Ajker Patrika

মাছ উৎপাদনে অবস্থান সম্মানজনক হলেও রপ্তানি সেভাবে নেই: মৎস্য উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আজ বুধবার চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ছবি: পিআইডি
আজ বুধবার চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ছবি: পিআইডি

মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান সম্মানজনক হলেও রপ্তানি সেভাবে নেই বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেছেন, ‘বিশ্বে মাছ উৎপাদনে আমাদের অবস্থান সম্মানজনক হলেও রপ্তানি সেভাবে নেই। মৎস্য রপ্তানি বাড়াতে সরকারের আলাদা ইকোনমিক জোন করা প্রয়োজন; যেখানে উন্নত প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে রপ্তানির জন্য মাছ প্রক্রিয়াজাত করা হবে।’

আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) ‘সিভাসু ফিশ ফেস্টিভ্যাল-২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রতিবছর একজন মানুষ গড়ে যে পরিমাণ মাছ খায়, এটি একদিকে ভালো, তবে এটি বাড়ানোর সুযোগ আছে। মাছ বেশি খেলে পুষ্টির ঘাটতি কমবে; পাশাপাশি আর্থিক প্রবৃদ্ধিও ভালো হবে। তিনি আরও বলেন, দেশে বছরে প্রায় ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন মাছ উৎপাদিত হয়। এর ১ দশমিক ২৯ মিলিয়ন টন ক্ষুদ্র স্কেল ফিশারিজের অবদান। আমাদের উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি ভালো, কিন্তু বাংলাদেশ এখনো সাদা মাছ রপ্তানির বাজারে আসতে পারেনি। ফলে ৯৭ শতাংশের বেশি মাছ স্থানীয় বাজারে বিক্রি হয়।’

ফরিদা আখতার বলেন, ‘ওয়ার্ল্ডফিশ আমাদের দেশে মাছের উন্নয়নে এমন অনেকগুলো কাজ করছে; যা আমরা চিন্তাও করতে পারিনি। যেমন ওয়ার্ল্ডফিশ আমাদের দেশে বড় আকারের রুই-কাতলা মাছের সংখ্যা কমে যাওয়া নিয়ে গবেষণা ও সমাধান বের করেছে। আমরা বিশ্বে মাছ উৎপাদনে তৃতীয় অবস্থানে আছি। আর অ্যাকোয়াকালচার, অর্থাৎ মাছের সঙ্গে অন্যান্য জলজ উদ্ভিদ উৎপাদনে পঞ্চম ও সামুদ্রিক মাছ উৎপাদনে ১১তম অবস্থানে আছি। এ খাতে আমাদের অবস্থান আরও ভালো করা সম্ভব।’

আলোচনা সভায় সিভাসু ফিশ ফেস্টিভ্যাল আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক ও মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. শেখ আহমাদ আল নাহিদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন এসিআই অ্যাগ্রো লিংক লিমিটেডের বিজনেস পরিচালক সাঈদ এম ইশতিয়াক, বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি এনাম চৌধুরী, নিরিবিলি গ্রুপ এবং শ্রিম্প অ্যান্ড ফিশ ফাউন্ডেশন অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি লুৎফর রহমান কাজল, বাংলাদেশ ফিশারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্র, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুর রউফ, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আতিয়ার রহমান।

এতে চিফ প্যাট্রোন হিসেবে বক্তব্য দেন সিভাসুর উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান। জানা গেছে, দুই দিনব্যাপী ফেস্টিভ্যালে ২৬টি বিশ্ববিদ্যালয়সহ মৎস্য সেক্টরের সঙ্গে জড়িত ৯৫টি প্রতিষ্ঠানের ৫৫০ জন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গবেষক, উদ্যোক্তা, ভোক্তা ও প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত