অনলাইন ডেস্ক
দেশের বাজার ও পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির সমস্যা এখনো বহাল রয়েছে। ব্যবসায়ীদের মতে, এই অনিয়ন্ত্রিত অর্থ আদায় বন্ধ করা গেলে মূল্যস্ফীতি অনেকটা হ্রাস পেতে পারে। যাত্রাবাড়ী ও কারওয়ান বাজারসহ প্রধান বাজারগুলোতে চাঁদাবাজি চলছে, যা সরবরাহব্যবস্থাকে ব্যাহত করছে এবং পণ্যমূল্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হয়ে উঠেছে।
গতকাল বুধবার রাজধানীতে আয়োজিত ‘ভোক্তার কাঁধে বাড়তি করের বোঝা: উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় ব্যবসায়ীরা এসব কথা বলেন। দেশের করজাল ফাঁপা বা ক্ষুদ্র বলে উল্লেখ করেন অনেকে। তাঁরা বলেন, দুই-তৃতীয়াংশ মানুষের আয় কোটি টাকার বেশি হলেও তাঁরা করজালে নেই। এমন ফাঁপা করজাল বা ক্ষুদ্র করজাল দিয়ে কর-জিডিপির অনুপাত বাড়ানো যাবে না।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বছরে কোটি টাকা আয় করেন, এমন ৬৭ শতাংশ মানুষ করজালের বাইরে। এমন ফাঁপা করজাল বা ক্ষুদ্র করজাল দিয়ে কর-জিডিপির অনুপাত বাড়ানো যাবে না।
সম্প্রতি শতাধিক পণ্য ও সেবায় শুল্ক-কর বাড়িয়ে সরকার দুর্নাম নিল বলে মন্তব্য করেন খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দেওয়া রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য থেকে গত ছয় মাসে ৮৫ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি আছে। আইএমএফ চাপ দিচ্ছে রাজস্ব বাড়াতে। তাই করজাল সম্প্রসারণের বদলে সরকার পরোক্ষ কর বাড়িয়ে জনগণের ওপর অতিরিক্ত চাপ দিচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকার ভুল সময়ে ভুল নীতি নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মুস্তফা কে মুজেরি। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় মাস পূর্ণ হয়েছে। এ সময়ে অর্থনীতিতে সফলতা নেই বললেই চলে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও প্রবৃদ্ধির ধীরগতির কারণে অর্থনীতি অনেকটাই স্থবির হয়ে গেছে। অন্যান্য যেসব সমস্যা আছে, সেখানেও খুব একটা সফলতা নেই। ফলে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।
অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ বলেন, বর্তমান সরকারের প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দ্রব্যমূল্য কমানো। বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও যখন সেটি করা গেল না, তখন শুল্ক কমানো হলো। তবে নিত্যপণ্যের দাম তো কমলই না, উল্টো সরকারের রাজস্ব ঘাটতি হলো। তখন আইএমএফ বলল রাজস্ব ঘাটতি থাকলে ঋণের চতুর্থ কিস্তি তারা দেবে না। এই পরিস্থিতিতে সরকার কিছু পণ্যে ভ্যাট বাড়িয়ে দিল। এসব পণ্যের দাম বাড়লে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের ওপর চাপ পড়ে।
বাংলাদেশ অটো বিস্কুট অ্যান্ড ব্রেড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিকুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ‘ভ্যাট-ট্যাক্সের জাঁতাকলে বিস্কুটের প্যাকেট আর কত ছোট করব আমরা? প্যাকেটে বিস্কুটের পরিমাণ আর কত কমাব? এভাবে ছোট আর কমাতে কমাতে খালি প্যাকেট দিতে হবে। নিম্ন আয়ের মানুষের প্রধান খাবারে আর ভ্যাট-ট্যাক্স বসাবেন না।’
বাংলাদেশ অ্যাগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম এ হাশেম বলেন, ‘বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে শুল্ক-কর বৃদ্ধির আগে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়। কিন্তু আমাদের দেশে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই কর বাড়ানো হয়, যা ব্যবসায়ী সমাজের জন্য প্রতিকূল।’
নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এখন তো পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু চাঁদাবাজির কি পরিবর্তন হয়েছে? এখনো যাত্রাবাড়ীসহ অন্য বাজারে চাঁদাবাজি হচ্ছে, কারা করছে, এটা বন্ধ করতে হবে। এটা বন্ধ না হলে মূল্যস্ফীতি কমবে না, কারণ পণ্যের দাম বাড়তি থাকবে।
দেশের বাজার ও পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির সমস্যা এখনো বহাল রয়েছে। ব্যবসায়ীদের মতে, এই অনিয়ন্ত্রিত অর্থ আদায় বন্ধ করা গেলে মূল্যস্ফীতি অনেকটা হ্রাস পেতে পারে। যাত্রাবাড়ী ও কারওয়ান বাজারসহ প্রধান বাজারগুলোতে চাঁদাবাজি চলছে, যা সরবরাহব্যবস্থাকে ব্যাহত করছে এবং পণ্যমূল্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হয়ে উঠেছে।
গতকাল বুধবার রাজধানীতে আয়োজিত ‘ভোক্তার কাঁধে বাড়তি করের বোঝা: উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় ব্যবসায়ীরা এসব কথা বলেন। দেশের করজাল ফাঁপা বা ক্ষুদ্র বলে উল্লেখ করেন অনেকে। তাঁরা বলেন, দুই-তৃতীয়াংশ মানুষের আয় কোটি টাকার বেশি হলেও তাঁরা করজালে নেই। এমন ফাঁপা করজাল বা ক্ষুদ্র করজাল দিয়ে কর-জিডিপির অনুপাত বাড়ানো যাবে না।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বছরে কোটি টাকা আয় করেন, এমন ৬৭ শতাংশ মানুষ করজালের বাইরে। এমন ফাঁপা করজাল বা ক্ষুদ্র করজাল দিয়ে কর-জিডিপির অনুপাত বাড়ানো যাবে না।
সম্প্রতি শতাধিক পণ্য ও সেবায় শুল্ক-কর বাড়িয়ে সরকার দুর্নাম নিল বলে মন্তব্য করেন খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দেওয়া রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য থেকে গত ছয় মাসে ৮৫ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি আছে। আইএমএফ চাপ দিচ্ছে রাজস্ব বাড়াতে। তাই করজাল সম্প্রসারণের বদলে সরকার পরোক্ষ কর বাড়িয়ে জনগণের ওপর অতিরিক্ত চাপ দিচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকার ভুল সময়ে ভুল নীতি নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মুস্তফা কে মুজেরি। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় মাস পূর্ণ হয়েছে। এ সময়ে অর্থনীতিতে সফলতা নেই বললেই চলে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও প্রবৃদ্ধির ধীরগতির কারণে অর্থনীতি অনেকটাই স্থবির হয়ে গেছে। অন্যান্য যেসব সমস্যা আছে, সেখানেও খুব একটা সফলতা নেই। ফলে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।
অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ বলেন, বর্তমান সরকারের প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দ্রব্যমূল্য কমানো। বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও যখন সেটি করা গেল না, তখন শুল্ক কমানো হলো। তবে নিত্যপণ্যের দাম তো কমলই না, উল্টো সরকারের রাজস্ব ঘাটতি হলো। তখন আইএমএফ বলল রাজস্ব ঘাটতি থাকলে ঋণের চতুর্থ কিস্তি তারা দেবে না। এই পরিস্থিতিতে সরকার কিছু পণ্যে ভ্যাট বাড়িয়ে দিল। এসব পণ্যের দাম বাড়লে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের ওপর চাপ পড়ে।
বাংলাদেশ অটো বিস্কুট অ্যান্ড ব্রেড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিকুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ‘ভ্যাট-ট্যাক্সের জাঁতাকলে বিস্কুটের প্যাকেট আর কত ছোট করব আমরা? প্যাকেটে বিস্কুটের পরিমাণ আর কত কমাব? এভাবে ছোট আর কমাতে কমাতে খালি প্যাকেট দিতে হবে। নিম্ন আয়ের মানুষের প্রধান খাবারে আর ভ্যাট-ট্যাক্স বসাবেন না।’
বাংলাদেশ অ্যাগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম এ হাশেম বলেন, ‘বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে শুল্ক-কর বৃদ্ধির আগে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়। কিন্তু আমাদের দেশে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই কর বাড়ানো হয়, যা ব্যবসায়ী সমাজের জন্য প্রতিকূল।’
নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এখন তো পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু চাঁদাবাজির কি পরিবর্তন হয়েছে? এখনো যাত্রাবাড়ীসহ অন্য বাজারে চাঁদাবাজি হচ্ছে, কারা করছে, এটা বন্ধ করতে হবে। এটা বন্ধ না হলে মূল্যস্ফীতি কমবে না, কারণ পণ্যের দাম বাড়তি থাকবে।
দেশীয় মৌসুমি ফলের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর ফলের বাজারে নেমেছে স্বস্তির ছোঁয়া। আম, কাঁঠাল, লিচু, লটকন, পেয়ারা, আনারস, ড্রাগনের মতো ফলের প্রাচুর্যে শুধু দেশীয় ফল নয়; দাম কমেছে আমদানিকৃত আপেল, মাল্টা, আঙুরেরও।
৮ ঘণ্টা আগেবেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে ব্যবসায়ীদের খরচ বাড়ছে। হ্যান্ডলিংয়ের আগে পণ্য চালান পরীক্ষার নামে এই অতিরিক্ত খরচ চাপ দিচ্ছে। প্রতিটি চালানে ১৫-২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। কখনো কখনো রিপোর্ট পেতে সময় লাগছে এক মাসেরও বেশি, আর ওই সময় পণ্য বন্দরে আটকা পড়ে।
১২ ঘণ্টা আগে২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘিরে নানা প্রশ্ন আর আলোচনা চলছে। কালোটাকা সাদা করার সুযোগ থাকবে কি না, এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য দেশ কতটা প্রস্তুত, বিদেশি বাজার ধরে রাখতে কী উদ্যোগ দরকার—এসব নিয়েই মুখোমুখি হলেন অর্থনীতিবিদ, নীতিনির্ধারক ও ব্যবসায়ী নেতারা।
১২ ঘণ্টা আগেএ পরিস্থিতিতে আমাদের দাবি, অবিলম্বে এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে। তার মাধ্যমে রাজস্ব সংস্কার বিষয়ক কার্যক্রম সময়ক্ষেপণ বই কিছু নয় বলে মনে করে ঐক্য পরিষদ।
১৫ ঘণ্টা আগে