Ajker Patrika

মালয়েশিয়ার বন্ধ শ্রমবাজার আবার চালুর সম্ভাবনা

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
আপডেট : ১৫ মে ২০২৫, ১৭: ০৮
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

এক বছর ধরে বন্ধ থাকা মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার আবার চালুর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার পুত্রজায়ায় দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসছে বাংলাদেশ সরকারের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল। এই বৈঠকে শ্রমবাজার খুলে দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে আশা করছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নেয়ামত উল্ল্যা ভূঁইয়া ও উপসচিব মো. সারওয়ার আলম। গত মঙ্গলবার মালয়েশিয়ায় যান তাঁরা।

সূত্র জানায়, এই সফরের মূল উদ্দেশ্য মালয়েশিয়ায় আবারও বাংলাদেশি কর্মী পাঠানোর পথ খুলে দেওয়া। বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান একটি সমঝোতা স্মারক রয়েছে, যার মেয়াদ চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত। নতুন চুক্তি করার সুযোগ না থাকলেও বাংলাদেশ এই সমঝোতা স্মারকের কিছু ধারা সংশোধন করতে চায়।

বৈঠকে শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে এজেন্সি বাছাইপ্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে এবং সব বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সিকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হবে। আগেরবার বাজার চালুর সময় এজেন্সি নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল। মালয়েশিয়া সরকার তখন কিছু নির্দিষ্ট এজেন্সিকে সুযোগ দেওয়ায় বাকি অনেক প্রতিষ্ঠান বঞ্চিত হয়। এতে চক্রভিত্তিক নিয়োগব্যবস্থা তৈরি হয়, যার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।

দুই দেশের যৌথ কারিগরি কমিটির সভার প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে মালয়েশিয়া ২১-২২ মে ঢাকায় এই কমিটির বৈঠকে বসার প্রস্তাব দিয়েছে, যা বাংলাদেশ গ্রহণ করেছে।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের শুরুতে মালয়েশিয়া হঠাৎ করেই সব দেশের জন্য শ্রমবাজার বন্ধ করে দেয়। এর আগে তারা ১৪টি দেশ থেকে কর্মী নিয়োগ করত, যার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। তবে অভিযোগ ওঠে, বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক পাঠাতে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয় এবং প্রক্রিয়াটি একটি গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে ছিল।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় গেছেন প্রায় ১৩ লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক। এর মধ্যে ২০২৩ সালেই গেছেন সাড়ে তিন লাখের বেশি। তবে অতীতে এই বাজার একাধিকবার বন্ধ হয়েছে। ২০০৭-০৮ সালে চার লাখ এবং ২০১৭-১৮ সালে তিন লাখ শ্রমিক পাঠানোর পর বাজার বন্ধ হয়। সর্বশেষ ২০২২ সালের আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের মে মাস পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় গেছেন প্রায় পাঁচ লাখ শ্রমিক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত