আয়নাল হোসেন, ঢাকা
রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে গত শুক্রবার থেকে সরকারের ধার্য করা দামে চিনি বিক্রি হবে বলে জানিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু কোথাও নতুন দামে চিনি বিক্রি হচ্ছে না। অন্যদিকে চার-পাঁচ দিন ধরে বাজার থেকে প্যাকেটজাত চিনি উধাও হয়ে গেছে।
চিনির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, সরকার খোলা চিনির দাম খুচরায় কেজিতে ৭৪ টাকা এবং প্যাকেটজাত ৭৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু মিলগেট ও পাইকারি বাজারে কে কত দামে বিক্রি করবে, তা করেনি। ফলে বাজারে কেউ সরকারের নির্দেশনা মানছে না। কোথাও কোথাও প্যাকেটজাত চিনি কেজি ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ অবস্থায় সরকারের নির্দেশনা কার্যকর হতে আরও কয়েক দিন লাগবে বলে জানিয়েছেন মিলাররা। তবে মিল থেকে কম দামে চিনি না পেলে খুচরায় কম দামে বিক্রির সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। খুচরা বিক্রেতারাও বলছেন, পাইকারিতে কমে কিনতে না পারলে দাম কমানোর সুযোগ নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সারা দেশে বাজার থেকে চার-পাঁচ দিন ধরে প্যাকেটজাত চিনি উধাও হয়ে গেছে। তবে সুপার শপগুলোয় প্যাকেটজাত চিনি পাওয়া যাচ্ছে। গতকাল রাজধানীর নয়াবাজার, মৌলভীবাজার, কারওয়ান বাজার ও রামপুরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তাদের কাছে প্যাকেটজাত চিনির সরবরাহ নেই।
রাজধানীর পূর্ব রামপুরা বাজারের মেসার্স মদিনা ট্রেডার্সের ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম জানান, এক সপ্তাহ ধরে তাঁদের কাছে প্যাকেটজাত কোনো চিনির সরবরাহ নেই। মৌলভীবাজারের খুচরা চিনি ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম জানান, তাঁদের বাজারে প্যাকেটজাত কোনো চিনির সরবরাহ নেই। ঢাকার দোহারে খোঁজ নিয়েও একই খবর পাওয়া গেছে।
সরকার নির্ধারিত দামে চিনি বিক্রি না হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, ‘আপনাদের আর কোনো কাজ নেই। শুধু চিনির পেছনে লেগে আছেন। আজ (রোববার) আমাদের অ্যাসোসিয়েশনের বৈঠকে মিলগেট ও পাইকারি দাম নির্ধারণ করা হবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক সদস্য বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে আগে অপরিশোধিত চিনির দাম ছিল টন ৩৫০-৩৬০ মার্কিন ডলার। বর্তমানে তা ৫৫০-৫৬০ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু সরকার আমদানি শুল্ক কমাচ্ছে না। এখনো কেজিতে চিনির আমদানি শুল্ক প্রায় ৩০ টাকা, যা বিশ্বের কোথাও নেই। এই পরিস্থিতিতে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি চিনির ওপর আরোপিত কর কমাতে কিংবা ভ্যাট মওকুফের জন্য অর্থমন্ত্রী এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে চিঠিও দেন। কিন্তু অর্থমন্ত্রী কিংবা রাজস্ব বোর্ডের তরফে এখনো কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
দেশে চিনির দাম অস্বাভাবিক বাড়ায় গত বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠক করে দাম নির্ধারণ করে দেয়। শুক্রবার থেকে কার্যকরের নির্দেশ দেয়।
নির্দেশনা মেনে চলা হচ্ছে কি না, তা নজরদারি করতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংগঠনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিরাজমান অবস্থান সম্পর্কে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাজারে আগের বেশি দামের চিনির সরবরাহ রয়ে গেছে। তা শেষ হলে নতুন নির্ধারিত দামে বিক্রি হবে। তবে এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরকে তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে গত শুক্রবার থেকে সরকারের ধার্য করা দামে চিনি বিক্রি হবে বলে জানিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু কোথাও নতুন দামে চিনি বিক্রি হচ্ছে না। অন্যদিকে চার-পাঁচ দিন ধরে বাজার থেকে প্যাকেটজাত চিনি উধাও হয়ে গেছে।
চিনির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, সরকার খোলা চিনির দাম খুচরায় কেজিতে ৭৪ টাকা এবং প্যাকেটজাত ৭৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু মিলগেট ও পাইকারি বাজারে কে কত দামে বিক্রি করবে, তা করেনি। ফলে বাজারে কেউ সরকারের নির্দেশনা মানছে না। কোথাও কোথাও প্যাকেটজাত চিনি কেজি ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ অবস্থায় সরকারের নির্দেশনা কার্যকর হতে আরও কয়েক দিন লাগবে বলে জানিয়েছেন মিলাররা। তবে মিল থেকে কম দামে চিনি না পেলে খুচরায় কম দামে বিক্রির সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। খুচরা বিক্রেতারাও বলছেন, পাইকারিতে কমে কিনতে না পারলে দাম কমানোর সুযোগ নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সারা দেশে বাজার থেকে চার-পাঁচ দিন ধরে প্যাকেটজাত চিনি উধাও হয়ে গেছে। তবে সুপার শপগুলোয় প্যাকেটজাত চিনি পাওয়া যাচ্ছে। গতকাল রাজধানীর নয়াবাজার, মৌলভীবাজার, কারওয়ান বাজার ও রামপুরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তাদের কাছে প্যাকেটজাত চিনির সরবরাহ নেই।
রাজধানীর পূর্ব রামপুরা বাজারের মেসার্স মদিনা ট্রেডার্সের ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম জানান, এক সপ্তাহ ধরে তাঁদের কাছে প্যাকেটজাত কোনো চিনির সরবরাহ নেই। মৌলভীবাজারের খুচরা চিনি ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম জানান, তাঁদের বাজারে প্যাকেটজাত কোনো চিনির সরবরাহ নেই। ঢাকার দোহারে খোঁজ নিয়েও একই খবর পাওয়া গেছে।
সরকার নির্ধারিত দামে চিনি বিক্রি না হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, ‘আপনাদের আর কোনো কাজ নেই। শুধু চিনির পেছনে লেগে আছেন। আজ (রোববার) আমাদের অ্যাসোসিয়েশনের বৈঠকে মিলগেট ও পাইকারি দাম নির্ধারণ করা হবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক সদস্য বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে আগে অপরিশোধিত চিনির দাম ছিল টন ৩৫০-৩৬০ মার্কিন ডলার। বর্তমানে তা ৫৫০-৫৬০ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু সরকার আমদানি শুল্ক কমাচ্ছে না। এখনো কেজিতে চিনির আমদানি শুল্ক প্রায় ৩০ টাকা, যা বিশ্বের কোথাও নেই। এই পরিস্থিতিতে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি চিনির ওপর আরোপিত কর কমাতে কিংবা ভ্যাট মওকুফের জন্য অর্থমন্ত্রী এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে চিঠিও দেন। কিন্তু অর্থমন্ত্রী কিংবা রাজস্ব বোর্ডের তরফে এখনো কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
দেশে চিনির দাম অস্বাভাবিক বাড়ায় গত বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠক করে দাম নির্ধারণ করে দেয়। শুক্রবার থেকে কার্যকরের নির্দেশ দেয়।
নির্দেশনা মেনে চলা হচ্ছে কি না, তা নজরদারি করতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংগঠনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিরাজমান অবস্থান সম্পর্কে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাজারে আগের বেশি দামের চিনির সরবরাহ রয়ে গেছে। তা শেষ হলে নতুন নির্ধারিত দামে বিক্রি হবে। তবে এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরকে তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
রাশিয়া থেকে তেল কেনার ‘অপরাধে’ ভারতকে শুল্ক আরোপ ‘শাস্তি’ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার তিনি দাবি করলেন, এই শাস্তির পর ভারতকে তেলের গ্রাহক হিসেবে আর পাবে না রাশিয়া। গতকাল শুক্রবার ট্রাম্প এ মন্তব্য করেছেন বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ শুল্কমুক্ত আমদানির ঘোষণার দেওয়ার পরপরই ভারতে হু হু করে বাড়ছে চালের দাম। গত দু’দিনে ভারতের বাজারে চালের দাম প্রায় ১৪ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে ৫ লাখ টন চাল আমদানির ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
১ দিন আগেনিষেধাজ্ঞা শেষে গত ১ জুলাই থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ইলিশ ধরার মৌসুম, যা চলবে আগস্টের শেষ পর্যন্ত। কিন্তু অবাক করার মতো বিষয় হলো—ভরা মৌসুমেও সাগর-নদী থেকে জেলেরা প্রত্যাশিত ইলিশ পাচ্ছেন না। প্রতিবছর এই সময় দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার জেলেরা রুপালি ইলিশ শিকারে ব্যস্ত সময়...
২ দিন আগেটেকসই কৃষি উন্নয়নের অংশ হিসেবে রংপুর অঞ্চলে ‘আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে টেকসই কৃষি উন্নয়ন’ প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। পাঁচ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪২ কোটি ৯৯ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে রংপুর বিভাগের ৫ জেলার গ্রামীণ দারিদ্র্য কমবে, টেকসই কৃষি...
২ দিন আগে