জসিম উদ্দীন, নীলফামারী ও রেজা মাহমুদ, সৈয়দপুর
সাধারণ মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন পদ্মা লাইফ ইনস্যুরেন্সের কর্মকর্তারা। সরল বিশ্বাসে নীলফামারীর সৈয়দপুরের ৩ হাজার দরিদ্র মানুষ প্রতিষ্ঠানটিতে ক্ষুদ্র সঞ্চয় ও একক বিমা করেন। তাঁদের সবার সঞ্চয় ও বিমার মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে বেশ আগে। কিন্তু লাভ তো দূরের কথা, আসল টাকাও পাচ্ছেন না গ্রাহকেরা। কোম্পানির স্থানীয় অফিসও হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে। এজেন্টদের বাড়িতে প্রতিনিয়ত হানা দিচ্ছেন গ্রাহকেরা।
বাধ্য হয়ে কোম্পানির চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে নীলফামারী আদালতে মামলা করেছেন বিমা কোম্পানিটির সৈয়দপুর শাখা ব্যবস্থাপক মোমেনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘নীলফামারী আদালতে গত ২০ জুলাই কোম্পানির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ ভূঁইয়া ও হিসাব কর্মকর্তা শাখাওয়াত হোসেন, বগুড়া অঞ্চলের প্রধান ফরিদ আহমেদ এবং রংপুর অঞ্চলের প্রধান মুকসেদ আলীর বিরুদ্ধে মামলা করেছি।’
স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, সৈয়দপুরে পদ্মা লাইফ ইনস্যুরেন্সের ৩ হাজার গ্রাহকের বিমা পলিসি রয়েছে প্রায় ২ কোটি টাকার। বেশির ভাগেরই মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে অন্তত ৫ বছর আগে। কারও কারও মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর কেটে গেছে ৮ বছর। টাকা উদ্ধারে প্রথমে গ্রাহকেরা নীলফামারী জেলা অফিস, এরপর রংপুর বিভাগীয় অফিস এবং সর্বশেষ কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে ধরনা দেন। কাগজপত্রও জমা দেন। কিন্তু টাকা পাননি। শেষ ভরসা হিসেবে গ্রাহকেরা এখন বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) দ্বারস্থ হয়েছেন।
নীলফামারী সদরের বাসিন্দা জালাল উদ্দীন নামের এক গ্রাহক বলেন, ‘ভবিষ্যৎ জীবনের কথা চিন্তা করে পদ্মা লাইফ ইনস্যুরেন্সের সৈয়দপুর শাখায় বিমা পলিসি করি। মেয়াদ পূর্ণ হয় ২০১৮ সালে। কিন্তু ৬ বছর পার হলেও টাকা পাচ্ছি না। ভেবেছিলাম, ওই টাকা পেলে মেয়ের বিয়ে দেব। কিন্তু লাভ তো দূরের কথা, জমানো টাকাটাই পাচ্ছি না।’
সৈয়দপুরের কামারপুকুর ইউনিয়নের বাসিন্দা বিধবা রতনা বেগম বলেন, ‘একসঙ্গে মুনাফাসহ আসল পাব—এই আশায় অন্যের বাড়িতে কাজ করে প্রতি মাসে ২০০ টাকার কিস্তিতে ক্ষুদ্র সঞ্চয় বিমা করি পদ্মা লাইফে। ২০১৭ সালে বিমার মেয়াদ শেষ হয়। টাকার জন্য রংপুর, ঢাকা, নীলফামারী—তিন অফিসের স্যারদের পেছনে দৌড়াচ্ছি। কিন্তু টাকা পাচ্ছি না। আশা করেছিলাম, জমানো টাকা দিয়ে বড় ছেলেকে একটা ব্যবসা করে দেব। তাহলে আর অন্যের বাড়িতে কাজ করতে হবে না। কিন্তু তাঁরা টাকা দিচ্ছেন না।’
প্রতিষ্ঠানটির সৈয়দপুর শাখা ব্যবস্থাপক মোমেনুল ইসলাম বলেন, ‘২০০৫ সালের শেষের দিকে কোম্পানির একটি সভা হয় সৈয়দপুরে। সভায় বিমা করলে দ্বিগুণ লাভ পাওয়া যাবে বলে লোভ দেখানো হয়। এজেন্ট হিসেবে কাজ করলে অনেক টাকা উপার্জন করা যাবে, অল্প দিনে বাড়ি-গাড়ি করা যাবে বলেও স্বপ্ন দেখানো হয়। তাঁদের কথায় প্রথমে ১০ বছর মেয়াদি একটি ক্ষুদ্র বিমা করি। এরপর তাঁদের সঙ্গে এজেন্ট হিসেবে কাজ করা শুরু করি। প্রায় ৩ হাজার পলিসি করিয়েছি। এখন মেয়াদ শেষ হওয়ায় সবাই আমার কাছে এসে টাকা চান। তাঁদের কারণে বাড়ি থাকতে পারছি না।’
মোমেনুল কোম্পানির বগুড়া এবং রংপুর অঞ্চলের প্রধান ফরিদ আহমেদ ও মুকসেদ আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ‘ঢাকা অফিস থেকে এরই মধ্যে ১২ গ্রাহক বিমা দাবির চেক নিয়ে এসেছেন। কিন্তু ওই দুজনের কারণে আমরা টাকা পাচ্ছি না। তাঁরা টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে কোম্পানিও কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।’
এ বিষয়ে জানতে কোম্পানির চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম, বগুড়া অঞ্চলের প্রধান ফরিদ আহমেদ ও রংপুর অঞ্চলের প্রধান মোখছেদ আলীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তাঁরা কেউ ফোন রিসিভ করেননি।
বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান ড. মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিমা আইন অনুসারে, পলিসির মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে গ্রাহকের দাবি পরিশোধ করতে হবে। যদি কোনো কোম্পানি নির্ধারিত সময়ে টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হয়, তাহলে বর্তমান ব্যাংক সুদের চেয়ে বেশি হারে বিমা দাবির সুদ দিতে হয়।
পদ্মা লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেডের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে। হতদরিদ্র মানুষের বিমা দাবি যাতে দ্রুত পরিশোধ হয়, সেই ব্যবস্থা নেব।’
সাধারণ মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন পদ্মা লাইফ ইনস্যুরেন্সের কর্মকর্তারা। সরল বিশ্বাসে নীলফামারীর সৈয়দপুরের ৩ হাজার দরিদ্র মানুষ প্রতিষ্ঠানটিতে ক্ষুদ্র সঞ্চয় ও একক বিমা করেন। তাঁদের সবার সঞ্চয় ও বিমার মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে বেশ আগে। কিন্তু লাভ তো দূরের কথা, আসল টাকাও পাচ্ছেন না গ্রাহকেরা। কোম্পানির স্থানীয় অফিসও হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে। এজেন্টদের বাড়িতে প্রতিনিয়ত হানা দিচ্ছেন গ্রাহকেরা।
বাধ্য হয়ে কোম্পানির চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে নীলফামারী আদালতে মামলা করেছেন বিমা কোম্পানিটির সৈয়দপুর শাখা ব্যবস্থাপক মোমেনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘নীলফামারী আদালতে গত ২০ জুলাই কোম্পানির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ ভূঁইয়া ও হিসাব কর্মকর্তা শাখাওয়াত হোসেন, বগুড়া অঞ্চলের প্রধান ফরিদ আহমেদ এবং রংপুর অঞ্চলের প্রধান মুকসেদ আলীর বিরুদ্ধে মামলা করেছি।’
স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, সৈয়দপুরে পদ্মা লাইফ ইনস্যুরেন্সের ৩ হাজার গ্রাহকের বিমা পলিসি রয়েছে প্রায় ২ কোটি টাকার। বেশির ভাগেরই মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে অন্তত ৫ বছর আগে। কারও কারও মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর কেটে গেছে ৮ বছর। টাকা উদ্ধারে প্রথমে গ্রাহকেরা নীলফামারী জেলা অফিস, এরপর রংপুর বিভাগীয় অফিস এবং সর্বশেষ কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে ধরনা দেন। কাগজপত্রও জমা দেন। কিন্তু টাকা পাননি। শেষ ভরসা হিসেবে গ্রাহকেরা এখন বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) দ্বারস্থ হয়েছেন।
নীলফামারী সদরের বাসিন্দা জালাল উদ্দীন নামের এক গ্রাহক বলেন, ‘ভবিষ্যৎ জীবনের কথা চিন্তা করে পদ্মা লাইফ ইনস্যুরেন্সের সৈয়দপুর শাখায় বিমা পলিসি করি। মেয়াদ পূর্ণ হয় ২০১৮ সালে। কিন্তু ৬ বছর পার হলেও টাকা পাচ্ছি না। ভেবেছিলাম, ওই টাকা পেলে মেয়ের বিয়ে দেব। কিন্তু লাভ তো দূরের কথা, জমানো টাকাটাই পাচ্ছি না।’
সৈয়দপুরের কামারপুকুর ইউনিয়নের বাসিন্দা বিধবা রতনা বেগম বলেন, ‘একসঙ্গে মুনাফাসহ আসল পাব—এই আশায় অন্যের বাড়িতে কাজ করে প্রতি মাসে ২০০ টাকার কিস্তিতে ক্ষুদ্র সঞ্চয় বিমা করি পদ্মা লাইফে। ২০১৭ সালে বিমার মেয়াদ শেষ হয়। টাকার জন্য রংপুর, ঢাকা, নীলফামারী—তিন অফিসের স্যারদের পেছনে দৌড়াচ্ছি। কিন্তু টাকা পাচ্ছি না। আশা করেছিলাম, জমানো টাকা দিয়ে বড় ছেলেকে একটা ব্যবসা করে দেব। তাহলে আর অন্যের বাড়িতে কাজ করতে হবে না। কিন্তু তাঁরা টাকা দিচ্ছেন না।’
প্রতিষ্ঠানটির সৈয়দপুর শাখা ব্যবস্থাপক মোমেনুল ইসলাম বলেন, ‘২০০৫ সালের শেষের দিকে কোম্পানির একটি সভা হয় সৈয়দপুরে। সভায় বিমা করলে দ্বিগুণ লাভ পাওয়া যাবে বলে লোভ দেখানো হয়। এজেন্ট হিসেবে কাজ করলে অনেক টাকা উপার্জন করা যাবে, অল্প দিনে বাড়ি-গাড়ি করা যাবে বলেও স্বপ্ন দেখানো হয়। তাঁদের কথায় প্রথমে ১০ বছর মেয়াদি একটি ক্ষুদ্র বিমা করি। এরপর তাঁদের সঙ্গে এজেন্ট হিসেবে কাজ করা শুরু করি। প্রায় ৩ হাজার পলিসি করিয়েছি। এখন মেয়াদ শেষ হওয়ায় সবাই আমার কাছে এসে টাকা চান। তাঁদের কারণে বাড়ি থাকতে পারছি না।’
মোমেনুল কোম্পানির বগুড়া এবং রংপুর অঞ্চলের প্রধান ফরিদ আহমেদ ও মুকসেদ আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ‘ঢাকা অফিস থেকে এরই মধ্যে ১২ গ্রাহক বিমা দাবির চেক নিয়ে এসেছেন। কিন্তু ওই দুজনের কারণে আমরা টাকা পাচ্ছি না। তাঁরা টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে কোম্পানিও কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।’
এ বিষয়ে জানতে কোম্পানির চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম, বগুড়া অঞ্চলের প্রধান ফরিদ আহমেদ ও রংপুর অঞ্চলের প্রধান মোখছেদ আলীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তাঁরা কেউ ফোন রিসিভ করেননি।
বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান ড. মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিমা আইন অনুসারে, পলিসির মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে গ্রাহকের দাবি পরিশোধ করতে হবে। যদি কোনো কোম্পানি নির্ধারিত সময়ে টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হয়, তাহলে বর্তমান ব্যাংক সুদের চেয়ে বেশি হারে বিমা দাবির সুদ দিতে হয়।
পদ্মা লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেডের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে। হতদরিদ্র মানুষের বিমা দাবি যাতে দ্রুত পরিশোধ হয়, সেই ব্যবস্থা নেব।’
বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে ব্যবসায়ীদের খরচ বাড়ছে। হ্যান্ডলিংয়ের আগে পণ্য চালান পরীক্ষার নামে এই অতিরিক্ত খরচ চাপ দিচ্ছে। প্রতিটি চালানে ১৫-২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। কখনো কখনো রিপোর্ট পেতে সময় লাগছে এক মাসেরও বেশি, আর ওই সময় পণ্য বন্দরে আটকা পড়ে।
৪ ঘণ্টা আগে২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘিরে নানা প্রশ্ন আর আলোচনা চলছে। কালোটাকা সাদা করার সুযোগ থাকবে কি না, এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য দেশ কতটা প্রস্তুত, বিদেশি বাজার ধরে রাখতে কী উদ্যোগ দরকার—এসব নিয়েই মুখোমুখি হলেন অর্থনীতিবিদ, নীতিনির্ধারক ও ব্যবসায়ী নেতারা।
৪ ঘণ্টা আগেএ পরিস্থিতিতে আমাদের দাবি, অবিলম্বে এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে। তার মাধ্যমে রাজস্ব সংস্কার বিষয়ক কার্যক্রম সময়ক্ষেপণ বই কিছু নয় বলে মনে করে ঐক্য পরিষদ।
৮ ঘণ্টা আগেচতুর্থ প্রজন্মের বেসরকারি ব্যাংক ‘ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি’। ২০১৩ সালে লাইসেন্স পাওয়া এই ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ২৭ হাজার ৭৬৭ কোটি টাকা। এই ঋণের প্রায় ৬২ শতাংশ অর্থাৎ ১৭ হাজার ২২৯ কোটি টাকাই নামে-বেনামে হাতিয়ে নিয়েছে বিতর্কিত শিল্পগ্রুপ এস আলম। ঋণের নামে লুট করা এই টাকা সবচেয়ে বেশি নেওয়া হয়েছে
১ দিন আগে