আজকের পত্রিকা ডেস্ক
নাটোরের টুটুল ২০১৮ সালে শান্তিনিকেতন থেকে গণযোগাযোগে পড়াশোনা শেষ করে চাকরি বা বড় ব্যবসার পেছনে না ছুটে কৃষি তথ্য সংগ্রহকারী ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ শুরু করেন। বিষমুক্ত খাদ্য উৎপাদন ও মানুষের কাছে তা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে তিনি, বিশেষ করে ভেজাল পণ্য যেমন খেজুরের গুড়, ঘি, মুড়ি ও শুঁটকি নিয়ে কাজ করছেন। তাঁর ফেসবুক পেজের নাম ‘বুনো কৃষি’। গতকাল বৃহস্পতিবার নিরাপদ খাদ্য মেলায় তিনি কিছু বিষমুক্ত খাদ্যপণ্য নিয়ে অংশ নেন, যেমন খেজুরের পাটালি, বেনিকুচি লাল চাল, পুঁটি মাছের শুঁকটি, ঢেঁকিশাইল লাল চালের মুড়ি এবং খাঁটি ঘি। টুটুল জানান, বাবার সার ও বীজের দোকানে বসে তিনি বুঝতে পারেন, খাদ্যের মাধ্যমে বিষ মানুষের শরীরে প্রবেশ করছে এবং এ থেকেই তিনি নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে আগ্রহী হন। প্রথমে আদি কৃষিজ্ঞান নথিভুক্ত করে দেশীয় বীজ সংরক্ষণে কাজ শুরু করেন, তবে পরে দেখেন বিষমুক্ত খাদ্য উৎপাদনকারীরা চাহিদার অভাবে উৎসাহ হারাচ্ছেন, তাই তিনি তাঁদের পণ্য বিক্রির দায়িত্ব নেন।
গতকালের মেলায় ঢাকা, সিলেট, সুনামগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৭ জন উদ্যোক্তা তাঁদের বিষমুক্ত খাদ্যপণ্য নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। স্টলে মুড়ি, গুড়, ঘি, হারিয়ে যাওয়া তুলসীমালা ও লাল ভিন্ডি চাল, দেশীয় মুগ ও মাষকলাই ডাল, আচার, মধু, সরিষার তেল, পিঠাপুলি, মসলা, ফলসহ নানা ধরনের পণ্য প্রদর্শনের জন্য ছিল। ক্রেতারা স্টলগুলো ঘুরে পণ্য সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও কেনাকাটা করেন।
বিক্রেতারা জানান, তাঁদের পণ্যতে কোনো সার, পেস্টিসাইড, রং বা স্বাদ বাড়ানোর পাউডার ব্যবহৃত হয় না, শুধু প্রয়োজন হলে জৈব সার ব্যবহৃত হয়। তাঁরা বলেন, ২০১৬ সালের কৃষিনীতির অরগানিক স্ট্যান্ডার্ড ও সার্টিফিকেশন বডি এখনো বাস্তবায়িত হয়নি, তাই অরগানিক পণ্যের মান নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। তাঁরা সমাধানের জন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
ক্যাবের নির্বাহী সদস্য শওকত আলী খান মেলা আয়োজনের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে বলেন, ক্যাব মানুষের মধ্যে নিরাপদ ও বিষমুক্ত খাদ্য উৎপাদনের সচেতনতা বাড়াতে এবং ক্রেতাদের উৎপাদক ও সরবরাহকারীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে চায়। মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য ড. মোহাম্মদ শোয়েব বলেন, নিরাপদ খাদ্য সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং কৃষকদের পেস্টিসাইড ব্যবহার কমাতে তাঁরা কাজ করছেন।
বিএসটিআই সদস্য মো. নুরুল আমিন জানান, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার অধিদপ্তরের সঙ্গে তাঁরা কাজ করছেন। তবে ক্রেতা, ভোক্তা এবং উৎপাদকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রয়োজন।
ডিএনসিআরপি পরিচালক ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন বলেন, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে নিরাপদ খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে এবং এ জন্য সামাজিক আন্দোলন প্রয়োজন।
আইফম এশিয়ার পরিচালক ড. শেখ তানভীর হোসেন বলেন, খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাপ্লাই চেইনের প্রতিটি ধাপ মনিটরিং করা প্রয়োজন।
নাটোরের টুটুল ২০১৮ সালে শান্তিনিকেতন থেকে গণযোগাযোগে পড়াশোনা শেষ করে চাকরি বা বড় ব্যবসার পেছনে না ছুটে কৃষি তথ্য সংগ্রহকারী ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ শুরু করেন। বিষমুক্ত খাদ্য উৎপাদন ও মানুষের কাছে তা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে তিনি, বিশেষ করে ভেজাল পণ্য যেমন খেজুরের গুড়, ঘি, মুড়ি ও শুঁটকি নিয়ে কাজ করছেন। তাঁর ফেসবুক পেজের নাম ‘বুনো কৃষি’। গতকাল বৃহস্পতিবার নিরাপদ খাদ্য মেলায় তিনি কিছু বিষমুক্ত খাদ্যপণ্য নিয়ে অংশ নেন, যেমন খেজুরের পাটালি, বেনিকুচি লাল চাল, পুঁটি মাছের শুঁকটি, ঢেঁকিশাইল লাল চালের মুড়ি এবং খাঁটি ঘি। টুটুল জানান, বাবার সার ও বীজের দোকানে বসে তিনি বুঝতে পারেন, খাদ্যের মাধ্যমে বিষ মানুষের শরীরে প্রবেশ করছে এবং এ থেকেই তিনি নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে আগ্রহী হন। প্রথমে আদি কৃষিজ্ঞান নথিভুক্ত করে দেশীয় বীজ সংরক্ষণে কাজ শুরু করেন, তবে পরে দেখেন বিষমুক্ত খাদ্য উৎপাদনকারীরা চাহিদার অভাবে উৎসাহ হারাচ্ছেন, তাই তিনি তাঁদের পণ্য বিক্রির দায়িত্ব নেন।
গতকালের মেলায় ঢাকা, সিলেট, সুনামগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৭ জন উদ্যোক্তা তাঁদের বিষমুক্ত খাদ্যপণ্য নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। স্টলে মুড়ি, গুড়, ঘি, হারিয়ে যাওয়া তুলসীমালা ও লাল ভিন্ডি চাল, দেশীয় মুগ ও মাষকলাই ডাল, আচার, মধু, সরিষার তেল, পিঠাপুলি, মসলা, ফলসহ নানা ধরনের পণ্য প্রদর্শনের জন্য ছিল। ক্রেতারা স্টলগুলো ঘুরে পণ্য সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও কেনাকাটা করেন।
বিক্রেতারা জানান, তাঁদের পণ্যতে কোনো সার, পেস্টিসাইড, রং বা স্বাদ বাড়ানোর পাউডার ব্যবহৃত হয় না, শুধু প্রয়োজন হলে জৈব সার ব্যবহৃত হয়। তাঁরা বলেন, ২০১৬ সালের কৃষিনীতির অরগানিক স্ট্যান্ডার্ড ও সার্টিফিকেশন বডি এখনো বাস্তবায়িত হয়নি, তাই অরগানিক পণ্যের মান নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। তাঁরা সমাধানের জন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
ক্যাবের নির্বাহী সদস্য শওকত আলী খান মেলা আয়োজনের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে বলেন, ক্যাব মানুষের মধ্যে নিরাপদ ও বিষমুক্ত খাদ্য উৎপাদনের সচেতনতা বাড়াতে এবং ক্রেতাদের উৎপাদক ও সরবরাহকারীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে চায়। মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য ড. মোহাম্মদ শোয়েব বলেন, নিরাপদ খাদ্য সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং কৃষকদের পেস্টিসাইড ব্যবহার কমাতে তাঁরা কাজ করছেন।
বিএসটিআই সদস্য মো. নুরুল আমিন জানান, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার অধিদপ্তরের সঙ্গে তাঁরা কাজ করছেন। তবে ক্রেতা, ভোক্তা এবং উৎপাদকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রয়োজন।
ডিএনসিআরপি পরিচালক ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন বলেন, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে নিরাপদ খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে এবং এ জন্য সামাজিক আন্দোলন প্রয়োজন।
আইফম এশিয়ার পরিচালক ড. শেখ তানভীর হোসেন বলেন, খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাপ্লাই চেইনের প্রতিটি ধাপ মনিটরিং করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত আমদানির ঘোষণার দেওয়ার পরপরই ভারতে হু হু করে বাড়ছে চালের দাম। গত দু’দিনে ভারতের বাজারে চালের দাম প্রায় ১৪ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে ৫ লাখ টন চাল আমদানির ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেনিষেধাজ্ঞা শেষে গত ১ জুলাই থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ইলিশ ধরার মৌসুম, যা চলবে আগস্টের শেষ পর্যন্ত। কিন্তু অবাক করার মতো বিষয় হলো—ভরা মৌসুমেও সাগর-নদী থেকে জেলেরা প্রত্যাশিত ইলিশ পাচ্ছেন না। প্রতিবছর এই সময় দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার জেলেরা রুপালি ইলিশ শিকারে ব্যস্ত সময়...
২১ ঘণ্টা আগেটেকসই কৃষি উন্নয়নের অংশ হিসেবে রংপুর অঞ্চলে ‘আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে টেকসই কৃষি উন্নয়ন’ প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। পাঁচ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪২ কোটি ৯৯ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে রংপুর বিভাগের ৫ জেলার গ্রামীণ দারিদ্র্য কমবে, টেকসই কৃষি...
১ দিন আগেব্র্যাক ব্যাংকের স্মার্ট ব্যাংকিং অ্যাপ ‘আস্থা’ সম্প্রতি ১০ লাখ গ্রাহকের মাইলফলক অর্জন করেছে। একই সঙ্গে, ২০২৫ সালের জুলাই মাসে এই অ্যাপের মাধ্যমে ২০ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে মাসিক অ্যাপ-ভিত্তিক লেনদেনের একটি নতুন রেকর্ড।
১ দিন আগে