জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
নগরের গণ্ডি পেরিয়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে গেছে ব্যাংকিং সেবা। সেই পথের সবচেয়ে সফল নাম—এজেন্ট ব্যাংকিং। ব্যাংকে যেতে হয় না, ব্যাংকই যেন এসে গেছে মানুষের হাতের নাগালে। দোকানের এক কোনায় বসে থাকা এজেন্ট এখন একজন আস্থার নাম। সাধারণ মানুষ সেখানে খোলেন হিসাব, রাখেন আমানত, তোলেন টাকা, কখনো নেন ঋণও। ফলে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে এই সেবা। বাড়ছে গ্রাহক, বাড়ছে হিসাব।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আওতায় হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৪৪ লাখ ৭৬ হাজার, যেখানে এক বছরে নতুন হিসাব বেড়েছে ২৫ লাখের বেশি। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীই এর বড় অংশীদার, তাদের খাতায় এখন হিসাবের সংখ্যা ২ কোটির কাছাকাছি। এই সময় নারী গ্রাহকের অংশগ্রহণও চোখে পড়ার মতো—হিসাবের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ কোটি ২০ লাখ।
তবে সাফল্যের এই পরিসংখ্যানের ছায়ায় রয়ে গেছে কিছু দুর্ভাবনাও। হিসাব বাড়লেও লেনদেন কমছে। এক বছর আগে যেখানে মাসিক লেনদেন ছিল প্রায় ৬৯ হাজার কোটি টাকা, এখন তা নেমে এসেছে ৬২ হাজার কোটির ঘরে। অর্থাৎ কমেছে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা। একই সঙ্গে ঋণ বিতরণেও দেখা যাচ্ছে পতন। ডিসেম্বরের তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ কমেছে দেড় হাজার কোটি টাকা।
গত বছরের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট কমেছে ১৫৯টি এবং আউটলেট কমেছে ২০৫টি। অথচ এই সময়েই আমানত বেড়েছে ৫ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা। তবে ব্যাংকে মানুষের টাকা রাখার প্রবণতা বাড়লেও লেনদেন কমছে, যা একধরনের জটিল বার্তা দিচ্ছে—ব্যবহার বাড়ছে না, কেবল সঞ্চয় জমছে।
এ বিষয়ে ব্যাংক এশিয়ার সাবেক এমডি আরফান আলী মনে করেন, এজেন্ট ব্যাংকিং শুধু আর্থিক অন্তর্ভুক্তির মাধ্যম নয়, এটি গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল রাখার একটি কার্যকর পথ। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, এই সেবার মূল লক্ষ্যই ছিল ব্যাংক থেকে দূরে থাকা মানুষের কাছে পৌঁছানো, তা এখন সফলভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে।
তবে প্রশ্ন রয়ে যায়, এত হিসাব খোলার পরও কেন কমছে লেনদেন? সেবার বিস্তারে যেমন প্রশংসা পাওয়ার জায়গা আছে, তেমনি তার কার্যকারিতা নিয়ে ভাবারও সময় এসেছে। এজেন্ট ব্যাংকিং শুধু শুরু নয়, এখন এর ভরসা হয়ে উঠতে পারাটাই হবে বড় অর্জন।
নগরের গণ্ডি পেরিয়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে গেছে ব্যাংকিং সেবা। সেই পথের সবচেয়ে সফল নাম—এজেন্ট ব্যাংকিং। ব্যাংকে যেতে হয় না, ব্যাংকই যেন এসে গেছে মানুষের হাতের নাগালে। দোকানের এক কোনায় বসে থাকা এজেন্ট এখন একজন আস্থার নাম। সাধারণ মানুষ সেখানে খোলেন হিসাব, রাখেন আমানত, তোলেন টাকা, কখনো নেন ঋণও। ফলে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে এই সেবা। বাড়ছে গ্রাহক, বাড়ছে হিসাব।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আওতায় হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৪৪ লাখ ৭৬ হাজার, যেখানে এক বছরে নতুন হিসাব বেড়েছে ২৫ লাখের বেশি। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীই এর বড় অংশীদার, তাদের খাতায় এখন হিসাবের সংখ্যা ২ কোটির কাছাকাছি। এই সময় নারী গ্রাহকের অংশগ্রহণও চোখে পড়ার মতো—হিসাবের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ কোটি ২০ লাখ।
তবে সাফল্যের এই পরিসংখ্যানের ছায়ায় রয়ে গেছে কিছু দুর্ভাবনাও। হিসাব বাড়লেও লেনদেন কমছে। এক বছর আগে যেখানে মাসিক লেনদেন ছিল প্রায় ৬৯ হাজার কোটি টাকা, এখন তা নেমে এসেছে ৬২ হাজার কোটির ঘরে। অর্থাৎ কমেছে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা। একই সঙ্গে ঋণ বিতরণেও দেখা যাচ্ছে পতন। ডিসেম্বরের তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ কমেছে দেড় হাজার কোটি টাকা।
গত বছরের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট কমেছে ১৫৯টি এবং আউটলেট কমেছে ২০৫টি। অথচ এই সময়েই আমানত বেড়েছে ৫ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা। তবে ব্যাংকে মানুষের টাকা রাখার প্রবণতা বাড়লেও লেনদেন কমছে, যা একধরনের জটিল বার্তা দিচ্ছে—ব্যবহার বাড়ছে না, কেবল সঞ্চয় জমছে।
এ বিষয়ে ব্যাংক এশিয়ার সাবেক এমডি আরফান আলী মনে করেন, এজেন্ট ব্যাংকিং শুধু আর্থিক অন্তর্ভুক্তির মাধ্যম নয়, এটি গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল রাখার একটি কার্যকর পথ। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, এই সেবার মূল লক্ষ্যই ছিল ব্যাংক থেকে দূরে থাকা মানুষের কাছে পৌঁছানো, তা এখন সফলভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে।
তবে প্রশ্ন রয়ে যায়, এত হিসাব খোলার পরও কেন কমছে লেনদেন? সেবার বিস্তারে যেমন প্রশংসা পাওয়ার জায়গা আছে, তেমনি তার কার্যকারিতা নিয়ে ভাবারও সময় এসেছে। এজেন্ট ব্যাংকিং শুধু শুরু নয়, এখন এর ভরসা হয়ে উঠতে পারাটাই হবে বড় অর্জন।
ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের সম্ভাবনা বিশাল, কিন্তু দেশ এখনো তা কাজে লাগাতে পারছে না। বর্তমানে আর্থিক খাতের মোট লেনদেনের ২৭-২৮ শতাংশ হচ্ছে ডিজিটাল মাধ্যমে, বাকিটা প্রথাগত ব্যাংকিংয়ের ওপর নির্ভরশীল। এর পেছনে রয়েছে সহায়ক নীতিমালার ঘাটতি, গ্রাহকের আস্থার সংকট, দুর্বল অবকাঠামো, সমন্বয়ের অভাব আর সাইবার...
৪ ঘণ্টা আগেবন্ড সুবিধার অপব্যবহারের ঘটনায় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের আট কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অভিযোগ, তাঁরা কনটেইনারপ্রতি ঘুষ নিয়ে প্রাপ্যতার বাইরে বিপুল কাপড় খালাস দিয়েছেন, যার ফলে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেবাসমতী ছাড়া অন্যান্য চাল রপ্তানিতে এবার নতুন শর্ত জুড়ে দিয়েছে ভারত। দেশটির বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বৈদেশিক বাণিজ্য মহাপরিচালকের দপ্তর (ডিজিএফটি) গতকাল বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এক প্রজ্ঞাপনে নন-বাসমতী চালের রপ্তানি নীতিতে এ পরিবর্তন আনে। এর ফলে এখন থেকে নন-বাসমতী চাল রপ্তানির প্রতিটি চুক্তি..
৫ ঘণ্টা আগেসর্বাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে নিজস্ব ব্র্যান্ডের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ‘রূপালীক্যাশ’ আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করেছে রাষ্ট্রমালিকানাধীন রূপালী ব্যাংক পিএলসি। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার দিলকুশাস্থ রূপালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সেবাটির উদ্বোধন করেন ব্যাংকের
৭ ঘণ্টা আগে