নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্পষ্ট আপত্তি থাকলেও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মো. ইসমাইল মিয়াকে একাধিকবার চুক্তিতে নিয়োগ ও তাঁর মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে বিগত সরকারের আমলে। ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে সাময়িকভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত এই পরামর্শক বর্তমানে ব্যাংকের অভ্যন্তরে আতঙ্কের প্রতীক হয়ে রয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকার তাঁর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ বারবার বৃদ্ধি করেছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ২০ আগস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান আকরাম-আল হোসেন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মো. জামিনুর রহমানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে অর্থ মন্ত্রণালয়। তবে এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন পরামর্শক মো. ইসমাইল মিয়া।
ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তার অভিযোগ, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রণীত বিআরপিডি সার্কুলার অনুযায়ী, কোনো ব্যাংকে পরামর্শক নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন বাধ্যতামূলক হলেও ইসমাইল মিয়ার নিয়োগে তা মানা হয়নি। তাঁর নিয়োগ ও পরবর্তী মেয়াদ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের নিজস্ব সাংগঠনিক কাঠামো বা প্রবিধিমালার কোনো ভিত্তি ছিল না; বরং ২০২২ সালের হালনাগাদ প্রবিধিমালায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ধারা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ২০২১,২০২২ ও ২০২৩ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিষয়টিতে গুরুতর আপত্তি জানানো হয়েছে।
ইসমাইল মিয়া সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মো. জামিনুর রহমানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। জানা যায়, ৬৬ বছর বয়সী এই সাবেক কর্মকর্তা বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক থেকে পিআরএলে যাওয়ার পর পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে সহকারী মহাব্যবস্থাপক মর্যাদায় কনসালট্যান্ট (পরামর্শক) হিসেবে নিয়োগ পান। এরপর তাঁর চুক্তির মেয়াদ কয়েক দফা বাড়িয়ে ২০২৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বহাল রাখা হয়েছে। আরেক দফা চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে তিনি তদবির করছেন।
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের অনেক কর্মকর্তা আশঙ্কা করছেন, ইসমাইল মিয়ার চুক্তির মেয়াদ পুনরায় বাড়ানো হলে ব্যাংকের মধ্যে অস্থিরতা বাড়তে পারে এবং প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা হুমকির মুখে পড়বে। অপর সূত্রে জানা গেছে, চুক্তিভিত্তিক অন্য কোনো কর্মকর্তা বার্ষিক ইনসেন্টিভ বোনাস না পেলেও ইসমাইল মিয়া সেই বোনাস গ্রহণ করেছেন, যা বৈষম্যমূলক ও অনিয়মের দৃষ্টান্ত।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে ইসমাইল মিয়া মিথ্যা দাবি করে ফোন কেটে দেন। পরে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে খুদে বার্তা পাঠালেও তিনি সাড়া দেননি। এরপর একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি জবাব দেননি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, কখনো কোনো অনিয়মকে প্রশ্রয় দেয় না বাংলাদেশ ব্যাংক। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। কোনো অনিয়ম হলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্পষ্ট আপত্তি থাকলেও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মো. ইসমাইল মিয়াকে একাধিকবার চুক্তিতে নিয়োগ ও তাঁর মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে বিগত সরকারের আমলে। ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে সাময়িকভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত এই পরামর্শক বর্তমানে ব্যাংকের অভ্যন্তরে আতঙ্কের প্রতীক হয়ে রয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকার তাঁর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ বারবার বৃদ্ধি করেছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ২০ আগস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান আকরাম-আল হোসেন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মো. জামিনুর রহমানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে অর্থ মন্ত্রণালয়। তবে এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন পরামর্শক মো. ইসমাইল মিয়া।
ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তার অভিযোগ, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রণীত বিআরপিডি সার্কুলার অনুযায়ী, কোনো ব্যাংকে পরামর্শক নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন বাধ্যতামূলক হলেও ইসমাইল মিয়ার নিয়োগে তা মানা হয়নি। তাঁর নিয়োগ ও পরবর্তী মেয়াদ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের নিজস্ব সাংগঠনিক কাঠামো বা প্রবিধিমালার কোনো ভিত্তি ছিল না; বরং ২০২২ সালের হালনাগাদ প্রবিধিমালায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ধারা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ২০২১,২০২২ ও ২০২৩ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিষয়টিতে গুরুতর আপত্তি জানানো হয়েছে।
ইসমাইল মিয়া সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মো. জামিনুর রহমানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। জানা যায়, ৬৬ বছর বয়সী এই সাবেক কর্মকর্তা বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক থেকে পিআরএলে যাওয়ার পর পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে সহকারী মহাব্যবস্থাপক মর্যাদায় কনসালট্যান্ট (পরামর্শক) হিসেবে নিয়োগ পান। এরপর তাঁর চুক্তির মেয়াদ কয়েক দফা বাড়িয়ে ২০২৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বহাল রাখা হয়েছে। আরেক দফা চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে তিনি তদবির করছেন।
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের অনেক কর্মকর্তা আশঙ্কা করছেন, ইসমাইল মিয়ার চুক্তির মেয়াদ পুনরায় বাড়ানো হলে ব্যাংকের মধ্যে অস্থিরতা বাড়তে পারে এবং প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা হুমকির মুখে পড়বে। অপর সূত্রে জানা গেছে, চুক্তিভিত্তিক অন্য কোনো কর্মকর্তা বার্ষিক ইনসেন্টিভ বোনাস না পেলেও ইসমাইল মিয়া সেই বোনাস গ্রহণ করেছেন, যা বৈষম্যমূলক ও অনিয়মের দৃষ্টান্ত।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে ইসমাইল মিয়া মিথ্যা দাবি করে ফোন কেটে দেন। পরে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে খুদে বার্তা পাঠালেও তিনি সাড়া দেননি। এরপর একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি জবাব দেননি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, কখনো কোনো অনিয়মকে প্রশ্রয় দেয় না বাংলাদেশ ব্যাংক। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। কোনো অনিয়ম হলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আয়কর রিটার্ন জমা না দিলে গ্যাস, বিদ্যুৎসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পরিষেবার সংযোগ কেটে দেওয়ার মতো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। নতুন আয়কর আইনে কর কর্মকর্তাদের এ ক্ষমতা দেওয়া আছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের আয়কর নির্দেশিকায় এমনটাই জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
৩ ঘণ্টা আগেবিশ্বের অন্যতম শীর্ষ গ্লোবাল ইলেকট্রনিকস ব্র্যান্ড হয়ে ওঠার লক্ষ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে এগিয়ে যাচ্ছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত টেক জায়ান্ট ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। সেই লক্ষ্য অর্জনে বৈশ্বিক বাজার সম্প্রসারণে ব্যাপক সাফল্য দেখাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
৫ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার শীর্ষ টেলিকম প্রতিষ্ঠান আজিয়াটাকে বাংলাদেশে ফাইভ-জি সেবা চালু এবং দেশের ডেটা সেন্টারে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন। কুয়ালালামপুরে প্রধান উপদেষ্টার অবস্থান করা হোটেলে আজিয়াটা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এই আহ্বান জানান।
৫ ঘণ্টা আগেসমুদ্র অর্থনীতিবিষয়ক গবেষক রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) এম খুরশেদ আলম বলেন, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা চিহ্নিত হয়েছে। কিন্তু দেশের অর্থনীতির টেকসই প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে সাগরের সম্পদ ও সম্ভাবনা কাজে লাগানোর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। দেশের উপকূলরেখা থেকে ৬৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ সমুদ্রসীমা
৫ ঘণ্টা আগে