নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল ও দীর্ঘ মেয়াদে সক্ষম করে তুলতে ব্যাংক খাতে সুশাসন ও রাজস্ব ব্যবস্থায় সংস্কারের ওপর জোর দিচ্ছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। ঢাকায় সফররত সংস্থাটির প্রতিনিধিদল দুটি আলাদা বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে এই দুই খাতের দুর্বলতা ও করণীয় নিয়ে বিশদ আলোচনা করেছে। দুই ক্ষেত্রেই আইএমএফ জোর দিয়েছে কার্যকর সংস্কার, স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর; যা ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির গুরুত্বপূর্ণ শর্তগুলোর মধ্যে অন্যতম।
গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আইএমএফ প্রতিনিধিরা বলেন, ব্যাংক খাতে স্বচ্ছতা ফেরাতে নীতিনির্ধারণী ও পরিচালন পর্যায়ে জবাবদিহি বাড়াতে হবে। তাঁদের মতে, ব্যাংক খাতের দুর্বলতা ও নিয়ন্ত্রণহীনতার মূল কারণ রাজনৈতিক প্রভাব, পরিচালনা পর্ষদে অদক্ষ নিয়োগ এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সীমিত ক্ষমতা। বিশেষ করে সুদহার ও বিনিময় হার নির্ধারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা না থাকায় মুদ্রানীতির কার্যকারিতা হুমকিতে পড়ছে। এ ছাড়া ঋণখেলাপি ও অর্থ পাচার নিয়ন্ত্রণে নিয়ন্ত্রক সংস্থা যে স্বতঃস্ফূর্ত ভূমিকা নেওয়ার কথা, তা বিঘ্নিত হচ্ছে সরকারের হস্তক্ষেপে।
আইএমএফের নজর শুধু কেন্দ্রীয় ব্যাংক নয়, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর দিকেও। তারা পরিচালনা পর্ষদে ‘রাজনৈতিক নিয়োগ’ নিয়ে প্রশ্ন তোলে এবং সুশাসনের স্বার্থে এই প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনার তাগিদ দেয়। এ প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি ব্যাংক কোম্পানি আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে, যা আংশিকভাবে আইএমএফের সুপারিশ প্রতিফলিত করে। এ ছাড়া ব্যাংকিং রেগুলেশন সংস্কারের একটি খসড়াও আপলোড হয়েছে ওয়েবসাইটে, যেখানে সংস্থাটির পরামর্শ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
অন্যদিকে একই দিন আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে সংস্থাটির তিনটি শাখা (আয়কর, ভ্যাট ও কাস্টম) ও আইএমএফ প্রতিনিধিদের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উঠে আসে আগামী অর্থবছরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ঘিরে বিতর্ক। আইএমএফ চায় ৫৭ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আদায়ের রোডম্যাপ। তবে এনবিআরের মতে, বর্তমান সক্ষমতা বিবেচনায় এই লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবসম্মত নয়। তারা জানিয়েছে, তিন বিভাগ মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৮ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত আদায় সম্ভব, যা নির্ধারিত টার্গেটের মাত্র ১৪ শতাংশ।
এনবিআর কর্মকর্তারা জানালেন, লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তাঁরা হাত গুটিয়ে বসে নেই। কিছু ক্ষেত্রে কর ছাড় (ট্যাক্স এক্সেমশন) সীমিত করা, নীতিগত সংস্কার আনা এবং কর কাঠামোর স্বচ্ছতা বাড়ানোসহ বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আইএমএফ প্রতিনিধিরাও এনবিআরের এমন মনোভাবকে ইতিবাচক বলে উল্লেখ করেছেন এবং সম্ভবত লক্ষ্যমাত্রা পুনর্বিবেচনা করা হবে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। যদিও এ বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত ঘোষণা আসেনি।
দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল ও দীর্ঘ মেয়াদে সক্ষম করে তুলতে ব্যাংক খাতে সুশাসন ও রাজস্ব ব্যবস্থায় সংস্কারের ওপর জোর দিচ্ছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। ঢাকায় সফররত সংস্থাটির প্রতিনিধিদল দুটি আলাদা বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে এই দুই খাতের দুর্বলতা ও করণীয় নিয়ে বিশদ আলোচনা করেছে। দুই ক্ষেত্রেই আইএমএফ জোর দিয়েছে কার্যকর সংস্কার, স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর; যা ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির গুরুত্বপূর্ণ শর্তগুলোর মধ্যে অন্যতম।
গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আইএমএফ প্রতিনিধিরা বলেন, ব্যাংক খাতে স্বচ্ছতা ফেরাতে নীতিনির্ধারণী ও পরিচালন পর্যায়ে জবাবদিহি বাড়াতে হবে। তাঁদের মতে, ব্যাংক খাতের দুর্বলতা ও নিয়ন্ত্রণহীনতার মূল কারণ রাজনৈতিক প্রভাব, পরিচালনা পর্ষদে অদক্ষ নিয়োগ এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সীমিত ক্ষমতা। বিশেষ করে সুদহার ও বিনিময় হার নির্ধারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা না থাকায় মুদ্রানীতির কার্যকারিতা হুমকিতে পড়ছে। এ ছাড়া ঋণখেলাপি ও অর্থ পাচার নিয়ন্ত্রণে নিয়ন্ত্রক সংস্থা যে স্বতঃস্ফূর্ত ভূমিকা নেওয়ার কথা, তা বিঘ্নিত হচ্ছে সরকারের হস্তক্ষেপে।
আইএমএফের নজর শুধু কেন্দ্রীয় ব্যাংক নয়, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর দিকেও। তারা পরিচালনা পর্ষদে ‘রাজনৈতিক নিয়োগ’ নিয়ে প্রশ্ন তোলে এবং সুশাসনের স্বার্থে এই প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনার তাগিদ দেয়। এ প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি ব্যাংক কোম্পানি আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে, যা আংশিকভাবে আইএমএফের সুপারিশ প্রতিফলিত করে। এ ছাড়া ব্যাংকিং রেগুলেশন সংস্কারের একটি খসড়াও আপলোড হয়েছে ওয়েবসাইটে, যেখানে সংস্থাটির পরামর্শ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
অন্যদিকে একই দিন আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে সংস্থাটির তিনটি শাখা (আয়কর, ভ্যাট ও কাস্টম) ও আইএমএফ প্রতিনিধিদের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উঠে আসে আগামী অর্থবছরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ঘিরে বিতর্ক। আইএমএফ চায় ৫৭ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আদায়ের রোডম্যাপ। তবে এনবিআরের মতে, বর্তমান সক্ষমতা বিবেচনায় এই লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবসম্মত নয়। তারা জানিয়েছে, তিন বিভাগ মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৮ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত আদায় সম্ভব, যা নির্ধারিত টার্গেটের মাত্র ১৪ শতাংশ।
এনবিআর কর্মকর্তারা জানালেন, লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তাঁরা হাত গুটিয়ে বসে নেই। কিছু ক্ষেত্রে কর ছাড় (ট্যাক্স এক্সেমশন) সীমিত করা, নীতিগত সংস্কার আনা এবং কর কাঠামোর স্বচ্ছতা বাড়ানোসহ বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আইএমএফ প্রতিনিধিরাও এনবিআরের এমন মনোভাবকে ইতিবাচক বলে উল্লেখ করেছেন এবং সম্ভবত লক্ষ্যমাত্রা পুনর্বিবেচনা করা হবে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। যদিও এ বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত ঘোষণা আসেনি।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট অনুমোদিত হয়েছে। আজ রোববার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৩০ মিনিট আগেদেশীয় মৌসুমি ফলের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর ফলের বাজারে নেমেছে স্বস্তির ছোঁয়া। আম, কাঁঠাল, লিচু, লটকন, পেয়ারা, আনারস, ড্রাগনের মতো ফলের প্রাচুর্যে শুধু দেশীয় ফল নয়; দাম কমেছে আমদানিকৃত আপেল, মাল্টা, আঙুরেরও।
৯ ঘণ্টা আগেবেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে ব্যবসায়ীদের খরচ বাড়ছে। হ্যান্ডলিংয়ের আগে পণ্য চালান পরীক্ষার নামে এই অতিরিক্ত খরচ চাপ দিচ্ছে। প্রতিটি চালানে ১৫-২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। কখনো কখনো রিপোর্ট পেতে সময় লাগছে এক মাসেরও বেশি, আর ওই সময় পণ্য বন্দরে আটকা পড়ে।
১৩ ঘণ্টা আগে২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘিরে নানা প্রশ্ন আর আলোচনা চলছে। কালোটাকা সাদা করার সুযোগ থাকবে কি না, এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য দেশ কতটা প্রস্তুত, বিদেশি বাজার ধরে রাখতে কী উদ্যোগ দরকার—এসব নিয়েই মুখোমুখি হলেন অর্থনীতিবিদ, নীতিনির্ধারক ও ব্যবসায়ী নেতারা।
১৪ ঘণ্টা আগে