জাহিদুল ইসলাম, ঢাকা
প্রকৃত দাম গোপন করে ২৫ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড। ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৩১টি বিল অব এন্ট্রিতে (বি/ই) এলসি মোতাবেক মূল্যের চেয়ে ঘোষিত মূল্য কম দেখিয়ে এই টাকা ফাঁকি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের পাঠানো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেঘনা পেট্রোলিয়াম ২০২০ সালের ১১ জুন থেকে ২০২২ সালের ১৮ মে পর্যন্ত আমদানি করা ফার্নেস অয়েলের পণ্যচালান অভ্যন্তরীণ খালাস-উত্তর নিরীক্ষার (পিসিএ) মাধ্যমে এলসি মূল্যের চেয়ে কম মূল্য ঘোষণা করে শুল্কায়ন করেছে। সংশ্লিষ্ট ৩১টি বিল অব এন্ট্রির অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে রক্ষিত তথ্য বিশ্লেষণ করে এ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস।
২০২২ সালের ২১ এপ্রিলে (বিল অব এন্ট্রি নম্বর-৭৩৪০১৫, এলসি নম্বর-৯৩২২০১০২২০) এলসি মোতাবেক প্রতি টন ফার্নেস অয়েলের মূল্য ছিল ৬৬৮ মার্কিন ডলার। অথচ বিল অব এন্ট্রি দাখিল করার সময় প্রতি টন ফার্নেস অয়েলের মূল্য দেখানো হয়েছে ৪১৯ দশমিক ৩৩ ডলার। সে হিসাবে প্রতি টন ফার্নেস অয়েলে ২৪৮ দশমিক ৬৭ ডলার কম দেখানো হয়েছিল। কাস্টম হাউসের হিসাব অনুযায়ী, এই একটি বিল অব এন্ট্রিতে ৩ কোটি ৬৬ লাখ ১৪ হাজার ৫৩৪ দশমিক ১০ টাকা কম পরিশোধ করা হয়েছে।
এমনই সর্বমোট ৩১টি বিল অব এন্ট্রিতে ২৫ কোটি ১৮ লাখ ৩২ হাজার টাকা কম পরিশোধ করা হয়েছে। অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে সংশ্লিষ্ট এলসি যাচাই করে দেখা যায়, পণ্যচালানগুলোর ক্ষেত্রে এলসিমূল্য বেশি থাকা সত্ত্বেও কম মূল্যে ঘোষণা প্রদান করে শুল্কায়ন করা হয়েছ, যা শুল্ক মূল্যায়ন (আমদানি করা পণ্যের মূল্য নির্ধারণ) বিধিমালা ২০০০-এর পরিপন্থী।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্র জানায়, অপরিশোধিত রাজস্ব পরিশোধের জন্য আমদানিকারক মেঘনা পেট্রোলিয়ামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। মেঘনা পেট্রোলিয়ামের জবাব পেয়ে শুনানির দিন নির্ধারিত হয়। শুনানিতে উপস্থিত হয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধি লিখিত জবাবের পুনরাবৃত্তি করেন। এতে প্রতিনিধির বক্তব্য ও নথিতে থাকা দলিল পর্যালোচনা করে আইন ও বিধিমোতাবেক পুনরায় দাবিনামা ও দাবিনামার তাগিদপত্র জারি করা হলেও টাকা পরিশোধ করা হয়নি।
এ প্রসঙ্গে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, পাওনা আদায়ে কাস্টমস আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে সম্পূর্ণ অর্থ আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমদানিকারকের মালিকানাধীন কোনো পণ্য সমুদ্রবন্দর, বিমানবন্দর বা অন্য কোনো কাস্টমস স্টেশন থেকে খালাস বন্ধ করে দেওয়া যেতে পারে। অর্থ আদায়যোগ্য তফসিলি ব্যাংককে হিসাব অপরিচালনযোগ্য (ফ্রিজ) করার নোটিশ দেওয়া যায়। তবে এনবিআর কোনো কঠোরতা দেখাতে চায় না।
মেঘনা পেট্রোলিয়ামের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবু সালেহ ইকবালের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে প্রতিষ্ঠানের এজিএম মো. আবুল মেরাজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা কোনো তেল আমদানি করি না। তেল আমদানি করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। এ ব্যাপারে তারা বলতে পারবে।’
পরবর্তী সময় যোগাযোগ করা হলে বিপিসির পরিচালক (অর্থ) কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা আমার জানা নেই। বিপিসির পক্ষে শুল্কায়নের কাজ করে পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা পেট্রোলিয়াম। বিপিসি নিজে করে না এটা, ওদের (পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা) দিয়ে করায়।’
প্রকৃত দাম গোপন করে ২৫ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড। ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৩১টি বিল অব এন্ট্রিতে (বি/ই) এলসি মোতাবেক মূল্যের চেয়ে ঘোষিত মূল্য কম দেখিয়ে এই টাকা ফাঁকি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের পাঠানো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেঘনা পেট্রোলিয়াম ২০২০ সালের ১১ জুন থেকে ২০২২ সালের ১৮ মে পর্যন্ত আমদানি করা ফার্নেস অয়েলের পণ্যচালান অভ্যন্তরীণ খালাস-উত্তর নিরীক্ষার (পিসিএ) মাধ্যমে এলসি মূল্যের চেয়ে কম মূল্য ঘোষণা করে শুল্কায়ন করেছে। সংশ্লিষ্ট ৩১টি বিল অব এন্ট্রির অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে রক্ষিত তথ্য বিশ্লেষণ করে এ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস।
২০২২ সালের ২১ এপ্রিলে (বিল অব এন্ট্রি নম্বর-৭৩৪০১৫, এলসি নম্বর-৯৩২২০১০২২০) এলসি মোতাবেক প্রতি টন ফার্নেস অয়েলের মূল্য ছিল ৬৬৮ মার্কিন ডলার। অথচ বিল অব এন্ট্রি দাখিল করার সময় প্রতি টন ফার্নেস অয়েলের মূল্য দেখানো হয়েছে ৪১৯ দশমিক ৩৩ ডলার। সে হিসাবে প্রতি টন ফার্নেস অয়েলে ২৪৮ দশমিক ৬৭ ডলার কম দেখানো হয়েছিল। কাস্টম হাউসের হিসাব অনুযায়ী, এই একটি বিল অব এন্ট্রিতে ৩ কোটি ৬৬ লাখ ১৪ হাজার ৫৩৪ দশমিক ১০ টাকা কম পরিশোধ করা হয়েছে।
এমনই সর্বমোট ৩১টি বিল অব এন্ট্রিতে ২৫ কোটি ১৮ লাখ ৩২ হাজার টাকা কম পরিশোধ করা হয়েছে। অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে সংশ্লিষ্ট এলসি যাচাই করে দেখা যায়, পণ্যচালানগুলোর ক্ষেত্রে এলসিমূল্য বেশি থাকা সত্ত্বেও কম মূল্যে ঘোষণা প্রদান করে শুল্কায়ন করা হয়েছ, যা শুল্ক মূল্যায়ন (আমদানি করা পণ্যের মূল্য নির্ধারণ) বিধিমালা ২০০০-এর পরিপন্থী।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্র জানায়, অপরিশোধিত রাজস্ব পরিশোধের জন্য আমদানিকারক মেঘনা পেট্রোলিয়ামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। মেঘনা পেট্রোলিয়ামের জবাব পেয়ে শুনানির দিন নির্ধারিত হয়। শুনানিতে উপস্থিত হয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধি লিখিত জবাবের পুনরাবৃত্তি করেন। এতে প্রতিনিধির বক্তব্য ও নথিতে থাকা দলিল পর্যালোচনা করে আইন ও বিধিমোতাবেক পুনরায় দাবিনামা ও দাবিনামার তাগিদপত্র জারি করা হলেও টাকা পরিশোধ করা হয়নি।
এ প্রসঙ্গে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, পাওনা আদায়ে কাস্টমস আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে সম্পূর্ণ অর্থ আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমদানিকারকের মালিকানাধীন কোনো পণ্য সমুদ্রবন্দর, বিমানবন্দর বা অন্য কোনো কাস্টমস স্টেশন থেকে খালাস বন্ধ করে দেওয়া যেতে পারে। অর্থ আদায়যোগ্য তফসিলি ব্যাংককে হিসাব অপরিচালনযোগ্য (ফ্রিজ) করার নোটিশ দেওয়া যায়। তবে এনবিআর কোনো কঠোরতা দেখাতে চায় না।
মেঘনা পেট্রোলিয়ামের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবু সালেহ ইকবালের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে প্রতিষ্ঠানের এজিএম মো. আবুল মেরাজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা কোনো তেল আমদানি করি না। তেল আমদানি করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। এ ব্যাপারে তারা বলতে পারবে।’
পরবর্তী সময় যোগাযোগ করা হলে বিপিসির পরিচালক (অর্থ) কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা আমার জানা নেই। বিপিসির পক্ষে শুল্কায়নের কাজ করে পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা পেট্রোলিয়াম। বিপিসি নিজে করে না এটা, ওদের (পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা) দিয়ে করায়।’
দেশীয় মৌসুমি ফলের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর ফলের বাজারে নেমেছে স্বস্তির ছোঁয়া। আম, কাঁঠাল, লিচু, লটকন, পেয়ারা, আনারস, ড্রাগনের মতো ফলের প্রাচুর্যে শুধু দেশীয় ফল নয়; দাম কমেছে আমদানিকৃত আপেল, মাল্টা, আঙুরেরও।
৭ ঘণ্টা আগেবেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে ব্যবসায়ীদের খরচ বাড়ছে। হ্যান্ডলিংয়ের আগে পণ্য চালান পরীক্ষার নামে এই অতিরিক্ত খরচ চাপ দিচ্ছে। প্রতিটি চালানে ১৫-২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। কখনো কখনো রিপোর্ট পেতে সময় লাগছে এক মাসেরও বেশি, আর ওই সময় পণ্য বন্দরে আটকা পড়ে।
১১ ঘণ্টা আগে২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘিরে নানা প্রশ্ন আর আলোচনা চলছে। কালোটাকা সাদা করার সুযোগ থাকবে কি না, এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য দেশ কতটা প্রস্তুত, বিদেশি বাজার ধরে রাখতে কী উদ্যোগ দরকার—এসব নিয়েই মুখোমুখি হলেন অর্থনীতিবিদ, নীতিনির্ধারক ও ব্যবসায়ী নেতারা।
১১ ঘণ্টা আগেএ পরিস্থিতিতে আমাদের দাবি, অবিলম্বে এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে। তার মাধ্যমে রাজস্ব সংস্কার বিষয়ক কার্যক্রম সময়ক্ষেপণ বই কিছু নয় বলে মনে করে ঐক্য পরিষদ।
১৫ ঘণ্টা আগে