আপনি এই সপ্তাহের ছুটি দুবাইয়ের কোনো হোটেলে কাটাতে চাচ্ছেন? আর হোটেল রুম বুক দিতে চাচ্ছেন শেষ মুহূর্তে? তাহলে আপনি হতাশ হবেন নিঃসন্দেহে। দুবাইয়ের শীর্ষস্থানীয় হোটেল এবং রিসোর্টগুলো এখন এক রাতের জন্য আড়াই হাজার দিরহাম বা তারও বেশি ভাড়া নিচ্ছে, এরপরও রুম পাওয়া যাচ্ছে না।
হোটেল অপারেটর এবং মালিকদের জন্য এটি বেশ সুখবর। এই সপ্তাহে তাঁরা আগামী তিন মাসের বুকিং দিচ্ছেন, এতে প্রায় ৯০ শতাংশ রুম বুকিং হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি ১০০ ভাগেও পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গালফ নিউজ এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
দুবাইয়ে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের আগস্টের শেষ নাগাদ ২ হাজার ২১৫টি নতুন রুম করা হয়েছে। এরপরও হোটেল রুমের ভাড়া কমেনি। তবে স্বল্পমাত্রায় শুল্ক হ্রাস পেয়েছে।
আতিথেয়তা শিল্পের তথ্য বিশ্লেষণকারী সংস্থা এসটিআর অনুসারে, জুলাই থেকে আগস্ট পর্যন্ত দুবাইতে ৮৩১টি হোটেল ১ লাখ ৪৮ হাজার ৭১১টি রুম ভাড়া দিচ্ছে।
নাইট ফ্রাঙ্কের নতুন প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ দুবাইয়ের সব হোটেলে মোট কক্ষ থাকবে প্রায় ১ লাখ ৫৪ হাজার, যা সব লক্ষ্যমাত্রাকে পূরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কপ-২৮
দুবাইয়ে হোটেল রুম ভাড়ায় এমন চাপ সৃষ্টির পেছনে কারণ হতে পারে আসন্ন কপ-২৮-এর গ্লোবাল সাসটেইনেবিলিটি কনফারেন্স। এ সম্মেলন হতে যাচ্ছে আরব আমিরাতেই।
এমইএতে বাণিজ্যিক মাইনর হোটেলের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেভিড গার্নার বলেন, ‘বছরের শেষ মৌসুমে আমাদের ব্যবসা রমরমা যাচ্ছে। বুকিং চ্যানেল এবং বাজার বিভক্তীকরণের মাধ্যমেই এই সফলতা পাওয়া যাচ্ছে।’
বছরের শেষ মৌসুমে আবুধাবিতে প্রযুক্তি বাণিজ্য প্রদর্শনী গিটেক্স, দ্বিবার্ষিকী দুবাই এয়ারশো, রাগবি সেভেনস এবং কার প্রতিযোগিতা ফর্মুলা-১ অনুষ্ঠিত হবে। আর ডিসেম্বরে বছরের সবচেয়ে বড় উৎসব অনুষ্ঠান হবে এ শহরে।
অতিরিক্ত কক্ষ যোগ হলেও নভেম্বর ও ডিসেম্বরে বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কিছু বিলাসবহুল হোটেল কপ-২৮-এর উদ্বোধনী সপ্তাহে এক রাতের জন্য আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার দিরহাম ভাড়া নিতে পারে।
আর ৭০-৮০ শতাংশ রুম ভাড়া নয়
দুবাই পর্যটনের মতে, জানুয়ারি-আগস্টের মধ্যে এমিরেটের হোটেল এবং আতিথেয়তা সেক্টরের গড় দখল ৭৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা প্রাক্-গ্রীষ্মকালীন (জানুয়ারি থেকে এপ্রিল) পর্বে নিবন্ধিত ৭৯ শতাংশ থেকে কম। তবে ফাইভ স্টার হোটেলে গড়ে ৮০ শতাংশ দখল ছিল।
তবে বর্তমানে হোটেল মালিকেরা অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী যে আগামী তিন মাসের মধ্যে ৯০-১০০ ভাগ রুম ভাড়া হয়ে যাবে। আইএমইএ, আইএইচজি হোটেল এবং রিসোর্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট অব কমার্শিয়াল জেমস ব্রিচফোর্ডের এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
জেমস ব্রিচফোর্ড বলেন, ‘আরব আমিরাতে বছরের প্রধান ও শেষ মৌসুমে আমাদের ৯০ শতাংম রুম ভাড়া হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এসব গ্রাহকদের অধিকাংশই অবসরে ঘুরতে আসা ও ব্যবসায়িক ব্যক্তিবর্গ।’
হোটেলগুলো যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, জার্মানি ও রাশিয়া থেকে অগ্রিম বুকিং পায়। জুমেইরাহ বিচে অবস্থিত হিলটন দুবাইয়ের হোটেল ডাবলট্রির বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক লুসি ভেলকোভস্কা বলেন, ‘এই দেশগুলো থেকে অতিথিরা পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে অবসর সময় কাটাতে আসছেন। তাঁরা দীর্ঘ সময় এখানে থাকার পরিকল্পনা করছেন। আমাদের বেশির ভাগ অতিথিরা প্রায় ৩০ দিন আগে বুক করার চেষ্টা করেন।’
আসন্ন মৌসুমে হোটেল মালিকেরা মিটিং, ইনসেনটিভস, কনফারেন্স এবং এক্সিবিশনের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে, যাতে বড় লাভের মধ্য দিয়ে বছর শেষ হয়। টানা তৃতীয় বছরের মতো দুবাইয়ের হোটেলগুলো লাভের মুখ দেখতে যাচ্ছে।
আপনি এই সপ্তাহের ছুটি দুবাইয়ের কোনো হোটেলে কাটাতে চাচ্ছেন? আর হোটেল রুম বুক দিতে চাচ্ছেন শেষ মুহূর্তে? তাহলে আপনি হতাশ হবেন নিঃসন্দেহে। দুবাইয়ের শীর্ষস্থানীয় হোটেল এবং রিসোর্টগুলো এখন এক রাতের জন্য আড়াই হাজার দিরহাম বা তারও বেশি ভাড়া নিচ্ছে, এরপরও রুম পাওয়া যাচ্ছে না।
হোটেল অপারেটর এবং মালিকদের জন্য এটি বেশ সুখবর। এই সপ্তাহে তাঁরা আগামী তিন মাসের বুকিং দিচ্ছেন, এতে প্রায় ৯০ শতাংশ রুম বুকিং হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি ১০০ ভাগেও পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গালফ নিউজ এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
দুবাইয়ে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের আগস্টের শেষ নাগাদ ২ হাজার ২১৫টি নতুন রুম করা হয়েছে। এরপরও হোটেল রুমের ভাড়া কমেনি। তবে স্বল্পমাত্রায় শুল্ক হ্রাস পেয়েছে।
আতিথেয়তা শিল্পের তথ্য বিশ্লেষণকারী সংস্থা এসটিআর অনুসারে, জুলাই থেকে আগস্ট পর্যন্ত দুবাইতে ৮৩১টি হোটেল ১ লাখ ৪৮ হাজার ৭১১টি রুম ভাড়া দিচ্ছে।
নাইট ফ্রাঙ্কের নতুন প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ দুবাইয়ের সব হোটেলে মোট কক্ষ থাকবে প্রায় ১ লাখ ৫৪ হাজার, যা সব লক্ষ্যমাত্রাকে পূরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কপ-২৮
দুবাইয়ে হোটেল রুম ভাড়ায় এমন চাপ সৃষ্টির পেছনে কারণ হতে পারে আসন্ন কপ-২৮-এর গ্লোবাল সাসটেইনেবিলিটি কনফারেন্স। এ সম্মেলন হতে যাচ্ছে আরব আমিরাতেই।
এমইএতে বাণিজ্যিক মাইনর হোটেলের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেভিড গার্নার বলেন, ‘বছরের শেষ মৌসুমে আমাদের ব্যবসা রমরমা যাচ্ছে। বুকিং চ্যানেল এবং বাজার বিভক্তীকরণের মাধ্যমেই এই সফলতা পাওয়া যাচ্ছে।’
বছরের শেষ মৌসুমে আবুধাবিতে প্রযুক্তি বাণিজ্য প্রদর্শনী গিটেক্স, দ্বিবার্ষিকী দুবাই এয়ারশো, রাগবি সেভেনস এবং কার প্রতিযোগিতা ফর্মুলা-১ অনুষ্ঠিত হবে। আর ডিসেম্বরে বছরের সবচেয়ে বড় উৎসব অনুষ্ঠান হবে এ শহরে।
অতিরিক্ত কক্ষ যোগ হলেও নভেম্বর ও ডিসেম্বরে বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কিছু বিলাসবহুল হোটেল কপ-২৮-এর উদ্বোধনী সপ্তাহে এক রাতের জন্য আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার দিরহাম ভাড়া নিতে পারে।
আর ৭০-৮০ শতাংশ রুম ভাড়া নয়
দুবাই পর্যটনের মতে, জানুয়ারি-আগস্টের মধ্যে এমিরেটের হোটেল এবং আতিথেয়তা সেক্টরের গড় দখল ৭৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা প্রাক্-গ্রীষ্মকালীন (জানুয়ারি থেকে এপ্রিল) পর্বে নিবন্ধিত ৭৯ শতাংশ থেকে কম। তবে ফাইভ স্টার হোটেলে গড়ে ৮০ শতাংশ দখল ছিল।
তবে বর্তমানে হোটেল মালিকেরা অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী যে আগামী তিন মাসের মধ্যে ৯০-১০০ ভাগ রুম ভাড়া হয়ে যাবে। আইএমইএ, আইএইচজি হোটেল এবং রিসোর্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট অব কমার্শিয়াল জেমস ব্রিচফোর্ডের এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
জেমস ব্রিচফোর্ড বলেন, ‘আরব আমিরাতে বছরের প্রধান ও শেষ মৌসুমে আমাদের ৯০ শতাংম রুম ভাড়া হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এসব গ্রাহকদের অধিকাংশই অবসরে ঘুরতে আসা ও ব্যবসায়িক ব্যক্তিবর্গ।’
হোটেলগুলো যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, জার্মানি ও রাশিয়া থেকে অগ্রিম বুকিং পায়। জুমেইরাহ বিচে অবস্থিত হিলটন দুবাইয়ের হোটেল ডাবলট্রির বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক লুসি ভেলকোভস্কা বলেন, ‘এই দেশগুলো থেকে অতিথিরা পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে অবসর সময় কাটাতে আসছেন। তাঁরা দীর্ঘ সময় এখানে থাকার পরিকল্পনা করছেন। আমাদের বেশির ভাগ অতিথিরা প্রায় ৩০ দিন আগে বুক করার চেষ্টা করেন।’
আসন্ন মৌসুমে হোটেল মালিকেরা মিটিং, ইনসেনটিভস, কনফারেন্স এবং এক্সিবিশনের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে, যাতে বড় লাভের মধ্য দিয়ে বছর শেষ হয়। টানা তৃতীয় বছরের মতো দুবাইয়ের হোটেলগুলো লাভের মুখ দেখতে যাচ্ছে।
তিন বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সংকুচিত হওয়ার খবর প্রকাশের পর বিশ্ববাজারে তেলের দামে বড় ধরনের ধস নেমেছে। সৌদি আরবের সরবরাহ বৃদ্ধির ইঙ্গিতও এই দরপতনে প্রভাব ফেলেছে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
১২ ঘণ্টা আগেকর দিতে গিয়েও দিতে হয় ঘুষ—শিল্পমালিকদের এই বিস্ফোরক ক্ষোভ এখন আর কানে কানে বলা গুঞ্জন নয়, বরং অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে প্রকাশ্য প্রতিবাদ। নিয়মিত করদাতারা পাচ্ছেন না ন্যায্য সম্মান, বরং তাঁদের ঘাড়ে চাপছে অতিরিক্ত বোঝা। উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাস-বিদ্যুৎ নেই, অথচ কর চাই নিরবচ্ছিন্নভাবে। বিনিয়োগ থমকে...
১ দিন আগেআগামী এক বছরের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল (এফটিজেড) স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশকে একটি বৈশ্বিক উৎপাদন কেন্দ্র বা গ্লোবাল ম্যানুফ্যাকচারিং হাবে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ শুরু হচ্ছে।
১ দিন আগেরাজধানীর অলিগলিতে প্রতিদিনের চেনা দৃশ্য—রোদে ঝলসে গেলেও থামে না শ্রমিকের কাজ। কেউ ড্রেন খুঁড়ছেন, কেউ টানছেন ইট-বালু। কোটি কোটি টাকার ঠিকাদারি প্রকল্পে সড়ক আর ভবন গড়ে উঠলেও সেই সব নির্মাণের ভিত গাঁথা শ্রমিকদের মজুরি থাকে বড্ড কম। কাজের ভার আর দক্ষতার ভিত্তিতে নয়—তাঁদের ঘামের দাম ঠিক হয় মালিকের...
১ দিন আগে