নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মাছ, মাংস ও ডিমের পর এখন সবজিও নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। বেশির ভাগ সবজিই এখন এক শ টাকার ওপরে। এমন পরিস্থিতিতে বাজারে আসা ক্রেতারা পড়েছেন বিপাকে। জিনিসপত্রের আকাশছোঁয়া দামে দিশেহারা তাঁরা। আজ শুক্রবার রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
মোহাম্মদপুর বাজারে সবজি কিনতে আসা স্কুলশিক্ষক হাফিজ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক শর নিচে সবজি পেতে রীতিমতো ঘাম ছুটে যাচ্ছে। যেটাই ধরি, সেই সবজির দামই ১০০ থেকে ১২০।’ তিনি বলেন, ‘সকালে রুটির সঙ্গে পাঁচমিশালি সবজি ভাজি দিয়ে নাশতা করতাম। কয়েক সপ্তাহ ধরে পাঁচমিশালি সবজি বাদ দিয়ে শুধু পেঁপে ভাজি খেতে হচ্ছে।’
সবজির দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা তিন সপ্তাহ আগের টানা বৃষ্টিকে দুষছেন। আগামী এক-দেড় মাসের মধ্যে দাম কমবে বলেও তাঁরা মনে করেন না।
খিলগাঁও সিপাহিবাগ বাজারের সবজি বিক্রেতা ফরিদ হোসেন বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে সবজি খেত নষ্ট হইছে। গাছ মইরা গেছে। সবজির আমদানি কম। পাইকারিতেই সব সবজির দাম ১০-১২ টাকা বাড়ছে ৷ তাই খুচরাতেও দাম বেশি।’
সবজির দাম বাড়ায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষেরা। রামপুরা এলাকায় রিকশা চালান মোহাম্মদ ফিরোজ। তিনি জানান, সর্বশেষ ডিম খেয়েছেন দুই মাস আগে। ভাতের সঙ্গে এখন কেবল পেঁপে সেদ্ধই জুটছে তাঁদের। পানসে স্বাদের পেঁপে ভর্তায় স্বাদ বাড়াতে বেশি করে পেঁয়াজ মরিচ দেওয়ারও উপায় নেই। কারণ পেঁয়াজের কেজি এক শ ছুঁয়েছে, কাঁচামরিচ দুই শ। সবকিছুই খেতে হচ্ছে মেপে মেপে।
ফিরোজ বলেন, ‘বাজারে এত দাম জীবনে দেখি নাই। কয়দিন পর পেঁপেডাও খাইতে পারমু কিনা ভাবতিছি।’
রাজধানীর রামপুরা, মোহাম্মদপুর, কচুক্ষেত ও খিলগাঁও সিপাহিবাগ বাজার ঘুরে দেখা যায়, বগুড়ার আলু বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৭০-৭৫ টাকা আর দেশি আলু ৫০-৫৫ টাকা। আলুর দাম কেজিতে আরও সাত-আট টাকা বাড়তে পারে বলে জানান বিক্রেতারা। কারণ অন্যান্য সবজির দাম বেশি থাকায় আলুর চাহিদা বর্তমানে বেশি। আর চাহিদা বেশি থাকায় দামও বাড়তে পারে।
বাজারভেদে বেগুন ১০০-১৪০ টাকা, করলা-কচুমুখী-বরবটি ১০০-১২০ টাকা, পটল ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। ফুলকপি আকারভেদে প্রতি পিস বিক্রি হয়েছে ৭০-৯০ টাকায়। এ ছাড়া মুলা ৬০-৮০ টাকা আর পেঁপে ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কাঁচামরিচ ২০০-২২০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
বরাবরের মতোই মাছ-মাংসের বাজারে কোনো সুখবর নেই। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০-২০০ টাকায় এবং সোনালিকা মুরগির কেজি ৩২০-৩৪০ টাকা। পাঙাশ, তেলাপিয়া কেজি প্রতি ২৪০-২৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। রুই, কাতল মাছ আকারভেদে ৪০০-৪৫০ টাকা, চিংড়ি জাতভেদে ৮০০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছ, মাংস ও ডিমের পর এখন সবজিও নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। বেশির ভাগ সবজিই এখন এক শ টাকার ওপরে। এমন পরিস্থিতিতে বাজারে আসা ক্রেতারা পড়েছেন বিপাকে। জিনিসপত্রের আকাশছোঁয়া দামে দিশেহারা তাঁরা। আজ শুক্রবার রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
মোহাম্মদপুর বাজারে সবজি কিনতে আসা স্কুলশিক্ষক হাফিজ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক শর নিচে সবজি পেতে রীতিমতো ঘাম ছুটে যাচ্ছে। যেটাই ধরি, সেই সবজির দামই ১০০ থেকে ১২০।’ তিনি বলেন, ‘সকালে রুটির সঙ্গে পাঁচমিশালি সবজি ভাজি দিয়ে নাশতা করতাম। কয়েক সপ্তাহ ধরে পাঁচমিশালি সবজি বাদ দিয়ে শুধু পেঁপে ভাজি খেতে হচ্ছে।’
সবজির দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা তিন সপ্তাহ আগের টানা বৃষ্টিকে দুষছেন। আগামী এক-দেড় মাসের মধ্যে দাম কমবে বলেও তাঁরা মনে করেন না।
খিলগাঁও সিপাহিবাগ বাজারের সবজি বিক্রেতা ফরিদ হোসেন বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে সবজি খেত নষ্ট হইছে। গাছ মইরা গেছে। সবজির আমদানি কম। পাইকারিতেই সব সবজির দাম ১০-১২ টাকা বাড়ছে ৷ তাই খুচরাতেও দাম বেশি।’
সবজির দাম বাড়ায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষেরা। রামপুরা এলাকায় রিকশা চালান মোহাম্মদ ফিরোজ। তিনি জানান, সর্বশেষ ডিম খেয়েছেন দুই মাস আগে। ভাতের সঙ্গে এখন কেবল পেঁপে সেদ্ধই জুটছে তাঁদের। পানসে স্বাদের পেঁপে ভর্তায় স্বাদ বাড়াতে বেশি করে পেঁয়াজ মরিচ দেওয়ারও উপায় নেই। কারণ পেঁয়াজের কেজি এক শ ছুঁয়েছে, কাঁচামরিচ দুই শ। সবকিছুই খেতে হচ্ছে মেপে মেপে।
ফিরোজ বলেন, ‘বাজারে এত দাম জীবনে দেখি নাই। কয়দিন পর পেঁপেডাও খাইতে পারমু কিনা ভাবতিছি।’
রাজধানীর রামপুরা, মোহাম্মদপুর, কচুক্ষেত ও খিলগাঁও সিপাহিবাগ বাজার ঘুরে দেখা যায়, বগুড়ার আলু বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৭০-৭৫ টাকা আর দেশি আলু ৫০-৫৫ টাকা। আলুর দাম কেজিতে আরও সাত-আট টাকা বাড়তে পারে বলে জানান বিক্রেতারা। কারণ অন্যান্য সবজির দাম বেশি থাকায় আলুর চাহিদা বর্তমানে বেশি। আর চাহিদা বেশি থাকায় দামও বাড়তে পারে।
বাজারভেদে বেগুন ১০০-১৪০ টাকা, করলা-কচুমুখী-বরবটি ১০০-১২০ টাকা, পটল ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। ফুলকপি আকারভেদে প্রতি পিস বিক্রি হয়েছে ৭০-৯০ টাকায়। এ ছাড়া মুলা ৬০-৮০ টাকা আর পেঁপে ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কাঁচামরিচ ২০০-২২০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
বরাবরের মতোই মাছ-মাংসের বাজারে কোনো সুখবর নেই। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০-২০০ টাকায় এবং সোনালিকা মুরগির কেজি ৩২০-৩৪০ টাকা। পাঙাশ, তেলাপিয়া কেজি প্রতি ২৪০-২৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। রুই, কাতল মাছ আকারভেদে ৪০০-৪৫০ টাকা, চিংড়ি জাতভেদে ৮০০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ইরানে মার্কিন হামলার জেরে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত আরও ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এর প্রভাব পড়তে যাচ্ছে বৈশ্বিক তেলের বাজারেও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সপ্তাহের শুরুতে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৫ ডলার পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।
২ ঘণ্টা আগেইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব অর্থনীতিতে বড়সড় অভিঘাতের আভাস মিলছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের দাম ১ লাখ মার্কিন ডলারের নিচে নেমে গেছে; যা গত ২৫ মের পর প্রথমবারের মতো ঘটল।
৩ ঘণ্টা আগেঅর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম জোরদারে ‘সেবাগ্রহীতা ও অংশীজনদের অবহিতকরণ সভা’ করেছে সোনালী ব্যাংক পিএলসি। আজ রোববার (২২ জুন) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের কনফারেন্স...
৫ ঘণ্টা আগেপূবালী ব্যাংক পিএলসি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য খাতে অবদান রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ। এরই ধারাবাহিকতায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে ৫০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে পূবালী ব্যাংক।
৬ ঘণ্টা আগে