত্র কৃষি মার্কেট, গারোবাজার, মোটেরবাজারসহ বিভিন্ন স্থান থেকে দেশের নানা প্রান্তে যাচ্ছে প্রায় ৩ কোটি টাকার আনারস।

মধুপুর উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, এই উপজেলায় ৬ হাজার ৬৪০ হেক্টরে আনারসের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ক্যালেন্ডার জাতের আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ২২০ হেক্টরে, জলডুগি বা হানিকুইন ২ হাজার ৩৯২ হেক্টরে এবং এমডি-টু জাতের আবাদ হয়েছে ২৬ হেক্টরে।

বর্তমানে মধুপুরের পাহাড়ি অঞ্চলে ৬ হাজার ৬৪০ হেক্টরে প্রায় ১৭ কোটি আনারসগাছ রয়েছে। এর মধ্যে ক্যালেন্ডার জাতের প্রায় ১১ কোটি আনারস বাজারজাতের উপযোগী, যার বাজারমূল্য প্রায় ৫০০ কোটি টাকার বেশি।

চাষি ছানোয়ার হোসেন বলেন, জমি প্রস্তুত, সার-কীটনাশক, পিজিআর প্রয়োগ, রোপণ ও বাজারজাত পর্যন্ত প্রতি আনারসে খরচ পড়ে ১৫-১৮ টাকা। নিজস্ব জমি ও শ্রমে এটি কমে ১০-১১ টাকায় দাঁড়ায়। বাজারে ছোট আনারস ১৩-১৭, মাঝারি ২৫-৩৫ এবং বড় আনারস ৩৫-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আষাঢ় থেকে ভাদ্র মাস পর্যন্ত চলবে সংগ্রহ ও বিপণন।

জলছত্র ট্রাক ড্রাইভার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম মুন্সি বলেন, উপজেলার জলছত্র, গারোবাজার, আউশনারা, মহিষমারা, আশ্রা, মোটেরবাজার, শোলাকুড়ী, দোখলাসহ বিভিন্ন স্থানে আনারস বেচাকেনা হচ্ছে। বাজারের পাশাপাশি মাঠ থেকেই ট্রাকে পণ্য যাচ্ছে বিভিন্ন স্থানে।

মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রকিব আল রানা বলেন, চলতি মৌসুমে আনারসের বাম্পার ফলন হয়েছে। আকারে বড় হওয়ায় দামও ভালো পাচ্ছেন কৃষকেরা। মধুপুরের বিভিন্ন বাজারে প্রতিদিন প্রায় ৩ কোটি টাকার আনারস বিক্রি হচ্ছে। চলতি মৌসুমে প্রায় ৭০০ কোটি টাকার আনারস বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে। বিদেশে রপ্তানি এবং আনারস দিয়ে জেলিসহ নানা উপকরণ তৈরি করে বিপণনের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব। এ নিয়ে কৃষি বিভাগ ইতিমধে কাজ শুরু করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঢাবিতে ‘তুর্কি এনজিও সমর্থিত’ সংগঠনের ‘বৃহত্তর বাংলাদেশ’ মানচিত্রে ভারতের অংশ, বললেন জয়শঙ্কর

কালো জাদুর অভিযোগে মবের তাণ্ডব, এক পরিবারে পাঁচজনকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা

অদৃশ্য শর্তে বাংলাদেশের জন্য ট্রাম্পের ১৫% শুল্ক ছাড়

নারী আসন নিয়ে সিদ্ধান্ত হচ্ছে নারীদের ছাড়াই

সাপের বিষে তৈরি যে মদ পাওয়া যায় এশিয়ার বিভিন্ন দেশে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত